জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)। এতে ১৮ ক্যাটাগরিতে ১২৬ জনকে প্রাথমিক শিক্ষা পদক দেওয়া হবে। সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৪ জনের হাতে পদক তুলে দেবেন। আর বাকিদের পদক পৌঁছে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’। শিক্ষাসপ্তাহ উপলক্ষে বিদ্যালয়, ক্লাস্টার ও উপজেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা হবে। এতে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী, শিক্ষক, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের পদক ও সনদের মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘চলতি বছর কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি পর্যায়ে স্কুলের সংখ্যা ৮০০-এর মতো বেড়েছে। সব মিলিয়ে ৪৪ হাজারের কাছাকাছি হবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নিবন্ধন ও অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির আওতায় চলে এসেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ের স্কুলগুলো নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে।’
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি করতে হলে- অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ, পদ সৃষ্টিসহ তাদের প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমরা মাঠপর্যায় থেকে অনেক তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে আরও ১৫৪ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করতে পারবে। আগামী তিন বছরে আরও ১ হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার মতো অবকাঠামো আছে। এটা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
কম শিক্ষার্থী থাকা বিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘এটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি প্রায় দেড়শটি স্কুল। এর মধ্যে ওই স্কুলগুলোতে মাত্র ১০ থেকে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে হুট করে আমরা স্কুলগুলো বন্ধ করে দেব না। চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করব। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।’