ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

ফরিদপুরে শত বছরের পূণ্যস্নানে ঢল পূণ্যার্থীদের

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
ফরিদপুরে শত বছরের পূণ্যস্নানে ঢল পূণ্যার্থীদের
ছবি: খবরের কাগজ

প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কয়ড়া কালী বাড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার পূণ্যস্নান শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে অবস্থিত কয়ড়া কালীমন্দির ঘেঁষে কুমার নদে পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান ও নানা আয়োজনের পাশাপাশি বসেছে ঐতিহ্যবাহী মেলা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।

মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে এ পূণ্যস্নানের মাধ্যমে মায়ের কাছে প্রার্থনা করে নিজেদের পাপ মোচন করে ভক্তরা। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীদের ঢল নামে। এই তীর্থস্নানে হাজারো ভক্তরা অংশ নেয়।

গঙ্গাস্নান এর অংশ হিসেবে কুমার নদের এ ঘাটে পবিত্র হতে এ স্নান করা হয়। মা গঙ্গা মন্ত্র, আসমান, সূর্যাগ্য মন্ত্র এরকম নানা মন্ত্র পাঠ করা হয়।

কররা কালী মন্দিরের পুরোহিত জানান, গঙ্গাস্নান এর অংশ হিসেবে কুমার নদের এ ঘাটে পবিত্র হতে এ স্নান করা হয়। মা গঙ্গা মন্ত্র, আসমান, সূর্যাগ্য মন্ত্র এরকম নানা মন্ত্র পাঠ করা হয়।

ফরিদপুর থেকে আসা অর্ক চক্র বর্ত্তী জানান, আমি পূণ্যস্নান করতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। 

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, কয়ড়া কালী বাড়িতে পূণ্যস্নান উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। 

কয়ড়া কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ সাহা জানান, এখানকার পূর্ণস্নান শত শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। এবছর কুম্ভমেলার সঙ্গে গঙ্গা স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই আমরা ভাগ্যবান। তিনি আরও বলেন, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসে পূন্যার্থীরা।

সঞ্জিব দাস/মাহফুজ

 

সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রীর হুমকি, টাকা ঢেলে জামাইকে নিয়ে আসব

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রীর হুমকি, টাকা ঢেলে জামাইকে নিয়ে আসব
ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

‘আমার স্বামী গতকাল অ্যারেস্ট হয়েছে। এটা নিয়ে এতো হা হুতাশ করার কিছু নেই ঠিক আছে। মামলা যখন আছে অ্যারেস্ট হবে। এগুলো নিয়ে এতো হা হুতাশ করে, কান্নাকাটি করে কিছু নাই। আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই অ্যারেস্ট হয়েছে আর কোনোদিন বের হতে পারবে না। তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’ 

হাসিমুখে ও নানা ঢঙে ফেসবুক লাইভে এসে কথাগুলো বলেন, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ ওরফে ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতির স্ত্রী শারমিন আক্তার। তার স্বামীকে শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। এরপর আজ তিনি লাইভে এসে এসব কথা বলেন। 

এদিকে তার সেই লাইভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। অনেকেই অনেক ধরনের লেখা লিখছেন সেই ভিডিও পোষ্ট করে।

শারমিন হাসিমুখে বলেন, ‘আমরা কাড়ি কাড়ি, বান্ডেল বান্ডেল টাকা ছেড়ে আমার স্বামীকে আমার কাছে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে আমার কাছে চলে আসবে এবং যারা এ ঘটনা ঘটাইছো, তারা মনে রাইখো, কাউকে ছাড়ব না। এতোদিন ছিল আমাদের পালানোর দিন। এখন তোমাদের পালানোর দিন। এখন আমার জামাই আইনী প্রক্রিয়া শেষে আমার কাছে আসবে। তখন খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করছো তোমরা, আর শেষ করব আমরা, ঠিক আছে? তোমরা যারা আমার জামাই সাজ্জাদের সাপোর্টার আছো তারা সবাই তার জন্য দোয়া কর। যাতে ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করাই ফেলতে পারি।’ 

এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। ৮ জানুয়ারি তিনি জামিনে এসে পুলিশের ওসি আরিফুর রহমানসহ আরও দুই কর্মকর্তা এবং অন্যান্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ করেন। পুলিশ হেফাজতে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, ফলে তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।  

এ ঘটনার পর তিনি আলোচনায় আসেন। এছাড়াও তিনি ও তার স্বামী নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও করেও আলোচনায় আসেন। এর আগে সাজ্জাদ বায়েজিদের ওসি আরিফুর রহমানকে প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে নগরের অক্সিজেন মোড়ে পেটানোর হুমকি দেন। 

জানা গেছে, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মারামারি, চাঁদাবাজি, ত্রাস সৃষ্টিসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও থানার তাহসীন হত্যা মামলায় তার ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

মনির/মাহফুজ

হামজা চৌধুরীর আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
হামজা চৌধুরীর আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ
ছবি: খবরের কাগজ

লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে দেশে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ১৭ মার্চ লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এই লেস্টার সিটি তারকার। সাথে থাকবেন তার মা, স্ত্রী ও সন্তান। এরপর সিলেট থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে যাবেন হামজা।

হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো হবিগঞ্জজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে চলছে নানা প্রস্তুতি।  গ্রামের প্রবীণ থেকে তরুণ, সবাই ব্যস্ত প্রিয় সন্তানের বরণ আয়োজন নিয়ে। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্নানঘাট গ্রাম ও আশপাশের রাস্তা-ঘাট। বিকেলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা আনন্দ, সবাই অপেক্ষায় আছে কবে প্রিয় সন্তান হামজা সবার মাঝে এসে দাঁড়াবেন।

স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এত বড় একজন আন্তর্জাতিক তারকা আমাদের গ্রামের সন্তান, এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা তার জন্য যা করতে পারি, তা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। যে কারণে আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’

গ্রামের তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, ‘হামজা চৌধুরী শুধু আমাদের গ্রামের গর্ব নয়, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। এতোদিন হয়তো আমরা তাকে ওইভাবে চিনিনি। এখন তিনি দেশের হয়ে খেলবেন ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা চিনতে পারছি। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে, যে এমন একজন ফুটবল তারকা আমাদের দেশের সন্তান।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু নানা কারণে আমাদের দেশ ফুটবলে পিছিয়ে আছে। আমরা আশা করি, হামজা চৌধুরী এখন দেশের হয়ে খেলবেন। বাংলাদেশের ফুটবল এখন অনেত দূর এগিয়ে যাবে।’

হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘হামজার জন্ম হয়েছে লন্ডনে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে মাঝে মধ্যে দেশে নিয়ে আসতাম। সে কয়েক মাস সময় এখানে থাকত। দেশের মাঠ-ঘাট ঘুরে বেড়াত। গ্রামের ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করত। যে কারণে দেশের প্রতি তার একটা আলাদা ভালোবাসা আছে। এই ভালোবাসা থেকেই হামজা বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যদি হামজার মতো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাকি খেলোয়াড়রা দেশে চলে আসেন, তাহলে ধরে রাখেন ২০১৬ সালে না হোক আগামী ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলবে।’

হামজা চৌধুরীর চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাংলাদেশের ক্রিড়াঙ্গনে রাজনীতির প্রভাব বিদ্ধমান। দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে হলে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। এতে দেশেই অনেক হামজা তৈরী হবে।’

ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত নাম। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আমন্ত্রণে তিনি জাতীয় দলে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।

হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সিলেট বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে বাফুফের কর্মকর্তারা। এছাড়া, তার নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বাফুফের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে।

হবিগঞ্জে একদিন অবস্থান শেষে হামজা চৌধুরী ঢাকায় যাবেন। সেখানে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ২০ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়বেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে, আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন এই প্রতিভাবান মিডফিল্ডার।

কাজল/সিফাত/

নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
নিখোঁজের ৭ দিন পর কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাতদিন পর আলতাফ শাহ (৫২) নামে এক কৃষকের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মোহনপুরের তুলশিক্ষেত্র বিলের ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আলতাফ হোসেন মোহনপুর উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়ার মৃত কুদ্দুস আলী শাহ'র ছেলে।

জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে তুলশিক্ষেত এলাকার কালভাটের পাশের ডোবায় আলতাফের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। শরীরের সঙ্গে মাথা না থাকায় পোষাক দেখে আলতাফের মরদেহ শনাক্ত করে পরিবার। পরে পুলিশ মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এর আগে গত ৯ মার্চ আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হন। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে প্রথমে আলতাফের পরিবার মোহনপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ তুলে ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে পরিবার। এর সাতদিন পর ডোবা থেকে আলতাফের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার হলো।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মেহেদী/

নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
নোয়াখালীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আহসান উল্যাহ। ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুত্রবধূকে (২১) ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর আহসান উল্যাহকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী নারী শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করার পর রাতেই কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কেটিএমহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত আহসান উল্যাহ চরপার্বতী গ্রামের মৃত আলী আহমদের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মামলা সূত্র জানা গেছে, ভুক্তভোগীর স্বামী দুবাই থাকেন। ঘরে তিনি তিন বছরের মেয়ে, শাশুড়ী ও অভিযুক্ত আহসান উল্যাহসহ বসবাস করেন। শনিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আহসান উল্যাহ পুত্রবধূর কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রাতে শ্বশুরের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে খবরের কাগজকে বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ এবং ভুক্তভোগীকে ২২ ধারায় জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি আহসান উল্যাহকে বিচারকের নির্দেশের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 


মজনু/মেহেদী/ 

ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ভোলায় মসজিদে মুখ-হাত বেঁধে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
ছবি: খবরের কাগজ

ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে ভোলার চরফ্যাশন খাসমহল জামে মসজিদের ৩য় তলায় এক মাদরাসাছাত্রকে (১০) বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আটক মো. তালহা চরফ্যাশন পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর বাসিন্দা।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রকে মটরসাইকেলে ঘোরানোর প্রলোভন দেখিয়ে এবং মসজিদের সৌন্দর্য্য দেখার কথা বলে চরফ্যাশন পৌরসভা ০৫নং ওয়ার্ডের নুরু মাস্টার বাড়ীর মো. তালহা গত ১৪ তারিখ রাত আটটার দিকে চরফ্যাশন কেন্দ্রীয় খাস মহল জামে মসজিদের ৩য় তলার ছাদের সিড়িতে বলাৎকারের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে আসামি মটরসাইকেলযোগে পালাইয়া যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'উক্ত ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়িলে মাননীয় পুলিশ সুপার, তাৎক্ষণিক নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার, চরফ্যাশন সার্কেলের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার ও এসআই (নিরস্ত্র) মো. হারুন অর রশিদসহ একাধিক চৌকস টিম চরফ্যাশন পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার শরীফ পাড়া এলাকা থেকে আসামি মো. তালহাকে গ্রেপ্তার করে।' 

এ সংক্রান্তে চরফ্যাশন থানায় ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা নং০৮।

এর আগে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে খাসমহল মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে আসা এক প্রতিবেশী ৩য় তলার সিঁড়িতে শিশুটিকে নগ্ন ও গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তিনি শিশুটির বাবা-মাকে খবর দেন। পড়ে তারা শিশুটিকে প্রথমে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে শনিবার (১৫ মার্চ) ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


ইমতিয়াজুর/মেহেদী/