ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
বাংলাদেশের বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমে সমাজকর্ম পদ্ধতির প্রয়োগ ও অনুশীলন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর: সমাজকর্ম সাহায্যকারী পেশা হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত। সমাজকর্ম পেশার রয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে নানাবিধ সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সমাজকর্মের সব পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বিস্তৃত একটি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংকের সার্বিক কর্মকাণ্ড সমাজকর্ম পদ্ধতি অনুশীলনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
প্রথমত, গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম দলীয় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ক্ষুদ্র দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে দল সমাজকর্ম পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফলতা  পাওয়া সম্ভব। দল সমাজকর্মের হস্তক্ষেপ প্রক্রিয়াগুলো হলো দল গঠন, সমস্যা নির্ণয়, লক্ষ্য নির্ধারণ, মূল্যায়ন। গ্রামীণ ব্যাংকের দলভিত্তিক ঋণদান কার্যক্রমে দল সমাজকর্মের এসব প্রক্রিয়া অতি সহজেই প্রয়োগ করা যায়।

দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা টার্গেট গ্রুপের সব সদস্য সমভাবে ঋণের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সুফল ভোগ করতে পারেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতেও অপারগ হন। এসব ব্যাপারে ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা নির্ণয় করে তাকে ঋণের যথাযথ ব্যবহার এবং ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম করে তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির জ্ঞান, প্রক্রিয়া ও কলাকৌশলের অনুশীলন বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে।
তৃতীয়ত, গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কার্যক্রমেও ব্যক্তি সমাজকর্ম প্রযোজ্য। যেমন- গ্রামীণ ব্যাংকের স্বাস্থ্যকর্মীর দায়িত্ব পালন বা শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধে ব্যক্তি সমাজকর্মের জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োগ করা যায়। 

চতুর্থত, পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচির সফলতা নির্ভর করে স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর। গ্রামীণ ব্যাংকের সমাপ্ত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচির সফলতায়ও স্থানীয় নেতৃত্বের প্রভাব রয়েছে। গ্রাম্য রাজনীতি ও দ্বন্দ্বমূলক পরিবেশে নেতা নির্বাচন এবং তাদের মাঝে নেতৃত্বের বিকাশ সৃষ্টিতে ব্যক্তি সমাজকর্ম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া যেকোনো দেশের জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ জীবনযাত্রা নিশ্চিতকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ব্যক্তি সমাজকর্মের কলাকৌশল প্রয়োগ করা হয়। সেক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের সমাজ উন্নয়ন ও অন্যান্য কর্মসূচিতেও এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ লক্ষণীয়। মোট কথা, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমে সমাজকর্মের অন্যান্য পদ্ধতির মতো ব্যক্তি সমাজকর্ম পদ্ধতির সক্রিয় প্রয়োগ আবশ্যক।

পঞ্চমত, গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক সমস্যা মোকাবিলা ও উন্নয়নে দলীয় প্রচেষ্টা হিসেবে দল সমাজকর্মের অবদান রয়েছে। ব্যক্তির বিকাশ ও উন্নয়নে, গঠনমূলক দলীয় অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে দল সমাজকর্ম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গ্রামীণ ব্যাংকের যেসব অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি চালু রয়েছে সেগুলোকে জনগণের চাহিদা ও সম্পদের ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দল সমাজকর্ম প্রয়োগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে গ্রামীণ ব্যাংক।
ষষ্ঠত, গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য সব কর্মসূচিতে দল ও সমবায় গঠন করে হাঁস-মুরগির খামার, মৎস্য চাষ, দুগ্ধ উৎপাদন, পশুপালন, চাষাবাদ প্রভৃতি আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার সহজ মাধ্যম দল সমাজকর্ম পদ্ধতি।

সপ্তমত, অন্যদিকে সমষ্টি উন্নয়ন হচ্ছে একটি আন্দোলন যার মাধমে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ করে স্বীয় প্রতিভা ও ক্ষমতার বিকাশ এবং সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে উন্নত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। গ্রামীণ জনসমষ্টির কৃষির উন্নয়নে উন্নতমানের বীজ, যন্ত্রপাতি সরবরাহ, সমবায় কৃষি খামার, কৃষিঋণের ব্যবস্থাকরণসহ অন্যান্য কর্মসূচিতে জনগণের বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের অন্যতম উপায় হলো সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতি।

অষ্টমত, সচেতনতা সৃষ্টি, শিক্ষা আন্দোলন, পরিবার পরিকল্পনা, গৃহনির্মাণ প্রকল্প প্রভৃতিতে সমাজকর্মের সামাজিক কার্যক্রম প্রযোজ্য।
নবমত, গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমের আবশ্যকতা নির্ণয়, মাঠপর্যায়ে এর প্রবর্তন, সীমাবদ্ধতা ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের কাজে গবেষণা ও অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রয়োজন হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও মূল্যায়নে গবেষণা করা হয়। এক্ষেত্রে সমাজকর্ম গবেষণা পদ্ধতি অনুশীলনের বিশেষ সুযোগ রয়েছে।
দশমত, গ্রামীণ ব্যাংক দেশে-বিদেশে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই এর ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ জ্ঞান, দর্শন, নীতি ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যকর হতে পারে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, গ্রামীণ ব্যাংকের বিবিধ কার্যক্রমে সমাজকর্মের সবগুলো মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতির প্রয়োগ গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমকে আরও বাস্তবসম্মত ও সফল করে তুলতে পারে।

কামরুন নাহার রুনু, প্রভাষক, সমাজকর্ম
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা/আবরার জাহিন

গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক এবং রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা নির্বাচন ও মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য হিসেবে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান নিয়োগ পেয়েছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (কুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে রাবি ও জাবির উপাচার্য সাময়িক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ চার বছর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও তাদের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা দুয়েক দিনের মধ্যে তুলে ধরব।’

নিয়োগের শর্তানুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

কবির/সালমান/

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৪ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পাওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার পর ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশকৃত পদে যোগদান করেন। অপরদিকে একই বিসিএস থেকে একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে সুপারিশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। অধিকাংশরা যোগদান করতে পারলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ২৭৬ জন প্রার্থীর যোগদান চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। 

গত ২৯ ও ৩০ জুন এবং ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা সমাপ্তির প্রায় দুই মাস শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ পদে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আশেক এলাহী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফল প্রকাশের নয় মাস হয়ে গেলেও আমরা যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে আছি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারছি না। নিয়োগ না হওয়ায় নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। অনেক প্রার্থীই মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

কবির/এমএ/

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হেনস্তা কাম্য নয়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের হেনস্তা কাম্য নয়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্যকরণ বা ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তা করা মোটেও কাম্য নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জেলা প্রশাসকদের তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইফুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এরূপ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হয় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি বা অন্যান্য কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে চ্যান্সেলর তাদেরকে আইনানুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। সরকারি স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যদেরকে এই বিভাগ বা মাউশি প্রয়োজনে বদলিসহ তদন্তক্রমে সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অনুরূপভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, গভর্নিং বডি বা মাউশি কর্তৃক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন। কলেজ বা স্কুল পর্যায়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকদের পদত্যাগ করানোর ঘটনা ঘটে। ফলে শিক্ষকদের হেনস্তার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হয়।