ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৫টি গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
১৫টি গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

২১. বাজার বিভক্তিকরণ কী?
ক. পণ্যকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা
খ. ক্রেতাদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা
গ. বিক্রয়ের স্থানকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা
ঘ. বণ্টন প্রণালিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা
২২. বাজারজাতকরণ মিশ্রণ কী?
ক. পণ্য, মূল্য, বণ্টন ও প্যাকেজিংয়ের সংমিশ্রণ
খ. পণ্য, মূল্য, বণ্টন ও প্রসারের সংমিশ্রণ
গ. পণ্য, মূল্য, বণ্টন ও যোগাযোগের সংমিশ্রণ
ঘ. পণ্য, মূল্য, বণ্টন ও প্রচারের সংমিশ্রণ

২৩. কোন বাজারের সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক?
ক. ভোক্তা বাজার    
খ. শিল্প বাজার
গ. সরকারি বাজার    
ঘ. পুনঃবিক্রেতার বাজার
২৪. বাজারজাতকরণ মিশ্রণের কেন্দ্রবিন্দুতে কে থাকে?
ক. ভোক্তা            খ. উৎপাদক
গ. খুচরা ব্যবসায়ী    
ঘ. পাইকারি ব্যবসায়ী

২৫. ‘The Concept of Marketing Mix’-এ প্রবন্ধটির লেখক কে?
ক. Professor Neil H Borden    
খ. Professor James Culliton
গ. Professor E J Mccarthy    
ঘ. Professor Kelly & Hazen
২৬. কোনটি শোভনীয় পণ্য?
ক. বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন    
খ. টুথপেস্ট
গ. মোবাইল ফোন        
ঘ. পোশাক

২৭. কোনটি জরুরি পণ্য?
ক. অ্যাম্বুলেন্স    
খ. আইসক্রিম    
গ. ল্যাপটপ    
ঘ. ক্যামেরা
২৮. কোনটি শপিং পণ্য?
ক. দামি আসবাবপত্র    
খ. তেল    
গ. বিশ্বকোষ        
ঘ. সৌরবিদ্যুৎ
২৯. কোনটি বিশিষ্ট পণ্য?
ক. টাটা গাড়ি    
খ. বিএমডব্লিউ গাড়ি    
গ. মারুতি গাড়ি    
ঘ. ন্যানো গাড়ি
৩০. নিচের কোনটি মালামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশ?
ক. সুতা    
খ. লিফট    
গ. জেনারেটর    
ঘ. কম্পিউটার

৩১. নিচের কোনটি মূলধন জাতীয় পণ্য?
ক. তুলা    
খ. লোহা    
গ. জেনারেটর    
ঘ. টেলিফোন
৩২. নিচের কোনটি সরবরাহ ও সেবা-
ক. দুধ    
খ. গ্যাস    
গ. ফ্যাক্টরি    
ঘ. কম্পিউটার
৩৩. পণ্যের জীবন চক্রের স্তর কয়টি?
ক. ৩টি    খ. ৪টি    
গ. ৫টি    ঘ. ৬টি

৩৪. পণ্যের জীবন চক্রের কোন স্তরে বাজারে পণ্য ছাড়া হয়?
ক. পণ্য উন্নয়ন    
খ. সূচনা    
গ. প্রবৃদ্ধি    
ঘ. পূর্ণতা
৩৫. পণ্যের জীবন চক্রের কোন স্তরে প্রতিযোগিতা থাকে সবচেয়ে বেশি?
ক. সূচনা    
খ. প্রবৃদ্ধি    
গ. পূর্ণতা    
ঘ. পতন
উত্তর: ২১. খ, ২২. খ, ২৩. ক, ২৪. ক, ২৫. ক, ২৬. ক, ২৭. ক, ২৮. ক, ২৯. খ, ৩০. ক, ৩১. গ, ৩২. ঘ, ৩৩. গ, ৩৪. খ, ৩৫. গ। 

মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা/আবরার জাহিন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৭৯৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৭৯৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বাজেট সমন্বয় করা হবে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’-সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। পরে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। 

তিনি বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের সময়ে কাজগুলো জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হব।’

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৭৬৩টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫০১টি, ফেনী জেলায় ৫৫০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২২টি, কুমিল্লা জেলায় ৫২৩টি, চাঁদপুর জেলায় ১৬৯টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৬৪টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৭৭টি, সিলেট জেলায় ৮টি ও হবিগঞ্জ জেলায় ২২টি। খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এ ছাড়া জেলাভিত্তিক আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখনকেন্দ্রগুলোর নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিখনকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক থেকে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অন্যদের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইডেন-তিতুমীরসহ ২১ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
ইডেন-তিতুমীরসহ ২১ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সরকারি ২১ কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপন বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজে শামছুন নাহার (অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, একই কলেজ), সরকারি তিতুমীর কলেজে শিপ্রা রানী মণ্ডল (অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, একই কলেজ), সরকারি ব্রজমোহন কলেজে শেখ মো. তাজুল ইসলাম (অধ্যাপক, পদার্থ বিজ্ঞান, একই কলেজ), কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে মো. আবুল বাসার ভূঞা (অধ্যাপক, ইসলামি শিক্ষা বিভাগ,চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ), সরকারি বিজ্ঞান কলেজে কে এম আমিনুল হক (উপাধ্যক্ষ, বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজ), শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে কাকলী মুখোপাধ্যয় (অধ্যক্ষ, সদরপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর), কবি নজরুল সরকারি কলেজে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (অধ্যাপক, ইসলামি শিক্ষা, ইডেন কলেজ), বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে তামান্না বেগমকে (অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সরকারি সাদত কলেজ, টাঙ্গাইল) অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সরকারি বাঙলা কলেজে কামরুল হাসান (উপাধ্যক্ষ, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ, ঠাকুরগাঁও), মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে মো. শহীদুজ্জামান (অধ্যক্ষ, শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল) যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির (অধ্যাপক, পদার্থবিদ্যা, সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনা), খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে মো. শাহিদুর রহমান (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মাউশি) খুলনার সরকারি ব্রজলাল কলেজে সেখ মো. হুমায়ুন কবীর (অধ্যক্ষ, তালা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা), টাঙ্গাইলের সরকারি সাদত কলেজে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া (অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, একই কলেজ), রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজে অধ্যাপক খান মো. মাইনুল হক (সংযুক্ত, রাজশাহী কলেজ), রাজশাহী কলেজে আনারুল হক প্রাং (অধ্যক্ষ, শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ), দিনাজপুর সরকারি কলেজে আবুল কালাম মো. আল আবদুল্লাহ (অধ্যাপক প্রাণিবিদ্যা, একই কলেজ), রংপুরের কারমাইকেল সরকারি কলেজে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ) ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে এস এম আবদুল হালিম (উপাধ্যক্ষ, একই কলেজ) সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে মো. আমিনুল ইসলাম (অধ্যাপক হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, একই কলেজ) ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে মুহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমানকে (অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ফেনী সরকারি কলেজ) অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

কবির/সালমান/

একাদশের শিক্ষার্থীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
একাদশের শিক্ষার্থীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ
ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম আগামী ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর আওতাধীন দেশের সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভর্তি ওয়েবসাইটের (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্যানেলে (কলেজের ইআইআইএন নম্বর ও পাসওয়ার্ড) লগইন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি অনলাইনে প্রেরণের সমুদয় কাজ সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজ অনলাইনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ের উদ্ভূত জটিলতার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সাক্ষর করে তুলতে চাই না। তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেন সে কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেঞ্জ হয়ে যায়। সাক্ষর মানুষ একটি জাতির জন্য সম্পদ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সম্পদ হতে পারে, যদি তাদের সাক্ষর করে তুলতে পারি, দক্ষ করে তুলতে পারি।’ 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি এতে আশানুরূপ ফলাফল হয়, তবে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।’

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি। কোনো কোনো স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক এবং রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা নির্বাচন ও মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।