ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দিকনির্দেশনা নেই

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৭ এএম
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দিকনির্দেশনা নেই
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তাতে নীতিগত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রত্যাশিত দিকনির্দেশনা নেই বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট বা বিল্ড। সংস্থাটির মতে, শুধু তাই নয়, এই মুদ্রানীতির কারণে মূল্যস্ফীতি দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে গবেষণা সংস্থা বিল্ড।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্ধবার্ষিক মুদ্রানীতির মাধ্যমে যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে, তার প্রধান লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ-ব্যবস্থা পুনর্গঠন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের বৃদ্ধির প্রবণতা মোকাবিলা করা। এতে মূলত অর্থবাজারের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যা এই মুদ্রানীতির ভালো দিক, তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে এবারের মুদ্রানীতি খুব বেশি কার্যকর হবে না।  

বিল্ডের মতে, নতুন ও চলমান বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি খাত স্বল্প সুদে ঋণ প্রত্যাশা করেছিল। নীতি সুদহার ১০ শতাংশ রাখায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করবে, কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বাড়াবে, মজুরি বাড়াবে, যন্ত্রপাতির ব্যয় বৃদ্ধি করবে, যা নীতিগতভাবে মূল্যস্ফীতি কমানোর কৌশলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শুধু উচ্চ সুদের হার দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়; সরবরাহ সংকট, আমানতকারীদের আস্থার অভাবসহ অন্যান্য কারণও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। যেন প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। 

সংস্থাটির মতে, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে বলে মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতিয়ার্ধের মুদ্রানীতির মাধ্যমে কীভাবে এই সুবিধা কাজে লাগানো হবে সে বিষয়ে কোনো নতুন নীতিগত নির্দেশনা স্পষ্ট করেনি।

সম্প্রসারিত রাজস্ব নীতি ও সংকোচিত মুদ্রানীতির প্রয়োগ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি এখনো ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে, যদিও ২০২৪ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এটি কিছুটা কমেছে, যা প্রধানত খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমার কারণেই হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী দিনে মুদ্রাস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। 

বিল্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজম্যান্ট সুশৃঙ্খল না থাকা, মাঠপর্যায়ে চাঁদাবাজির আধিপত্য, ব্যাপক ইনফরমাল অর্থনীতির উপস্থিতি, রাজনৈতিক খাতে কনফিডেন্সের অভাব মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে আসার পেছনে কাজ করছে। বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের বাজার মাত্র ৮-৯টি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে অলিগোপলি বাজার কাঠামো তৈরি হয়েছে। উচ্চ সুদের হার উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করছে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে। আবার সম্প্রতি প্রকাশিত অর্থনৈতিক শুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতির ৪২ শতাংশ হচ্ছে ইনফরমাল বা অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতি।  অন্যদিকে সম্প্রতি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক নীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে যা মূল্যস্ফীতির একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এনবিআর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা প্রয়োজন। 

এতে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। যেখানে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) ১১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৮ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে, যার ফলে নীতিগত সুদের হার পরিসীমা (+-)১৫০ বেসিস পয়েন্ট নির্ধারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সুদহার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য উচ্চ সুদহার নির্ধারণে নীতিগত নির্দেশনা দিচ্ছে, যেখানে স্প্রেড রেট প্রায় ৬ শতাংশ। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় এই স্প্রেড ধাপে ধাপে কমানো যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিচালনার জন্য ‘ক্রলিং পেগ’ বিনিময় হার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং আন্তব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ বন্ধ রেখেছে, যাতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি বাড়ানো যায়। তবে ব্যাংকগুলোর জন্য স্থিতিশীল বিনিময় হার বজায় রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আন্তব্যাংক বাজারের নির্ধারিত হার অন্যান্য বাজারমূল্যের তুলনায় কম। বাংলাদেশ বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহের জন্য ছয়টি ভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করছে, যা নির্দিষ্ট মুদ্রাভিত্তিক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক সহজেই চাহিদা ও সরবরাহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বৈদেশিক সম্পদ (এনএফএ) ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে, যার প্রধান কারণ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ। চলমান বাজেটে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা সংশোধিত ৯৯ হাজার কোটি টাকার তুলনায় অনেক বেশি। রাজস্ব ঘাটতি প্রথমার্ধে ৫৮ হাজার কোটি টাকা হয়েছে (এনবিআর তথ্য অনুসারে)। এমতাবস্থায় স্থানীয় উৎস থেকে ঘাটতি পূরণ করাই মূল চ্যালেঞ্জ। কারণ ব্যাংকিং খাতে আমানতের পরিমাণ কমার প্রবণতা রয়েছে। মুদ্রানীতিতে এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া সব শেষ ডিসেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার (৯ দশমিক ৮ শতাংশ) নিচে রয়েছে।  শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ২০২৩-২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ  থাকলেও, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-অক্টোবর) তা ২ দশমিক ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। গত নভেম্বর পর্যন্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রবণতা ২৫ দশমিক ১ শতাংশ কমে ১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগের ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়। কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী কৌশল প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যা মুদ্রানীতিতে উল্লেখ নেই।

আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি টাকা পাচার, ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি টাকা পাচার, ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফোনকলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৮৬৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটর অ্যাপল গ্লোবালটেল এবং ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। 

অভিযুক্তরা হলেন, অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান এবং ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা। তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ ও ২০২২ সালে মামলা করা হয়েছিল এবং তদন্ত শেষে চার্জশিট অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিষয়টি রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। 

পৃথক চার্জশিটে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের মাধ্যমে আদায় করা ৪৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৯ টাকা দেশে না এনে পাচার করেছে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান। একই সঙ্গে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এসব আন্তর্জাতিক কলের আয় থেকে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

আরেক চার্জশিটে ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা একইভাবে আন্তর্জাতিক ফোনকলের ৪০৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৩ টাকা পাচার এবং সরকারের রাজস্ব পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২২ সালে অর্থ পাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। আর ২০২১ সালে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়।

মার্চের ২২ দিনে ২৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
মার্চের ২২ দিনে ২৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ উপলক্ষে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বেড়েছে। চলতি মাস মার্চের ২২ দিনে রেমিট্যান্স দেশে এসেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন (২৪৪ কোটি) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা হিসাব ধরে) এর পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার বেশি। এই হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ের নতুন রেকর্ড হতে পারে।

এবারের মার্চে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারে, যা দেশে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড হবে। এর আগে, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। 
রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন হওয়ার পর প্রবাসী আয়ের গতি বাড়ে। একই সঙ্গে কমে গেছে হুন্ডি ব্যবসা এবং অর্থ পাচার। বর্তমানে, ব্যাংকগুলোতে খোলাবাজারের মতোই রেমিট্যান্সের ডলার পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী।

মার্চের ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মাধ্যমে এসেছে ৫৩ কোটি ডলার, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

তবে, এই সময়কালে ৭টি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।

এছাড়াও মার্চের ২২ দিনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের চেয়ে ৩৫৫ কোটি ডলার বেশি।

এমএ/

অভিনেতা মাহফুজ ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
অভিনেতা মাহফুজ ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান কাদের

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান কাদের, শ্বশুর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রবিবার (২৩ মার্চ) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে তাদের নিজ নামে কিংবা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা হিসাবের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

একই দিনে জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করতে চিঠি দেয় এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল।

অন্যদিকে গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। 

পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি চাইলেও বন্ধ করতে পারব না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি চাইলেও বন্ধ করতে পারব না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি: খবরের কাগজ

পায়রা বন্দরকে দেশের অর্থনীতির বিষফোঁড়া আখ্যায়িত করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি বন্ধ করতে চাইলেও পারব না। কারণ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অনেক খরচ করা হয়েছে।’ 

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সভায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনীসহ ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ ছয় হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ বন্দরের কারণে অনেক জমি নষ্ট হয়েছে। সুন্দরবন ধ্বংস হয়েছে। এ বছর ১০টি নদী রক্ষায় একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নদী বাঁচাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে বগুড়ার করতোয়া নদী, উত্তরবঙ্গের আহট নদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীসহ অনেক মৃতপ্রায় নদীকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

একনেক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

জাহাঙ্গীর/সালমান/

দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
ছবি:খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বাহারি ডিজাইনের পোশাকে সজ্জিত হয়েছে দাউদকান্দির বিপণি বিতানগুলো। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিক্রি তুলনামূলক কম। ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবে ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতে হচ্ছে।

দাউদকান্দি পৌর সদরের চেয়ারম্যান মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বিপুল সরকার বলেন, ‘অনেক দোকান ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কিছু ক্রেতা পোশাক পছন্দ করে কিনছেন। তবে অনেকে দাম শুনে বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন। ক্রেতা এলেও বিক্রি তেমন ভালো হচ্ছে না। তবে আশা করছি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কেনাকাটা আরও জমবে।’

আহমদীয়া প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সের ক্রেতা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন আগে প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই আগেভাগে এসেছি। পছন্দের পোশাক কিনেছি, আরও কিনব। তবে দাম অনেক বেশি। এ জন্য বেশি সময় নিতে হচ্ছে।’

গৌরীপুর সৌদিয়া প্লাজার ক্রেতা মাহিন আহমেদ বলেন, ‘নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। কিন্তু দাম লাগামহীন। বাজারে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার।’

এদিকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের সময় অপরাধ অনেক বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টহল টিমও সক্রিয় থাকবে। কেউ অভিযোগ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’