ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

ভরিতে কত কমল স্বর্ণের দাম?

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
ভরিতে কত কমল স্বর্ণের দাম?
ছবি: সংগৃহীত

দুই দফায় বাড়ানোর পর দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম। ভরিতে এক হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের নতুন দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নতুন এ দর রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। পরদিন থেকে নতুন এই দর কার্যকর হয়। এরপর ১১ ডিসেম্বর আরেক দফায় ভরিপ্রতি এক হাজার ৮৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা। যা ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

সবশেষ গত শনিবার স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমার প্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

তবে সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা দুই হাজার ৫৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

নাবিল/মেহেদী/এমএ/

ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি পাদুকা প্রস্তুতকারকদের

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি পাদুকা প্রস্তুতকারকদের
রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকা’ (১৫০ টাকা মূল্যসীমা পর্যন্ত) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের জন্য জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান।

তারা বলেন, পূর্বের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করে ১৫% ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পাদুকা শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেলাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার ওপর ১৫% ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অত্যন্ত অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বিশেষত শ্রমজীবী, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যান চালক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ভ্যাট অব্যাহতির ফলে সরাসরি পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় নিম্ম আয়ের ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় এত উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির মধ্যেও ১৫০ টাকা মূল্যের রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পল সরবরাহ অব্যহত রেখেছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই পণ্যের মূল কাঁচামাল হচ্ছে পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পলজাতীয় অপচনশীল দ্রব্যাদি, যা সংগ্রহ করা হয় দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছিন্নমূল টোকাই ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে। সংগৃহীত এই সমস্ত অপচনশীল পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও রাবারের চপ্পল রি-সাইকেলিং করে পুনরায় উৎপাদন করা হয়। যা পরিবেশের ভারসাম্য তথা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং জলবদ্ধতা রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ভ্যাট অব্যাহতির ফলে তারা রিসাইক্লিং কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে পেরেছিল। এতে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ কমেছে, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হ্রাস পেয়েছে। উক্ত বিবেচনায় ভ্যাট আইনের শুরু হতেই আমাদের উৎপাদিত প্লাস্টিক ও রাবারের পাদুকা ভ্যাট অব্যহতি সুযোগ দিয়ে আসা হয়। এই শিল্প দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় রয়েছে, যা পণ্য উৎপাদনের খরচ কমিয়ে গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী দামে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ভ্যাট আরোপ করা হলে পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’

মালিক সমিতি মনে করছে, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোনভাবেই ১৫% ভ্যাট আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা যায় না। অথচ বিগত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। দৈনন্দিন খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফিতির কারণে এমনেই ব্যবসা ৩০-৪০% কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে।’

তিনি আরও বলেন, যেদিন থেকে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে সেদিন থেকেই এই পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতি ছিলো। এমনকি রি-সাইকেলিং প্লাস্টিক হইতে তৈরিকৃত দানার কোন ভ্যাট নাই। কিন্তু এই পণ্যের ওপর কেন বা কী কারণে ভ্যাট আরোপ হবে?

ভ্যাট আরোপের নেতিবাচক প্রভাব

১. উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি: ১৫% ভ্যাট আরোপ হলে উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে, যা বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর চাপ সৃষ্টি করবে।
২. ক্রেতার ক্ষতি: নিম্ন আয়ের মানুষেরা এই পণ্য কিনতে অপারগ হবে।
৩. শিল্প ধ্বংস: অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, যা ব্যাপক বেকারত্বের সৃষ্টি করবে।
৪. পরিবেশের প্রভাব: প্লাস্টিক ও রাবার দিয়ে তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকা মূলত রিসাইক্লিং পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত পরিবেশবান্ধব পণ্য। এই পণ্য উৎপাদনে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল দ্রব্য, যা স্বাভাবিকভাবে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সংগঠনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, এই পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দুই দিক থেকে পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হয়েছে। প্রথমত, টোকাই এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিক সংগ্রহ করে, যা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত, এই অপচনশীল পণ্যগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য হিসেবে তৈরি হওয়ায় পরিবেশ দূষণ রোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

ব্যবসায়ীদের দাবি ও আন্দোলন কর্মসূচি

সংগঠনটি সরকারের কাছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা।

পরিশেষে সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘আমরা ভ্যাট আইন মানি, তবে তা অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করে দেশের পাদুকা শিল্প এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করুন।’

বিজ্ঞপ্তি/এমএ/

স্বস্থি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন দরকার: বিসিআই সভাপতি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
স্বস্থি ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন দরকার: বিসিআই সভাপতি
ছবি : খবরের কাগজ

সবার মাঝে স্বস্তি ফেরাতে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সত্যি এ মুহুর্তে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কে না অনূভব করছে? আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো ঠিক হয়নি। ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন প্রসেসে যাওয়া উচিত, যাতে সবার মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।’

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংগঠনটির সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, এস এম শাহ আলম মুকুল, জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য শীর্ষ নেতারা।

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী ইজ্জত নিয়ে ব্যবসা করতে চাই। করোনার পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ। এরপরে গত জুলাই-আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এতে গত দুই বছরে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। আমরা যারা উৎপাদনের সঙ্গে আছি তারা হতাশ। এভাবে চলতে পারে না। কারণ সম্প্রতি করের জাল না বাড়িয়ে ধাম করে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হার বাড়ানো হয়েছে। ব্যাংকের সুদ বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ শ্রেণিকরণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে তিন মাসে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই বৃদ্ধির পরও উৎপাদন খরচ বাড়বে না, শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এ ধরণের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য শিল্প উদ্যোক্তাদের খুবই চিন্তিত করে তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টসে বড় ধরণের ধাক্কা লাগবে। আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। সরকারের তথ্য তুলে বাস্তব চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন। সরকারের কাছে দাবি যাতে শিল্পখাতে উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় ফিরে আসুক।’

জাহাঙ্গীর আলম/অমিয়/

খুচরা বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
খুচরা বাজারে কমছে পেঁয়াজের দাম
পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে একটি আড়তে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ পিকআপে তুলছেন দুই শ্রমিক। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ। খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজে ১৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজে ১০ টাকা কমেছে। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারে। 

গত ৮ জানুয়ারি খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে পাইকারি এই বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে খাতুনগঞ্জে কমে আসে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। অর্থাৎ গত ২৬ ডিসেম্বর পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু নতুন বছর আসতেই দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করেন ব্যবসায়ীরা। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে গত ১ জানুয়ারি পাইকারিতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৩ টাকা, ৩ জানুয়ারি ৬০ টাকা ও ৬ জানুয়ারি ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। অপরদিকে গত ৩ জানুয়ারি খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৮ টাকায় বিক্রি হলেও ৮ জানুয়ারি দাম বেড়ে বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। 

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে সরবরাহ বাড়ায় পণ্যটির দাম কমেছে। আশা করছি, পেঁয়াজের দাম সহসা আর বাড়বে না।’ 

এদিকে পাইকারি বাজারে দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের উত্তর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহনেওয়াজ খবরের কাগজকে বলেন, ‘খুচরা দোকানের তুলনায় ভ্যানগাড়িতে আরও কম দামে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তারা আড়াই কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন।’ 

এদিকে কাজীর দেউড়ি ও রিয়াজুদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ৫ টাকা, সোনালি মুরগির কেজিতে ১০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া কমতে শুরু করেছে মাছের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি রুই মাছে (বড় সাইজ) ২০ টাকা কমে ৩৬০ টাকা, কেজিতে ৫০ টাকা কমে লাল পোয়া ৪০০ টাকা, রূপচাঁদার কেজিতে ১০০ টাকা কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কোরাল, কাতলা ও তেলাপিয়া মাছ আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা, কোরাল ৬০০ টাকা ও তেলাপিয়া ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা বাজারে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শিমের বিচি ৯০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আটা ছাড়া মেলে না সয়াবিন, কমেনি ডিম-মুরগি-চালের দাম

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
আটা ছাড়া মেলে না সয়াবিন, কমেনি ডিম-মুরগি-চালের দাম
ছবি: সংগৃহীত

আটা, সুজি, ডাল ছাড়া খুচরা বিক্রেতারা টিকে গ্রুপের পুষ্টি সয়াবিন তেল দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেড় মাস আগে তেলের দাম বাড়ানোর পর আবার মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এ জন্য মিলমালিকরা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। কেউ তেলের সঙ্গে অন্য জিনিসও ধরিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, যা ভোক্তা আইনের লঙ্ঘন। 

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম, মুরগি, চালের দাম কমেনি। তবে সবজির দাম কমতির দিকে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। 

আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি দামের অজুহাতে মিলমালিকরা চাপ দিলে সরকার গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ওই দিন বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেছিলেন, ‘তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। সংকট কাটছে না। বিভিন্ন কোম্পানির পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের তেল সহজে মেলে না। আবার পাওয়া গেলেও আটা, সুজি, ডাল ছাড়া বিক্রি করতে চাচ্ছেন না বিক্রেতারা।’ 

সয়াবিন তেলের ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের ফিউচার হাউজিংয়ের বাসিন্দা ফরহাদুর রহমান অভিযোগ করে খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভাবতে অবাক লাগছে। ডাল ছাড়া তেল দিচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা।’ 

তার এমন অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য সরেজমিনে গেলে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের হাজি স্টোরের মো. কামাল গাজী বলেন, ‘এখানে কথা না বলে ডিলারের কাছে যান, তেলের মিলে যান। তাদের কাছে বলেন, আটা, সুজি, ডাল ছাড়া তেল দেওয়া হয় না কেন? আমরা চুনোপুঁটি। তেলের দাম বাড়ানোর পরও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আবার এক কার্টন তেল দেওয়া হলে পুষ্টি কোম্পানির পাইকারি বিক্রেতারা (ডিলার) এক বস্তা আটা ধরিয়ে দিচ্ছেন। অন্য কোম্পানিও আগে এটা করত। বর্তমানে টিকে গ্রুপের পুষ্টি ব্র্যান্ডের লোকেরা এ কাজ করছেন। আবার তেলের দামও বেশি নিচ্ছেন। পাঁচ লিটারের পুষ্টি তেলের দাম রাখা হচ্ছে ৮৫০ টাকা। যার গায়ে লেখা খুচরা মূল্য ৮৫২ টাকা। এভাবে বেশি দামে কিনে আমরা কী লাভ করব। মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ডিলাররাও বেশি দাম নিচ্ছেন।’

এদিকে কৃষি মার্কেটের মেসার্স পারভেজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী পারভেজ হোসেনও বলেন, ‘টিকে গ্রুপের পুষ্টি কিছু তেল দিচ্ছে। কিন্তু আটা নিতে শর্ত দিচ্ছে। এই বাজারের ইউসুফ জেনারেল স্টোর, মেসার্স মায়ের দোয়া স্টোরসহ অন্যান্য বাজারের খুচরা বিক্রেতাদেরও অভিযোগ মিলমালিকরা তেলের দাম বাড়ানোর জন্য কৌশল করে থাকেন। এ জন্য প্রথমে তারা সরবরাহ কমিয়ে দেন। তারা এটা করার কারণে ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারাও তেলের দাম বাড়িয়ে দেন। আবার কেউ কেউ অন্য পণ্য ছাড়া দেন না।’

এ ব্যাপারে টিকে গ্রুপের ডিলার মেসার্স ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সিদ্দিক বলেন, ‘পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কারও কি আটা-ডাল লাগে না। আপনার লাগে না। কিনলে সমস্যা কী? এগুলো করে লাভ কী। সব কোম্পানি এভাবে দেয়। আমরাও কোম্পানি থেকে এনে বিক্রি করি।’ 

ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি করা রীতিমতো আইনের লঙ্ঘন। কোনো বিধান নেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘সমাজে অসাধু লোকের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। কেউ চুরি করলে তা স্বীকার করে না। তাই ধরা কঠিন। তার পরও বলব, ভোক্তা অধিদপ্তর আইনের আওতায় কাজ করে। প্রমাণ নিয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

আসলে সংকট কোথায়? এসব জানতে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘কোনো ডিলার বা খুচরা বিক্রেতা কীভাবে শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে জানি না। তবে আমাদের কোম্পানি এমন কোনো শর্ত দিয়ে তেল বিক্রি করে না।’ 

তেল সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা (টিকে গ্রুপ) আগের মতোই তেল সরবরাহ করছি। অন্য কোম্পানি কী করছে, তা আমার জানা নেই। ব্যবসার টার্গেট থাকে। আমরাও ডিলারদের বিক্রির টার্গেট দিই। কিন্তু কোনো শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য করি না। স্বাভাবিক নিয়মেই ব্যবসা করা হচ্ছে। রমজানের জন্য সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে। তেলের কোনো ঘাটতি দেখছি না।’

এখনো বাড়তি দামেই চাল বিক্রি

সরকার চালের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। তার পরও বাজারে আগের মতোই বেশি দামে মিনিকেটের কেজি ৭২-৮৫ টাকা, আটাশ চাল ৬২-৬৫, মোটা চাল ৫৪-৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই ছোলার কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৩৫, দুই কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১৩০, চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

কমেনি মুরগির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামও কমেনি। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই ব্রয়লার ১৯০ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি ৩৩০ থেকে ৩৫০, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০, গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি এবং ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। 

কমতির দিকে সবজি 

সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের দামও ৫ টাকা কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি আদা ১২০ ও আমদানি করাটা ২২০ ও রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, বেগুনের দামও ১০ টাকা কমে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, শিম ৩০ থেকে ৫০, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ৯০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপির পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০, লাউ ও চালকুমড়ার পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এসব পণ্য আরও কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রিজার্ভ কমে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ পিএম
রিজার্ভ কমে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেখে যাওয়া ডলারসংকট অনেকটাই কেটে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অব্যাহতভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে রপ্তানি আয়ও। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সূচকের ওপর ভিত্তি করে বাড়ছে রিজার্ভও।

তবে বর্তমানে আমদানি ব্যয় বাড়ায় এবং আগের আমদানি করা পণ্যের অনেক বিল এখন পরিশোধ করায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ পড়ছে। ফলে রিজার্ভ বাড়ার গতি চলমান থাকছে না। অর্থাৎ কখনো বাড়ছে, আবার কখনো কমছে। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ কিছুটা কমে ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২২১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ গণনার মান অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

চলতি বছরের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশ‌মিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। 

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠা‌নিকভাবে প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে। সে সময় বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানো হয়। আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন গভর্নর এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে। আবার বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগানের চেষ্টা করছে। তবে আগের দায় পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।