ঢাকা ২৩ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

৫ জেলায় আ.লীগ নেতাসহ পাঁচজনকে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
৫ জেলায় আ.লীগ নেতাসহ পাঁচজনকে হত্যা
প্রতীকী ছবি

পাঁচ জেলায় গত রবি ও সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পাঁচজন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া পাবনা ও কিশোরগঞ্জে দুজনকে পিটিয়ে এবং ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর:

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জে মোহাম্মদ নূর আলম প্রকাশ নুরু নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

গত রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নুরু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। 

নুরুর স্ত্রী পুষ্প বেগম ও ছেলে আরিফ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ঘরে অবস্থান করছিলেন নুরু। এ সময় খোকন ও নিকুর নামে দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে অতর্কিতে হামলা করে। তিনি বাড়ির পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে।

নুরুকে বাঁচানোর জন্য তার স্ত্রী ও ছেলে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরও মারধর করে। 

নুরুর ছেলে আরিফ বলেন, ‘আমার বাবাকে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে বিএনপির সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুর রহমান জানান, নুরু আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পাবনায় হাতুড়িপেটায় নিহত ১
পাবনা সদর উপজেলায় হাতুড়িপেটায় সাইদুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়ার ইউনিয়নের চিথুলিয়া ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

সাইদুল সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কুলির কাজ করতেন।

নিহত সাইদুল ইসলামের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী পেশায় কৃষক। অভিযোগ উঠেছে, পূর্ববিরোধের জেরে তার দুই ভাতিজা সাইদুলকে হত্যা করেন। তারা হলেন একই গ্রামের তালহা ও তামিম। 

ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান জানান, পূর্ববিরোধের জেরে কিছুদিন আগে সাইদুল তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেছিলেন। সেই ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। সাইদুল গত রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। চিথুলিয়া ব্রিজের ওপর পৌঁছামাত্র মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে তালহা ও তামিম হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটান। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় সাইদুলকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যান সাইদুল। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

কিশোরগঞ্জে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় মসজিদের তবারক বিতরণকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ওয়াহাব ভূঁইয়া (৪৫)। তিনি ইটনা সদর উপজেলার উদিয়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকালে রাস্তায় ওয়াহাব ভূঁইয়াকে একা পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এর দুই সপ্তাহ আগে ওই তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছিল। পরদিন রবিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

ইটনা থানার ওসি জাকির রাব্বানী বলেন, এ ঘটনায় উদিয়ারপাড় গ্রামের আবদুল খালেক ও হাবু মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা 
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আকবর আলী (৪৮) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, আকবর আলীর স্ত্রী আসমা বেগমের সাবেক স্বামী রমজান মাতুব্বর তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। গত রবিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা পৌরসভার খাড়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আকবর আলী খয়রাতি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। অভিযুক্ত রমজান মাতুব্বর ভাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয়রা জানান, আসমা বেগমের সঙ্গে রমজানের প্রথমে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের ছয়-সাত বছর পর রমজান তার স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যান। এর দুই বছর পর আসমা বেগম আকবর আলীকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর রমজান ফিরে এসে আসমাকে আবার বিয়ে করেন। এর কিছুদিন পর রমজান আবার চলে যান। তখন দ্বিতীয় স্বামী আকবরের সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন আসমা। এ ঘটনা নিয়ে রমজানের সঙ্গে আকবরের শত্রুতা ছিল।

আকবর আলীর পুত্রবধূ মঞ্জিলা বেগম বলেন, গত রবিবার দুপুর ১টার দিকে তার শাশুড়ির প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আকবর আলীকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আকবর আলী মারা যান।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত কুমার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা 
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম পলাশ নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত আমজাদ ও তার স্ত্রীকে পালানোর সময় আটক করে পুলিশে দেন এলাকাবাসী।

পলাশ ধামরাই উপজেলার কাউয়াখোলা গাংগুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মানিকগঞ্জ শহরের বান্দুটিয়া এলাকার খবির উদ্দিনের মেয়ের স্বামী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শহরের বেউথা এলাকায় পলাশকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গতকাল ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পলাশ।

মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

‘দুষ্কৃতকারীরা ক্রান্তিকালকে ব্যবহার করছে’
মানবাধিকারকর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. নূর খান বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর পেছনে নানা দুর্বলতা রয়েছে। একটা স্বৈরশাসক আসলে দেশটার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এই রকম একটা সময়ে যারা দুর্বৃত্ত-দুষ্কৃতকারী, তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে নানা বার্তা আসছে। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন একটা ক্রান্তিকাল। 

এই ক্রান্তিকালের কারণে অনেক ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। মব জাস্টিস বা অন্য অপরাধগুলো সমাজে সব সময় ছিল। এই রকম একটা সময়ে আমি মনে করি, জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি যাদের ওপর দায়িত্ব আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরও বিষয়টা শক্ত হাতে দেখতে হবে। সরকারের সদিচ্ছার তো এখন অভাব নেই। কারণ সরকার তো নিশ্চয়ই চাইবে না এসব ঘটনার মাধ্যমে সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পাক। দুষ্কৃতকারীরা ক্রান্তিকালকে ব্যবহার করছে। শক্ত হাতে এদের দমন করতে হবে।’

যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলায় আটক ৮০

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলায় আটক ৮০
সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বাহিনী । ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলিতে অভিযানকালে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ওসমান আলী নামে একজন ব্যক্তির ‘ইসকন’বিরোধী একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর টেরীবাজার এলাকার হাজারী লেনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এতে আনুমানিক ৫০০ থেকে ৬০০ জন বিশৃঙ্খলাকারী হাজারী লেনে ওসমান আলী ও তার ভাইকে হত্যা এবং দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জড়ো হন। স্থানীয় ‘কন্ট্রোল রুম’ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ছয়টি টহল দল ওই এলাকায় পৌঁছায়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় জানমাল রক্ষা ও ‘মব জাস্টিস’ রোধে যৌথ বাহিনী ওসমান আলী ও তার ভাইকে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এ সময় উত্তেজিত জনতাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বস্ত করা সত্ত্বেও একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। দুষ্কৃতকারীরা এ সময় যৌথ বাহিনীর ওপর অতর্কিতে জুয়েলারির কাজে ব্যবহৃত এসিড হামলা চালায় ও ভারী ইটপাটকেলসহ ভাঙা কাচের বোতল ছুড়তে শুরু করে। এতে সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যসহ সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর আহত পাঁচ সদস্যকে বর্তমানে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া ঘটনাস্থলে দুষ্কৃতকারীরা ইট ছুড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলে। এ অভিযানের পর দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণে ওই রাতে যৌথ বাহিনীর ১০টি টহল দল হাজারী লেন এলাকায় গেলে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা পুনরায় যৌথ বাহিনীর ওপর এসিডসদৃশ বস্তু ছুড়তে শুরু করে। এ সময় যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে। বর্তমানে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। 

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হাজারী গলিসহ নগরীর অন্যান্য এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

সিলেটে ৬ ট্রাক চোরাই চিনিসহ গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
সিলেটে ৬ ট্রাক চোরাই চিনিসহ গ্রেপ্তার ১
৪১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকার চোরাই চিনি ও ছয়টি ট্রাকসহ আটক হেলপার হাসান। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটে চেকপোস্ট বসিয়ে ছয়টি ট্রাক থেকে ৬৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এসএমপি।

এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ছয়টি ট্রাকে ৬৯০ বস্তায় ৩৩ হাজার ৮৭০ কেজি ভারতীয় চিনির সঙ্গে ৬০ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়েছে। বাজারদর অনুযায়ী এসবের মূল্য ৪১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ন্যাশনাল টি-গার্ডেনের সামনের সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে ছয়টি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশি করে চোরাই চিনি পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় চালক ও হেলপাররা কৌশলে পালিয়ে গেলেও মো. হাসান নামে এক হেলপারকে আটক করা হয়। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদিপুর গ্রামে।

এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় আটক হাসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এবং পাঁচটি ট্রাকের চালককে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করা হয়েছে।

মেহেদী/অমিয়/

প্রবাসীর স্ত্রীকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব এএসআই’র, থানায় অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম
প্রবাসীর স্ত্রীকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব এএসআই’র, থানায় অভিযোগ
প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়া এসআই আব্দুল মুবিন। ছবি: খবরের কাগজ

টাকা না পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে কক্সবাজারের হোটেলে রাত যাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মুবিন। কয়েক দফা টাকা দেওয়ার পরও বার বার কল দিয়ে বিরক্ত করতো এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে এ বিষয়ে টেকনাফ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী। 

অভিযোগে বলা হয়,গত ১৬ অক্টোবর ওই প্রবাসীর বাড়িতে সদ্য দখলীয় জমির বেড়া ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে প্রবাসীর পরিবার পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯এ কল করে সহায়তা চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই আব্দুল মুবিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করার নামে ১২ হাজার টাকা নেন। পরে ১৮ অক্টোবর ফোন করে সুষ্ঠ বিচার করে দেওয়ার আশ্বাসে প্রবাসীর স্ত্রীকে তার সঙ্গে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় প্রতিদিন ফোন করে বিরক্ত করতে থাকেন। 

তিনি অভিযোগে আরও জানান, ২০ অক্টোবর ফাঁড়িতে গেলে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন এএসআই মুবিন। তখন ১৫ হাজার টাকা দিলে বাকি টাকার জন্য বার বার ফোন করতে থাকেন এবং নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাকিল আহমেদ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মুবিন অভিযোগ অস্বীকার করে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার কথাই হয়নি বলে দাবি করেন। 

তবে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনের মেসেজ ও পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট রয়েছে। 

মুহিববুল্লাহ/মেহেদী/অমিয়/

ধর্ষণের আসামি দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
ধর্ষণের আসামি দুই চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার দুই চীনা নাগরিক। ছবি: খবরের কাগজ।

বাংলাদেশ থেকে পালানোর সময় ধর্ষণ মামলার আসামি দুই চীনা নাগরিককে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ওয়াং চাও ইয়াং এবং ইয়াং জিংক। 

পরে বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে গ্রেপ্তারদের হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কাশিমপুর থানার মোজার মিল এলাকার সাদিকুলের বাড়িতে ভাড়া থেকে ব্যবসা করতেন চীনের তিন নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াং, ওয়াং জাওফিং ও ইয়াং জিং। চুল দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা রয়েছে তাদের। ওই বাড়ির পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন ৪০ বছর বয়সী এক নারী। গত জুলাই মাসে ওই নারী চীনের নাগরিক ওয়াং চাও ইয়াংকে বিয়ে করেন। বিয়ের মাসখানেক পর ২৩ আগস্ট রাতে স্বামীর সহায়তায় অপর দুই চীনা নাগরিক তাকে ধর্ষণ করেন। 

এ ঘটনায় স্বামীসহ বিদেশি ওই তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ২৭ আগস্ট মামলা করেন ওই নারী। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামিরা।

জিএমপির কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাদের কারগারে পাঠানো হয়েছে।
 
পলাশ প্রধান/সুমন/অমিয়/

‘চেকে দিবা, না ক্যাশে দিবা?’

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
‘চেকে দিবা, না ক্যাশে দিবা?’
হায়াতুজ্জামান মুকুল। ছবি: খবরের কাগজ

চেকে দিবা, না ক্যাশে দিবা?’ ‘ক্যাশে দিবো স্যার’ ‘তাহলে কি পজিটিভ করে দেব এমপি সাহেবের এদিকে?’ ‘জ্বি স্যার, পজিটিভ তো অবশ্যই করে দিবেন, তবে দেখেন না একটু কম হয় কি না?’ ‘তোমার জন্য আমি এক (১ লাখ) কমায়ে দিবোএভাবেই সুমির নামে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সাবেক উপ-পরিচালক (বর্তমান উপ-রেজিস্ট্রার, ডিন অফিস) হায়াতুজ্জামান মুকুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে

সোমবার (৪ নভেম্বর) ফেসবুকে ডেভিল নামের একটি আইডি থেকে এটি পোস্ট করা হয়

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়-নিয়োগ বাণিজ্যে সরাসরি জড়িত থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন এই অডিওটি উধাও করে দিয়ে নামেমাত্র মুচলেকা দিয়ে দালাল মুকুলকে উদ্ধার করেছিল বর্তমানে এই মুকুলই ক্যাম্পাসের পরিবেশ অশান্ত করবার চেষ্টা করে প্রশাসনিক ভবনে ফেরত আসবার চেষ্টা করছে সাধু সাবধান পুনরায় তদন্ত করে এই নিয়োগ বাণিজ্যের দালালকে শাস্তি প্রদান করতে হবে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে তিনি এসব অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন এখন আবার বিএনপি এবং জামায়াত বেশ ধরে সাধু সাজবার চেষ্টা করে যাচ্ছে

কল রেকর্ডে বলতে শোনা যায়,

সুমি: ‘কোন দিক দিয়ে চেষ্টা করবেন স্যার?’

মুকুল: ‘দুই দিক দিয়েই আমি চেষ্টা করবো ভিসি স্যার তো টাকা খায় না, পলিটিক্যাল দিক দিয়ে নাবিল সাহেব (সাবেক এমপি) আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগসংক্রান্ত কিছু বিষয় থাকে জানো তো? যারা চাকরি দিবে তারা তো অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে, এটা তো তুমি বোঝ

শেষ পর্যন্ত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে ১১ লাখ টাকায় একটি সমঝোতা হয়

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চুক্তির পর সুমির সেই চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন মৌখিক পরীক্ষার আগে মুকুলের সঙ্গে কথা বলার সময় তৎকালীন রিজেন্ট বোর্ড মেম্বার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান সুমিরকে হাতেনাতে ধরেন পরবর্তী সময়ে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মুকুলকে পাঁচ বছরের পদোন্নতি ও তিনটি ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় তবে অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধে গুরুদণ্ড দেওয়ার বিধান থাকলেও অদৃশ্য কারণে তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হায়াতুজ্জামান মুকুল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিষয় যারা ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে

 

তাওফিক/অমিয়/