ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

ফটোকপি দোকান কর্মচারী, জেলে ও রাজমিস্ত্রী তৈরি করত জাল টাকা!

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ফটোকপি দোকান কর্মচারী, জেলে ও রাজমিস্ত্রী তৈরি করত জাল টাকা!
ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরমোহন এলাকার রতন ব্যাপারীর ছেলে আরিফ ব্যাপারী (২০)। পেশায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নিজের আয়ের টাকায় জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন মেশিনারি কিনেন। এরপর রাজমিস্ত্রী অনিক ও জেলে জাহিদকে নিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরি। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় জাল টাকা তৈরি করতে সক্ষমও হন তারা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে কম দামে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দিয়ে সংগ্রহ করতেন ক্রেতা। এভাবে গত এক বছর ধরে অনলাইনে জাল টাকা বিক্রির অভিযোগে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলো চক্রটি। সম্প্রতি প্রায় ১৩ লাখ জাল টাকার অর্ডার সরবরাহের সূত্র ধরে এই চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার দূর্গম চরমোহনসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ,প্রিন্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দন আহমেদ।

তিনি বলেন, নড়িয়া থানার ঘড়িষাড় ইউনিয়নের বাংলা বাজারে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করতো আরিফ। সে ইউটিউব থেকে জালটাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে এবং নিজের কম্পিউটার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাল নোট তৈরি শুরু করে। আরিফ জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে জাহিদ ও অনিককে সহযোগী হিসেবে নেয়। এরপর তারা মিলে জালটাকা ছাপানোর কাজ শুরু করে।

তাদের তৈরি করা টাকা অনলাইনের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে বিক্রির পোস্ট দিতো। তাদেরে এই পোস্ট বুস্টিংয়ের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা সংগ্রহ করত। ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহের করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তারা প্রতি ১ লক্ষ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করত। ঈদ উপলক্ষে জাল নোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি শুরু করে।

আরিফ মহিউদ্দিন আরও বলেন, রাজধানীর বাংলা বাজারের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করা বেশিরভাগ লোক শরীয়তপুর জেলার। ফলে আরিফের পরিচিতদের সূত্র ধরে সে বিভিন্ন সময় রাজধানীর বাংলা বাজারে এসে অবস্থান করে প্রিন্টিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেয়। সে ধারণা থেকেই জাল টাকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন রং, কালি ও কাগজ কিনে।

এসব তৈরিকৃত জালনোট গুলো বিক্রয়ের জন্য আরিফ, জাহিদ এবং অনিক মিলে ফেসবুকে জালটাকা বিক্রয়ের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের (যেমন; এ গ্রেড জালনোট, টাকা চাই,জালনোট, জালটাকা বিক্রি করি,জাল টাকার ডিলার,জাল টাকা বিক্রয় কেন্দ্র,রিয়েল সেলস্, টাকা বিজনেস ইত্যাদি) পোস্টে জালটাকা ক্রয়ে আগ্রহী কমেন্টকারীদের সাথে ভুয়া আইডি খুলে ইনবক্সে যোগাযোগ করে। পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপ,ম্যাসেঞ্জার, ইমো প্রভৃতি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জালটাকা ডেলিভারির কাজ করে থাকে।

এ চক্রটি বিগত সময়ে জালটাকার বড় ধরনের একাধিক চালান ডেলিভারি দিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, চক্রটি ৫ লাখ টাকার জালনোট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতিকালীন টাকা, মেশিন ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ র‍্যাবের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে। তারা রাজধানী ঢাকা,চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর এলাকায় জালনোট সরবরাহ করত বলে স্বীকার করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আরিফ এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। সে পড়ালেখা বাদ দিয়ে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজারে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতো। দোকানের কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করতো সে টাকা জমিয়ে জালনোট ছাপানোর জন্য ল্যাপটপ, প্রিন্টার এবং প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে। পরবর্তীতে সে তার নিজ ঘরে কম্পিউটারের দোকানের কাজের আড়ালে জাল নোট ছাপানোর কাজ শুরু করে।
তার জালনোট ছাপানোর কাজে অন্যতম সহযোগী হিসেবে জাহিদ এবং অনিক সহযোগিতা করতো। তারা জালনোট বিক্রি করে যে টাকা পেতো তার অর্ধেক আরিফ নিতো এবং বাকী অর্ধেক জাহিদ ও অনিক ভাগ করে নিতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।

খাজা/এমএ/

সাঁথিয়ায় চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
সাঁথিয়ায় চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই
ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার সাঁথিয়ায় ভাড়ার কথা বলে সুজল নামে এক ভ্যানচালককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে ভ্যানটি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধপুর-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের স্বরপ নামক স্থানে পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

নিহত সুজল (৩৯) উপজেলার খয়েরবাড়িয়া গ্রামের ইছাক আলী প্রামানিকেন ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার জানায়, সুজল সম্প্রতি প্রায় এক লাখ টাকা দিয়ে একটি নতুন ভ্যান কিনে। শুক্রবার রাতে ভাড়ার কথা বলে মোবাইলফোনে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার ফোন বন্ধ থাকে। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়রা একটি পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে। বিষয়টি জানাজানি সুজলের পরিবারের সদস্যরা মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করে । 

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, 'আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।'

পার্থ হাসান/জোবাইদা/

রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খবরের কাগজের ফাইল ছবি

কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-৭ ব্লক সংলগ্ন পশ্চিমের পাহাড়ী এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রহমত উল্লাহ (২২) উখিয়া উপজেলার কুকুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের বাসিন্দা মো. রশিদের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'তিন পাহাড়ের মিলনস্থল লেকের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা এপিবিএন পুলিশকে খবর দেয়। এ তথ্যে এপিবিএন পুলিশ টেকনাফ থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।

ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রহমত উল্লাহকে তুলে আনে। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ গুমের উদ্দ্যেশে পাহাড়ী লেগে পাশে আনা হতে পারে। তবে নিহতের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

মুহিববুল্লাহ মুহিব/জোবাইদা/

সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, ছুরিকাঘাতে আহত ৩

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, ছুরিকাঘাতে আহত ৩
ছিনতাইকারিরা নেমে যাওয়ার পরে অতঙ্কিত যাত্রিরা। ছরিকাঘাতে যাত্রীর যখম হাত। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকার সাভারে দিন-দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে বাসের তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

বাসের যাত্রীরা জানান, মানিকগঞ্জ থেকে গাবতলীগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়ায়। এ সময় ছুরি হাতে দুই ছিনতাইকারী বাসে উঠে যাত্রীদের মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে নারী যাত্রীদের গলা থেকে চেইন ছিনিয়ে নিয়ে বাসের পিছনের যাত্রীদের দিকে যেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। এ সময় কিছু যাত্রী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ছুরি দিয়ে ছিনতাইকারীরা তাদের আঘাত করে। এতে বাসের তিন যাত্রী জখম হলে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

বাসের যাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আলকামা আজাদ বলেন, 'বাসটি ১৫-২০ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর দিকে যাচ্ছিল। আমি নিজেও ওই বাসে ছিলাম। বাসটি পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রীর জন্য দাঁড়ালে দুই ছিনতাইকারী বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ম্যানিব্যাগ ও গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে কয়েকজন যাত্রী তাদের ধরার চেষ্টা করলে ছিনতাইকারীরা চালকের সহকারীসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, বাসে ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইমতিয়াজ ইসলাম/জোবাইদা/

ভোলায় গণপিটুনিতে ২ যুবকের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
ভোলায় গণপিটুনিতে ২ যুবকের মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গরুচুরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়ন (৩০) এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তারা পেশাদার গরুচোর বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে ভূঁইয়াবাড়িতে একদল চোর গরু চুরি করতে ঢোকে। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করে তখন দুই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমতিয়াজুর/মেহেদী/

বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৫ এএম
বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার কোটি টাকার সোনাসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাসুদ করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৌদি আরব থেকে আসা হাবিবুর রহমান নামের এক যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার পরিমাণ মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই দিন বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ইমিগ্রেশন এলাকায় সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি বিমানে আসা যাত্রী হাবিবুর রহমানকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। পরে ওই যাত্রীর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। যাত্রী ব্যাগেজ বেল্ট থেকে ব্যাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তার দেহ ও ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয় এবং স্ক্যানিং করা হয়। এ অবস্থায় যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগে ২৯৯ গ্রাম এবং বুকিং করা ব্যাগেজে থাকা তিনটি ব্লেন্ডারে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ২ হাজার ৯৯০ গ্রাম। সেই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক করা স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে ডিএমমূলে জমা করা হয়েছে। স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বারসহ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারি মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।