ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামের যুবককে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় এনে হত্যা

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
চট্টগ্রামের যুবককে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় এনে হত্যা
মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মাইমুন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর যুবক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মাইমুনকে (২২) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে কৌশলে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

নিহত মাইমুন বাঁশখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদী রুহুল্লাহপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে। 

বাঁশখালী থানার পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, নিহত মাইমুন একসময় কারাগারে ছিলেন। কারাগারে ঢাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। ঢাকার সেই বন্ধু জেল থেকে বের হয়ে মাইমুনকে ভালো বেতনে চাকরি আছে বলে খবর দিয়ে ঢাকায় যেতে বলেন। গত সোমবার মাইমুন ঢাকায় যাওয়ার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে গতকাল সকালে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ বাঁশখালী থানায় মাইমুনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানায়।

নিহতের আত্মীয় শাহেদ আকবর চৌধুরী বলেন, ‘যার কথায় সাড়া দিয়ে মাইমুন ঢাকায় গেছেন, তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ কিংবা আত্মীয়স্বজন কেউ সেই বন্ধুর সন্ধান দিতে পারেননি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে লাশ গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যরা বাঁশখালীর পথে রওনা দেন। মাইমুন একজন নম্র স্বভাবের ছেলে ছিলেন। তাকে কেন হত্যা করা হলো বুঝতে পারছি না।’

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থানা থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়টি বাঁশখালী থানাকে জানালে আমরা ছেলেটির পরিবারকে খুঁজে বের করি।’

উত্তরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
উত্তরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহান (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার (৬ অক্টোবর) ভোরে আজমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ শাওন খবরের কাগজকে বলেন, সোহান পাবনায় একটি কোম্পানির গাড়িচালকের কাজ করতেন। অফিসের কাজে রবিবার ভোরে ঢাকায় আসেন তিনি। পরে উত্তরার আজমপুরের বাস থেকে নেমে নিজ কাজে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পথচারীরা সোহানকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সোহানের বাড়ি পাবনার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম কুবাদ আলী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সোহান বড়। এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী মিতা আক্তার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। 

মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।

আল-আমিন/পপি/অমিয়/

রাজধানীতে বালুর স্তূপে নারীর লাশ, দম্পতি আটক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
রাজধানীতে বালুর স্তূপে নারীর লাশ, দম্পতি আটক
মরিয়ম বিবির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর ডেমরায় মরিয়ম বিবি (৩০) নামে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজাখালি এলাকার ড্রেজার মাঠসংলগ্ন বিউটির বাড়ির পেছন থেকে বালুচাপা অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় বিউটি বেগম ও তার স্বামী জহির উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে, নিহত মরিয়ম রাজাখালি এলাকার বিউটিকে নন-জুডিশিয়াল একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মাসিক সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ দেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই টাকা ফেরত চাইতে বিউটির বাড়িতে যান মরিয়ম। এ সময় বিউটি ও তার স্বামী জহির মরিয়মকে ঘরে আটক রাখেন। স্ট্যাম্প কোথায় রেখেছেন সে তথ্য জেনে পরদিন মানিকদিয়া এলাকায় মরিয়মের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে মরিয়মের ৩ ছেলের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় বড় ছেলে মাহিন ও মেঝো ছেলে জুবায়ের মায়ের কথা বিউটি-জহির দম্পতির কাছে জিজ্ঞেস করে।

তারা বলেন, মরিয়ম রাজাখালিতে তাদের বাড়িতে আছেন। পরে বিউটি-জহিরকে নির্ধারিত জায়গা থেকে স্ট্যাম্প বের করে দেন মরিয়মের ছেলেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে রাজাখালি এলাকার সোহান, আবিদ ও সোহেলসহ মরিয়মের পরিবারের লোকজন তার খোঁজে বিউটির বাড়িতে যান। এ সময় সন্দেহবশত তারা ডিউটির বাড়ির পেছনের দিকে গিয়ে বালুর একটি স্তূপ দেখতে পান। তখন তারা বালু সরিয়ে মরিয়মের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। এই ঘটনায় বিউটি ও তার স্বামী জহিরকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যেই এলাকাবাসী তাদের বেধড়ক মারধর করে। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক মীর খবরের কাগজকে বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মরিয়ম খুন হয়েছে। এ ঘটনায় বিউটি ও তার স্বামী জহিরকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

স্বামীকে হত্যার পর ৯ টুকরা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ এএম
স্বামীকে হত্যার পর ৯ টুকরা
নিহত অরুণ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী অরুণ মিয়াকে (৭০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী মোমেনা বেগমের বিরুদ্ধে। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশে কেটে ৯ টুকরা করা হয়। পরে লাশের টুকরা ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়।

গত শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অরুণ মিয়া ওই গ্রামের মৃত সুরুজ ব্যাপারীর ছেলে।

এদিকে লাশ গুম করার পর স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচার করেন মোমেনা। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। চার দিন পর গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অরুণ মিয়া প্রায় ৩৫ বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর একই গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ঘরে লুৎফুর রহমান রুবেল নামে এক ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। এর মধ্যে এক ছেলে দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। ২০১৭ সাল থেকে অরুণ মিয়া প্রথম পক্ষের ছেলে লুৎফর রহমান রুবেলের সঙ্গে গাজীপুরে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে এলাকাবাসী সালিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা করিয়ে দেন। এরপর থেকে অরুণ মিয়া বেশির ভাগ সময় গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। গত শুক্রবার বিকেল থেকে অরুণ মিয়া নিখোঁজ হন। পরে তার ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। 

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। টর্চ লাইট দিয়ে তারা ট্যাংকের ভেতরে দেখতে পান পলিথিনে মোড়ানো কয়েকটি বস্তু। বিষয়টি জানিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ রাত ১০টার দিকে ইট দিয়ে মোড়ানো ৯টি পলিথিনের প্যাকেট জব্দ করে। সেগুলো খুললে বেরিয়ে আসে লাশের টুকরো।

নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকেলে কলহের একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে অরুণ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে লাশ নিজেই ৯ টুকরো করে পলিথিনে পেঁচিয়ে ইট মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মনিরের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। 

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, অরুণ মিয়া নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মোমেনা বেগম, ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করা হয়েছে।

বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রে জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার হামিদুর রহমান কালু

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ দুই নিরাপত্তাকর্মী খুনের সঙ্গে জড়িত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার।

গ্রেপ্তার আসামির নাম হামিদুর রহমান কালু (২২)। তিনি বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।

বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদ জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি হামিদুর রহমানকে ইপিজেড এলাকার আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জোড়া খুনে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যার দায় স্বীকার করে অন্যান্য আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর ভোরে একদল যুবক কয়লা প্রকল্পে চুরি করতে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার ছরওয়ার আলম (৫১) এবং রাশেদ জাওয়ারদার (২২) নিহত হন।

ছরওয়ার আলম কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে সিকিউরিটি ইনচার্জ ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে।

আর রাশেদ জাওয়ারদার রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার জাওয়ারদার গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

শফকত হোসাইন/অমিয়/

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২২ পিএম
কুষ্টিয়ায় হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্র হত্যা
হাসপাতালে কলেজছাত্র রুবেল। ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়া শহরের একটি চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কলেজছাত্রের নাম রুবেল হোসেন (২২)। তিনি কুমারখালী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। রুবেল কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। 

শহরের কোর্টপাড়া এলাকার একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুবেলকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার বনফুড বেকারি এলাকার একটি চারতলা ভবন থেকে রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল মারা যায়।

নিহত রুবেলের মেসমেট আনিচুর রহমান বলেন, ‘ওই বাড়ির তিনতলার তিনটি রুমে আমরা ৯ জন থাকতাম। রুবেল আমাদের মেসের ম্যানেজার ছিল। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নিজের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।’ 

তিনি আরেও বলেন, ‘বিকেল থেকে রুবেলকে চিন্তিত থাকতে দেখেছি। সন্ধ্যার পরে এক সঙ্গে ছাত্রাবাসের খরচের হিসাব করেছি। তবে এই ঘটনা কিভাবে, কারা ঘটিয়েছে সেটা জানি না।’

কামরুল হাসান শুভ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ধারণা করছি হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকে। তার হাত-পা সাদা রশি ও মুখ লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ভবনের তিনতলায় গেলে ওই রুমের বারান্দায় একই রঙের রশি টানানো থাকতে দেখেছি।’

তিনি দাবি করেন, এটা হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে।

মাহিম নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, ঘটনার পরই আমরা ছাত্রাবাসের ছেলেদের কাছে ঘটনা কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা কেউ কিছু জানে না বলছে। তবে চারতলা ভবনের ছাদ বন্ধ থাকে। বাড়ির মালিক ছাড়া ছাদের চাবি ছাত্রাবাসের এক ছেলের কাছে থাকে জানতে পেরেছি। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছু জানতে পারবে।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রুবেলের সঙ্গে একই রুমে থাকা হৃদয় ও রাইসুলসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন উল্লাহ/অমিয়/