ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

দ্বিতীয় ধাপে আখেরি মোনাজাতে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
দ্বিতীয় ধাপে আখেরি মোনাজাতে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা
দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা। ছবি: খবরের কাগজ

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ তীরে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এ পর্বে অংশ নিয়েছেন দিল্লির মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। ইবাদত বন্দেগি ও বয়ান শুনে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করেছেন মুসল্লিরা। মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৮টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে নিরাপত্তা নজরদারি বাড়িয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

রবিার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। এই পর্বের আখেরি মোনাজাত উর্দুতে পরিচালনা করবেন মাওলানা সা’দ কান্ধালভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সা’দ। তার দোয়া বাংলায় তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মুবিন বিন ইউসুফ। এর আগে ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মোরসালিন, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম।

শনিবার ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। সকাল সাড়ে ৯টায় তালিম অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই তালিমের মওজু (ফজিলত ও আদব) পরিচালনা করেন মুফতি ইয়াকুব। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় খিত্তায় খিত্তায় তালিম। জোহরের নামাজের পরে বয়ান করেন আরব দেশের প্রখ্যাত আলেমরা। তাদের বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মোস্তফা খলিল। আসরের পরে বয়ান করেন হাফেজ মঞ্জুর সাহেব। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা রুহুল আমিন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

বিশেষ ট্রেন: আজ আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় ৮টি বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ব্যতীত টঙ্গী স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।

তিন মুসল্লির মৃত্যু: টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার গত ২ দিনে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। মৃত মুসল্লিরা হলেন- শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মৃত মোহাম্মদ এলেম শেখের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ শেখ (৬০), বগুড়ার চকপাতালিয়া গ্রামের মজিবর ছেলে নাজমুল হোসেন (৭৫), খুলনা জেলার লবনচরা থানার বাঙ্গালগলি গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী তালুকদারের ছেলে দিদার তালুকদার (৫৫)। 

যৌতুকবিহীন বিয়ে: প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে ৯ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ আসর বিশ্ব ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করান মাওলানা সা’দ কান্ধালভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

বৃহত্তম জুমা: নিজামুদ্দিন মারকাজের ইজতেমায় শুক্রবার বেলা দেড়টায় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তম জুমার জামাত। জুমার নামাজে ইমামতি করেন ইউসুফ বিন সা’দ। এর আগে, ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা: বিশ্ব ইজতেমার শেষ পর্বে হামলা হতে পারে এমন একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই গুজব প্রচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

শনিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে বিদেশি খিত্তার পাশে অস্থায়ী সমন্বয় কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান ওই ব্যক্তিকে আটক করার কথা জানান।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইজতেমায় হামলার গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা দেখতে চাই, তিনি আদৌ এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে জিএমপি কমিশনার বলেন, এখনই পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার পরিচয় প্রকাশ করা হবে। ওই ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলে এলটি দলের একটি সংগঠনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে তাকে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি এবং তিনি কোনো বড় সংগঠনের প্রভাবশালী সদস্য নন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ময়দানে যারা মুরুব্বি আছেন, তারাও তাদের স্বেচ্ছাসেবী সার্ভিসের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। আশা করি, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হবে না। আমরা চারদিকে প্রহরা রেখেছি, চেকপোস্ট স্থাপন করেছি, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করছি। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত হবে। গত দুই ধাপের চেয়ে এবারের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানো হয়েছে।

১৪০০ বিদেশি মুসল্লীর অংশগ্রহণ

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে দেশের ৬৪জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন বিশ্বে বিদেশি মুসল্লীরা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত বিশ্বের ৪৯ দেশের ১ হাজার ৪৪৯ জন বিদেশি মুসল্লী ইজতেমা ময়দানে অংশগ্রহণ করেছেন। 

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক নিজামুদ্দিন অনুসারী তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আরব থেকে ৮৯ জন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৬৪ জন, পাকিস্তান থেকে ৪২৬ জন ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ৫১৭ জন ইংলিশ ভাষাভাষী এবং ছাত্র ও প্রবাসীসহ মোট ১ হাজার ৪৪৯ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। 

আগত বিদেশিদের সবচেয়ে বেশি রয়েছে ভারতের ৬৫৮। এরপর ইন্দোনেশিয়ার ২৬৭ জন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, কানাডা, চায়না, ফিজি, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মায়ানমার, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, সুদান, থাইল্যান্ড, তিউনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ইয়েমেন অন্যতম।

এদিকে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ইজতেমা প্রশাসন। তাদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। খিত্তার পাশে পুলিশ-র‌্যাবসহ সমস্ত বাহিনীর উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। তাদের থাকা, খাওয়া, যাওয়াত ও ভ্রমনের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো ইজতেমার ময়দানে বিশেষ নজরে রাখা হয়েছে। 

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
গোপালগঞ্জে দরিদ্র মানুষের পাশে শিক্ষার্থীরা
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের উদ্যোগে ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

‘সংসারে বুড়া মা-বাবা, স্ত্রী-ছেলেমেয়ে রয়েছেন। সারা দিন রিকশা চালাই। কোনো দিন ৫০০ বা কোনো দিন ৬০০ টাকা কামাই হয়। রিকশার ভাড়া ২৫০ টাকা জমা দিয়ে থাকে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তা দিয়ে সংসার চালামু নাকি ইফতার করুম। সারা দিন বাইরে থাইকা রিকশা চালাই। তাই বাসায় যাইতে পারি না। এইখানে ইফতার করায় তাই চইল্যা আসি।’

গোপালগঞ্জে শহরের পৌর পার্কে ইফতার করতে এসে এ কথাগুলোই বলছিলেন রিকশাচালক মো. রনি গাজী। শুধু তিনিই নন এমন কথা বলেন, ইফতার করতে আসা আরও অনেক রোজাদার।

ইফতারি নিয়ে এমন সব মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জ’। প্রতিদিন দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতারি বিতরণ করছে সংগঠনটি।

গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শেখ রাসেল উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন দুপুর থেকে ইফতার তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের একদল সদস্য। এর মধ্যে কেউ স্কুল, আবার কেউবা কলেজে পড়ছেন। এসব সদস্য নিজেদের হাতখরচ, পরিবার আর পরিচিতজনদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মুখে ইফতারসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। এসব ইফতারির মধ্যে কোনো দিন থাকে ছোলা-মুড়ি-বেগুনি, কোনো দিন দই-চিড়া, কোনো দিন খিচুড়ি আবার কোনো দিন থাকে বিরিয়ানি। যেদিন যেমন আর্থিক সাহায্য পান সে অনুযায়ী খাবার তৈরি করেন তারা।

ইফতারের আগে আগে খাবারগুলো নিয়ে আসা হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক চত্বরে। পরে সেখানে বসিয়ে এসব অসহায় ও দিনমজুর মানুষকে ইফতারি করানো হয়।

ইফতার করতে আসা কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের বাসিন্দা রিকশাচালক আব্দুস সাত্তার শেখ বলেন, ‘প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজগার করি। রিকশার ভাড়া জমা দিয়ে পরিবারের জন্য ইফতারি কিনতে পারি না। এখান থেকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিন ইফতারি করি।’

অপর রিকশাচালক লিটন মোল্লা বলেন, ‘আগের মতো তেমন একটা আয়-রোজগার নেই। পরিবারের জন্য ভালো কোনো ইফতারি কিনতেও পারি না। প্রতিদিন চলতি পথে তাদের থেকে ইফতারি নিয়ে যাই। কোনো দিন বাসায় যেতে না পারলে এখানে বসেই ইফতারি করি।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের সদস্য মো. নূর নবী, আসিফ করিম বলেন, ‘আমরা নিজেদের হাতখরচ, পরিবার ও প্রতিবেশী এবং পরিচিতজনদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এসব খাবার বিতরণ করছি। নিজেদের মনের আনন্দ পেতে কষ্ট হলেও কিছুটা করার চেষ্টা করছি। বিত্তবানদের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন এসব অসহায় মানুষের দিকে একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।’

সংগঠনের সদস্য আহম্মদ আলী, শীরিন আক্তার তানহা বলেন, ‘অনেক দুস্থ, অসহায় গরিব মানুষ আর্থিক সমস্যার কারণে ঠিকমতো ইফতার করতে পারেন না। আমরা তাদের কথা বিবেচনা করে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী রান্না করা ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছি। প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে থাকি।’

প্রজ্জ্বলিত গোপালগঞ্জের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবারের মতো এবারের রমজান মাসেও কর্মহীন মানুষের মুখে একবেলা ইফতারি তুলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতারি তৈরি করে এসব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছি, যাতে অন্তত একবেলা তারা পেট ভরে খাবার খেতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানরাও এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন। তারা আর্থিক বা বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এসব মানুষের একবেলার খাবারের জোগান দিতে পারেন। রমজান মাসজুড়ে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।’

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা শহরের কুয়াডাঙ্গা এলাকার আরবান প্রাইমারি হেলথ সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্ট-২ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক।

এ ক্যাম্পেইনে জেলার পাঁচ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৫৭২ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এতে ৭টি স্থায়ী, ১ হাজার ৭০৯ টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ২১৬ জন তত্ত্ববধায়কের নেতৃত্বে ৩ হাজার ৪৩২ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।

এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গায়েত্রী বিশ্বাস, মেডিকেল অফিসার ডা. দিবাকর বিশ্বাস, ইউপিএইচ সিএইচডিপি-২ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো রকিবুল হাসান, এমআইএস অফিসার কৃষ্ণ গোপাল সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

বাদল/তাওফিক/ 

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে বেনাপোলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ছবি : খবরের কাগজ

ভারতে দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু-দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
 
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগমীকাল রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলবে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পত্র দিয়ে জানিয়েছে, ভারতে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, দোলযাত্রা বা দোল পূর্ণিমা উৎসবটি ‘হোলি’ নামে পরিচিত। অশুভ শক্তির বিনাশ হিসেবে ‘হোলি উৎসব’ হয়ে থাকে। এই উৎসবের কারণে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঅ্যান্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক, ট্রাকচালকরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। ফলে আজ এ বন্দর দিয়ে কোনো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হবে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া ও বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নজরুল ইসলাম/জোবাইদা/

পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ এএম
পিরোজপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে ছেলেকে অপহরণ
পিরোজপুর

পিরোজপুরের সদর উপজেলা শারিকতলা গ্রামের পূর্ব হরিণা গাজীপুর এলাকায় বাবার কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ফয়সাল হাওলাদার ওই এলাকার মিজান হাওলাদারের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হরিণা স্লুইসগেট এলাকার সামনে থেকে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবাহান।

জানা যায়, দক্ষিণ গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা আলিম খান ফয়সালের বাবা মিজান হাওলাদারের কাছে টাকা পেত। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মিজান হাওলাদারের ছেলে ফয়সালকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মারধর করে। 

ফয়সাল হাওলাদারের ভাই কাওসার হাওলাদার জানান, শুক্রবার সকালে আলিমসহ ৩/৪ জন ফয়সালকে ধরে তুলে নিয়ে যায়। এর পর আমার ভাই (ফয়সাল) বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় আলিমকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে দিতে। এ সময় ফয়সাল আরও জানায় আলীম তাকে মারধর করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি পুলিশকে জানাই ও স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনকেও জানানো হয়। অপহরণের বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাড়েরহাট এলাকার নাসির উদ্দিন মল্লিকের বাড়ির কাছে ফয়সাল ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ফয়সালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আব্দুস সোবাহান জানান, দেনাপাওনার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ফয়সাল হাওলাদার নামে একজনকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ফয়সালকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে রাতেই মামলা হয়।

হাসিবুল হাসান/জোবাইদা/

কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১১ এএম
কালিয়াকৈরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩
দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে গেছে সিএনজচালিত অটোরিকশা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের নামাশুলাই এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকসহ এক নারী ও এক বৃদ্ধ রয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে নামাশুলাই এলাকায় পৌঁছালে কালিয়াকৈর থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক ওবায়দুল (৩৫), অজ্ঞাত এক নারী (৫৬) এবং অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ (৭০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং ঘাতক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ/তাওফিক/