ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

আলু-পেঁয়াজে কমলেও বেড়েছে চালের দাম

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:১০ এএম
আলু-পেঁয়াজে কমলেও বেড়েছে চালের দাম
ছবি : সংগৃহীত

সরকার পরিবর্তনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন বাজার মনিটরিং শুরু করেছেন। এর ফলে আলু কেজিতে ৫ টাকা ও পেঁয়াজ ১০ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে দাম কিছুটা কমেছে। এ জন্য তারাও কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। মুরগিও কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ইলিশ মাছের দামও কমেছে। তবে চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা ও মরিচ কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, সরকার বদলের পর ছাত্ররা বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছেন। কম দামে বিক্রি করতে বলছেন। এই মেসেজ বিভিন্ন মোকামেও পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য তারা কিছুটা কম দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। 

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা সুরুজ বলেন, ‘কয়েক দিনের ব্যবধানে আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও গতকাল তা ১১০-১২০ টাকায় নেমেছে। কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। ৬০-৭০ টাকার আলু নেমেছে ৫৫-৬০ টাকায়। তবে আগের মতোই আদার কেজি ২৮০-৩০০ টাকা ও রসুন ২০০-২৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’ 

এই বাজারের আল্লাহর দান স্টোরের মালিক শাহ আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে অন্য জিনিসের দাম কমেনি। আগের মতোই মসুর ডাল ১২৫-১৩৫ টাকা, ছোলা ১১০-১১৫ টাকা, এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৫ টাকা ও পাঁচ লিটার ৮০০-৮১০ টাকা, চিনির কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীতে চালের দাম বস্তায় ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১-২ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, আগের মজুত চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু দুই-চার দিনের মধ্যে যে চাল মোকাম থেকে এসেছে তার দাম বেড়েছে। বর্তমানে নাজিরশাইল চাল ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭২, আটাশ চাল ৫৫-৫৮, মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

কারওয়ান বাজারের হাজি ইসমাইল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা জসিম বলেন, ‘চালের সরবরাহ ঠিকই আছে। তবে দাম বাড়তি। পাইকারি পর্যায়ে ৩ হাজার ৪০০ টাকার (৫০ কেজি) বস্তা ৩ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।’ 

বেড়েছে মরিচের দাম

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রচুর সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ জন্য সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়েনি সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেড়ে ২০০ টাকার মরিচ ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। 

তারা আরও জানান, গত সপ্তাহের মতোই বেগুন ৭০-১০০ টাকা, করলা ৮০-১০০, পটোল, ঢ্যাঁড়স, ধুন্দুল ৪০-৬০ টাকা। ঝিঙ্গা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০, শসার ৫০-৬০, বরবটি ৯০ টাকা। কচুর মুখী ৭০-৮০ টাকা কেজি। টমেটো, গাজর ১৫০-১৮০ টাকা, লাউ ও চালকুমড়ার পিস ৬০-৮০ টাকা। এ ছাড়া লাউশাক ও পুঁইশাকের আঁটি ৩০-৪০ টাকা, কলমিশাক, লাল শাক, পালং ও পাটশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।

ইলিশের দাম কমেছে

বিভিন্ন বাজারের মাছ বিক্রেতারাও জানান, দুই দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন আড়তে সরবরাহ বেড়েছে। এ জন্য দামও স্বাভাবিক। বাড়েনি, কমেনি। তবে ইলিশের দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা কমেছে। এক কেজির ওপরে আগে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, ছোটটা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। আগের মতোই রুই, কাতলা ৩৫০-৭০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। ট্যাংরা ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি, মলা মাছ ৫০০-৭০০, পাঙাশ, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা।

কক্সবাজারে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন আজ

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
কক্সবাজারে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন আজ

দেশের প্রথম ও একমাত্র WP এবং WDG প্রযুক্তির বালাইনাশক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার লিমিটেডের পরিবেশক সম্মেলন আজ (শনিবার) কক্সবাজারের হোটেল সি প্যালেসে অনুষ্ঠিত হবে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ বালাইনাশককে জনপ্রিয় করা এবং প্রতিষ্ঠানের ২২তম বর্ষপূর্তি ও পরিবেশক সম্মেলন-২০২৪ আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশ থেকে প্রায় ১০০০ পরিবেশক সপরিবারে এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে বলে আশা করছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কর্তৃপক্ষ। এনএসি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের ব্যানারে WP ও WDG প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের বালাইনাশক উৎপাদন করছে। প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখছে জাতীয় অর্থনীতি ও কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে। 

এই সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অর্জন ও সোনালি অধ্যায়ের প্রতিটি ধাপে পরিবেশকসহ অন্য ব্যবসায়িক সহযোগীদের অবদান তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া রয়েছে পরিবেশকদের জন্য আনন্দ আয়োজন। 

এনএসি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমানসহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, পরিচালক রহমান অবন্তী হিমিকা, পরিচালক ইয়ালিদ বিন রহমান, পরিচালক এস কে এম শামসুজ্জোহা, চিফ মার্কেটিং অফিসার পারভেজ হাসান, হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মোহাম্মদ কামাল হোসেন, হেড অব অপারেশন কৃষিবিদ মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ, হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আব্দুল হাসান মোস্তফা কামাল, জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ বিশারত আলী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাই ক্রপ কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামপ্রকাশ সিংয়ের।

ব্যাংক খাত সংস্কারে মালিকদের মতামত নেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
ব্যাংক খাত সংস্কারে মালিকদের মতামত নেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে মালিকপক্ষের মতামতের প্রতিফলন থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদল অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। 

বৈঠকের পর ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংক মালিকরা প্রস্তাব করেছেন সংস্কারের ক্ষেত্রে যেন তাদের মতামত নেওয়া হয়। আমি বলেছি, অবশ্যই তা করা হবে।’ 

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএবির চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। বৈঠক শেষে বিএবির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ভালো নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। 

আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ব্যাংকের শক্তি হচ্ছে ডিপোজিটর বা আমানতকারী। ডিপোজিটর না থাকলে কোনো ব্যাংক বাঁচবে না। এ জন্য তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’ 

উল্লেখ্য, ব্যাংক খাত সংস্কারে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে রাখার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। 

বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে প্রধানত ব্যাকিং খাতের সমস্যা ও সংস্কার বিষয়ে। কিছু সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে। অনেক ব্যাংক তারল্যসংকটে ভুগছে। আমি বলেছি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ করব। ব্যাংক মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সংস্কার করা হবে তাতে যেন ব্যাংক মালিকদের মতামতের প্রতিফলন ঘটে। সেটা আমরা অবশ্যই করব। আমি তাদের অনুরোধ করেছি এই সময়ে ব্যাংকাররা যাতে যাচাই-বাছাই করে ঋণ দেন। আগের মতো যাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি না ঘটে। একটা অভিযোগ রয়েছে, ছোট উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে যথাযথভাবে ঋণ পান না। তাদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছি। ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য মালিকদের কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য বলা হয়েছে।’ 

অন্যদিকে বিএবির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই খাতকে উজ্জীবত করতে যে ধরনের সহযোগিতা দরকার, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঋণখেলাপি নিয়ে কথা বলেছি। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নীতিনির্ধারকরা অনেক সময় যেসব সিদ্ধান্ত নেন, তাতে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয় না। যে কারণে নীতিগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হয় না। দেখা গেছে, ঘুম থেকে উঠে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার পেলাম। সেখানে কিছু বিষয় ঠিক থাকে। আবার অনেক বিষয় পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকে না। এ সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এতে আমরা যারা অংশীজন রয়েছি, তারা ভালোভাবে নীতি বাস্তবায়ন করতে পারব। এ জন্য আমাদের দরকার ভালো নীতি। এ বিষয়টি অর্থ উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে।’ 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পোশাকশিল্পের প্রধান বাজার আমেরিকা, ইউরোপ। কাজেই পোশাকের মূল্য কী হবে না হবে, তা নির্ভর করবে কাস্টমারদের ওপর। পোশাক খাত টিকিয়ে রাখা খুব সহজ নয়। এটি একটি ‘ডেডিকেট সেক্টর’। যারা মালিক তারা বোঝেন একটি কারখানা চালাতে কী ধরনের কষ্ট সইতে হয়।” 

তিনি বলেন, ‘পোশাকের মূল্য নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর ওপর নির্ভর করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ সবকিছু পরিশোধ করতে হয়। শুধু কাপড় সেলাই করলেই পোশাক তৈরি হয় না। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক অনেক কিছু রয়েছে। ভিয়েতনামসহ অনেক দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। কাজেই পোশাকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সব দিক থেকে সাপোর্ট দিতে হবে।’ 

ব্যাংক মালিকরা কী চান সরকারের কাছে- এ প্রশ্নের উত্তরে আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘আমরা চাই ভালো নীতি। যাতে কম সুদে ঋণ পেতে পারি এবং সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারি।’ 

ব্যাংকের পরিচালকরাও টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, এমন উদাহরণও রয়েছে- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তাদের সংখ্যা কম। কে করেছে আমি জানি না।’ 

বিএবি চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভালো পলিসি (নীতি) করবে। এর ফলে ব্যাংক খাতের সংকট নিরসন হবে। তবে রাতারাতি সব করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে। তার মতে, যখন একটা ব্যাংক সমস্যায় পড়ে, তখন আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাদের আস্থা নষ্ট হয়। আস্থা ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে।

অনলাইনে ৫০ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
অনলাইনে ৫০ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

অনলাইনে গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত আয়কর বা ই-রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর করদাতাদের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম উন্মুক্ত করা হয়। তখন থেকে গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫০ হাজার ই-রিটার্ন জমা পড়েছে।

এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে আয়কর বিভাগের সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১০ লাখ করদাতা অনলাইনে আয়কর নথি বা রিটার্ন জমা দেবেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কর কর্মকর্তাদের চেহারা না দেখলে করদাতারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া হলে হয়রানি বন্ধ হয়।’

অনলাইন রিটার্ন জমাসংক্রান্ত কল সেন্টার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু আছে। আগামী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সব করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাবে। আবার এই সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাবে।

অন্য জেলার মাছে মিটছে টাঙ্গাইলে মাছের সংকট

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
অন্য জেলার মাছে মিটছে টাঙ্গাইলে মাছের সংকট
টাঙ্গাইলের বাসাইলে মাছ ধরা উৎসব। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলে নদ-নদী ও জলাশয়ে দেশীয় মাছের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। সম্প্রতি মাছের উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এতে অন্য জেলা থেকে ৭৫ শতাংশ মাছ সরবরাহ করতে হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মা ও পোনা মাছ নিধন, চায়না দোয়ারি ও কারেন্ট জালের ব্যবহার, কীটনাশক এবং শিল্পবর্জ্যের প্রভাব দেশের মাছের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও আধুনিক মাছ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

টাঙ্গাইলের সারুটিয়া গ্রামের জেলে রুবেল বেপারি প্রায় ২০ বছর ধরে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী থেকে মাছ শিকার করছেন। কয়েক বছর আগে এক টানে ১০-১২ কেজি মাছ পেলেও, চলতি ভরা মৌসুমে মাছ পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ২ কেজি। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মাছের আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় মাছ কমে যাচ্ছে।

যমুনা নদীর মাছের জন্য বিখ্যাত ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজারে সারা রাত মাছ ধরে জেলেরা ভোরে নৌকাযোগে দেশীয় মাছ নিয়ে আসেন। কয়েক বছর আগে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারে প্রতিদিন ৫০ মণ মাছ উঠলেও এখন মাছ উঠছে সর্বোচ্চ ১০ মণ। আড়তদাররা জানিয়েছেন, নানা কারণে নদীতে মাছ কমে যাওয়ায় জেলেরা কাঙ্ক্ষিত মাছ পাচ্ছেন না, ফলে বাজারটি তার জৌলুস হারাচ্ছে।

আড়তদার ইসমাইল শেখ বলেন, ‘আগের মতো এখন আর মাছ ধরতে পারি না। আগে ৫০ মণ মাছ ধরতাম, এখন ১০ মণও হয় না। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

জেলেরা অভিযোগ করেছেন, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে আইন অমান্য করে ডিমওয়ালা মা মাছ, পোনা মাছ নিধন, চায়না দোয়ারি, কারেন্ট জাল ও হিট ব্যবহার করে নানা অবৈধ পন্থায় মাছ শিকারের কারণে দেশীয় মাছ কমে যাচ্ছে। উজ্জ্বল নামে এক জেলে বলেন, ‘গ্রামে ও নদীর পাশ দিয়ে কিছু মানুষ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল ফেলে মাছ শেষ করে দেয়। পোনা মাছগুলো যদি ভালোভাবে বড় হতে পারত, তাহলে মাছের ঘাটতি থাকত না।’

টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ বেপারী জানান, টাঙ্গাইলের অন্যতম বড় মাছের আড়ত পার্ক বাজার। দেশীয় মাছ কমে যাওয়ায় প্রতিদিন ভোরে বাজারে আসা চাহিদার ২০ থেকে ২৫ ট্রাক মাছই চাষ করা, যার ৭৫ শতাংশ ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসে।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ২৫০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, নদী ও মুক্ত জলাশয়ের পার্শ্ববর্তী জমিতে কীটনাশক ব্যবহার এবং বিভিন্ন কল-কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে ফেলায় দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। এ ছাড়া নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণ ও নদীর নাব্য কমে যাওয়ায় মাছের বংশবিস্তার ব্যাহত হচ্ছে। দেশীয় মাছ রক্ষায় জনসচেতনার পাশাপাশি মাছ চাষের আইন শতভাগ বাস্তবায়ন করা জরুরি।’

টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বছরে প্রায় ৮৮ হাজার টন মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় প্রায় ৬৫ হাজার টন। ঘাটতি পূরণ করতে বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ সরবরাহ করতে হয়। এতে উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উন্মুক্ত জলাশয় থেকে চায়না দোয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হচ্ছে।’
 
জন সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশীয় মাছের সুদিন ফিরে আসবে, এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

সাক্ষাৎকার শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র আছে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র আছে
মোহাম্মদ হোসেন

সম্প্রতি দেশের কারখানাগুলোয় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। এতে কারখানার শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেলে দেশের পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বর্তমানের চেয়ে আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের ডেলমাস গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। সম্প্রতি খবরের কাগজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুস সাত্তার

খবরের কাগজ: আপনার পোশাক কারখানা ও ব্যবসা কেমন চলছে?

মোহাম্মদ হোসেন: মোটামুটি চলছে। কিছু অর্ডার আছে, সেগুলো দিয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে কোনো রকমে কারখানা টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের বিশ্বাস, একসময় দেশের পোশাক খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা বন্ধ না করে চালিয়ে যাচ্ছি। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের পোশাক খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমরা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

খবরের কাগজ: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের পোশাক রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি?

মোহাম্মদ হোসেন: জাতিসংঘের অধিবেশনে যাওয়ার আগে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি। বিজিএমইএ নেতারা প্রধান উপদেষ্টাকে জিএসপি বিষয়ে অবহিত করেছেন। দেশের তৈরি পোশাক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে হবে। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন এবং সম্মতি জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তিনি বৈষম্যের শিকার হওয়া এই পোশাক খাতের দিকে নজর দেবেন। আমরা আশা করতে পারি, বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাত আবার প্রসারিত হবে। আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। দেশের মানুষের ঘরে ঘরে চাকরি সৃষ্টি হবে। দেশের উন্নয়ন হবে। দেশ এগিয়ে যাবে।

খবরের কাগজ: বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টসশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ বৃদ্ধি পেয়েছে কেন?

মোহাম্মদ হোসেন: ঢাকার আশুলিয়া, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। গত সরকার যেভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে অনুযায়ী শ্রমিকরা মেনে নিয়েছেন। সব মালিক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করেছেন। সুতরাং কোথাও ঝামেলা থাকার কথা না। তবে যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন সেনাবাহিনী। তারা গার্মেন্টসের প্রতি অনেক আন্তরিক। সুতরাং সুন্দর ও সঠিকভাবে কারখানা এগিয়ে যাক, এটিই কামনা করি। 

খবরের কাগজ: দেশের পোশাক খাতে বায়ারদের নতুন করে ফেরানোর জন্য করণীয় কী?

মোহাম্মদ হোসেন: আমাদের দেশের পোশাকের চাহিদা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। ইউরোপে পোশাক অবাধে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু জিএসপির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তা সম্ভব নয়। যদি জিএসপি সুবিধা পাওয়া যায়, তবে বায়াররা বাংলাদেশে আবার ফিরে আসবে। কারণ একসময় যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির ৪০ শতাংশ রপ্তানি হতো। কিন্তু এখন ১৮ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এক যুগ আগে কারখানা ও শ্রমিকের সংখ্যা কম ছিল। ২০১৩ সালের আগে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, এখন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। বিগত সরকার এসব নিয়ে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে রেখেছিল।

খবরের কাগজ: গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, দেশে কেন তৈরি হয় না?

মোহাম্মদ হোসেন: আমরা বারবার বিগত সরকারকে বলেছি, দেশেই সুতা, কাপড় ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কারখানা করা হোক। কিন্তু সরকার সেদিকে নজর দেয়নি। এবার কিছু কারখানা মিরসরাই শিল্পজোনে স্থাপন হয়েছে। সেখানে উৎপাদন শুরু হলে বিদেশের ওপর চাপ কিছুটা কমবে। আমাদের গার্মেন্টসশিল্পকে আরও মসৃণ করা প্রয়োজন। কারণ গার্মেন্টস দেশের উন্নয়নের গেটওয়ে।

খবরের কাগজ: গার্মেন্টসশিল্পের অগ্রগতিতে কী কী বাধা আছে বলে মনে করেন?

মোহাম্মদ হোসেন: গার্মেন্টসশিল্পের অগ্রগতিতে বাধা বলতে আমি কিছুই দেখছি না। সরকার যদি সহযোগিতা করে, তাহলে এই শিল্প অনেক দূর এগিয়ে যাবে। মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ শিল্পের অগ্রগতির জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকার গার্মেন্টস মালিকদের পাশে দাঁড়ালে এই খাত এগিয়ে যাবে। দেশে ডলারসংকট থাকবে না। দেশ আরও উন্নতি করবে। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শিল্পজোনে চীনের বিনিয়োগকারীরা আসছেন। তারা পারলে আমরা কেন পারব না?

খবরের কাগজ: গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কী?

মোহাম্মদ হোসেন: পোশাক তৈরি করে রপ্তানির পর যদি কোনো কারখানার মালিক পুঁজিতে সমস্যা অনুভব করেন, তখন তার মূলধনের ওপর চাপ পড়ে। একসময় দেখা যায়, তিনি অনেক টাকার ঋণের মধ্যে পড়ে গেছেন। এরপর চেষ্টা করেন ঘুরে দাঁড়ানোর। না পারলে, তাকে কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়। তখন সরকারের উচিত ওই গার্মেন্টসের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারের কোনো দপ্তরই গার্মেন্টের সুযোগ-সুবিধা ভালোভাবে দেখভাল করে না। সরকার যদি কম সুদের ঋণ দিতে পারে, তাহলে গার্মেন্টসগুলো টিকে থাকতে পারবে। 

খবরের কাগজ: ডলারসংকট ও ব্যাংক বন্ধের প্রভাব পড়েছে কি?

মোহাম্মদ হোসেন: ডলারসংকটে গার্মেন্টে তেমন প্রভাব না পড়লেও সম্প্রতি ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে কষ্ট হয়েছে। একসঙ্গে অনেক ব্যাংক বন্ধ থাকায় লেনদেন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে উপদেষ্টাদের একেক দিন একেক কথা বলায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাই সরকারের উচিত হবে, কীভাবে কারখানা চালু রাখা যায়, ওই দিকে নজর দেওয়া।