
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লোহাগড়া প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ গেটে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন রাখেন, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাচ্চু মিয়া, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ সাইফুল্লাহ মামুন, বিএনপি নেতা বিপ্লব রহমান, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এনামুল কবীর চন্দন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইবুল হাসান প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা আলহাজ সাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবরের ২৬ তারিখে লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। এ সম্মলেনে অংশগ্রহণকারী ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর বিএনপির সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ও জেলা হাজত খাটা কর্মীরা উপস্থিত ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী নিকটতম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের না রেখে টাকার বিনিময়ে আওয়ামী বাকশাল সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই আমরা সদ্য ঘোষিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু এসএসসি পাশ না। তার জ্ঞানের অভাবে টাকার বিনিময়ে আওয়ামীপন্থি লোক নিয়ে কমিটি গঠন করে অন্যায় কাজ করেছে। বর্তমান কমিটির বেশির ভাগ সদস্য লেখাপড়া জানে না। এই অশিক্ষিত লোকের দ্বারা আমাদের দল ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এই সকল অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করছি। দাগি, খুনের আসামি, মাদক চোরাচালানী ব্যক্তিরা টাকার বিনিময়ে এই কমিটিতে আসছে, আমরা এতে হতভম্ব হয়েছি। অনেক উচ্চ শিক্ষিত সিনিয়র ভিপি শফিকুল ইসলাম (সবুজ) এই কমিটিতে নেই। যিনি দীর্ঘ ৬ মাস কারাবরণ করেছিলেন। এ ছাড়া আনিসুর রহমান কামাল, রেজাউল করিম মিন্টু ,মেম্বর পলাশ, খোকন সরদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র রবিউল ইসলাম পলাশসহ অনেকের নাম বর্তমান কমিটিতে নেই। এই সকল বিষয়ে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী ছাড়াও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিল।
অভিযোগের বিষয়ে লোহাগড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মিলু শরিফ বলেন, কমিটি কখনো অবৈধ হয়না। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। কমিটিতে যোগ্য, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমারা নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি। আমরা সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে, হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শরিফুল ইসলাম/মাহফুজ