ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

টাঙ্গাইলে হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০১ এএম
টাঙ্গাইলে হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় লালন স্মরণোৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আয়োজকরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার সময় মধুপুর লালন সংঘের আয়োজনে এটি হওয়ার কথা ছিল।

এ ব্যাপারে উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, 'ইসলামপন্থি কিছু দল যেমন- হেফাজতে ইসলাম, কওমি ওলামা পরিষদ এরা বাধা দিয়েছিল।'

তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ইউএনওর কাছে লালনের গান নিয়ে সমালোচনামূলক কোনো লেখার স্ক্রিনশট দিয়ে তারা বলেছিল এই ধরনের মতবাদ শিরক বা কুফরি, যা আমরা মধুপুরে চলতে দিব না। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকেও তারা জানায়। হেফাজতে ইসলামীর মধুপুরের সভাপতি এটা জানায় এবং ইউএনওকে বলে যে এই প্রোগ্রাম হতে দিব না। তখন ইউএনও আমাকে জানায়।

বাধা আসার পর গতকাল বিকেলে আয়োজকরা হেফাজতের সঙ্গে বৈঠকে বসে। কিন্তু সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ হেফাজত তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা সিদ্ধান্ত দেয়নি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানায় যে এই প্রোগ্রাম তারা কোনোভাবেই করতে দেবে না। তাই দেশের সার্বিক অবস্থা চিন্তা করে আমরা এটি স্থগিত করি।

এদিকে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমরানুল করিম জানান, আজকে রাতে তো লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। কেন হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আমি জানি না। কারও বাধার মুখে করেনি নাকি আয়োজকরা নিজেরাই করেনি, জানি না আমরা। আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।


জুয়েল/মেহেদী/

গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের উদ্যোগে ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

‘সংসারে বুড়া মা-বাবা, স্ত্রী-ছেলেমেয়ে রয়েছেন। সারা দিন রিকশা চালাই। কোনো দিন ৫০০ বা কোনো দিন ৬০০ টাকা কামাই হয়। রিকশার ভাড়া ২৫০ টাকা জমা দিয়ে থাকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তা দিয়ে সংসার চালামু নাকি ইফতার করুম। সারা দিন বাইরে থাইকা রিকশা চালাই। তাই বাসায় যাইতে পারি না। এইখানে ইফতার করায় তাই চইল্যা আসি।’

গোপালগঞ্জে শহরের পৌর পার্কে ইফতার করতে এসে এ কথাগুলোই বলছিলেন রিকশাচালক মো. রনি গাজী। শুধু তিনিই নন এমন কথা বলেন, ইফতার করতে আসা আরও অনেক রোজাদার।

ইফতারি নিয়ে এমন সব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জ’। প্রতিদিন দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতারি বিতরণ করছে সংগঠনটি।

গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শেখ রাসেল উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন দুপুর থেকে ইফতার তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের একদল সদস্য। এর মধ্যে কেউ স্কুল, আবার কেউবা কলেজে পড়ছেন। এসব সদস্য নিজেদের হাতখরচ, পরিবার আর পরিচিতজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মুখে ইফতারসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। এসব ইফতারির মধ্যে কোনো দিন থাকে ছোলা-মুড়ি-বেগুনি, কোনো দিন দই-চিড়া, কোনো দিন খিচুড়ি আবার কোনো দিন থাকে বিরিয়ানি। যেদিন যেমন আর্থিক সাহায্য পান সে অনুযায়ী খাবার তৈরি করেন তারা।

ইফতারের আগে আগে খাবারগুলো নিয়ে আসা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক চত্বরে। পরে সেখানে বসিয়ে এসব অসহায় ও দিনমজুর মানুষকে ইফতারি করানো হয়।

ইফতার করতে আসা কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুস সাত্তার শেখ বলেন, ‘প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজগার করি। রিকশার ভাড়া জমা দিয়ে পরিবারের জন্য ইফতারি কিনতে পারি না। এখান থেকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিন ইফতারি করি।’

অপর রিকশাচালক লিটন মোল্লা বলেন, ‘আগের মতো তেমন একটা আয়-রোজগার নেই। পরিবারের জন্য ভালো কোনো ইফতারি কিনতেও পারি না। প্রতিদিন চলতি পথে তাদের থেকে ইফতারি নিয়ে যাই। কোনো দিন বাসায় যেতে না পারলে এখানে বসেই ইফতারি করি।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের সদস্য মো. নূর নবী, আসিফ করিম বলেন, ‘আমরা নিজেদের হাতখরচ, পরিবার ও প্রতিবেশী এবং পরিচিতজনদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এসব খাবার বিতরণ করছি। নিজেদের মনের আনন্দ পেতে কষ্ট হলেও কিছুটা করার চেষ্টা করছি। বিত্তবানদের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন এসব অসহায় মানুষের দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।’

সংগঠনের সদস্য আহম্মদ আলী, শীরিন আক্তার তানহা বলেন, ‘অনেক দুস্থ, অসহায় গরিব মানুষ আর্থিক সমস্যার কারণে ঠিকমতো ইফতার করতে পারেন না। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী রান্না করা ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছি। প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে থাকি।’

প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবারের মতো এবারের রমজান মাসেও কর্মহীন মানুষের মুখে একবেলা ইফতারি তুলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতারি তৈরি করে এসব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছি, যাতে অন্তত একবেলা তারা পেট ভরে খাবার খেতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানরাও এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন। তারা আর্থিক বা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এসব মানুষের একবেলার খাবারের জোগান দিতে পারেন। রমজান মাসজুড়ে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।’

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার আরবান প্রাইমারি হেলথ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক।

এ ক্যাম্পেইনে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৫৭২ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৭টি স্থায়ী, ১ হাজার ৭০৯ টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২১৬ জন তত্ত্ববধায়কের নেতৃত্বে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।

এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বিশ্বাস, ইউপিএইচ সিএইচডিপি-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো রকিবুল হাসান, এমআইএস অফিসার কৃষ্ণ গোপাল সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

বাদল/তাওফিক/ 

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগমীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পত্র দিয়ে জানিয়েছে, ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ
পিরোজপুর

পিরোজপুরের সদর উপজেলা শারিকতলা গ্রামের পূর্ব হরিণা গাজীপুর এলাকায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ফয়সাল হাওলাদার ওই এলাকার মিজান হাওলাদারের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হরিণা স্লুইসগেট এলাকার সামনে থেকে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান।

জানা যায়, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আলিম খান ফয়সালের বাবা মিজান হাওলাদারের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিজান হাওলাদারের ছেলে ফয়সালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর করে। 

ফয়সাল হাওলাদারের ভাই কাওসার হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকালে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার ভাই (ফয়সাল) বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় আলিমকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে। এ সময় ফয়সাল আরও জানায় আলীম তাকে মারধর করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানাই ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকেও জানানো হয়। অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাড়েরহাট এলাকার নাসির উদ্দিন মল্লিকের বাড়ির কাছে ফয়সাল ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, দেনাপাওনার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল হাওলাদার নামে একজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ফয়সালকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রাতেই মামলা হয়।

হাসিবুল হাসান/জোবাইদা/

কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/