শিক্ষা মন্ত্রণালয়
দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্যকরণ বা ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তা করা মোটেও কাম্য নয় বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জেলা প্রশাসকদের তদারকির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইফুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের প্রধান বা অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। কোথাও কোথাও শিক্ষকরা ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এরূপ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হয় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভিসি, প্রো-ভিসি বা অন্যান্য কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে চ্যান্সেলর তাদেরকে আইনানুযায়ী অপসারণ করতে পারেন। সরকারি স্কুল-কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যদেরকে এই বিভাগ বা মাউশি প্রয়োজনে বদলিসহ তদন্তক্রমে সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। অনুরূপভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, গভর্নিং বডি বা মাউশি কর্তৃক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন। কলেজ বা স্কুল পর্যায়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষকদের পদত্যাগ করানোর ঘটনা ঘটে। ফলে শিক্ষকদের হেনস্তার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হয়।