
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৫ বাংলাদেশি কৃষককে মারধরের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।
বিজিবির প্রতিবাদের পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ।
পতাকা বৈঠক ও দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে তথ্য দিয়েছেন লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. শাকিল আলম।
বিজিবি তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমন্ডপ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯২৯-এর সাব পিলার ৪ এসের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির উঠানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো. শাকিল আলম। ভারতের বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ এর ৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার অমিত কুমার।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীর নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৯৩০-এর ৮ এস পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য। বারোমাসিয়া নদীর ধারে বাংলাদেশের পশ্চিম বালাতারী গ্রামে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশিকে মারধর করে। একজনের হাতে জখম হয়। এ ঘটনায় সীমান্তবাসীরা উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালে তোপের মুখে তারা ফিরে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এরপরও ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। পরে বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপরের দিন (আজ) বিকেলে বৈঠকটি হলো।
বিজিবি জানায়, বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে সার্বিক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিএসএফ জওয়ানরা কাশ্মির ফ্রন্ট থেকে এ অঞ্চলে নতুন যোগ দিয়েছে। তারা সীমান্ত এলাকা দেখতে বের হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ বিষয়টি তারা বুঝতে পারেননি। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেয় বিএসএফ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।
মওলা সিরাজ/মাহফুজ