ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া দম্পতি পেলেন অটোরিকশা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া দম্পতি পেলেন অটোরিকশা
ছবি: খবরের কাগজ

সম্প্রতি ঋণগ্রস্ত হয়ে নিজেদের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতিকে অটোরিকশা কিনে দিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলী।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সাবেত আলী তার কার্যালয়ে ওই দম্পতির হাতে অটোরিকশার চাবি তুলে দেন।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদের, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতির বাড়ি জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের তালমা এলাকায়৷

জানা গেছে,, নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতির মেয়ে নিতু আক্তার থ্যালাসেমিয়া এবং ছেলে জিহাদ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। দুই ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা করাতে তারা ইতোমধ্যে সব শেষ করেছেন। সর্বশেষে সন্তানদের চিকিৎসা করাতে তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলে ঋণে পড়েন। পাশাপাশি খেয়ে না খেয়ে অভাবে দিন-রাত পার করছিলেন। পরে তারা কোনো উপায় না পেয়ে বিভিন্ন দেয়ালে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন সাঁটান। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে দৃষ্টিগোচর হয় জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলীর। পরে তিনি এই পরিাবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। 

এদিকে নতুন অটোরিকশা পেয়ে খুশি নবীউল্লাহ ও জাহানারা দম্পতি। এ বিষয়ে নবীউল্লাহ বলেন, ছেলে-মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে আমার যা ছিল সব খরচ করেছি। এখন রিকশা চালিয়ে অন্তত দুইবেলা খাবার জোগানো যাবে। জেলা প্রশাসকসহ যারা আমাকে এভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাই আমাদের দুজনকে দোয়া করবেন। আমি যেন এই রিকশা চালিয়ে নিজে চলতে পারি এবং ছেলে-মেয়ের চিকিৎসা খরচ ও ঋণ পরিশোধ করতে পারি৷ 


কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, পরিবারটি বিভিন্ন কারণে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে। তার ওপর ঋণের চাপ। উপায়ান্তর না পেয়ে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিষয়টি নজরে এলে আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি আসলেই তাদের করুণ অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীনও ছিল নবীউল্লাহ৷ তাকে যে রিকশা দেওয়া হলো আশা করি তিনি এটা চালিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবেন।

জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে এই অসহায় দম্পতি ঋণে পড়ে তাদের কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তখন পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে ওই পরিবারটিকে একটি নতুন অটোরিকশা কিনে দিয়েছি। এই অটোরিকশায় তিনি সংসার চালাতে এবং ধীরে ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। 


রনি/মেহেদী/

ফেনীতে র‍্যাবের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
ফেনীতে র‍্যাবের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৪
ফেনীতে র‍্যাবের অভিযানে মাদকসহ চারজন গ্রেপ্তার । ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে র‍্যাব-৭ এর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেনী সদর থানার লালপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৭ এর কোম্পানি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এআরএম মোজাফফর হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারা হলেন- মরিয়ম (৪৫), মো. শামিম (৩৪), হেদায়েত উল্লাহ সবুজ (৩২) ও মো. জুনায়েদ হোসেন লিমন (১৮)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে বারৈয়ারহাট থেকে কুমিল্লার দিকে মাদকদ্রব্য বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে।

সন্দেহভাজন অটোরিকশাকে থামানোর সংকেত দিলে চালক দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে র‍্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে অটোরিকশাটি আটক করে এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গাড়িটির পেছনের মালামাল রাখার স্থানে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা তিনটি ব্যাগ থেকে ২০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিলয়/তাওফিক/ 

সিরাজগঞ্জে দেয়াল ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
সিরাজগঞ্জে দেয়াল ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৩
ছবি: খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জে রাস্তার ড্রেন নির্মাণের সময় দেয়াল ধসে চাপা পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিনজন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শহরের পৌসভার সাহেদনগর (ব্যাপারিপাড়ায়) এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ও আহতদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির জানান, সকালে শহরের সাহেদনগর ব্যাপারিপাড়ায় ড্রেন নির্মাণের খননকাজের জন্য পাঁচ শ্রমিক কাজ করছিল। এ সময় পাশ্ববর্তী একটি বাড়ির দেয়াল ধসে পড়লে চাপা পড়ে পাঁচ জন। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা তাদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায়। সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘোষণা করে চিকিৎসক। এ ছাড়া মেডিনোভা হাসপাতালে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ও অন্যজনের মরদেহ স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাটি থেকে পাঁচ ফুট নিচে খননের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা কাজ করছিল। এ সময় রাস্তার পাশে বাড়ীর ৬-৭ ফুট উঁচু একটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে পাঁচ শ্রমিক চাপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। পর দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর অপর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিশির/মেহেদী/

সিরাজদিখানে গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল কৃষকের

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
সিরাজদিখানে গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল কৃষকের
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অজ্ঞাত একটি গাড়ির চাপায় মো. কামাল শেখ (৫৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার মালখানগর-ইছাপুরা সড়কের মধ্যপাড়া ইউনিয়নের কাকালদি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষক মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের মৃত মমিন আলীর পুত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় টমেটো নিয়ে ঢাকার একটি পাইকারি আড়তে যাচ্ছিলেন কৃষক কামাল শেখ। গাড়িটি সিরাজদিখান উপজেলার কাকালদি এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত গাড়িট ধাক্কায় অটোরিকশাটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই কামাল শেখ মারা যায়। অটোচালকের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্ত (ওসি) শাহেদ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনরা নিয়ে যায়। চালকের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’ 

সুমন/তাওফিক/ 

গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের উদ্যোগে ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

‘সংসারে বুড়া মা-বাবা, স্ত্রী-ছেলেমেয়ে রয়েছেন। সারা দিন রিকশা চালাই। কোনো দিন ৫০০ বা কোনো দিন ৬০০ টাকা কামাই হয়। রিকশার ভাড়া ২৫০ টাকা জমা দিয়ে থাকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তা দিয়ে সংসার চালামু নাকি ইফতার করুম। সারা দিন বাইরে থাইকা রিকশা চালাই। তাই বাসায় যাইতে পারি না। এইখানে ইফতার করায় তাই চইল্যা আসি।’

গোপালগঞ্জে শহরের পৌর পার্কে ইফতার করতে এসে এ কথাগুলোই বলছিলেন রিকশাচালক মো. রনি গাজী। শুধু তিনিই নন এমন কথা বলেন, ইফতার করতে আসা আরও অনেক রোজাদার।

ইফতারি নিয়ে এমন সব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জ’। প্রতিদিন দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতারি বিতরণ করছে সংগঠনটি।

গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শেখ রাসেল উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন দুপুর থেকে ইফতার তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের একদল সদস্য। এর মধ্যে কেউ স্কুল, আবার কেউবা কলেজে পড়ছেন। এসব সদস্য নিজেদের হাতখরচ, পরিবার আর পরিচিতজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মুখে ইফতারসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। এসব ইফতারির মধ্যে কোনো দিন থাকে ছোলা-মুড়ি-বেগুনি, কোনো দিন দই-চিড়া, কোনো দিন খিচুড়ি আবার কোনো দিন থাকে বিরিয়ানি। যেদিন যেমন আর্থিক সাহায্য পান সে অনুযায়ী খাবার তৈরি করেন তারা।

ইফতারের আগে আগে খাবারগুলো নিয়ে আসা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক চত্বরে। পরে সেখানে বসিয়ে এসব অসহায় ও দিনমজুর মানুষকে ইফতারি করানো হয়।

ইফতার করতে আসা কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুস সাত্তার শেখ বলেন, ‘প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজগার করি। রিকশার ভাড়া জমা দিয়ে পরিবারের জন্য ইফতারি কিনতে পারি না। এখান থেকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিন ইফতারি করি।’

অপর রিকশাচালক লিটন মোল্লা বলেন, ‘আগের মতো তেমন একটা আয়-রোজগার নেই। পরিবারের জন্য ভালো কোনো ইফতারি কিনতেও পারি না। প্রতিদিন চলতি পথে তাদের থেকে ইফতারি নিয়ে যাই। কোনো দিন বাসায় যেতে না পারলে এখানে বসেই ইফতারি করি।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের সদস্য মো. নূর নবী, আসিফ করিম বলেন, ‘আমরা নিজেদের হাতখরচ, পরিবার ও প্রতিবেশী এবং পরিচিতজনদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এসব খাবার বিতরণ করছি। নিজেদের মনের আনন্দ পেতে কষ্ট হলেও কিছুটা করার চেষ্টা করছি। বিত্তবানদের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন এসব অসহায় মানুষের দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।’

সংগঠনের সদস্য আহম্মদ আলী, শীরিন আক্তার তানহা বলেন, ‘অনেক দুস্থ, অসহায় গরিব মানুষ আর্থিক সমস্যার কারণে ঠিকমতো ইফতার করতে পারেন না। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী রান্না করা ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছি। প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে থাকি।’

প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবারের মতো এবারের রমজান মাসেও কর্মহীন মানুষের মুখে একবেলা ইফতারি তুলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতারি তৈরি করে এসব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছি, যাতে অন্তত একবেলা তারা পেট ভরে খাবার খেতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানরাও এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন। তারা আর্থিক বা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এসব মানুষের একবেলার খাবারের জোগান দিতে পারেন। রমজান মাসজুড়ে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।’

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার আরবান প্রাইমারি হেলথ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক।

এ ক্যাম্পেইনে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৫৭২ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৭টি স্থায়ী, ১ হাজার ৭০৯ টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২১৬ জন তত্ত্ববধায়কের নেতৃত্বে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।

এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বিশ্বাস, ইউপিএইচ সিএইচডিপি-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো রকিবুল হাসান, এমআইএস অফিসার কৃষ্ণ গোপাল সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

বাদল/তাওফিক/