ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এক প্রক্সিপ্রার্থীর খোঁজে এসে ধরা আরেক প্রক্সিপ্রার্থী

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:১৮ এএম
এক প্রক্সিপ্রার্থীর খোঁজে এসে ধরা আরেক প্রক্সিপ্রার্থী
অভিযুক্ত কাউসার আলী। ছবি: খবরের কাগজ

নিজেই অন্তত তিনটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি দিয়েছেন। বেশিরভাগ সময়ে দক্ষ প্রক্সিপ্রার্থীও খুঁজে দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলার কাউসার আলী। গেল ১০ বছর থেকে সরকারি বিভিন্ন গ্রেডের চাকরির পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত এই কাউসার। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রক্সিপ্রার্থী খুঁজতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করা এই অভিযুক্ত। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

জানা যায়, শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজার জন্য ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী খুঁজে দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন কাউসার। সবই ঠিক ছিল কিন্তু প্রক্সিদাতার সঙ্গে দেনদরবারে না মেলায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আনা হয় বলে দাবি অভিযুক্ত কাউসার আলীর।

তিনি বলেন, ‘শনিবার এনটিআরটিসির লিখিত পরীক্ষা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে এক প্রক্সিপ্রার্থীর খোঁজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি। সোলায়মান রবিন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও হয়। সবই ঠিক ছিল, কিন্তু এখানে আসার পর তারা আগে টাকার দাবি করে। আমি বলেছি পরীক্ষা শেষে টাকা দেব। কিন্তু আগে দেওয়ার জন্য জোর করে। পরে দাবিতে রাজি না হলে, শিক্ষার্থীদের কাছে আমাকে তুলে দিয়ে সটকে পড়ে।’

সাংবাদিক সমিতিতে কাউসারকে আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের কর্মসংস্থান সম্পাদক পল্লব রানা পারভেজ।

পল্লব বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার বন্ধু বিজয় একাত্তর হল ও যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়ার সাকিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে বলে এবং সে বলে সেখানে এক প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যকে ধরা হয়েছে। কয়েকজনকে নিয়ে যেন সেখানে যাই। পরে সেখানে গিয়ে কাউসার নামে ওই লোকের ফোনে ৫০০-এর বেশি চাকরি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাই। পরে আর বোঝার বাকি নেই সে প্রক্সি বা প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য। পরে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সাংবাদিক সমিতিতে তাকে নিয়ে আসি।’

জড়িত থাকার অভিযোগ ঢাবি-জবিসহ ৯ শিক্ষার্থীর
সাংবাদিকদের সঙ্গে অভিযুক্ত কাউসারের আলাপচারিতায় উঠে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বগুড়ার সরকারি আজিজুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নাম। যারা কি না এই প্রক্সিচক্রে বেশ সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী আলী আব্বাস ও ইফরাত হোসাইন, বিজয় একাত্তর হলের সোলাইমান রবিন ও ইকবাল হোসাইন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর রাকিব হাসান।

এ ছাড়া আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের আজিজুল, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের রায়হান, ভুগোল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শিমুল, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবুজর গিফারির নামের কথা জানান কাউসার। 

প্রাথমিক চুক্তি ২০ হাজার, টিকলে লাখ টাকা
কাউসারের হোয়াটসঅ্যাপে শত শত চাকরির প্রবেশপত্র মিলেছে। কাউসার জানায়, প্রক্সির এই চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। যেটিকে টিএ/ডিএ বলছেন তিনি। এ সময়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্রও জমা রাখা হয়। টিকলে প্রক্সিপ্রার্থী পাবেন এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা।

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির কুয়াতপুরের বাসিন্দা কাউসার বলেন, ‘রেলওয়ের পয়েন্টসম্যান, খালাসি ও ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার পদে ভিন্ন তিনজনের পরীক্ষায় প্রক্সিপ্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলাম। গত ২৮ জুন রেলওয়ের পয়েন্টসম্যান পদের পরীক্ষায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে অংশ নিয়েছিলাম। এ ছাড়া গত ৪ মে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারিতে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুলের মাধ্যমে মুহাম্মদ বুলবুল ইসলাম নামের একজন প্রার্থীর পরীক্ষায় বসিয়েছিলাম। ওই পরীক্ষায় প্রিলিতে পাস হয়েছিল।’

ফোনে প্রশ্ন চেয়ে কাউসারকে একাধিক কল, পুলিশে সোপর্দ
ঢাবি সাংবাদিক সমিতিতে অবস্থানকালে কাউসারের কাছে একাধিক জায়গা থেকে ফোনকল আসে এবং যে কলগুলোতে এনটিআরসিএর বিভিন্ন পরীক্ষার নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়ার কথা বলা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিমকে পুরো বিষয়টি জানানো হলে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাতেই আমরা অভিযুক্তকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করি। সে এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তা ছাড়া আটক ওই ব্যক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর নাম বলেছে, সেসবেরও খোঁজ নিয়ে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওইসব হলের প্রাধ্যক্ষদের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিরুর রহমানের সঙ্গে। মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে ফোনকল ও বার্তা পাঠানো হলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা, আটক ২

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা, আটক ২
বাড়ি দখলের চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করা হয়।

রাজধানীর ইস্কাটনে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আটকরা হলেন- আমির সালাম এবং হুমায়ুন রশিদ। 

জানা যায়, রাজধানীর ইস্কাটন রোডের ওই বাড়িতে কুতুব উদ্দিন আহমেদ নামে এক প্রবাসী একাই থাকেন। তার সন্তানরা বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে দুই ট্রাকে করে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে আলমারিতে থাকা নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাড়ির মালিকের চিৎকারে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা একটি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় দুজনকে আটক করে একটি ট্রাকসহ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, তাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে। তারা বাড়িটি দখলের চেষ্টা করছিল। 

বাড়ির মালিক কুতুব উদ্দিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা করেছি। বাড়িটি নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছি।’

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল  থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাত ১০টায় একই সন্ত্রাসীরা এসে বাড়ি দখলের হুমকি দিয়েছিল, সেদিনও কুতুব উদ্দিন আহমেদের চিৎকারে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত গ্রেপ্তার
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে স্তূপ করে মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩-এর একটি দল।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন পরিদর্শক আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গত ৩০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি ভ্যানে আংশিক ঢাকা বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় দুই মিনিটের ওই ভিডিওতে বিছানার চাদরে ঢাকা দুই হাত প্রসারিত অবস্থায় মরদেহ দেখা যায়। ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজন পুলিশ ভেস্ট পরে ছিলেন। 

ভিডিওতে ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে নিরস্ত্র অবস্থায় হাঁটতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানে থাকা মরদেহগুলো পুড়ছে এবং পাশেই কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন।

তুলি/সালমান/

চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দুই ছেলের হাতে খুন হয়েছেন নুরুল হক চৌধুরী (৬৫)। এ ঘটনায় এক ছেলে নিজাম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ঘোয়াল বাপের এলাকায় ছেলেদের হাতে নিহত হন বাবা।

বড় উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। বাবাকে খুন করা দুই ভাই প্রবাসী। কিছুদিন আগে তারা দেশে ফেরেন।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে মামলা করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

বদরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে আমার বড় ভাইকে তার স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এ ঘটনায় নিজামকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে আছেন অপর ছেলে মিজানুর রহমান (২৬) ও স্ত্রী লুৎফর নাহার (৫০)।

আবদুস সাত্তার/অমিয়/

গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ
ওযুখানায় পড়ে আছে তরুণীর মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কবরস্থান থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

অজ্ঞাত এই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে মুদারকান্দি ও আড়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বুধবার রাতে মারা যাওয়া এক নারীর জন্য কবর খুঁড়তে যান কয়েকজন। এ সময় তারা খেয়াল করেন, কবরস্থানের দক্ষিণ কোনায় অজুখানায় এক তরুণীকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। কাপড়চোপড় ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে আমরা লাশটি দেখি। সামগ্রিক অবস্থা দেখে যেটা মনে হয়েছে, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ওই তরুণীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তারপর এক বা একাধিক ব্যক্তি তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। তারপর কবরস্থানের অজুখানার বসার জায়গা ও ফ্লোরের সঙ্গে তার মাথা আঘাত করতে করতে থেঁতলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ওড়না দিয়ে তার গলা অজুখানার পানির ট্যাপের সঙ্গে বেঁধে রেখে যায়।’

বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পুলিশে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে ধর্ষণ অথবা দলবদ্ধ ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখব। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অমিয়/

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

নিহতরা হলেন- রহমত উল্লাহ ও ইমাম হোসেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। 

নিহত রহমত ক্যাম্প-৪ ও ইমাম হোসেন ক্যাম্প ২০-এর বাসিন্দা। তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা কোন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বুধবার ভোরের দিকে পৃথকভাবে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ সন্ত্রাসীরা একযোগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/