ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাজ্যের রপ্তানিতে শুল্ক বাড়াবে

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
যুক্তরাজ্যের রপ্তানিতে শুল্ক বাড়াবে
যুক্তরাজ্যের পোর্ট অব ফেলিক্সস্টো। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব ধরনের আমদানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক (ব্ল্যাঙ্কেট ট্যারিফ) আরোপ করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে একটি বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে রপ্তানিতে যুক্তরাজ্যের ওপর শুল্কের বোঝা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই নীতি বাস্তবায়িত হলে রপ্তানির ক্ষেত্রে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির মুখে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ট্রেড পলিসির (সিআইটিপি) অর্থনীতিবিদদের নতুন একটি বিশ্লেষণে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

সিআইটিপির অর্থনীতিবিদদের মতে, ট্রাম্পের এই নীতি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক রপ্তানি ২ দশমিক ৬০ শতাংশের বেশি কমতে পারে, যার কারণ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং এটির বৈশ্বিক প্রভাব (নক-অন ইফেক্ট)। এই পতন তখনই ঘটতে পারে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার নির্বাচনি প্রচারের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব আমদানির ওপর ২০ শতাংশ এবং চীনা আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করেন।

প্রসঙ্গত, ব্ল্যাঙ্কেট ট্যারিফ এমন একটি শুল্কনীতি যেখানে নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের সব পণ্যের ওপর একই হারে শুল্কারোপ করা হয়। এর ফলে আমদানির খরচ বেড়ে যায় এবং রপ্তানিকারকদের বাজারে প্রবেশের সুযোগ কমতে থাকে। আর নক-অন প্রভাব বলতে একটি ঘটনার প্রভাবে পরবর্তী অন্যান্য ক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রভাবকে বোঝানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বাড়ানোর কারণে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য বাজারেও এটির প্রভাব পড়তে পারে।

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য শুল্কারোপের কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক উৎপাদনে বার্ষিক দশমিক ৮০ শতাংশ ক্ষতি হবে। 

গবেষক নিকোলো তামবেরি একটি ব্লগ পোস্টে বলেন, যদিও ট্রাম্পের কঠোর প্রতিশ্রুতিগুলো একটি আলোচনার কৌশল হতে পারে, তবে ‘এই শুল্কগুলো আরোপ করার সম্ভাবনাও অবশ্যই রয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের যেসব প্রধান খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে মৎস্য, পেট্রোলিয়াম ও খনিজশিল্প। এর ফলে এই খাতগুলোর রপ্তানি প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কমতে পারে। এর মাধ্যমে ওষুধ শিল্প ও বৈদ্যুতিক খাতও প্রভাবিত হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এমনকি যেসব কোম্পানি নিজেরা সরাসরি রপ্তানি করে না, তারাও প্রভাবিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পরিবহন পরিষেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ক্ষতির মধ্যে পড়বে, যাদের ব্যবসা কার্যক্রম বাণিজ্যিক প্রবাহের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিমা ও আর্থিক পরিষেবাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কিছু খাত চীনা রপ্তানির কমে যাওয়ার কারণে উপকৃত হতে পারে। যদি চীনের রপ্তানির ওপর ট্রাম্পের উচ্চশুল্ক আরোপিত হয়, তবে কম প্রতিযোগিতার কারণে টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে লাভবান হতে পারে যুক্তরাজ্য।

ট্রাম্পের শাসনামলে সীমান্ত কর (বর্ডার ট্যাক্স) কতটা বাড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু কূটনীতিক মার্কিন মিত্রদের জন্য সামান্য শুল্কের মতো আরও বাস্তবসম্মত প্রস্তাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টা, সাবেক বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার এই (শুল্ক-সংক্রান্ত) কৌশলের দৃঢ় সমর্থক।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সম্প্রতি বিবিসির নিউজকাস্ট পডকাস্টে বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করব এবং আমি বিশ্বাস করি তারা এটি বুঝবে যে, নিকট মিত্রদের ক্ষতি করা তাদের মধ্যম বা দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের পরিপন্থি।’

কিন্তু ট্রাম্পের আগের শাসনামলে তার প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত লর্ড ডারক যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির ঝুঁকিগুলোকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। তিনি সম্প্রতি বিবিসির নিউজনাইট অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমি আশাবাদী নই। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার তিনি আরও বড় কিছু করতে চান। তিনি বিশ্বাস করেন- এটি কোনো ভাঁওতাবাজি নয়। আমি মনে করি তিনি এটি করবেন।’

যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর) র‍্যাচেল রিভস ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি দুজনেই বলেছেন, তারা মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের বিষয়টি চালিয়ে যাবেন।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যকে হয়তো এমন একটি অবস্থানে পড়তে হতে পারে, যেখানে ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে আলাদাভাবে চুক্তি করার চেষ্টা করে শুল্ক এড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান বেড়েছে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান বেড়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার হেন্ডারসনভিলে একটি মেলায় চাকরিপ্রত্যাশীরা। সংগৃহীত

চলতি বছরের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান আগের মাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কর্মসংস্থানের এই প্রবৃদ্ধি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে শক্তিশালী করার ধারাবাহিকতা আরও এগিয়ে নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, এই মাসে (নভেম্বর) নিয়োগকর্তারা নতুন করে ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ ও বার- এই তিনটি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবর মাসে চাকরির প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের পতনের পর নভেম্বরে কর্মসংস্থান বেশ বেড়েছে। 

বিশ্লেষকরা জানান, অক্টোবর মাসে হারিকেনের বড় ধরনের আঘাত ও শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে চাকরি প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। তবে নভেম্বর মাসের এই পুনরুদ্ধার, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে আরও দৃঢ় করেছে।

কর্মসংস্থানের এই ইতিবাচক পরিসংখ্যানটি এমন একসময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যখন বিশ্লেষকরা আলোচনা করছেন যে, আগামী মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম সুদের হার কতটা কমাবে।

খবরে বলা হয়, ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নেয়। কারণ ঋণের সুদহার কম হলে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং শ্রমবাজারের দুর্বলতা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে এর পরের মাসে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কার্যত থেমে যায়। বোয়িং ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ধর্মঘট এবং বড় ধরনের হারিকেনের কারণে লাখ লাখ কর্মী বেতন পাওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এই প্রেক্ষাপটে আর্থিক নীতি ও সুদের হারসংক্রান্ত ফেডের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

বিবিসি জানায়, নতুন প্রতিবেদনে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধিতে পুনরুদ্ধার দেখা গেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে, পূর্ববর্তী দুর্বলতার বেশির ভাগই সাময়িক ছিল। শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসে কর্মসংস্থান আগের চেয়ে শক্তিশালী ছিল বলে সংশোধিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

অনেক বিশ্লেষক এখনো ধারণা করছেন, চলতি মাসে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকে সুদের হার কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। তাদের মতে, বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি এই প্রত্যাশাকে সমর্থন করে।

এদিকে নভেম্বর কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি বেকারত্বের হারও বেড়েছে। বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ২০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগস্ট মাসের পর সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতি ফেড কর্মকর্তাদের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

তবে সম্প্রতি এক মন্তব্যে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যাংক কর্মকর্তারা দ্রুত সুদের হার কমানোর প্রয়োজন অনুভব করছেন না।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিনিয়োগ কোম্পানি চার্লস শোয়াব ইউকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ফ্লিন বলেন, ‘অর্থনীতি এমন একটি অবস্থানে পৌঁছেছে যেখানে এটি স্বাস্থ্যকরভাবে বাড়তে শুরু করেছে। কর্মসংস্থান প্রায় সম্পূর্ণ ও মজুরির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমরা খুব কম প্রমাণই দেখছি যে, এমন কোনো সমস্যা রয়েছে, যা সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।’

এটি ইঙ্গিত দেয় যে, সুদের হারে পরিবর্তনের বিষয়ে আরও সাবধানী ও পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থান নিচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ, বিশেষ করে যখন অর্থনীতি শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
বিশ্বের বৃহৎ চার অ্যাকাউন্টিং কোম্পানির একটি কেএপিএমজি ইউএসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডায়ান সোয়াঙ্ক বলেছেন, ‘যদিও ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা অনিশ্চিত, তবে আপাতত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইতিবাচক এবং বাজারের মনোভাবও উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে।’ 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফেডারেল রিজার্ভকে সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। কারণ নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর হ্রাস এবং শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

খবরে বলা হয়, গত ১২ মাসে গডড়ে ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ৪ শতাংশ বেড়েছে, যা কিছু বিশ্লেষকের মতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এটি ফেডের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ মুদ্রাস্ফীতির পুনরুত্থান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

ডায়ান সোয়াঙ্ক বলেন, ফেড ইতোমধ্যেই সতর্ক করতে শুরু করেছে যে, তারা সুদের হার কমানোর গতি ধীর করবে। কারণ অর্থনীতি এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘চাকরির বাজারের স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে আমার মনে হয় এখনো যে বিষয়টি প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হলো মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে জেতা।’

বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি বাকৃবি গবেষকদের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি বাকৃবি গবেষকদের
পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে গবেষণাগারে কাজ করছেন গবেষকরা। ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান মজুমদার ও তার গবেষক দল

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের শিক্ষক।

বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার তৈরি বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এ অধ্যাপক।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‘বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাজন প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় কৃষি সম্পদ কাজে লাগিয়ে এবং অপচয় কমিয়ে এই পদ্ধতি খাদ্য উৎপাদনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’

দেশের বাজারে উৎপাদিত ভিনেগারের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই গবেষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভিনেগার উৎপাদন কেবল খাদ্য ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি প্যাকেজিং, কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও ব্যবহৃত হতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর ভিনেগারের চাহিদা বাড়ছে যা বাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’

অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কৃষি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে বন্য খেজুর ইদানিং ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি বেশ সস্তা এবং স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য। এই খেজুর গাছ সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় এবং রাস্তার পাশের জমিতে পাওয়া যায়। তবে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরেও এই বন্য খেজুর দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অব্যবহৃত একটি সম্পদ।’

গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বন্য খেজুরের রস ফারমেনটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিনেগারে পরিণত করা হয়েছে। এ গবেষণায় এক ধরনের ইস্ট ব্যবহার করে ওই রসে অ্যালকোহল তৈরি করা হয় এবং পরে অ্যাসিটোব্যাক্টর প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দিয়ে অ্যালকোহল অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করা হয়।’

গবেষক আরও জানান, গবেষণায় দেখা গেছে যে রসের ঘনত্ব যত বেশি হয় তত বেশি অ্যালকোহল এবং অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘনত্বের রসটি সবচেয়ে ভালো পুষ্টিগুণ, অ্যাসিডিটি ও ম্যাক্রো মিনারেলস (পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম) সমৃদ্ধ হয়। তাই এটি স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পণ্যও বটে।

গবেষণাটি বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা এলসেভিয়ারের (Elsevier) নামকরা সাময়িকী ‘অ্যাপ্লাইড ফুড রিসার্চ’ এ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভিনেগার তৈরির এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয়ের পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চমান অন্যদিকে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

অধ্যাপক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বাকৃবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আরও ছয়জন গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। 

বাকৃবি থেকে গবেষক দলে রয়েছেন- ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকার এবং ওই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ও আ ন ম ইফতেখার আলম।

এ ছাড়া সিকৃবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাহাদ জুবায়ের এবং ডুয়েটের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লোপা আনসারী এই গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন। সূত্র: ইউএনবি

সুমন/পপি/

১২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
১২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। ছবি : সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ১২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিএসইসির ৯৩৪তম কমিশন সভায় চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এ জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির শেয়ার ও এক মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেনে কারসাজির কারণে এসব কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ফরচুন শুজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে আবুল কালাম মাতবরকে ৭ কোটি ২০ লাখ, ডিআইটি কো-অপারেটিভ লিমিটেডকে ১৫ কোটি, কাজী সাদিয়া হাসানকে ২৫ কোটি, কনিকা আফরোজকে ১৯ কোটি, মো. আবুল খায়েরকে ১১ কোটি ও সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

কমিশন সভায় ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করায় সাজিদ মাদবরকে ১ কোটি ৬০ লাখ, মো. বাশারকে ১ কোটি ১৫ লাখ, মো. আবুল খায়েরকে ১৯ কোটি ১৫ লাখ, কনিকা আফরোজকে ২ কোটি ৯০ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৯০ লাখ, কাজী ফুয়াদ হাসানকে ১ লাখ, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৮৪ লাখ ও আবুল কালাম মাতবরকে ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডে ২০২১ সালের ২৮ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে মো. আবুল খায়েরকে ১ লাখ, আবুল কালাম মাতবরকে ১ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ২ লাখ, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, কাজী ফরিদ হাসানকে ৩৫ লাখ, কাজী ফুয়াদ হাসানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডে ২০২১ সালের ৭ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে মো. আবুল খায়েরকে ২ কোটি ৩০ লাখ, আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ১২ লাখ, আলেয়া বেগমকে ১ লাখ, মোহাম্মদ বাশেরকে ১ লাখ, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ১ লাখ এবং সাজেদা মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

কমিশন সভায় তালিকাভুক্ত প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিট লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মাহফুজা আক্তারকে ১২ লাখ এবং দেওয়ান সালেহীন মাহমুদকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে
ছবি : সংগৃহীত

এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নাগালের বাইরে গিয়ে অবিশ্বাস্য হলেও ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে ঠেকেছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

দেশের ৬৪ জেলার ১৫৪টি হাটবাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত, ২০২৪ সালের নভেম্বরে তা কিনতে হয়েছে ১১৩ টাকা ৮০ পয়সায়। সরকার চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা করলেও বাস্তবতা এর ধারেকাছে নেই। কয়েকবার নীতি সুদহারও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি আগামী জুন মাসের মধ্যে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। আমরা আশা করছি, পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যে তা ৫ শতাংশে নামবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। আশা করি, তা সম্ভব।’ 

মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে সুদের হার কমিয়ে আনা হবে জানিয়ে গভর্নর আরও বলেন, ‘বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে।’ 

গভর্নর বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব। গ্রাম ও শহর এলাকার মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। তবে অক্টোবরে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি থাকলেও নভেম্বরে এসে পাল্টে শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে।’

নভেম্বরে গ্রাম এলাকার গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশে, শহর এলাকায় তা আছে ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে গ্রাম এলাকায় ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশে পৌঁছে। যা আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। শহর এলাকায় নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশে। এটা আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। 

জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
জিআই স্বীকৃতি পেল শেরপুরের ছানার পায়েস
শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ছানার পায়েস। ছবি : খবরের কাগজ

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মিষ্টান্ন ছানার পায়েস। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছানার পায়েসকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করে শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরপর নানা তথ্য সংগ্রহ এবং এই খাবারের বিশেষত্ব যাচাই করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ছানার পায়েসকে ৪৩তম জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। 

ছানার পায়েস বা রসমালাই জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় উৎসবে মেতেছেন শেরপুরের বাসিন্দারা। স্বীকৃতি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বাপ্পি দে বলেন, ‘জিআই পণ্য হিসেবে ছানার পায়েসের স্বীকৃতি শেরপুর জেলাকে বিশ্বের দরবারে অন্যভাবে চেনাবে। পাশাপাশি এই ছানার পায়েস দেশ ছাড়াও বিদেশে রপ্তানি হবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে পণ্যটি। মূলত দুধ, চিনি, এলাচের মিশ্রণে তৈরি গুটি গুটি রসালো মিষ্টির নামটি ছানার পায়েস বা রসমালাই।’

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ছানার পায়েস ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তা শেরপুরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দেশের সব জেলাসহ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই ছানার পায়েস বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। এর আগে শেরপুরের তুলশীমালা ধান জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।’