ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরে এক রাতে প্রবাসীসহ দুই খুন

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৮ এএম
আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪১ এএম
যশোরে এক রাতে প্রবাসীসহ দুই খুন
ছবি : সংগৃহীত

যশোর সদর উপজেলায় এক রাতে পৃথক ঘটনায় প্রবাসীসহ দুজন খুন হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে সদরের চুড়ামনকাটি ও বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাদিয়াটোলা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় মাথায় গুলি করে মেহের আলী (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা। তিনি গত ২৬ জুলাই কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। সেখানে দেশটির হাদিয়া নামক স্থানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
 
নিহতের স্বজনরা জানান, দুই দিন ধরে নিহত মেহের আলী যশোরের বাহাদুরপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে তার এক খালু শ্বশুরের বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেহের তার বাড়িতে ফেরেন। এদিন বাড়িতে রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা মারতে আসেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা গেটের সামনে এসেই মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনেই স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের ছোট ভাই আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মেহের আলীসহ তিন ভাই বিদেশে থাকি। বিদেশ যাওয়ার আগে ভাই বিএনপির রাজনীতি করত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে জেলও খাটিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভাইয়ের কাছে নেতা-কর্মীরা চাঁদাও দাবি করত।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। কেননা আমার ভাইয়ের বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে যারা মেরেছে, তারা আগে থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা কেটে দিয়েছে।’ 

আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পাঁচ বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই শিশুসন্তান রয়েছে। তাদের কী হবে, তারা যে বাবা হারিয়েছে। তারা কারে বাবা বলে ডাকবে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই? আমার ভাইরে কেন মারল।’ 

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার রেজয়ান উদ দারাইম জানান, ‘গুলিবিদ্ধ মেহের আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। তার মাথার পেছনে ডান পাশে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।’ 

এদিকে যশোর সদরের বাহাদুরপুরের আড়পাড়ায় জাহাঙ্গীর আলম মিঠু (৩২) নামে একজন খুন হন। তিনি টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। মিঠু ওই এলাকার মোদাচ্ছের আলীর ছেলে।

স্বজনরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিঠুকে তার বন্ধুরা চা খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যান। রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গতকাল রশনিবার সকাল ৬টার দিকে মাঠে কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পান। তার গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হত্যার কারণ ও খুনিদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযান চলছে।

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা, আটক ২

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টা, আটক ২
বাড়ি দখলের চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করা হয়।

রাজধানীর ইস্কাটনে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আটকরা হলেন- আমির সালাম এবং হুমায়ুন রশিদ। 

জানা যায়, রাজধানীর ইস্কাটন রোডের ওই বাড়িতে কুতুব উদ্দিন আহমেদ নামে এক প্রবাসী একাই থাকেন। তার সন্তানরা বিদেশে থাকেন। এই সুযোগে দুই ট্রাকে করে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িটি দখলের চেষ্টা করে। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে আলমারিতে থাকা নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাড়ির মালিকের চিৎকারে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা একটি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় দুজনকে আটক করে একটি ট্রাকসহ তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, তাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে। তারা বাড়িটি দখলের চেষ্টা করছিল। 

বাড়ির মালিক কুতুব উদ্দিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা করেছি। বাড়িটি নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছি।’

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগে ঘটনাস্থল  থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাত ১০টায় একই সন্ত্রাসীরা এসে বাড়ি দখলের হুমকি দিয়েছিল, সেদিনও কুতুব উদ্দিন আহমেদের চিৎকারে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক আরাফাত গ্রেপ্তার
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে স্তূপ করে মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩-এর একটি দল।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন পরিদর্শক আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গত ৩০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি ভ্যানে আংশিক ঢাকা বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত মরদেহ এবং পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় দুই মিনিটের ওই ভিডিওতে বিছানার চাদরে ঢাকা দুই হাত প্রসারিত অবস্থায় মরদেহ দেখা যায়। ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজন পুলিশ ভেস্ট পরে ছিলেন। 

ভিডিওতে ডিবির পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনকে নিরস্ত্র অবস্থায় হাঁটতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভ্যানে থাকা মরদেহগুলো পুড়ছে এবং পাশেই কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে আছেন।

তুলি/সালমান/

চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
চট্টগ্রামে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে দুই ছেলের হাতে খুন হয়েছেন নুরুল হক চৌধুরী (৬৫)। এ ঘটনায় এক ছেলে নিজাম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ঘোয়াল বাপের এলাকায় ছেলেদের হাতে নিহত হন বাবা।

বড় উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। বাবাকে খুন করা দুই ভাই প্রবাসী। কিছুদিন আগে তারা দেশে ফেরেন।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় নিহতের স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে মামলা করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ বদরুজ্জামান।

বদরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে আমার বড় ভাইকে তার স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এ ঘটনায় নিজামকে গ্রেপ্তার করা হলেও পালিয়ে আছেন অপর ছেলে মিজানুর রহমান (২৬) ও স্ত্রী লুৎফর নাহার (৫০)।

আবদুস সাত্তার/অমিয়/

গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
গজারিয়ায় কবরস্থানে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ
ওযুখানায় পড়ে আছে তরুণীর মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কবরস্থান থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

অজ্ঞাত এই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২৫।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে মুদারকান্দি ও আড়ালিয়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বুধবার রাতে মারা যাওয়া এক নারীর জন্য কবর খুঁড়তে যান কয়েকজন। এ সময় তারা খেয়াল করেন, কবরস্থানের দক্ষিণ কোনায় অজুখানায় এক তরুণীকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। কাপড়চোপড় ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে আমরা লাশটি দেখি। সামগ্রিক অবস্থা দেখে যেটা মনে হয়েছে, বুধবার রাতের কোনো এক সময় ওই তরুণীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তারপর এক বা একাধিক ব্যক্তি তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। তারপর কবরস্থানের অজুখানার বসার জায়গা ও ফ্লোরের সঙ্গে তার মাথা আঘাত করতে করতে থেঁতলে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে ওড়না দিয়ে তার গলা অজুখানার পানির ট্যাপের সঙ্গে বেঁধে রেখে যায়।’

বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পুলিশে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আগে ধর্ষণ অথবা দলবদ্ধ ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখব। নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অমিয়/

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

নিহতরা হলেন- রহমত উল্লাহ ও ইমাম হোসেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। 

নিহত রহমত ক্যাম্প-৪ ও ইমাম হোসেন ক্যাম্প ২০-এর বাসিন্দা। তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা কোন গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বুধবার ভোরের দিকে পৃথকভাবে ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প ২০-এ সন্ত্রাসীরা একযোগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’

মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/