
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শর্টগানের অবৈধ ৬৭টি কার্তুজসহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার কাউতলীর ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও সোহরাব হোসেন (৩০)। তারা দুজনেই জেলা ডিবি পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে সদর থানায় এই মামলা করেন।
তবে এসব কার্তুজ কোথা থেকে কিংবা কিভাবে তাদের কাছে এলো এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অভিযান) মো. ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পুলিশের অন্য সদস্যরা পৌর এলাকার কাউতলীর নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. তাহসিনের বাসার চতুর্থ তলায় অভিযান চালায়। চতুর্থ তলার ডিবির কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও সোহরাব হোসেনের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ বোর শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জব্দ করা মালামাল নিজেদের হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো যৌক্তিক কারণ ও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দুই কনস্টেবল।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আছে বলে জানান তিনি।
গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ডিবি পুলিশ কোনোভাবে ওইসব কার্তুজ তাদের দুই সদস্যের কাছে রয়েছে জানতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন স্যারকে তারা অবহিত করে ওনার নির্দেশেই গ্রেপ্তার করেন। নিয়মানুসারে তারা চাকরিচ্যুত হবেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে।
জুয়েল/মেহেদী/