ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সঙ্গে মাথা উঁচু করে কথা বলবে সরকার: আসিফ মাহমুদ
রংপুরে ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: খবরের কাগজ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক পানি আইনের ভিত্তিতে কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে, যাতে ভারত বাধ্য হয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য একটি খসড়া নিয়ে ঘুরছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতকে শুধু ছবি তোলার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তিস্তার ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে শিরদাঁড়া উচ্চ করে দাঁড়িয়েছে। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে এবং পানির হিস্যা আদায়ের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে মাথা উচ্চ করে কথা বলবে বাংলাদেশ।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেল সেতু এলাকায় ‘তিস্তা নদী নিয়ে করণীয় শীর্ষক’ গণশুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তারা ভারতের কাছে কিছুই আদায় করতে পারেনি। এসময় উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিস্তা নদী নিয়ে স্থানীয় জনগণের উদ্বেগ ও চাহিদা শোনা যায়, যেখানে তারা বর্তমান সরকারের আমলে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান। 

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়াও রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, নদী গবেষক নজরুল ইসলাম হক্কানী, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিক মুজাহিদসহ অন্যান্য নেতারা গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ এএম
টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে শ্রমিক নিহত, ওসিসহ আহত ৬
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে একটি আলুর ট্রাক উল্টে গেলে পেছন থেকে অন্য একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। যার ফলে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসিসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা আলুর ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। পরে ওই ট্রাক থেকে আলু অন্য একটি ট্রাকে তোলার সময় পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের পাশেই থাকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান, সার্জেন্ট এবং দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হন।

নিহতের নাম ইলিয়াস (৪২), তার বাড়ি রংপুরে। আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সিরাজ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশি তৎপরতা চলছে।

জুয়েল/তাওফিক/

রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৯ এএম
রংপুরে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কথা জানে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী
রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর কেন্দ্রে অবস্থিত বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড আর পরিত্যক্ত ভবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসাসেবা। প্রচারবিমুখ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে হাতেগোনা কয়েক শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি বিদ্যালয় কলেজ থাকলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী জানে না এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে।

স্বাস্থ্যসেবা শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ শতক জমির ওপর রংপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। দেশে বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে রয়েছে তিনটি। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা কর্মকর্তারা প্রতি মাসে ১০-১২টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করার কথা থাকলেও তারা এক বা দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২৩১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮৫, মার্চে ১৯৯, এপ্রিলে ১৬০, মে মাসে ২৬৮, জুনে ১৮১, জুলাইয়ে ১১৯, আগস্টে ১৯০, সেপ্টেম্বরে ২৮৩, অক্টোবরে ৩৪৯, নভেম্বরে ৪১৯ ও ডিসেম্বরে ২৬৪ জন চিকিৎসা নেয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২১৯ শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে।

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে ওষুধ ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো কিছু দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। ফলে চাইলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাওয়া সম্ভব হয় না। ৩০ ধরনের ওষুধ থাকলেও আরও কিছু ওষুধ পাশাপাশি বেশি করে ন্যাপকিন বরাদ্দের দাবি জানান।

রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর রায়হান হোসেন বলে, ‘আগে কিছুই জানতাম না। শুধু আমি না, আমাদের স্কুলের অনেকেই জানে না। হঠাৎ এক বন্ধুর কাছে শুনে চিকিৎসা নিতে এলাম।’ অন্য শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলে, ‘দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধুরা এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না। একটু প্রচার-প্রচারণা করলে সবাই জানতে পারত। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলে সবাই উপকৃত হতো।’

বিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. সকিনা বলেন, ‘আমাদের অনেক সংকট রয়েছে, তারপরও চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিশেষ করে এখানে কোনো ধরনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। নিজের খরচে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া-আসা করতে হয়। সব মিলিয়ে এ চিকিৎসাকেন্দ্রটিকে অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা বলেন, ‘আমি জানি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। নতুন এসেছি। পরিদর্শন করে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ এএম
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
ছবি : খবরের কাগজ

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় পাচটি ভারতীয় গান (এয়ার গান), একটি ভারতীয় পিষ্টন অ্যাসেম্বলি ও ৩৩ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় সিসাগুলি উদ্ধার করেছে বিজিবির কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ২২ বিজিবির অধীনস্থ দিয়াডাংগা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মেইন পিলার-৯৮৫/৩-এস এর নিকট দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে এগুলোর মালিক পালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, অস্ত্র গোলাবারুদ পাচারের গোপন খবর পেয়ে শুক্ববার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে সদর ও দিয়াডাংগা বিওপির ১৯ সদস্যের বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় গোপনে অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হলে বিজিবির টহলদল তাদের আটক করতে এগিয়ে গেলে এসব অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরে তল্লাশী ভারতীয় পাঁচটি গান, একটি পিষ্টন অ্যাসেম্বলি, ৩৩,১০০ পিস সিসা গুলি পায়। এ সময় পাচাকারীদের ফেলে যাওয়া একটি ভারতীয় হিরো ইগনেটর মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, মোটরসাইকেলসহ এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদের মূল্য ৮লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি টাকা। এসব এয়ার গান পাখি মারার কাজে ব্যবহার করা হয়।

বিজিবির ২২ কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তে পর্যাপ্ত টহল অব্যাহত রয়েছে।

মওলা সিরাজ/জোবাইদা/

কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:১৭ এএম
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে নিত্যপণ্য
চট্টগ্রামে প্লাাস্টিক জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ। ছবি: খবরের কাগজ

ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহযোগিতায় নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে। সামনে চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরের কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারের সামনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ক্লিন বাংলাদেশের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। পাশাপাশি ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি বাস্তবায়নে এবং প্লাস্টিক ও পলিথিনের ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে এই উদ্যোগ। সামনে ক্লিন বাংলাদেশ সংগঠনকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে।’ 

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিকদূষণ রোধে ক্লিন বাংলাদেশ এই উদ্যোগটি নিয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় রমজান উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের পর এবার কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে চতুর্থ নতুন বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী- ছোলা, খেজুর, চিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, “শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিন নিয়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ক্লিন বাংলাদেশ এভাবে নগরীর প্রত্যেকটা পয়েন্টে চালু রাখার চেষ্টা থাকবে। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে- যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসঙ্গে করা যায়। তাই ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিকদূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।”

প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল-সবুজের বাংলাদেশ। এই প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলে জমা দিয়ে নিতে পারছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যা মানুষকে একদিকে যেভাবে সচেতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখছে। রমজান মাসজুড়ে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’ 

পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল: ইনজেকশন দিতেই মারা গেল ৪ মাসের শিশু

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫১ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল: ইনজেকশন দিতেই মারা গেল ৪ মাসের শিশু
চট্টগ্রামের পটিয়ার শেভরণ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ার শেভরণ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় চার মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। নিহত শিশুর নাম নুর আফসা। শিশুটির বয়স তিন মাস। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৯টায় ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির কানে সমস্যা ছিল, একই সঙ্গে নিউমোনিয়া আক্রান্ত ছিল। 

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ করে শিশু আফসার চাচা মো. কাদের খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার ভাতিজির নিউমোনিয়া ও হালকা কানের সমস্যা ছিল। তাই তাকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে পটিয়া পৌরসভার পটিয়া শেভরণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাকে একটি ইনজেকশন দিতে হবে জানিয়ে ডাক্তার দেলোয়ার লিখে দেন। আমরা সেই অনুযায়ী পটিয়া শেভরণ হাসপাতালের ফার্মেসি থেকেই সেটি কিনে নিই। এরপর নার্স সেটি পুশ করার পর পরই আমার ভাতিজি মারা যায়। অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি ইনজেকশনটি ছিল বয়স্ক মানুষের। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে বলেছে। আমরা এখন শিশুটির ময়নাতদন্ত করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছি।’ 

জানা গেছে, নিহত শিশু নুর আফসা উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের সাকিব আল হাসানের মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলে, শিশুটির মৃত্যুর পর হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রোগীর স্বজনরা। তারা হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষের গ্লাস, জানালা ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। পরে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

শেভরণ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ হাসান বলেন, ‘শিশুটিকে ডা. দেলোয়ার দেখছিলেন। নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীকে কোনো কিছু খাওয়ানোর নিয়ম নেই। কিন্তু রোগীর মা চিকিৎসা চলাকালে বাচ্চাটিকে বুকের দুধ খাওয়ালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় চিকিৎসক ইনজেকশন পুশ করেন। পরে বাচ্চাটি মারা যায়।’

এ সময় তিনি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘রোগীর স্বজনদের অভিযোগ তদন্ত করা হবে। তদন্তে কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নুর বলেন, ‘হাসপাতালে হট্টগোল হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ সুরুহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’