ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৫ এএম
বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ যাত্রী গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার কোটি টাকার সোনাসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মাসুদ করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৌদি আরব থেকে আসা হাবিবুর রহমান নামের এক যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার পরিমাণ মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই দিন বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় ইমিগ্রেশন এলাকায় সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি বিমানে আসা যাত্রী হাবিবুর রহমানকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। পরে ওই যাত্রীর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। যাত্রী ব্যাগেজ বেল্ট থেকে ব্যাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তার দেহ ও ব্যাগেজ তল্লাশি করা হয় এবং স্ক্যানিং করা হয়। এ অবস্থায় যাত্রীর হ্যান্ডব্যাগে ২৯৯ গ্রাম এবং বুকিং করা ব্যাগেজে থাকা তিনটি ব্লেন্ডারে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৬ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ২ হাজার ৯৯০ গ্রাম। সেই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৩ হাজার ২৮৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক করা স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বার কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে ডিএমমূলে জমা করা হয়েছে। স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণের বারসহ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে ফৌজদারি মামলা করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মধুপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা খুন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
মধুপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা খুন
ছবি : খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা রেজিয়া খাতুন (৫০) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ছেলে রাজীব পাগলাকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে মধুপুর উপজেলার শালিকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইমরানুল কবীর। 

পুলিশ জানায়, শালিকা পাগুর মোড়ের পূর্বপাশে খাইরুল পাগলের ছেলে রাজীব পাগল ইফতারের পর তার মাকে খুন করে আনারস বাগানে নিয়ে পুঁতে রাখার সময় তার স্ত্রী সুভা খাতুন (২৭) বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে। এর পর স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। রাজীব পাগলাকে রাতেই আটক করা হয়েছে। 

জুয়েল রানা/জোবাইদা/

নড়াইলে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
নড়াইলে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় শরিফুল ইসলাম (৪২) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মেম্বারকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চালিঘাট গ্রামের হিন্দুপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত মেম্বার শরিফুল ইসলাম উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের সাইফার রহমানের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের হিন্দুপাড়া এলাকায় একটি দোকানের সামনে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মেম্বার শরিফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরিফুল ইসলাম/জোবাইদা/

উত্তরখানে সাবেক উপাধ্যক্ষ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ২ হত্যাকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
উত্তরখানে সাবেক উপাধ্যক্ষ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, ২ হত্যাকারী গ্রেপ্তার
সাবেক উপাধ্যক্ষ হত্যার আসামি নাজিম হোসেন এবং রুপা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ডিএমপির উত্তরখান থানা পুলিশ। একই সঙ্গে মামলা হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. নাজিম হোসেন (২১) এবং রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি (২৩)।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ভিকটিমের ফ্ল্যাট থেকে একটি ধারালো বঁটি, চাকু, রক্তমাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়।

উত্তরাখান থানা সূত্রে জানা যায়, ১০ মার্চ রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয়তলা বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ৬নং ফ্ল্যাটে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া খুন হন। তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১১ মার্চ উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুর রহমান ভূঁইয়া ৩-৪ মাস ধরে উত্তরখানে একটি ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করছিলেন। ১০ মার্চ বিকেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শয়নকক্ষে ফেলে রেখে যান। এর পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মামলা করার পর পুলিশ সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে দুই হত্যাকারীকে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারীরা উপাধ্যক্ষকে আক্রমণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামিরা জানায়, ঘটনার ২-৩ দিন পূর্বে কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিকটিম সাইফুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তিনি তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন। এর পর তাদেরকে ফ্ল্যাটে আটকে রেখে রুপা বেগমের ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে এবং অতিরিক্ত রাগ ও ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ধারালো বঁটি দিয়ে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে আঘাত করে। 

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তাওফিক/ 

ব্যবসায়ী সুদেব হত্যার কিনারা হয়নি দুই মাসেও

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ব্যবসায়ী সুদেব হত্যার কিনারা হয়নি দুই মাসেও
সুদেব হালদার

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি বাজারের ব্যবসায়ী সুদেব হালদার হত্যার দুই মাস পার হলেও এ মামলার তদন্তের তেমন অগ্রগতি নেই। পাশাপাশি সন্দেহভাজন রাব্বি তালুকদারকে আটকের কোনো উদ্যোগও নেই ঝালকাঠি থানার পুলিশের। পুলিশের দৃষ্টিতে ‘ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড’ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা অন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে বাদীকে পরামর্শ দিয়েছেন ঝালকাঠী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদি হাসান। 

এ নিয়ে অনেকটা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে প্রধান সন্দেহভাজন রাব্বি তালুকদার পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্পব তালুকদারের ছোট ভাই। 

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিতে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। দৃশ্যমান কোনো সাক্ষী না থাকায় তেমন কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করার সম্ভব হয়নি। পুরো বিষয়টি উন্মোচন করতে কিছু সময় লাগবে। 

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার পরে যেকোনো সময়ে রামপুর নামক স্থানে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী সুদেব হালদারকে কুপিয়ে ও গলাকেটে খুন করে। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি ফসলি জমি থেকে সুদেবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বাউকাঠি বাজারের মোবাইল ফোন, সার্ভিসিং ও যন্ত্রাংশ বিক্রির প্রতিষ্ঠান অর্নব মোবাইল গ্যালারির স্বত্বাধিকারী ছিলেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঝালকাঠি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদি হাসান খবরের কাজকে বলেন, ‘মামলার বাদী সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের নাম পুলিশকে বলেছেন তাদের বেশির ভাগকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে না পাওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় রাব্বিসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘এজাহারে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও মামলার বাদী রাব্বিসহ কয়েকজনের নাম বলেছেন। রাব্বি সম্পর্কে যতদূর খোঁজ নেওয়া হয়েছে তাতে তার সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে হয়নি। তাই তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ও তার ভাই বানারীপাড়া থানার কনস্টেবল বিল্পব তালুকদারের কর্মস্থল বানারীপাড়াতেও অভিযান চালানো হয়। রাব্বি ও অন্য সন্দেহভাজনরা মোবাইল ফোনসহ কোনো ডিভাইস ব্যবহার না করায় তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। মামলার তদন্ত পিবিআই দিয়ে করানোর বিষয়ে বাদীকে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

নিহতের বাবা সুবোধ হালদার জানান, সুদেবের লাশ পাওয়ার পর আমরা অনেকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। সুদেবের লাশ উদ্ধারের পর রাব্বিসহ দুইজন ছাড়া সব নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, যুবক, তরুণ-তরুণী সবাই এলাকায় রয়েছেন। ঘটনার দিন পুলিশ সুপার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি সন্দেহভাজনদের নাম-ঠিকানা নিয়েছেন। এ সময় তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনে আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে ছিলেন। পুলিশ সুপারের কথার ওপর আমরা ভরসা করেছিলাম। কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলার কোনো অগ্রগতি দেখছি না। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদি হাসান পিবিআই কিংবা অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানো জন্য আদালতে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তার এমন পরামর্শে আমরা হতাশার মধ্যে পড়েছি। 

নিহত সুদেব হালদারের মা শেফালি হালদার বলেন, ‘আমার ছেলে কারও সঙ্গে কোনো দিন খারাপ ব্যবহার করেনি, কোনো অন্যায় করেনি। কেন আমার ছেলেকে হত্যা করা হলো। আমি এর বিচার চাই।’

বাউকাঠি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রুহুল আমিন ফকির বলেন, ‘সন্দেহভাজন রাব্বিকে আটকের ব্যাপারে পুলিশের তেমন একটা আগ্রহ আমরা দেখছি না। এ ব্যাপারে পুলিশের সদিচ্ছা থাকলে এতদিনে রাব্বি আটক হতো। দ্রুত সময়ে মধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা বাজার ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ 

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর সুদেব হত্যা মামলাটি আমরা অতিগুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।’

বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাজিমুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঝালকাঠীর সুদেব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। তারা কার আত্মীয় বা কোন গোষ্ঠীর লোক তা পুলিশের কাছে বিবেচ্য নয়।’

রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় কলেজছাত্র কারাগারে

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের ঘটনায় কলেজছাত্র কারাগারে
গ্রেপ্তার কাজী ফাহাদ

ঝালকাঠির রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কাজী ফাহাদ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা রাজাপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।

পরে সোমবার (১০ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ফাহাদ এবং ভুক্তভোগী তরুণী রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বর্তমানে ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহারে ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, সহপাঠী হওয়ার সুবাদে তার মেয়ে ও ফাহাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফাহাদ কৌশলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন এবং আইনের আশ্রয় নেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কামরুজ্জামান/অমিয়/