ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে সংস্কার চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ এএম
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের আগে সংস্কার চান ব্যবসায়ীরা
বৈষম্যবিরোধী সংস্কর পরিষদ সোমবার রাজধানী সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নির্বাচনের আগে আট দফা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির সদস্যদের একটি অংশ। তারা বলেছেন, গত ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিপর্যয় ঘটেছে, ফলে নির্বাচনের আগে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করা জরুরি।

ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে নতুন করে সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন করা, সংগঠনটিতে মনোনীত পরিচালক নিয়োগ করার প্রথা বাতিল, পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা প্রভৃতি।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ নামে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক জাকির হোসেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি ও জোটের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, সমন্বয়ক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী ও মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, গত ১৫ বছর এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রম সার্বিকভাবে ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের স্বার্থে পরিচালিত হয়নি; বরং সংগঠনটি অনির্বাচিত, একদলীয় স্বৈরাচারী সরকারের তোষামোদি ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলসহ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ছিল। এ সময়ে এফবিসিসিআইয়ের ব্যর্থতার কারণে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি মহল রাতারাতি ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছে।

বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের এক সভায় সংগঠনের সংস্কার বিষয়ে সাধারণ সদস্যরা মত দেন। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে এফবিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

যেসব সংস্কার চান ব্যবসায়ীরা

বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের অন্যতম দাবি হলো, এফবিসিসিআইয়ের পরবর্তী নির্বাচনের আগেই সংগঠনটির অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন করা। পরিষদের নেতারা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের অধিকাংশ বাণিজ্য সংগঠনে সীমাহীন দলীয়করণ হয়েছে। বর্তমানে অনেক চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছেন এবং অনেকে পলাতক। এ অবস্থায় আগে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন করা জরুরি।

ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মনোনয়নের মাধ্যমে অনেক অযোগ্য ও ব্যবসায়ী নন এমন ব্যক্তি এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে এসেছেন। এসব ব্যক্তি সংগঠন থেকে সিআইপিসহ বিভিন্ন সুবিধা নেন। তাই সংগঠনে মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের কাছে সংগঠনের সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালকদের কোনো জবাবদিহি নেই বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীদের এই গোষ্ঠী। এ জন্য তারা সভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।

এ ছাড়া, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৮০ থেকে অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রস্তাবে তারা বলেন, চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক হবেন। এ ছাড়া সহসভাপতির সংখ্যা ৭ জন থেকে কমিয়ে ৩ জন করার পরামর্শ দেন তারা।

এফবিসিসিআইসহ সব বাণিজ্য সংগঠনে কেউ পরপর দুইবার নির্বাচিত হলে এরপর কমপক্ষে এক মেয়াদের জন্য বিরতি গ্রহণের নিয়ম চালুর দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। সংস্কারপন্থি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছু ব্যক্তি ভুয়া ভোটার ও সিন্ডিকেট তৈরি করে বছরের পর বছর ক্ষমতা ধরে রাখছেন। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদের যেকোনো উপহার বা উপঢৌকন দেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছেন এসব ব্যবসায়ী।

সরকার পরিবর্তনের পরে গত ১৮ আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক বসিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এই প্রশাসক। এখন পরবর্তী নির্বাচনের আগেই প্রস্তাবিত এসব সংস্কার বাস্তবায়নের দাবি জানাল বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।

বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম গ্রহণ করা হবে না: কাস্টমস কমিশনার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম গ্রহণ করা হবে না: কাস্টমস কমিশনার
ছবি : খবরের কাগজ

বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনার মো. জাকির হোসেন। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে কাস্টম হাউসের সম্মেলনকক্ষে ব্যবসায়ীদের সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা সংস্কার, বন্ডের জরিমানা রোহিতকরণ, আমদানি করা গাড়ি খালাসে জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মো. জাকির হোসেন বলেন, 'বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না। এখনই কর্মকর্তাদের এসব বিষয়ে জানিয়ে দিচ্ছি। আর কিছু কিছু বিষয়ে পলিসিগত ব্যাপার থাকবে, সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব।' 

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আমদানি হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সেই বিষয়ে আমিও আপনাদের সঙ্গে একমত। ঊর্ধ্বতন সবার কাছে আপনাদের এক্সেস থাকবে।'

এইচএস কোড পরিবর্তন করে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানা করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এইচএস কোডের ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের বৈসাদৃশ্য দেখা যায়, সেটাও আমরা দেখব।'

তিনি আরও বলেন, পার্টনারশিপ বা কোম্পানি এক হলে লাইসেন্সের ক্ষেত্রে মূল মালিক পরিবর্তন হলেও সমস্যা হবে না। তবে নতুন রুলস কি রয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, সেগুলো দেখে সমাধান করব। লাইসেন্স কখনো হস্তান্তরযোগ্য নয়। তবে এ সমস্যাটা সমাধানে আইনই প্রাধান্য পাবে।'

সভায় ব্যবসায়ী ফোরামের আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম বলেন, 'চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এক সময় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিল্প খাত, বিশেষত উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা। এই দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। তাই বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাস্টম হাউসে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানাই। তা ছাড়া আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও গতিশীল করে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালু, অযৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ বন্ধ, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করে দ্রুত পণ্য খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।'

ফোরামের সদস্যসচিব শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'কাস্টমসে বিদ্যমান শুল্ক মূল্যায়ন বিধিমালার সংশোধন ও সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। তবে সবার আগে প্রয়োজন দুর্নীতির মূলোৎপাটন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা আইন সংস্কার করতে হবে।'

সিঅ্যান্ডএফ ব্যাবসায়ী শওকত আলী বলেন, 'কাস্টমসে হয়রানির একটি ধরন হলো পণ্য খালাসে বিলম্বসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে পণ্যভর্তি কনটেইনারের ওপর ডেমারেজ চার্জ আরোপ বা বৃদ্ধি। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের স্বার্থে এ প্রবণতা বন্ধ হওয়া জরুরি।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য আবু সালেহ, জামাল উদ্দিন বাবলু, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, বন্দর ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল প্রমুখ।

তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/

১৫ দিনের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন চায় রিহ্যাব

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
১৫ দিনের মধ্যে বিধিমালা সংশোধন চায় রিহ্যাব
বোর্ডসভায় রিহ্যাবের নেতারা। ছবি:সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে রিহ্যাব সদস্য ও জমির মালিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। একই সঙ্গে এখন থেকে রিহ্যাব সদস্য বিদ্যমান বিধিমালা ২০০৮ এবং বিএনবিসি ২০২০ অনুসারে বিল্ডিং প্ল্যানের আলোকে ভবন নির্মাণ করবে বলেও জানায় রিহ্যাব।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রিহ্যাবের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় রিহ্যাব নেতারা ড্যাপ এবং বিধিমালা সংশোধনে সময় ক্ষেপণ করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আয়োজিত সভায় রিহ্যাব নেতারা বলেন, বিধিমালা সংশোধনে রাজউক এর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে একাধিক সভা হয়। রাজউক চেয়ারম্যান ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিহ্যাবের কাছে প্রস্তাবনা চান। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে (৭ দিনের মধ্যে) বিধিমালা সংশোধনের বিস্তারিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

আবাসন ব্যবসায়ীরা বলেন, রিহ্যাব তার কথা রাখলেও বিভিন্ন সময় রাজউক বিধিমালা সংশোধনে একাধিকবার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে পুরো আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বৈষম্যমূলক নতুন নিয়মে জমির মালিকরা জমি ডেভেলপ করার জন্য কোনো জমি দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ফ্ল্যাটের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এবং দ্রুত ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে। সব ধরনের নাগরিকের মাথা গোঁজার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করবেন নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে কাজ
করবেন নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা
নতুন দায়িত্ব নেওয়া বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন(ডানে)।ছবি:সংগৃহীত

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন দায়িত্ব নেওয়া বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। সামগ্রিকভাবে দেশের জনগণের জীবনযাত্রা সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। গতকাল সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন সেখ বশির উদ্দিন। পরে সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকার ছিল উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রণালয়ের তার প্রথম কার্যদিবস।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতির ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। শ্রমিকের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাকে জীবনমানের সঙ্গে আপস করতে হচ্ছে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ম্যাজিক প্রত্যাশা করছি না। আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব। আপনারা আমাকে সহযোগী হিসেবে পাবেন। আপনাদের কাজ আরও কার্যকর করার জন্য ইনসাফের সঙ্গে আমার সক্ষমতা অনুযায়ী চেষ্টা করব।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারি, সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে ভালো করা সম্ভব। আমি কর্মকর্তাদের কাছে অতিরিক্ত পরিশ্রম প্রত্যাশা করি।’ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনিও পরিশ্রম করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন ও চার অতিরিক্ত সচিব কাজী মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, মো. আবদুর রহিম খান, নাজনীন কাওসার চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগের মাসেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল দুই অঙ্কের ঘরে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

এই বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিকে নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে, আরেক দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস করে দাম কমানোর চেষ্টা করছে। চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারও করা হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির অনুমতিও দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এমন একসময় বাণিজ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন সেখ বশির উদ্দিন। এতদিন সালেহউদ্দিন আহমেদ অর্থ ও বাণিজ্য উভয় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

 

বাংলাদেশে কোনো মন্দা হবে না

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
বাংলাদেশে কোনো মন্দা হবে না
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা হবে না। কিন্তু দেশে প্রবৃদ্ধির গতি যে কমে গেছে, তা অনিবার্যই ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘আমরা কি শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছি, অবশ্যই না; আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি; অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি।’ এ বিষয়ে একধরনের উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সে জন্য প্রশংসাও থাকা দরকার।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন-২০২৪-এ কথাগুলো বলেন আহসান এইচ মনসুর। ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করে দৈনিক বণিক বার্তা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এ বাস্তবতায় দেশে প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। 

তিনি আরও বলেন, স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দফায় দফায় আলোচনা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বদলানো হয়েছে। নতুন পর্ষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে। একটি ব্যাংক থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা যদি এক পরিবার নিয়ে যায়, তাহলে সেই ব্যাংকের কী থাকে। এসব ক্ষেত্রে নতুন কিছু করতে হবে।

গভর্নর বলেন, ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে, আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছুই করা সম্ভব হবে। কিছু ব্যাংকে পুঁজি সঞ্চার করা হবে, কিছু ব্যাংকে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে আসতে হবে। এসব করার জন্য আইনি কাঠামো প্রয়োজন; সেই কাজ এখন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকের সম্পদের মান পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাংকিং খাত, এই মন্তব্য করে আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘দেশের আর্থিক খাত সবচেয়ে দুর্বল, এমনকি পাকিস্তানের চেয়েও। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। তার জের টানতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যৎমুখী কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং অতীতের জের টানা ও সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক প্রমুখ।

বেক্সিমকো সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ

এদিকে একই অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বেক্সিমকো কয়েক মাস ধরে তাদের শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারছিল না। সরকার অর্থ দিয়ে তাদের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। এখন গ্রুপটিতে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাতে গ্রুপটি (বেক্সিমকো) সচল করা যায়।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন বেক্সিমকোয় রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। কোনো বিজনেস প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি। বেক্সিমকো রিসিভার দেওয়া মানে বন্ধ নয়, বরং এটা সচল করা হচ্ছে। কারণ গত কয়েক মাস বেক্সিমকোর বেতন-ভাতা সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো কোম্পানি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। এটা করা হয়েছে বেক্সিমকো সচল করার জন্য। তারা কয়েক মাস শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারত না। এখন রিসিভার বসানোর মাধ্যমে সচল করা হবে। একই সঙ্গে বেক্সিমকোর রপ্তানির টাকা যেন বেহাত না হয়। দেশের টাকা যেন দেশেই ফিরে আসে দেখতে হবে।’

ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের ব্যাংক খাত। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। আমাদের ব্যাংক খাতে নাজুক অবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। দ্রুত সংস্কার বা সমাধান চাইলে আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে, সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না, এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক করছি বিনিময় হার, বিনিয়োগ পরিবেশ। আমরা আশাবাদী বিনিয়োগ আসবে, আমরা চাই বিনিয়োগ আসুক।’ অর্থ পাচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে, এটা ফিরে পাওয়া কঠিন ছিল। তবে জাল ফেলা হয়েছে এখন গোটানো বাকি। এরই মধ্যে আমরা দেশ ও দেশের বাইরে যোগাযোগ করেছি। আমাদের সহযোগিতার জন্য চলতি সপ্তাহে আমেরিকার প্রতিনিধি আসছে, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি আসবে, বিশ্বব্যাংক আসবে, সিঙ্গাপুরের সঙ্গেও কথা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা শিল্প বন্ধ হয়ে যাক। কারণ সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আবার কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হিসাবও জব্দ করা হয়নি, হবেও না। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। ঢাকায় মোট ব্যাংকিংয়ের ৫৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ শতাংশ বাকিটা অন্য জায়গা। আমরা এটাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের এজেন্ট ব্যাংক বড় কাজ করছে, এমএফএস সেবা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। কিন্তু তাদের নগদ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে কোনো নগদ সহায়তা দেওয়া হয়নি। কারণ ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবল রাখতে হবে। এটা স্ট্যাবল না হলে কোনো বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য, যারা ব্যাংকের টাকা মেরেছে তারা ব্যাংকের সঙ্গে থেকে টাকা ফেরত দেয়। বাইরে যে টাকা চলে গেছে সেসব কীভাবে আইনগত প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনো দেশেই কমে না। চার মাস পার করছি আমাকে আরও আট মাস সময় দিতে হবে। আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্য এলসি খোলা, শুল্ক-কর কমানো হয়েছে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ সংকট এখন নেই। আমি মনে করি, সাপ্লাই সাইডে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট নিয়ে আসতে চাচ্ছি। ব্যাংক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর ( আর্থিক খাত) পাকিস্তানের থেকেও দুর্বল। এটা ঠিক হতে দুই-তিন বছর সময় লাগবে।’

 

অন্তর্বর্তী সরকারের কোনোএজেন্ডা নেই: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনোএজেন্ডা নেই: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সরকার পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো এজেন্ডা নেই। কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডা নেই, আমাদের এজেন্ডা হলো দেশের স্বার্থ। আমরা চেষ্টা করছি এটা নিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বলা হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।’

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অনেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা তিনটা পরিকল্পনা নিয়েছি যেটার মধ্যে রয়েছে মধ্য, শর্ট ও লং-টার্ম। এর মধ্যে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে। আমরা মধ্য ও শর্ট-টাম এমন কিছু করব, অন্য সরকার এসে যেন সেটাকে অব্যাহত রাখতে পারে সেভাবে কাজ করে যাব। এখন আয়বৈষম্য থেকে সম্পদের বৈষম্য বেশি। অধিকাংশ সেবা আমরা অটোমেটেড করার চেষ্টা করছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্তগুলো এখন দ্রুত হয়। ভাবনা-চিন্তা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমরা। দ্রুত আমরা খাদ্যদ্রব্যের দাম, শুল্ক কমানোর চেষ্টা করি। এসবের সিদ্ধান্ত নিতে এর আগে সময় লাগত। আবার কিছু রাজনৈতিক বিষয় থাকে, সেটার জন্য করা সম্ভব হয় না।’

তিনি বলেন, ‘একটা ফুটপ্রিন্ট আমরা রেখে যেতে চাই। যেটা স্বল্প সময়ে বা মধ্যবর্তী সময়ে রেখে যাব, ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা যাতে তা বাস্তবায়ন করে। ফুটপ্রিন্ট যেটা রেখে যাব, সেটায় যেন জনগণ সন্তুষ্ট হয়। তখন রাজনৈতিক সরকারকে জনগণ চাপ দেবে, আপনারা এটা করছেন না কেন ইত্যাদি?’

বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং উপস্থিত ছিলেন।