ঢাকা ২৭ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

বিয়ের পানের ডালা সাজিয়ে সফল উদ্যোক্তা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
বিয়ের পানের ডালা সাজিয়ে সফল উদ্যোক্তা
সিলেটে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে পান, সুপারি, চুন ও ফুল দিয়ে ডালা রঙিন করে তোলেন নারী উদ্যোক্তা অমাবস্যা চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

‘পানের বাটা লড়ে চড়ে পান নাইগো মোর ঘরে, জামাইর মারে দেইক্কা আইছি পান্না বেটার ঘরে’ সিলেটি এই বিয়ের ধামাইল গীতের মতোই পান ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না সিলেটের বিয়ে। এমনকি বিয়ের আগে ‘পানচিনি’ নামে একটি অনুষ্ঠানেরও প্রচল আছে আমাদের দেশে। এই পানচিনি অনুষ্ঠান হয় পাত্র-পাত্রী পছন্দ হওয়ার পর। মূলত বিয়ের তারিখ, বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ঠিক করতে কনের বাড়িতে বরপক্ষের মুরব্বিরা মিষ্টিমণ্ডার পাশাপাশি সঙ্গে নিয়ে যান পান। এ ছাড়া বিয়ের দিনও কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়িতে পান দেওয়া হয়।

তাই যুগ যুগ ধরেই সিলেটি বিয়েতে বড় কনের বাড়িতে পানের ডালা সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। আগেকার দিনে বর-কনের ছোট বোন বা ভাবি এসব পানের ডালা সাজাতেন। তবে বর্তমানে সময় বাঁচানো ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই স্থানীয় ক্রাফটারের কাছ থেকে পানের ডালা সাজিয়ে নেন। আর এখন রাজধানীর পাশাপাশি সিলেটেও আছেন এমন একজন নারী উদ্যোক্তা। যিনি পান, সুপারি, চুন যেভাবে মানুষের মুখের ভেতর রঙিন করে, তেমনি বাহারি পানের ডালা সাজিয়ে মানুষজনের বিয়ের অনুষ্ঠান রঙিন করে তোলেন অমাবস্যা চৌধুরী।

সিলেট নগরীর সুবিদ বাজার এলাকার বাসিন্দা অমাবস্যা। ছোটবেলা থেকেই কাগজ-কাপড় দিয়ে সুন্দর ডিজাইনের ক্রাফট তৈরি করে ঘর সাজাতেন। আত্মীয়স্বজনের বিয়েতে মনের আনন্দে পানের ডালা সাজিয়ে দিতেন। তবে ২০২০ সালে তার এক ব্যবসায়ী বড় বোন ফারমিছ আক্তারের পরামর্শে পেশাদারিভাবে পানের ডালা সাজানোসহ নানা রকম ক্রাফটিংয়ের কাজ শুরু করেন।

পানের ডালার পাশাপাশি বিয়ের শাড়ির ডালা, মানি বাকেট, জন্মদিনের জন্য বা বিয়ের জন্য গিফট বক্স তৈরি করেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডি ‘অমাবস্যা চৌধুরী’ ও ব্যবসায়িক পেজ ‘পানদান ক্রাফট বাই অমাবস্যা চৌধুরী’ থেকে তিনি সব অর্ডার নেন। পাশাপাশি অনেক পরিচিতজন সরাসরি ফোনেও তাকে অর্ডার দেন। ডিজাইন ও আকারভেদে আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকায় পানের ডালা সাজান তিনি। বিয়ের শাড়ির ঢালা, মানি বাকেট, জন্মদিনের জন্য বা বিয়ের জন্য গিফট বক্সে দাম নির্ধারণ করেন ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী। এখন পর্যন্ত তিনি ৫০ কেজি ওজনের লেহেঙ্গার ডালাও সাজিয়েছেন।

অক্টোবর থেকে মার্চ মাসকে বিয়ের মৌসুম ধরে এই ছয় মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকে তার। তবে বিয়ের সিজন ছাড়াও সারা বছরই কমবেশি ক্রাফটিংয়ের কাজ করেন অমাবস্যা। এই চার বছরে ক্রাফটিংয়ের কাজের মাধ্যমে তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছেন।

ক্রাফটার অমাবস্যা চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ক্রাফটিংয়ের কাজ করতে আমার ভালো লাগত। ২০২০ সালে আমার পরিচিত ব্যবসায়ী বড় বোন ফারমিছ আপার ননদের বিয়েতে যাই। সেখানে তিনি আমাকে পানের ডালা সাজানোর দায়িত্ব দিলেন। আমি তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সব কিনে ডালা সাজিয়ে দিলাম। তিনি পানের ডালা দেখে আমাকে বললেন আমি অনেক সুন্দর পানের ডালা সাজাই। আমি যেন প্রফেশনালভাবে এই কাজ শুরু করি। তার উৎসাহে আমি কাজ শুরু করি। এই চার বছরে অনেক কাজ করেছি। আয় হয়তো কমবেশি হয়েছে। কিন্তু আমার কাজ সবাই পছন্দ করেছেন। একজন মানুষের একটি বিশেষ দিনে আমার তৈরি পানের ডালা অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, এটাই আমার প্রাপ্তি।’ 

অমাবস্যা চৌধুরী বলেন, ‘কোনো কাজই ছোট নয়। মন দিয়ে করলে সব কাজেই সফলতা আসে। আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি এই ক্রাফটিংয়ের মাধ্যমে। কারণ বর্তমানে সবাই সৃজনশীলতা পছন্দ করে। যেকোনো কাজে নতুনত্ব চায় সবাই। তাই আমি মনে করি, যে কাজটি আমি করছি, সেটির সব সময় চাহিদা থাকবে। কারণ সবকিছু বন্ধ হলেও বিয়ে কখনো বন্ধ হবে না।’

বিদেশি বিনিয়োগ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পোর্টাল চালু

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
বিদেশি বিনিয়োগ সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পোর্টাল চালু
ছবি: খবরের কাগজ গ্রাফিক্স

‘বিদেশি বিনিয়োগ ও অর্থায়ন’ সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টাল https://www.bb.org.bd/feidportal/index.html চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পোর্টালের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ, অর্থায়নের বিকল্প এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগ সম্পর্কিত তথ্য ও পরিষেবাগুলোতে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদান করা যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমস্ত অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে এই পোর্টালের সুবিধা গ্রহণ এবং তাদের ক্লায়েন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তার লকার খুঁজে পায়নি দুদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তার লকার খুঁজে পায়নি দুদক
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (লোগো)

সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে সেফ ডিপোজিট লকার খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালায়। 

অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন কাজী সায়েমুজ্জমান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল, তার ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম। তবে তাদের কারও নামেই কোনো লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে অভিযান চালানো হবে।’

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাই। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের অনেকেই এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত; অনেকে এখন চাকরিতে নেই। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। সেগুলো এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের সময় দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে আরও কিছু লকার খুঁজে পায়। এর মধ্যে যাদের নামে বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে, তাদের নামেও লকার থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে দুদক ওই সব লকারেও তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়। কেউ যেন ওই সব লকার খুলতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানায় তারা। এরপর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার আর কাউকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুদক তালিকা নিয়ে এসেছিল। তারা লকারের তালিকা খুঁজে দেখেছে, কিন্তু তালিকাভুক্ত কারও লকার খুঁজে পায়নি।’

মৃত্তিকা/সালমান/

সিলেটে অন্য পণ্য না কিনলে মিলছে না সয়াবিন তেল

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
সিলেটে অন্য পণ্য না কিনলে মিলছে না সয়াবিন তেল
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের কালীঘাট এলাকার পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেলের সঙ্গে বাধ্যতামূলক কিনতে হচ্ছে অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে সিলেটের কালীঘাট পাইকারি বাজারে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

কালীঘাট এলাকায় মুদি দোকানের জন্য মালামাল কিনতে এসে সিলেট নগরীর জেরজেরি পাড়ার হবিব স্টোরের মালিক খবরের কাগজকে বলেন, ‘অন্য অনেক পণ্য সঠিক দামে ও পরিমাণ কিনতে পারলেও সয়াবিন তেল কিনতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক লিটারের এক কার্টুন সয়াবিন তেল কিনতে এক বস্তা চাল কিনতে হয়েছে আমাকে। এক বস্তা চাল না কিনলে, ডিলার তেল বিক্রি করবে না। তাই বাধ্য হয়ে এক বস্তা চাল কিনতে হয়েছে।’

একই কথা জানালেন অনেক খুচরা বিক্রেতা। বেশ কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা খবরের কাগজকে বলেন, ‘সয়াবিন তেল কিনতে হলে ডিলাররা সঙ্গে চিনিগুড়া চাল, দুধ, ঘিসহ যে পণ্যগুলো বাজারে চলে না সেগুলো ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা পাড়া মহল্লার মুদি দোকানদার। এক কার্টুন সয়াবিন তেল নিতে গিয়ে চিনিগুড়া চাল নিতে হচ্ছে। কিন্তু এক বস্তা চিনিগুড়া চালের ক্রেতা তো আমাদের দোকানে নেই। সয়াবিন তেল সবার নিত্যপণ্য তাই দোকানে রাখা লাগে। এই জন্য পাইকারদের কাছ থেকে বাধ্য হয়ে তাদের শর্তে সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে।’

সারা দেশের মতো সিলেটের বাজারেও গত কয়েকদিন ধরে সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট চলছে। সেই সংকট এখন আরও বেড়েছে। তাই খুচরা ব্যবসায়ীরা যখনই পাইকারি বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে যান তখন বিভিন্ন কোম্পানির অফ প্রোডাক্ট (বাজারে কোম্পানির যে পণ্যগুলো চলে না) সেগুলো কিনতে বাধ্য করছেন। তাই খুচরা ব্যবসায়ীরা কম পরিমাণে সয়াবিন তেল কিনছেন। এ ছাড়াও বডি রেটের চেয়ে বেশি মূল্যে সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে।’

শনিবার সরজমিনে সিলেটের কালীঘাট পাইকারি বাজারে দেখা যায়, আগে যেভাবে দোকানের সামনে সয়াবিন তেল সাজিয়ে রাখতেন ডিলাররা এখন সেভাবে তেল ডিসপ্লে করছেন না তারা। প্রচুর খুচরা ক্রেতা বাজারে এসেছেন। পেঁয়াজ, রসুন, মসলাপাতি বেশ পরিমাণে কিনলেও সয়াবিন তেল খুব অল্প কিনছেন খুচরা বিক্রেতারা। ক্রেতা যে কোম্পানির সয়াবিন তেল কিনছেন তাকে সেই কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য কিনতে বলছেন। পাইকারদের কথামতো অন্য পণ্য না কিনলে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন না।’

নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার স্বপ্না স্টোরের মালিক মিশন তালুকদার খবরের কাগজকে বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে তেল কিনতে হলে চাল, ঘি কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদেরকে এভাবে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করতে পারি না। তাই দেখা যাচ্ছে, তেল বিক্রি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু অন্য যে পণ্যগুলো কিনেছি সেগুলো দোকানেই থেকে যাচ্ছে।’

এ দিকে কালীঘাটের পাইকাররাও বলছেন একই কথা। বেশ কয়েকজন পাইকারী ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় সব কোম্পানি তেল সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি তেল কিনতে গেলে ওই কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন অফ প্রোডাক্ট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই পাইকরারও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে একই নিয়মে তেল বিক্রি করছেন।’

কালীঘাট পাইকারি বাজারে মেসার্স জননী ভাণ্ডারের মালিক অলক পাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘পুষ্টি কোম্পনির এক কার্টুন ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে ১৩৫০ টাকা দামের ঘি কিনতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন অফ আইটেম কিনতে হচ্ছে। যেগুলো আমরা সচরারচর তাদের কাছ থেকে কিনি না। সেজন্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আমরা তাদের প্রক্রিয়ায় তেল বিক্রি করছি। কারণ ওই অফ আইটেমগুলো না বিক্রি করতে পারলে আমার ক্ষতি হবে।’

সুমন/

মুদ্রা বিনিময় হার: ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম
মুদ্রা বিনিময় হার: ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
প্রতীকী ছবি

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্য। তাছাড়া, পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে আমাদের দেশের মুদ্রা বিনিময় করতে হয়। পাঠকদের সুবিধার্থে আমরা প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার তুলে ধরছি।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, মুদ্রার বিনিময় হার প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। আমরা প্রতিদিন সর্বশেষ বিনিময় হার তুলে ধরছি। আরও বিস্তারিত জানতে স্থানীয় ব্যাংক বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা যেতে পারে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক

মুদ্রা ক্রয় (টাকা) বিক্রয় (টাকা)
ইউএস ডলার ১২২.০০ ১২২.০০
ইউরো ১২৫.৯৯ ১২৬.১৬
ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫১.৩৯ ১৫১.৪৩
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৬.৫১ ৭৬.৫২
জাপানি ইয়েন ০.৮০৫৬ ০.৮০৫৮
কানাডিয়ান ডলার ৮৫.৩৪ ৮৫.৩৫
সুইস ক্রোনা ১১.১৪৯১ ১১.১৫২১
সিঙ্গাপুর ডলার ৯০.০১ ৯০.০৮
চায়না ইউয়ান ১৬.৬৯৮৭ ১৬.৭০৮০
ইন্ডিয়ান রুপি ১.৩৯১৪ ১.৩৯২৩
সৌদি রিয়াল - ৩২.৪২
আরব আমিরাত দেরহাম - ৩২.৫৪

নড়াইলে কমছে বাঁশ-বেত শিল্পের চাহিদা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
নড়াইলে কমছে বাঁশ-বেত শিল্পের চাহিদা
বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি তৈরি করছেন এক নারী। খবরের কাগজ

নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া গ্রামের ঋষিপল্লিতে বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। তবে বাঁশ ও বেতের কাঁচামালের অভাব এবং সস্তা প্লাস্টিক পণ্যের কারণে শিল্পের চাহিদা কমে গেছে। এতে কারিগররা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলেও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ঋষিপল্লিতে বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে খোল, চাঙ্গই, চাটাই, খালই, মোড়া, দোলনা, কুলা ইত্যাদি। প্রতিটি বাড়িতে নারীরা শৈল্পিক হাতের কাজ দিয়ে এসব তৈরি করেন। পুরুষরা এগুলো বাজারে বিক্রি করেন।

তবে বাঁশ ও বেতের স্বল্পতা এবং সস্তা প্লাস্টিকের প্রচলন এই শিল্পের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি মানুষ বাঁশ ও বেতগাছ কাটছেন না, বরং অন্য কাজে তা ব্যবহার করছেন। এর ফলে বাঁশ ও বেতের কাঁচামাল পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো। বর্তমানে প্লাস্টিকের পণ্য সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের দিকে ঝুঁকছেন। এতে কুটির শিল্পের বাজার সংকুচিত হচ্ছে।

নারী কারিগর গীতা রানী বলেন, ‘আমরা বাঁশ ও বেত দিয়ে পণ্য তৈরি করি। পুরুষেরা সেগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে। তবে আমাদের জীবিকা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আরেক নারী কারিগর সন্ধ্যা রানী বলেন, ‘ছোটবেলায় মা-বাবার কাছ থেকে বাঁশ ও বেত দিয়ে কাজ শিখেছিলাম। এখন আমরা বাঁশ কিনে চেরাই করি, পরে বেতি বানিয়ে নানা পণ্য তৈরি করি।’

কারিগর দীলিপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে প্লাস্টিকের সামগ্রী সহজে পাওয়া যায়। তাই কুটির শিল্পের চাহিদা কমে গেছে। বাঁশ ও বেতের গাছও এখন পাওয়া যায় না। কারণ মানুষ তা কেটে চাষাবাদ এবং ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজে ব্যবহার করছেন।’

আউড়িয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ বলেন, ‘ঋষিপল্লিতে ৬৬টি পরিবার রয়েছে। যাদের তিন শতাধিক সদস্য রয়েছেন। ওই পরিবারের সদস্যরা বাঁশ ও বেতশিল্পে নিযুক্ত। তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং স্বল্প আয় এই শিল্পে টিকে থাকতে বাধা সৃষ্টি করছে।’ 

জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মৌসুমী রানী মজুমদার বলেন, ‘বাঁশ ও বেতের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।’