ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

বোকা ইঁদুর চালাক বাদুড়

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
বোকা ইঁদুর চালাক বাদুড়
আঁকা মাসুম

ইঁদুর ও বাদুড় দুই বন্ধু। তাদের খুব ভাব। সবসময় একসঙ্গে থাকে। একসঙ্গে খায়। তবে বাদুড়কে একটু হিংসা করত ইঁদুর। কিন্তু কেন হিংসা করত? কারণ বাদুড় অনেক ভালো রান্না করতে পারে। তার রান্না ছিল খুবই সুস্বাদু। কেউ একবার সে রান্না খেলে খুব প্রশংসা করত। আর ইঁদুরের রান্না করা স্যুপ মোটেও সুস্বাদু হতো না। তাই বাদুড়কে হিংসা করত ইঁদুর।
একদিন দুই বন্ধু ঘুরতে বের হলো। তখন ইঁদুর জানতে চাইল, আচ্ছা, তোমার রান্না করা স্যুপ এত সুস্বাদু হয় কীভাবে?
বন্ধুর সঙ্গে একটু মজা করল বাদুড়। কী বলল জানো? বাদুড় বলল, স্যুপ রান্নার আগে আমি নিজে সেই পানিতে সেদ্ধ হই! তাই এত সুস্বাদু লাগে!
এ আবার কেমন কথা! তাই কখনো হয় নাকি?
কেন হবে না? আমি তো ডুব দিয়েই আবার উঠে আসি।
ঠিক আছে বন্ধু, তাহলে আমাকে স্যুপ রান্না করে দেখাও।
এই কথা শুনে বাদুড় তো পড়ে গেল মহাবিপদে! সে তো একটু মজা করেছিল! কিন্তু এবার কী হবে?
বাদুড় তো বুঝতেই পারছে না, কী করবে! কিন্তু বলে যখন ফেলেছে কিছু তো করে দেখাতে হবে। তা না হলে বাদুড়ের মান-সম্মান বলে আর কিছুই থাকবে না!
তারপর অনেক সময় নিয়ে ভাবল বাদুড়। ভেবে বলল, আচ্ছা, দেখাচ্ছি।
এই বলে বাদুড় একটি পাত্র নিল। তাতে কয়েক মগ পানি দিল। তারপর পাত্রটি বসিয়ে দিল চুলার ওপর।
এরপর কী করল শোনো। সেই পানিতে ডুব দিয়েই আবার উঠে এল বাদুড়! কিন্তু তখন চুলা জ্বালানো ছিল না। সে উঠে এসে চুলা জ্বালাল! বাদুড়ের এই চালাকি বুঝতেই পারল না বোকাসোকা ইঁদুর।
বাদুড় বলল, দেখেছ, পানি টগবগ করে ফুটছে। আর আমি তাতে ডুব দিয়েছি!
ইঁদুর চুলার কাছে গেল। মুখটা বাড়িয়ে দিল। হ্যাঁ, সত্যিই তো, টগবগ করে পানি ফুটছে! কিছু সময়ের মধ্যে স্যুপ রান্না হলো। মজা করে স্যুপ খেল ইঁদুর। দারুণ সুস্বাদু হয়েছে রান্না।
খাওয়া শেষে বাসায় ফিরল ইঁদুর। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল। তারপর বউকে বলল, শোনো, আজ তোমাকে সুস্বাদু স্যুপ রান্না করে খাওয়াব।
এ কথা শুনে ইঁদুরের বউ খুব খুশি! কতদিন স্যুপ খাওয়া হয় না। লোভে তার জিভে পানি চলে এসেছে!
ইঁদুর রান্না ঘরে গেল। একটি পাত্র নিল। তাতে পানি দিয়ে চুলার আগুন জ্বালাল। একসময় পানি টগবগ করে ফুটতে শুরু করল। তখন ইঁদুর বোকামি করে বসল! ঝাঁপ দিল সেই পানিতে!
আচ্ছা তোমরাই বলো, ফুটন্ত পানিতে ঝাঁপ দিলে কেউ বাঁচতে পারে? বোকা ইঁদুরও বাঁচতে পারল না। কিছু সময়ের মধ্যে ইঁদুর মারা গেল।
এদিকে ইঁদুরের কোনো সাড়া-শব্দ পাচ্ছে না তার বউ। সে চুলার দিকে এগিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে সে তো অবাক! তার স্বামী মরে পড়ে আছে!
ইঁদুরের বউ ভীষণ রেগে গেল। যেভাবেই হোক বাদুড়কে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। সে গেল রাজার কাছে। রাজাকে সব ঘটনা খুলে বলল।
সব শুনে রাজা রেগে আগুন। রাজার আদেশ, আমার রাজ্যে এত বড় ঘটনা? যেভাবে হোক বাদুড়কে বন্দি করতে হবে। তাকে শাস্তি পেতে হবে।
রাজার আদেশে সবাই বাদুড়কে খুঁজতে বের হলো। তারা সারা দিন ধরে খুঁজল, কিন্তু বাদুড়কে কোথাও পেল না। রাতে ফিরে গেল। এভাবে তারা প্রতিদিন দিনের বেলা খুঁজতে থাকে। রাতের ফিরে যায়। কিন্তু বাদুড়কে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পাবেই-বা কীভাবে? বাদুড় দিনের বেলা ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। সবাই চলে গেলে রাতে বের হয়। সেই থেকে এখনো বাদুড় দিনে লুকিয়ে থাকে ও রাতে খাবারের খোঁজে বের হয়।

নাইজেরিয়ান লোককাহিনি অবলম্বনে

আশ্চর্য স্থাপনা মিসরের পিরামিড

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আশ্চর্য স্থাপনা মিসরের পিরামিড
পিরামিড

পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের কথা ভাবলে প্রথমেই আসে মিসরের পিরামিডের নাম। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে নির্মাণ করা এসব বিস্ময়কর স্থাপনা। ভিনগ্রহ থেকে আসা কোনো এলিয়েন স্থাপনাগুলো বানিয়েছিল কিংবা শস্য সংরক্ষণের জন্য ফারাওরা এগুলো তৈরি করেছিল, এমন নানা ধারণা প্রচলিত আছে পিরামিডকে ঘিরে। আসলেই কেন তৈরি করা হয়েছিল পিরামিড- তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে বৈজ্ঞানিক গবেষণা।

পিরামিড কী?
পিরামিড মূলত সমাধিক্ষেত্র। প্রাচীন মিসরের শাসনকর্তা ফারাওদের মৃত্যুর পর তাদের সমাহিত করা হতো এই বিশাল সমাধিক্ষেত্রে। প্রায় কয়েক দশক ধরে হাজার হাজার শ্রমিক দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন আসে ফারাওরা কেন এই স্থাপনা নির্মাণে এত সময় ও অর্থ ব্যয় করেছিল?
মূলত প্রাচীন মিসরীয় সমাজে পরকালের ধারণা প্রচলিত ছিল। সেই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই এই বিরাট আকারের সমাধিক্ষেত্র নির্মাণ করা হয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধের তথ্যমতে, মিসরীয়রা বিশ্বাস করত যতদিন ফারাওদের দেহ রক্ষা করা যাবে ততদিন তারা স্বর্গে বাস করবে। তবে তার জন্য পৃথিবী থেকে পরকালের যাওয়ার সময় ‘আত্মা’র নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। এই আত্মাকে তারা ডাকতে ‘কা’ বলে।
এই ‘কা’ বেঁচে থাকার জন্য প্রসাদ আকারে খাবার, বিশ্রামের জন্য বিছানাসহ কিছু ব্যবস্থার দরকার ছিল বলে তারা মনে করত। আর সে কারণেই প্রয়োজন পড়ে পিরামিডের। প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করত, পিরামিডের ভেতরে ফারাওদের ‘কা’ বেঁচে থাকত। আর তাই ফারাওদের শরীর মমীকরণ করা হতো। তারা এটাও বিশ্বাস করত যে, পরপারের যাত্রার জন্য জাগতিক সব ধরনের জিনিসই প্রয়োজন হবে ‘কা’র। তাই ফারাওদের মরদেহের সঙ্গে প্রয়োজনমতো ধন-সম্পদ দেওয়া হতো।

পিরামিড নির্মাণের শুরু
পিরামিড নির্মাণের আগে মিসরীয়দের কবর দেওয়ার পদ্ধতি ভিন্ন ছিল। তখন সমাধি দেওয়া হতো চারকোনা ছোট আকৃতির ঘরে, যার নাম ছিল ‘মাস্তাবা’। খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৮০ অব্দের দিকে ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া আকৃতির পিরামিড নির্মাণের জন্য একটির ওপর আরেকটি- এভাবে ছয়টি ধাপে প্রথম পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল। জোসের নামের একজন ফারাওয়ের জন্য নির্মাণ করা এই পিরামিডের কোণাগুলো মসৃণ না হলেও এটাকেই প্রথম সত্যিকারের পিরামিড হিসেবে ধরা হয়। প্রচলিত আছে, এই সমাধির নকশাকারের নাম ছিল ইমহোতেপ। তাকেই পিরামিডের প্রথম নকশাকার হিসেবে ধরা হয়। প্রথম পিরামিড নির্মাণের পর পরবর্তী ফারাওরা আরও ভালো এবং বড় আকারের পিরামিড নির্মাণ শুরু করেন।

গিজার পিরামিড
পিরামিডের কথা বললে প্রথমেই যে ছবি ভেসে ওঠে তা হলো মিসরের গিজার গ্রেট পিরামিড। ৪৫০ ফুটের বেশি উচ্চতার এই পিরামিড ‘খুফুর পিরামিড’ নামেও পরিচিত। কায়রোর উপকণ্ঠ গিজায় অবস্থিত তিনটি পিরামিডের মধ্যে এটিই সবচেয়ে পুরোনো এবং বড়। তবে নির্মাণের সময় খুফুর পিরামিড আরও কিছুটা উঁচু ছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ৬০ টন ওজনের ৩০ থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল আকৃতির ২০ লাখ পাথর খণ্ড দিয়ে নির্মিত এই পিরামিডটি তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে তৈরি করা হয়েছিল। জানা যায়, ২০ থেকে ৩০ হাজার কারিগর নিয়ে ২৩ বছরেরও কম সময়ে গিজার পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে।

সূত্র বিবিসি

পিঁপড়ে ও মৌমাছির যুদ্ধ

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
পিঁপড়ে ও মৌমাছির যুদ্ধ
আঁকা মাসুম

অনেক অনেক দিন আগে ইরানের খুজিস্তান শহরে রাজত্ব করতেন বাদশাহ শাহজামান। তার ছিল এক অতি সুন্দর ফুলের বাগান। বাগানটি যেমন সুন্দর তেমনি বড়। সেই বাগানে ফুটত অগুনতি ফুল। সেখানে দলবেঁধে বাস করত একদল কালো পিঁপড়ে। তাদের প্রধান খাবার ছিল ফুলের মধু। তারা সারা দিন খুঁজে খুঁজে মধু সংগ্রহ করত আর দিনশেষে মধু ভাণ্ডারে জমিয়ে রাখত। এভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করে তারা তিনটি রাজকীয় মধু ভাণ্ডার গড়ে তুলল। পিঁপড়ে রাজা সংমিং এত বড় বড় মধু ভাণ্ডারের মালিক হতে পেরে খুব খুশি হলো।

খুজিস্তানের পাশের দেশ আজারবাইজান। একদা সেখানে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গেল। দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির ফলে দেশে খরা দেখা দিল। বন-জঙ্গলের সব ফুলগাছ পানির অভাবে মারা গেল।

সে দেশে বাস করত বিশাল এক মৌমাছির ঝাঁক। গাছপালা মরে যাওয়ায় মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারল না। ফলে তাদের মধ্যে খাদ্যসংকট দেখা দিল। অবস্থায়
তারা মধু সংগ্রহের নতুন উৎস সন্ধানে দিকে দিকে গোয়েন্দা মৌমাছি পাঠাল। অবশেষে কয়েকটি গোয়েন্দা মৌমাছি
খুজিস্তানের ওই বাগানটি খুঁজে বের করল যেখানে কালো পিঁপড়েরা বাস করে।

মৌমাছিদের রানি মৌরুখু তখন দলবল নিয়ে বাগানে ঢুকে পড়ে মৌচাক বানাতে লেগে গেল। পিঁপড়েরা সবই লক্ষ করল, বিরক্ত হলো, কিন্তু নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাল না। বাগানটি বিশাল এবং মধুও পাওয়া যায় অফুরন্ত। তারা ভাবল এতে তাদের খুব বেশি অসুবিধা হবে না। কিন্তু বিপত্তি ঘটল যখন গোয়েন্দা মৌমাছিরা পিঁপড়েদের মধুর ভাণ্ডারগুলো দেখে ফেলল। তারা পিঁপড়েদের একটা মধুর ভাণ্ডার আক্রমণ করে অনেকখানি মধু লুট করে নিয়ে গেল। পিঁপড়ের রাজা সংমিং তখন একদল প্রতিনিধি পাঠিয়ে মৌমাছিদের রানি মৌরুখুর কাছে বিচার চাইল এবং লুণ্ঠিত মধু ফেরত চাইল। কিন্তু মৌমাছির রানি পিঁপড়ের দলটিকে অপমান হাসি ঠাট্টা করে ফেরত পাঠাল। পিঁপড়ের রাজা সংমিং সব শুনে খুব রেগে গেল। সেসব পিঁপড়েকে জড়ো করে মৌমাছিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল।

সেদিন গভীর রাতে যখন সব মৌমাছি মৌচাকে ঘুমিয়ে ছিল, পিঁপড়ের দল হামলা করল। তারা গাছ বেয়ে পিলপিল করে উঠে ঘুমন্ত মৌমাছিদের কামড়াতে লাগল। মৌমাছিরা কামড়ের জ্বালায় জেগে উঠল। তারা পিঁপড়েদের হুল ফোটাতে চাইল, কিন্তু পিঁপড়েরা এত ছোট যে, তারা হুল ফোটাতে পারল না। অন্যদিকে আরেক দল শ্রমিক পিঁপড়ে ততক্ষণে মৌচাক থেকে মধু নিতে লাগল।

কামড় খেতে খেতে মৌমাছিরা অসুস্থ হয়ে পড়ল। শেষমেশ পরাজিত হয়ে মৌমাছিরা পালিয়ে গেল দূর দেশে। পিঁপড়েরা সে
রাতে আতশবাজি জ্বালিয়ে, বাজি ফুটিয়ে, রং ছিটিয়ে বিজয়
উদযাপন করল।

ঝুলে থাকা পশুপাখি

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
ঝুলে থাকা পশুপাখি
সংগৃহীত

রাশিয়ায় বাস করেন হেলগা স্টেন্টজেল খালামণি। তিনি এমনভাবে কাপড় শুকাতে দেন, দেখলে মনে হয় কোনো পশুপাখি দড়িতে ঝুলে আছে। খুব মজার হয় সেগুলো। চলো দেখে নিই তার কিছু পশুপাখি। 

বিস্ময়কর যন্ত্র জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
বিস্ময়কর যন্ত্র জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ
সংগৃহীত

পৃথিবী থেকে দূর মহাকাশে উঁকি দেওয়ার জন্য মানুষের দরকার ছিল একটি আধুনিক দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা টেলিস্কোপ। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, কানাডীয় মহাকাশ সংস্থা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় বানানো হয় একটি মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র, নাম জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।
২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর রকেটের মাধ্যমে এটাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। উৎক্ষেপণের পরে টেলিস্কোপটি প্রায় ৩০ দিন মহাকাশ যাত্রা সম্পন্ন করে পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে (চাঁদের চেয়েও অধিক দূরত্বে) চলে যায়। টেলিস্কোপটি সবসময় পৃথিবীর অন্ধকার পার্শ্বে থেকে পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে একই সময়ে বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তবে এর প্রধান দুটি লক্ষ্য রয়েছে। একটি হলো মহাকাশে ১ হাজার ৩৫০ কোটি বছর আগে একেবারে প্রথম জন্ম নেওয়া তারকাগুলোর আলোর বিচ্ছুরণ কীভাবে ঘটেছিল তার ছবি নেওয়া। দ্বিতীয়টি হলো দূরের গ্রহগুলো মানুষের বাসযোগ্য কি না, তা অনুসন্ধান করা। 
দূরের আকাশের ছবি তোলার জন্য টেলিস্কোপটিতে রয়েছে নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরা, নিয়ার-ইনফ্রারেড স্পেক্টোগ্রাফ, মিড-ইনফ্রারেড ইনস্ট্রুমেন্ট এবং নিয়ার ইনফ্রারেড ইমেজার ও স্লিটলেস স্পেক্ট্রোগ্রাফ নামের আধুনিক যন্ত্রপাতি। আকারের বড় হওয়ায় টেলিস্কোপটিকে ভাঁজ করে রকেটে পুরে পাঠানো হয়েছিল। তিন শতাধিক সূক্ষ্ম যন্ত্রকে কাজ করতে হয়েছে এ ভাঁজ খুলে একে কাজের উপযোগী করতে। টেলিস্কোপটির সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, হাবল টেলিস্কোপ ত্রুটি সারানো গেলেও এটি সংস্কারের কোনো সুযোগ নেই। ফলে টেলিস্কোপটি কতদিন কাজ করবে তা নির্ভর করছে এর জ্বালানি কতদিন থাকবে তার ওপর। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যয়বহুল এ টেলিস্কোপের জীবনকাল হতে পারে ৫ থেকে ১০ বছর।

ক্যারিনা নেবুলা

 

যেভাবে কাজ করবে
ইনফ্রারেড বা অবলোহিত স্পেকট্রামে কাজ করবে এই টেলিস্কোপ। ইনফ্রারেড আলো সহজেই এই ধরনের মহাজাগতিক ধূলিকণা এবং গ্যাস ভেদ করতে পারে। ফলে এটি নক্ষত্রের বায়ুমণ্ডল দেখতেও সাহায্য করছে, যা সাধারণত ধুলা এবং গ্যাস দ্বারা আবৃত থাকে। প্ল্যানেটারি সিস্টেম বা গ্রহ ব্যবস্থা সম্পর্কে মহাকাশচারীদের জানতে সাহায্য করছে টেলিস্কোপটির নিয়ার ইনফ্রারেড ইমেজার ও স্লিটলেস স্পেক্ট্রোগ্রাফ। এই বিশেষ যন্ত্র শূন্য দশমিক ৬ থেকে ৫ মাইক্রন পর্যন্ত আলো ক্যাপচার করতে পারে। বিজ্ঞানীদের আগের বানানো হাবল স্পেস টেলিস্কোপের তুলনায় এটি ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত শক্তিশালী। হাবল যেখানে ছায়াপথ সৃষ্টির শুরুর দিকের তথ্য দিতে ব্যর্থ, সেখানে জেমস ওয়েব স্পেস বিগব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর থেকে ঘটা প্রতিটি মুহূর্তের তথ্য দেবে। আশা করা হচ্ছে, জেমস ওয়েবের মাধ্যমেই মহাকাশ রহস্যের অনেকটা জট খুলতে সক্ষম হবেন বিজ্ঞানীরা।

গুচ্ছ ছড়া

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পিএম
গুচ্ছ ছড়া
আঁকা মাসুম

মেলার মজা


আই লো আই
মেলাত যাই।
কিনমু চুড়ি নেইল পলিশ,
মুড়কি- মোয়া কী বলিস?
নাগরদোলায় চড়বি নি
মনটা তাতে ভরবি কি?

আই লো আই
লেইট করনের সোমায় নাই।
খুচরা ট্যাকা পয়সা নিস
কিনবো নানান শো’য়ের পিস।
মাটির পুতুল ডেকচি হাঁড়ি
কোঁচড় ভরে আনব বাড়ি।
ইচ্ছামতন ঘুরতে চাই
এমন মজা কই যে পাই?
সঙ্গে কারে নিচ্ছ আই
তৈরি আছে ক্যাট বিলাই।
আইলো আই
আয় জলদি মেলাত যাই।

 


জাতীয় ফল, পেটুক দল

কাঁঠালের আঁটিটারে কেন যেন ভূতি কয়
দশাসই সাইজের ন্যাশনাল ফ্রুট
তেনাকে নাড়ানো ভাই মোট্টেও সোজা নয়
বুঝেচেন মহাশয়
খোঁচাইন্যা বাকলায় গুঁতো খাবো
এইমতো আছে ভীতি ভয়
আঠা আছে, বেশুমার বিচ্ছিরি কারবার
জিল্লতি কতো নয় ছয়
আঠা ছাড়ানোর আছে বেশ ভালো তকলিফ
জাতীয় ফলের এতো নিগেটিভ সাইড নিয়ে
কচকচি জারি রয়
পরানে কতটা সয়?
আয় রে এখানে এসে
চুপচাপ বয়
মুড়ি দিয়ে পেট ভরে কাঁঠালের সদগতি
হবে নিশ্চয়।

 


ভেবে দেখুন খুলে বলুন

কাক হলো নাগরিক পাখি
ভোরে সক্কালে করে
কর্কশ সুরে ডাকাডাকি।
ডাস্টবিনে মরা পচা
খুঁটে খুঁটে খায়,
কেউ যদি কাক ধরে
সব কাক জড়ো হয়ে
জোরে চিল্লায়।
কাক বাদ দিলে এই
শহরের কী হবে বলেন
এই কথা কক্ষনো
কেউ ভেবেছেন?

ভাবিয়া দেখুন
তারপর এ বিষয়ে
চিন্তিত মতামত
খুলিয়া বলুন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });