ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

ছোলার প্রচুর আমদানি, দামও কমেছে

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম
ছোলার প্রচুর আমদানি, দামও কমেছে
ছবি: সংগৃহীত

রোজাদারের জন্য খেজুরের মতো ছোলাও ইফতারির জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হয়ে গেছে। অভিজাত পরিবার থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষেরও ইফতারির থালায় ছোলা থাকে। রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর সুযোগ নেয়।

গত রমজানে হঠাৎ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে যায়। রমজান সামনে রেখে এবার প্রচুর ছোলা আমদানি হওয়ায় বাজারে ছোলার সরবরাহ বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আসন্ন রমজানে ছোলার দাম বাড়বে না। বরং কমবে। 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় নেমেছে। এক মাসের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৭ শতাংশ কমেছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বার্ষিক ছোলার চাহিদা দেড় লাখের মতো। সে হিসাবে মাসে লাগে সাড়ে ১২ হাজার টন। কিন্তু দেশে খুবই কম উৎপাদন হয়। আমদানি করেই চাহিদা মেটাতে হয়। রমজানে চাহিদা দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৫ হাজার টনে দাঁড়ায়। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘নাবিল গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ছোলা আমদানি করে। তারা দাম বাড়ালেই বাজারে বেড়ে যায়। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে ছোলার। সরকারি সংস্থা টিসিবিও বলছে, গত বছরের রমজানের আগে ৮৫-৯০ টাকা কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু রমজানে বেড়ে ৯৫ থেকে ১১০ টাকায় ঠেকে। রমজান শেষে চাহিদা কমে গেলেও দাম কমেনি। বরং ডলারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে ছোলার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় পৌঁছে। টিসিবির তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসেও ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে ছোলা। কিন্তু রমজান ঘনিয়ে আসায় আমদানিও প্রচুর বেড়েছে। এ জন্য দাম কমতে শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে ৯৫ টাকায় নেমেছে। সেই ছোলা বাজারে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।  

অস্ট্রেলিয়া থেকে চাহিদার ৮০ শতাংশ ছোলা আমদানি হয়। বাকি ছোলা ভারত, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, তানজানিয়া, মায়ানমার ও কানাডা থেকে আমদানি করা হয়। আমদানিকারকরা এবার বিশ্ববাজার থেকে কম দামে ছোলা সংগ্রহ করছে। এ জন্য দামও কমেছে। 

গত বছর থেকেই নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তাই আসন্ন রোজায় আট ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম পর্যায়ে নগদ মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত ১৭ জানুয়ারি এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দেয়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মতো ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ এ মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে হবে। ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে। 

অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানির ঋণপত্র খোলায় অগ্রাধিকার দিতে বলা হয় নির্দেশনায়। তা কাজে লাগিয়ে আমদানিকারকরা প্রচুর ছোলা আনেন। 

আগামী ১ মার্চ থেকে রোজার মাস শুরু হতে পারে। এই সময়ে ইফতারের জন্য বিভিন্ন পদের খাবার তৈরিতে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাড়ে ছোলার চাহিদাও। 

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এবং রাজধানীর লালবাগের পাইকারি বাজারেও কমেছে ছোলার দাম। মাস খানেক আগে পাইকারিতে প্রতি মণ ছোলার দাম ছিল ৪ হাজার ২০০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকায়। অর্থাৎ মণে কমেছে ৫০০ টাকা। কেজিতে ১২ টাকার বেশি। তার প্রভাবে খুচরা বাজারেরও ছোলার দাম কমেছে।

চট্টগ্রামের এবারে প্রচুর ছোলা আমদানি হয়েছে। বাজারে ছোলার কোনো সংকট নেই। সরবরাহও আগের চেয়ে বেড়েছে। নারায়নগঞ্জের নিতাইগঞ্জ, ঢাকার লালবাগের রহমতগঞ্জ থেকেও পাইকারি পর্যায়ে ছোলা বিক্রি হয়। 

এ ব্যাপারে রহমতগঞ্জের ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দাম বাড়াই না। আমদানিকারকরা বেশি দামে বিক্রি করলে আমাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হয়। কেজিতে সামান্য লাভ থাকে। এবারে রমজান উপলক্ষে প্রচুর ছোলা আমদানি হয়েছে। আগে বেশি দামে বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ৩ হাজার ৭০০ টাকা বস্তা (৪০ কেজি), ৯৫ টাকার মধ্যে ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে।’ 

পাইকারিতে দাম কমায় খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করেছে। নিউমার্কেটের সাথী এন্টারপ্রাইজের মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আগের চেয়ে ছোলার দাম কমেছে। এক মাস আগেও ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম। পাইকারিতে কমেছে। এ জন্য আমরাও কম দামে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’ 

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের মনির স্টোরের আনোয়ার হোসেনও বলেন, ‘আগের চেয়ে ছোলার দাম কমেছে, ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কম দামে কেনা। তাই কম দামেই বিক্রি করতে পারছি।’ কৃষি মার্কেটের মুদি বিক্রেতা নাইম শেখও জানান, আগের চেয়ে কমেছে ছোলার দাম। বর্তমানে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সেটা আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ছিল। 

কারওয়ান বাজারের মেসার্স একতা ট্রেডার্সের বিক্রয়কর্মী রায়হান বলেন, ‘এক মাস ধরে ধাপে ধাপে কমছে ছোলার দাম। বর্তমানে ১০০ টাকার মধ্যেই বিক্রি করা হচ্ছে।’ একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা ফরিদগঞ্জ স্টোরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত রমজানের আগে কম দামে ৮০-৯০ টাকা কেজি ছোলা বিক্রি করেছি। রমজানে বেড়ে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়। রমজানের পর আরও বেড়ে যায়। তবে কয়েক দিন ধরে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’  

শুধু বড় বড় বাজারে নয়, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানেও কম দামে ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের জনতা মার্কেটের আক্তার হোসেনও বলেন, ‘মাস খানেক থেকে ছোলার দাম কমেছে। আগে ১২০ টাকার বেশি বিক্রি করা হলেও কয়েক দিন ধরে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি টাকা পাচার, ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে ৮৬৭ কোটি টাকা পাচার, ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং ফোনকলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ৮৬৭ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটর অ্যাপল গ্লোবালটেল এবং ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। 

অভিযুক্তরা হলেন, অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান এবং ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা। তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ ও ২০২২ সালে মামলা করা হয়েছিল এবং তদন্ত শেষে চার্জশিট অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিষয়টি রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। 

পৃথক চার্জশিটে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের মাধ্যমে আদায় করা ৪৬৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৯ টাকা দেশে না এনে পাচার করেছে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন মজুমদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান। একই সঙ্গে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এসব আন্তর্জাতিক কলের আয় থেকে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

আরেক চার্জশিটে ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা একইভাবে আন্তর্জাতিক ফোনকলের ৪০৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৩ টাকা পাচার এবং সরকারের রাজস্ব পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২২ সালে অর্থ পাচারের অভিযোগে ভিশন টেল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। আর ২০২১ সালে অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়।

মার্চের ২২ দিনে ২৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
মার্চের ২২ দিনে ২৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ উপলক্ষে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বেড়েছে। চলতি মাস মার্চের ২২ দিনে রেমিট্যান্স দেশে এসেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন (২৪৪ কোটি) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (ডলারপ্রতি ১২২ টাকা হিসাব ধরে) এর পরিমাণ ২৯ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার বেশি। এই হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ের নতুন রেকর্ড হতে পারে।

এবারের মার্চে রেমিট্যান্স ৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারে, যা দেশে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড হবে। এর আগে, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) আসে গত ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে ফেব্রুয়ারিতে (প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার)। 
রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ৫ আগস্টের পর নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন হওয়ার পর প্রবাসী আয়ের গতি বাড়ে। একই সঙ্গে কমে গেছে হুন্ডি ব্যবসা এবং অর্থ পাচার। বর্তমানে, ব্যাংকগুলোতে খোলাবাজারের মতোই রেমিট্যান্সের ডলার পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী।

মার্চের ২২ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো মাধ্যমে এসেছে ৫৩ কোটি ডলার, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ২০ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

তবে, এই সময়কালে ৭টি ব্যাংকে রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।

এছাড়াও মার্চের ২২ দিনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৮ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের চেয়ে ৩৫৫ কোটি ডলার বেশি।

এমএ/

অভিনেতা মাহফুজ ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম
অভিনেতা মাহফুজ ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান কাদের

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান কাদের, শ্বশুর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রবিবার (২৩ মার্চ) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে তাদের নিজ নামে কিংবা তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা হিসাবের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সাত কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।

একই দিনে জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করতে চিঠি দেয় এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল।

অন্যদিকে গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। 

পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি চাইলেও বন্ধ করতে পারব না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি চাইলেও বন্ধ করতে পারব না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ছবি: খবরের কাগজ

পায়রা বন্দরকে দেশের অর্থনীতির বিষফোঁড়া আখ্যায়িত করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা পায়রা বন্দরের প্রকল্পটি বন্ধ করতে চাইলেও পারব না। কারণ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অনেক খরচ করা হয়েছে।’ 

রবিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সভায় পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধনীসহ ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ ছয় হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ বন্দরের কারণে অনেক জমি নষ্ট হয়েছে। সুন্দরবন ধ্বংস হয়েছে। এ বছর ১০টি নদী রক্ষায় একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নদী বাঁচাতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে বগুড়ার করতোয়া নদী, উত্তরবঙ্গের আহট নদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীসহ অনেক মৃতপ্রায় নদীকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

একনেক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

জাহাঙ্গীর/সালমান/

দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
ছবি:খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। বাহারি ডিজাইনের পোশাকে সজ্জিত হয়েছে দাউদকান্দির বিপণি বিতানগুলো। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়লেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিক্রি তুলনামূলক কম। ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবে ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতে হচ্ছে।

দাউদকান্দি পৌর সদরের চেয়ারম্যান মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বিপুল সরকার বলেন, ‘অনেক দোকান ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কিছু ক্রেতা পোশাক পছন্দ করে কিনছেন। তবে অনেকে দাম শুনে বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন। ক্রেতা এলেও বিক্রি তেমন ভালো হচ্ছে না। তবে আশা করছি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কেনাকাটা আরও জমবে।’

আহমদীয়া প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সের ক্রেতা শারমিন সুলতানা বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন আগে প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই আগেভাগে এসেছি। পছন্দের পোশাক কিনেছি, আরও কিনব। তবে দাম অনেক বেশি। এ জন্য বেশি সময় নিতে হচ্ছে।’

গৌরীপুর সৌদিয়া প্লাজার ক্রেতা মাহিন আহমেদ বলেন, ‘নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। কিন্তু দাম লাগামহীন। বাজারে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার।’

এদিকে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের সময় অপরাধ অনেক বেড়ে যায়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টহল টিমও সক্রিয় থাকবে। কেউ অভিযোগ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’