ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

মুন্সীগঞ্জ বাজারে কমছে শাকসবজির দাম

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
মুন্সীগঞ্জ বাজারে কমছে শাকসবজির দাম
মুন্সীগঞ্জ শহরের একটি সবজি দোকানে বেচাকেনা হচ্ছে। ছবি: বাসস

মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে শাকসবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাকসবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। শীতের শাকসবজি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে এলে দাম আরও কমে আসবে। জেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে পড়েছে। এতে ভোক্তারা সুফল পেতে শুরু করেছেন। প্রান্তিক কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। খবর বাসসের।

গত সোমবার সকাল ৬টায় সদর উপজেলার রামপালে ধলাগাঁও আড়তে গেলে দেখা যায়, প্রান্তিক কৃষক উৎপাদিত শাকসবজি বিক্রির জন্য পাইকারি আড়তে নিয়ে আসছেন। আড়তদার আব্দুল আহাদ দেওয়ান জানান, বাজার সিন্ডিকেট না থাকায় কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। প্রতিদিন ধলাগাঁও আড়তে প্রায় ২০ মণ শাকসবজি পাইকারি বিক্রি হয়। এসব পণ্য নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কারওয়ান বাজারে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ শহরের বাজারে শাকসবজি বিক্রেতা মো. নুরুল হক জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শাকসবজির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। শীতের শাকসবজি বাজারে চলে আসলে আলুসহ সব ধরনের সবজির মূল্য আরও কমে আসবে।

তিনি আরও জানান, ধুন্দল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে শিমের মূল্য ছিল ২৪০ টাকা, বর্তমানে প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে এর মূল্য ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কালো বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গত সপ্তাহে মূল্য ছিল ১২০ টাকা। ১০০ থেকে ১২০ টাকার লাউ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। লালশাক কেজি ৩০ টাকা, পুঁইশাক আঁটি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর জানান, আলুর বিক্রয়মূল্য গত এক সপ্তাহে কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে এখন প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর মৌসুম শেষের দিকে থাকায় হিমাগার থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের শাকসবজি বাজারে আসতে শুরু করলে আলুর বাজারমূল্য কমে আসবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪ হাজার ৯০৭ হেক্টর জমিতে শীতের শাকসবজি আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সদরে ৯৭৪ হেক্টর, টঙ্গিবাড়ীতে ৫০০ হেক্টর, শ্রীনগরে ৬৭০ হেক্টর, সিরাজদিখানে ১ হাজার ৬১০ হেক্টর, লৌহজঙ্গী ৪২০ হেক্টর এবং গজারিয়ায় ৭৩৩ হেক্টর জমি। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টিতে শীতের সবজির চারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবজি বাজারে আসতে বিলম্ব হচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সবজি আসলে বাজারমূল্য আরও কমে আসবে।

দাম বাড়ানোর পর মিলছে সয়াবিন তেল

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
দাম বাড়ানোর পর মিলছে সয়াবিন তেল
সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পর বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় ১ কেজি আর ২ কেজির বোতলের সয়াবিন তেল। লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর পর এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল। ছবি: সংগৃহীত

দাম বাড়ানোর জন্য গত সপ্তাহে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত সয়াবিন তেল। সরকার লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিলে বাজার স্বাভাবিক হয়। পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল। নতুন ধান ও আলু উঠলেও কমেনি দাম। গতকালও খুচরা পর্যায়ে পুরোনো আলু কেজি ৭৫ টাকা ও নতুন আলু ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। চালের দামও সেই পথে। এখনো সরকার নির্ধারিত দরে মিলছে না ডিম, মুরগি। তবে চিনির দাম কমেছে। কেজি ১২৫ টাকা। আগের চেয়ে সবজিতেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১০০-৮০ টাকায় নেমেছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

দাম বাড়ানোর পরও শর্ত দিয়ে তেল বিক্রি
গত সপ্তাহে সরকার নির্ধারিত দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়াটা যেন সোনার হরিণ ছিল। সরকার ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ টাকা ও ৫ লিটার ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল। মিলমালিকরা দাম বাড়ানোর জন্য সরবরাহ বন্ধ করে দেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে গত সোমবার সরকার লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা করে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই অধিকাংশ দোকানে মিলছে সয়াবিন তেল। তবে কোনো কোনো কোম্পানি শর্ত দিয়ে তেল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা আমলে নিয়ে জাতীয় ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ অধিদপ্তর কারওয়ান বাজারের টিকে গ্রুপের ডিলার মেসার্স সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজকে জরিমানা করে। এ ব্যাপারে মেসার্স সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু বকর সিদ্দিক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি পুষ্টির সয়াবিন তেল, আটা, চাল, সরিষার তেলসহ ১০টি পণ্য বিক্রি করি। খুচরা বিক্রেতা এসব ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য কেনেন। তাই নিতে বলি। কিন্তু চাল, আটা ছাড়া তেল বিক্রি করি না। এটা বাজে অভিযোগ। কেউ এমন অভিযোগ করায় ভোক্তা অধিদপ্তর আমাকে গতকাল জরিমানা করেছে।’ 

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার, কৃষি মার্কেটসহ অন্য বাজারেও দেখা গেছে দাম বাড়ানোর পর আগের মতো সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে। এসব বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই ছোলার কেজি ১৪০-১৬০ টাকা, মুগডাল ১৮০ টাকা কেজি, মসুরডাল ১১০-১৩৫ টাকা, ২ কেজির প্যাকেট আটা ১০০-১৩০ টাকা, খোলা আটার কেজি ৪০ টাকা। তবে চিনির দাম কমেছে। আগের সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। 

বাড়তি চালের দাম
বোরো ধান উঠার পরও কমেনি চালের দাম। অন্তর্বর্তী সরকার চালের দাম কমাতে গত ৩১ অক্টোবর চাল আমদানিতে সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের চালের দাম বেশি। তাই আমদানি করা হচ্ছে না। তাই বিভিন্ন বাজারে আগের মতোই বেশি দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের রতন রাইস স্টোরের রতন মিয়া, হাজি এন্টারপ্রাইজের হাজি মো. মাঈনুদ্দিনসহ অন্য চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘সরকার শুল্ক কমালেও বাইরের চাল দেশে আসে না। আবার নতুন ধান উঠলেও তা বাজারে আসেনি। কারণ আমন ধানের চাল মোটা। বাজারে চাহিদা কম। এ জন্য কম বিক্রি হয়। চিকন চালের চাহিদা বেশি হওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মিনিকেটের কেজি ৭২-৭৬ টাকা, আটাশ চাল ৬০-৬২ টাকা ও মোটা চাল ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ৫০ কেজির বস্তা কিনলে দাম একটু কম। 

কমের দিকে সবজি 
শীতের ভরা মৌসুম শুরু হওয়ায় অধিকাংশ সবজি বাজারে উঠেছে। সবজি বিক্রেতারা বলেন, প্রতি সপ্তাহেই বেগুন, টমেটো, শিমসহ অধিকাংশ সবজির দাম কমছে। বেগুন ও শিমের কেজি ৬০-৯০ টাকায় নেমেছে। টমেটোর দামও কমে ১২০-১৪০ টাকায় নেমেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৮০-১০০ টাকা। বরবটি, কচুর লতির কেজি ৭০-৮০ টাকা কেজি। ঝিঙ্গা, কচুরমুখি ৭০ টাকা, পটোল ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, চালকুমড়ার পিসও ৪০-৬০ টাকার ঘরে। পুঁইশাক ও লাউ ডগার আঁটি ৩০ টাকা, লাল, পালং, কলমি ও পাটশাক ১০ টাকায় নেমেছে। 

নতুন আলু উঠলেও পুরোনোটা বেশি দামে বিক্রি
গত সপ্তাহে নতুন আলু ১১০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল ৭০ টাকায় নেমেছে। তবে এখনো চড়া দামে পুরোনো আলু ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। অথচ আলুর দাম কমাতে সরকার শুল্ক অর্ধেক কমিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে। তারপরও কমছে না দাম। 

তবে আমদানি বাড়তে থাকায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতের পেঁয়াজ ৯০ টাকায় নেমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। আগের সপ্তাহের মতোই বিদেশি রসুন ২৪০ টাকা ও দেশি রসুন ২৬০ টাকা, দেশি আদার কেজি ১৬০ টাকা ও চায়না আদা ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

কমেনি মাংস ও মাছের দাম 
সরকার ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগির কেজি ২৭০ টাকা বেঁধে দিলেও গতকাল আগের মতো ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরুর মাংসের কেজিও আগের মতো ৭০০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। ডিমের দাম ১৪২ টাকা বেঁধে দিলেও ১৪০-১৫০ টাকার কমে মেলে না বাজারে। এদিকে নদী খাল-বিলের পানি কমলেও অন্যান্য পণ্যের মতো মাছের দামও কমছে না। আগের মতোই রুই-কাতলার কেজি ৩৫০-৬০০ টাকা। চিংড়ি ৬০০-১২০০ টাকা, কাজলি ১০০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০-৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশের কেজি ২০০-২৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ইউক্রেন থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম আমদানি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
ইউক্রেন থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম আমদানি
এমভি এনজয় প্রসপারিটি। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ইউক্রেন থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ টন গম চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি এনজয় প্রসপারিটি নামে একটি জাহাজ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গমের নমুনা  পরীক্ষা শেষে খালাসের কাজ শুরু হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে বন্দরে ৩১ হাজার ৫০০ টন গম খালাস হবে এবং ২১ হাজার টন যাবে মোংলা বন্দরে।

মেহেদী 

ইউরো পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
ইউরো পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু
প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ৩০ লাখ ইউরোর ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে। এটি শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলা, অভিবাসন খরচ কমানো এবং বাংলাদেশে শ্রম অভিবাসনে ইচ্ছুক জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ বাড়াবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আয়োজিত প্রোগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তিন বছরে ২০২৪-২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ইইউতে কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা পূরণের জন্য তিন হাজার কর্মীকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে প্রোগ্রামে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া প্রকল্পটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। দক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগে এই উদ্যোগগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, এই প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বেশি উপকারী হবে। এটি প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং ন্যায্য নিয়োগকে সহজতর করার লক্ষ্যে কাজ করবে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার বলেন, ইইউ-বাংলাদেশ ট্যালেন্ট পার্টনারশিপকে রূপান্তরকারী এবং সবার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করবে, অভিবাসী শ্রমিকের মানবাধিকার ও সম্মান রক্ষা হবে। আইনি অভিবাসনের পথ তৈরির পাশাপাশি আমাদের অনিয়মিত অভিবাসন শেষ করতে এবং পাচার ও শোষণের দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে কাজ বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ। তার জন্যই আমাদের এই প্রজেক্ট। এই ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে জনশক্তি তৈরি করা। যাতে তারা ইউরোপের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ পাবে। উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাবে।’

আইএলও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আইনি অভিবাসনের পথ এবং অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর ওপর জোর দিয়ে প্রকল্পটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শ্রমবাজারে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী শ্রম অভিবাসনের জন্য তাদের দক্ষতার মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আইনি অভিবাসনের পথ এবং অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর ওপর জোর দিয়ে প্রকল্পটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শ্রমবাজারে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী শ্রম অভিবাসনের জন্য তাদের দক্ষতার মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
সংগৃহীত

বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে অবকাঠামো উন্নয়নে এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।

এডিবি জানায়, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের একটি প্যাকেজ রয়েছে, যা এ ঋণে বাস্তবায়িত হবে। দেশের মালিকানাধীন উদ্যোগ এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসনের প্রচারে এ ঋণ ভূমিকা রাখবে।

এডিবি জানায়, বাংলাদেশ রাজস্ব সংগ্রহের লড়াই করছে। কারণ এটি বিশ্বের সর্বনিম্ন কর থেকে প্রবৃদ্ধি অর্জন। এ ঋণ বাংলাদেশকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উন্নত করার পাশাপাশি দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ করার সক্ষমতা বাড়াবে।

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা উন্নত করা আরেকটি উদ্দেশ্য। এ ঋণ দেশের নিয়ন্ত্রক পরিবেশকে সহজ করবে। পাশাপাশি সবার জন্য সমান সুবিধা দিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপারেশন সহজতর করার জন্য একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। এখানে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা থাকবে।

সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাৎক্ষণিক উন্নয়ন অর্থায়নের প্রয়োজনে সাড়া দেয় এডিবি। সংস্কারের লক্ষ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনের উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক কাজে এডিবি পাশে থাকবে।

একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা
সংগৃহীত

দক্ষতা বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারি প্রণোদনা গ্রহণ, নীতিসহায়তা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বৈশ্বিক পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ভিসা’। 

এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং ভিসার পক্ষে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ে ব্যবসা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নপ্রধান জ্যাসন ডংগুজেক লি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রুতি গুপ্তা। 

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় আগামী ৩ বছরে অন্তত ৫ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে সেবা দেওয়া হবে। 

সমঝোতা স্মারক অনুসারে, নারী-উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ আয়োজন, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ব্যবসা ও প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ করতে পরামর্শ সভা, কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন, ভিসার নিজস্ব বাণিজ্যিক ও এসএমই সেবা এবং সহযোগী ব্যাংকের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের পরিচিতির মাধ্যমে অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছ, ঝামেলামুক্ত ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ছাড় করার ক্ষেত্রে পাইলট প্রকল্প পরিচালনায় সহায়তা, ‘ভিসা গভর্নমেন্ট ইনসাইট হাব’-এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়নের সরকারি নীতিনির্ধারণে সহায়তা এবং সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে রিসোর্স পারসনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। 

শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় আড়াই কোটি বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ সুবিধাভোগী এসএমই উদ্যোক্তার অর্ধেকেরও বেশি নারী। এই সময়ে উদ্যোক্তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ফাউন্ডেশনের প্রায় সাড়ে ৫০০ কর্মসূচির সুবিধাভোগী ১১ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের আটটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সেবা নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার এসএমই উদ্যোক্তা। 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });