ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ইংরেজি বিষয়ের ২টি প্রশ্নোত্তর, ১৭তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পিএম
ইংরেজি বিষয়ের ২টি প্রশ্নোত্তর, ১৭তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট
শিক্ষার্থীরা ক্যাডেট কলেজের ক্যাম্পাসে প্যারেড করছে। ছবি- সংগৃহীত

মডেল টেস্ট : ইংরেজি

Read the following texts and answer the given questions.
Tungipara, a small green village beside the river Madhumati, is under Gopalganj district. In the olden days, the villagers used to wake up with the chirping of birds. Many years ago, it was not the same Tungipara now full of the sound of motor vehicles passing the motorways. People used to move from one place to another by boat. The green nature, the paddy fields, the open sky, the glassy water of the river, the shades of the trees and the blowing wind developed the villagers as fun-loving friendly people.
A baby was born there in a prosperous Sheikh family on 17 March 1920. Do you know who this baby was? He was none other than our Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. His father was Sheikh Lutfar Rahman and mother Sayera Khatun. Many years ago, at the time of his birth, who could understand what potentials the boy had! Who could realize that this small boy would be the Father of the Nation one day?
Tungipara’s Sheikh family is very well known in that area. Even there are songs and lyrics composed by the local bards narrating their pomp and glory. A religious man named Sheikh Borhanuddin founded this family many years ago. The ruins of the old buildings of the Sheikhs stand out as the symbol of their wealth during the Mughal era. Brick-buildings were not very common then. Over time, the next generations could not maintain that status. New tin-shed houses replaced the old brick ones. Mujib's childhood was spent in one of those houses, as he says in his autobiography.
It’s difficult to say how Sheikh Borhanuddin came to Tungipara more than 200 years ago. However, history traces Sheikh Qudratullah and Sheikh Ekramullah brothers as his heirs. They were landlords in that area besides their own business and were socially very influential. They had so much wealth that once Qudratullah told one of the British officers, ‘I don’t count my earnings, I just weigh my wealth’. Bangabandhu and his relatives are descendants of these two brothers. Mujib carried the spirit and tradition of these bold people.

আরো পড়ুন :  ইংরেজি বিষয়ের ১৪টি প্রশ্নোত্তর, ১৬তম পর্ব

1. Now choose the correct answer to each question from the alternatives given and write the corresponding number of the answer in your answer script.

a. In the olden days, the villagers used to wave up with the creeping of birds. Here the word ‘older’ is similar to- 
i. golden  ii. near  iii. bygone  iv. memorable 

Answer: iii. bygone.

b. The green nature, the paddy fields, the open sky, the glassy water of the river, the shades of the trees and blowing wind developed the villagers as for loving friendly people. Here ‘glassy’ means- 
i. dark  ii. clear  iii. liquid  iv. Flowing

Answer: ii. clear.

লেখক : অধ্যক্ষ, শহীদ ক্যাডেট একাডেমি
উত্তরা, ঢাকা 

১টি সংলাপ লিখন, ১ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
১টি সংলাপ লিখন, ১ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সংলাপ লিখনও শেখার বিষয়। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

সংলাপ লিখন

সংলাপ: ১। মনে করো তোমার নাম নাহিয়ান। তোমার বন্ধুর নাম সাজ্জাদ। গ্রিনহাউস গ্যাস প্রতিক্রিয়া বর্তমানে একটি গুরুতর সমস্যা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করো।
উত্তর: নাহিয়ান: শুভ সন্ধ্যা। কেমন আছ সাজ্জাদ?
সাজ্জাদ: তোমাকেও শুভ সন্ধ্যা। আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছ?
নাহিয়ান: আমিও ভালো আছি। তবে আমি একটি বিষয় নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আর তা হলো গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রতিক্রিয়া। তুমি কী এ নিয়ে কিছু ভেবেছ?
সাজ্জাদ: অবশ্যই। ইদানীং এটি একটি বৈশ্বিক আতঙ্কের বিষয়। এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়। যেমন- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মরুকরণ, নিম্নভূমিতে প্লাবন, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি বৃদ্ধি পায়।
নাহিয়ান: বাংলাদেশেও তো এর প্রভাব মারাত্মক। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে বাংলাদেশের উচ্চতা কম থাকার কারণে এটির প্রভাব আরও ভয়াবহ।
সাজ্জাদ: ঠিক বলেছ। আমরা খুব ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছি। তবে এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। কারণ আমরা নির্বিচারে বৃক্ষনিধন করছি। ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকারক গ্যাস ব্যবহার করছি। শিল্প-কারখানার বর্জ্য পদার্থ, কালো ধোঁয়া ক্রমান্বয়ে আমাদের পরিবেশকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নাহিয়ান: হ্যাঁ, তাই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। সর্বোপরি জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

কবীর

হিসাবের বইসমূহ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৯ম পর্ব, এইচএসসি হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
হিসাবের বইসমূহ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৯ম পর্ব, এইচএসসি হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র
হিসাববিজ্ঞানে জাবেদাকে হিসাবের প্রাথমিক বই বলা হয়। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায় : হিসাবের বইসমূহ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১২৫. কোন বইয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের উৎপত্তির কারণ জানা যায়?
ক. খতিয়ান        খ. নগদান বই
গ. ক্রয় বই        ঘ. জাবেদা

১২৬. জাবেদাকে অভিহিত করা হয়-
অথবা, জাবেদাকে কোন ধরনের বই বলা হয়?
ক. দৈনিক বই হিসেবে            খ. মাসিক বই হিসেবে
গ. বাৎসরিক বই হিসেবে        ঘ. ষান্মাসিক বই হিসেবে

১২৭. জাবেদাকে কী বলা হয়?
ক. হিসাবের পাকা বই        
খ. হিসাবের প্রাথমিক বই
গ. হিসাবের চূড়ান্ত বই        
ঘ. লেনদেনের স্বপক্ষে দলিল

১২৮. লেনদেন জাবেদাভুক্তিকরণ পদ্ধতি কয়টি?    
ক. ১টি     খ. ২টি 
গ. ৩টি    ঘ. ৪টি

১২৯. হিসাব চক্রের সর্বশেষ ধাপ কোনটি?    
ক. সমন্বিত রেওয়ামিল        খ. খতিয়ান
গ. বিপরীত দাখিলা             ঘ. রেওয়ামিল

১৩০. হিসাব চক্রের কোন ধাপটি হিসাব কালের সর্বশেষে প্রস্তুত করা হয়?
ক. রেওয়ামিল           খ. সমন্বয় জাবেদা
গ. আর্থিক বিবরণী     ঘ. সমাপনী দাখিলা

১৩১. পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের মধ্যে হিসাবের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয় কীসের মাধ্যমে?    
ক. জাবেদা         খ. খতিয়ান
গ. হিসাব চক্র     ঘ. উদ্বৃত্তপত্র

আরো পড়ুন :  হিসাবের বইসমূহ অধ্যায়ের ১৩টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৮ম পর্ব

১৩২. নিচের কোন লেনদেনটি সাধারণ জাবেদায় অন্তর্ভুক্ত হবে?
ক. ধারে পণ্য কেনা    
খ. বেতন দেওয়া
গ. প্রাপ্য নোটের প্রত্যাখ্যান    
ঘ. বিক্রয় ফেরত

১৩৩. হিসাবচক্রে রেওয়ামিল তৈরির কাজকে কী বলে?    
ক. সংক্ষিপ্তকরণ    খ. স্থানান্তরকরণ
গ. লিপিবদ্ধকরণ    ঘ. বিবরণী প্রস্তুতকরণ

১৩৪. জাবেদা বলতে বোঝায়-        
ক. একটি পূর্ণ হিসাব
খ. একটি সংক্ষিপ্ত হিসাব
গ. লেনদেনের ডেবিট-ক্রেডিট বিশ্লেষণ
ঘ. চূড়ান্ত হিসাব

১৩৫. হিসাব কার্যক্রমের ধাপ অনুযায়ী কোনটি সঠিক?    
অথবা, হিসাবচক্র অনুযায়ী কোনটি সঠিক?    
ক. জাবেদা-খতিয়ান-রেওয়ামিল
খ. খতিয়ান-জাবেদা-রেওয়ামিল
গ. রেওয়ামিল-জাবেদা-খতিয়ান
ঘ. জাবেদা-রেওয়ামিল-খতিয়ান

১৩৬. হিসাববিজ্ঞানের প্রবেশদ্বার কোনটি?    
ক. রেওয়ামিল    খ. খতিয়ান
গ. জাবেদা         ঘ. নগদান বই

১৩৭. কোন কাজকে হিসাব চক্রের সংক্ষিপ্তকরণ বলা হয়?
ক. রেওয়ামিল    খ. চূড়ান্ত হিসাব
গ. খতিয়ান        ঘ. জাবেদা
উত্তর:  ১২৫। ঘ, ১২৬। ক, ১২৭। খ, ১২৮। খ, ১২৯। গ, ১৩০। ঘ, ১৩১। গ, ১৩২। ঘ, ১৩৩। ক, ১৩৪। গ, ১৩৫। ক, ১৩৬। গ, ১৩৭। ক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

বাংলা বিষয়ের ১৬টি প্রশ্নোত্তর, ১৮তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
বাংলা বিষয়ের ১৬টি প্রশ্নোত্তর, ১৮তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট
ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা মার্চপাস্ট করছে। ছবি- সংগৃহীত

মডেল টেস্ট: বাংলা

প্রশ্ন: নিচের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর লেখ।     
ক। “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়”– এই বাক্যটি কোন কালের উদাহরণ? 
উত্তর: ঐতিহাসিক বর্তমান।

খ। “শুক্রবারে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হয়”– এখানে ‘শুক্রবার’ কোন কারকের কোন বিভক্তি? 
উত্তর: অধিকরণে ষষ্ঠী।

গ। একটি আদর্শ বাক্যের কয়টি গুণ থাকে ও কী কী? 
উত্তর: একটি আদর্শ বাক্যের ৩টি গুণ থাকে। যথা- আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা।

আরো পড়ুন : বাংলা বিষয়ের ১৫টি প্রশ্নোত্তর, ১৭তম পর্ব

ঘ। “যে বনে হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ”– এককথায় প্রকাশ কী হবে? 
উত্তর: শ্বাপদসংকুল।

ঙ। পরের ‘ই’ কার আগেই উচ্চারিত হওয়ার রীতিকে কী বলা হয়? 
উত্তর: অপিনিহিতি। 

প্রশ্ন: নিচের প্রদত্ত শব্দগুলোর কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো। 
ক। অন্ধজনে দেহ আলো।  
উত্তর: সম্প্রদানে সপ্তমী।

খ। চোখ দিয়ে পানি পড়ে।  
উত্তর: অপাদানে শূন্য।

গ। ছায়ায় বস।  
উত্তর: অধিকরণে সপ্তমী।

ঘ। টাকায় কি না হয়।  
উত্তর: করণে সপ্তমী।

ঙ। গাড়ি স্টেশন ছাড়ল।  
উত্তর: অপাদানে শূন্য।

প্রশ্ন: এককথায় প্রকাশ করো।     
ক। যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশ থাকে  
উত্তর: প্রোষিতভার্যা।

খ। যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পর জন্মগ্রহণ করে  
উত্তর: মরণোত্তরজাতক।

গ। কথায় যা বর্ণনা করা যায় না  
উত্তর: অনির্বচনীয়।

ঘ। যা পূর্বে ছিল এখন নেই   
উত্তর: ভূতপূর্ব।

ঙ। অন্য ভাষায় রূপান্তরিত  
উত্তর: অনূদিত।

প্রশ্ন: নিচের প্রদত্ত শব্দগুলোর একটি করে সমার্থক শব্দ লেখ। 
পাখি, দোকান, পৃথিবী, বার্তা, বাতাস    
উত্তর: পাখি- বিহঙ্গ।
দোকান- বিপণি। 
পৃথিবী- জগৎ।
বার্তা- সংবাদ। 
বাতাস- অনিল।

লেখক : অধ্যক্ষ, শহীদ ক্যাডেট একাডেমি
উত্তরা, ঢাকা

কবীর

২টি ভাবসম্প্রসারণ, ২য় পর্ব, ৯ম, ১০ম ও এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
২টি ভাবসম্প্রসারণ, ২য় পর্ব, ৯ম, ১০ম ও এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য এদেশের দামাল ছেলেরা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

ভাবসম্প্রসারণ

নানান দেশের নানান ভাষা
বিনা স্বদেশি ভাষা, মিটে কি আশা?

ভাবসম্প্রসারণ: মাতৃভাষার সুধা মাতৃতুল্য। মাতৃভাষার মাধ্যমে যত সহজে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়, অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। মাতৃভাষার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত রসাস্বাদন করতে পারে এবং এই ভাষায়ই তাদের প্রাণের স্ফূর্তি ঘটে। 
পৃথিবীর প্রায় সব জাতিরই নিজস্ব ভাষা আছে এবং এক জাতির ভাষা থেকে অন্য ভাষা আলাদা। আমরা ভাষার মাধ্যমে শুধু নিজের মনের ভাবই অন্যের কাছে প্রকাশ করি না, মাতৃভাষার সাহায্যে অন্যের মনের কথা, সাহিত্য-শিল্পের বক্তব্যও নিজের মধ্যে অনুভব করি। নিজের ভাষায় কিছু বোঝা যত সহজ, অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। বিদেশে গেলে নিজের ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায় আরও প্রখরভাবে। তখন নিজের ভাষাভাষি মানুষের জন্য ভেতরে ভেতরে মরুভূমির মতো তৃষিত হয়ে থাকে মানুষ। আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের ভাষা। বাংলা ভাষায় আমরা কথা বলি, পড়ালেখা করি, গান গাই, ছবি আঁকি, সাহিত্য রচনা করি, হাসি, খেলি, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ করি। অন্য ভাষায় তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা সম্ভব নয়। এজন্যই হয়তো মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম তার ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় লিখেছেন, ‘মাতা-পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি / দেশি ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এই ভাষায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হয়েছেন। সুপেয় জল যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি স্বদেশের ভাষা সুমিষ্ট। মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবনের শুরুতে অন্য ভাষায় সাহিত্য রচনা করে পরে আক্ষেপ করেছেন এবং মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চা করে বিশ্বখ্যাতি লাভ করেছেন। মাতৃভাষার গুরুত্ব বুঝতে পেরেই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আমাদের দামাল ছেলেরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য নিজের জীবনকেও বিসর্জন দিয়েছেন। মায়ের মুখের বুলি থেকে শিশু তার নিজের ভাষা আয়ত্ত করা শুরু করে এবং এই ভাষাতেই তার স্বপ্নগুলো রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে, এই ভাষাতেই লেখাপড়া করে এবং জগৎ ও জীবনকে চিনতে শুরু করে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘শিক্ষায় মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ স্বরূপ।’ মাতৃদুগ্ধ শিশুর পক্ষে যেমন পুষ্টিকর, বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা তেমন সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। মাতৃভাষা পুরোপুরি শেখার পর ভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের জন্য, দেশ-বিদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত রাখার জন্য আমাদের অন্য ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষার বুনিয়াদ শক্ত না হলে অন্য ভাষা শেখাও আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। এজন্যই হয়তো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন।’
নিজ দেশের ভাষাকে ভালোবাসতে হবে, এর বিকাশ ও সমৃদ্ধিকে অবাধ করতে হবে এবং বিকৃতিকে রোধ করতে হবে। তাহলেই আমরা বিশ্বের অন্যান্য জাতি থেকে ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেবে আরও পরিচিত লাভ করতে পারব। 

আরো পড়ুন : ৪টি ভাবসম্প্রসারণ, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও এসএসসি বাংলা ২য় পত্র


দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি
সত্য বলে, ‘আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?’

ভাবসম্প্রসারণ: পৃথিবীতে সত্য-মিথ্যা পাশাপাশি অবস্থান করে। জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই মানুষ সত্য ও মিথ্যাকে চিনতে শেখে। ভুল-ভ্রান্তির ভয়ে মানুষ কর্মবিমুখ হলে জীবনে কখনো সাফল্য আসবে না।
ঘরের দ্বার পথে আমরা ঘর থেকে বের হই কিংবা প্রবেশ করি। দ্বার বন্ধ করে রাখলে সেখানে প্রবেশ করা কিংবা বের হয়ে আসা কোনোটাই সম্ভব হয় না। তেমনি আমাদের মনেরও দরজা আছে। মন ভালো-মন্দ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা বিচারের জন্য একটি নিভৃত ঘর  বিশেষ। মানুষের জ্ঞান এখানে পরিশুদ্ধি লাভ করে। মনের মধ্যে যাতে কোনো ভুলভ্রান্তিপূর্ণ জ্ঞান প্রবেশ করতে না পারে, এ উদ্দেশ্যে যদি আমরা মনের দুয়ার বন্ধ করে রাখি, তাহলে বাস্তব বা সত্য জ্ঞানও সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের পক্ষে তখন সত্য উপলব্ধি করা বা সত্য জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই জ্ঞান আহরণের সঠিক পন্থা হলো, জ্ঞান প্রবেশের জন্য মনের দ্বার খোলা রাখা অর্থাৎ মনকে উদার করা। ফলে ভালো-মন্দ, সত্য-অসত্য সব রকমের জ্ঞানই হয়তো মনে আশ্রয় পেতে চাইবে, কিন্তু তখন বিবেচনা শক্তির দ্বারা মিথ্যাকে বর্জন ও সত্যকে ধারণ করতে হবে। আল্লাহপাক মানুষকে ভালো-মন্দ বিচারের জন্য বিবেচনা শক্তি দান করে তাকে শ্রেষ্ঠতর আসনে বসিয়ে দিয়েছেন। মানুষের এখন উচিত সেই বিবেচনা শক্তির সঠিক প্রয়োগ করা। আর এ উদ্দেশ্যে আমাদের মুক্ত মনের অধিকারী হতে হবে। বিজ্ঞ হেকিম লোকমানকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি এত জ্ঞান কোথায় পেলেন? জবাবে তিনি বলেছেন, ‘অজ্ঞানের কাছে।’ 
বস্তুত অজ্ঞানের কাছে যেমন জ্ঞান লুকিয়ে থাকে, তেমনি মিথ্যার সঙ্গে মিশে থাকে সত্য। দিনকে যেমন রাতের সঙ্গে তুলনা করেই চেনা যায়, তাপকে যেমন শৈত্যের সঙ্গে তুলনা করে অনুভব করা যায়, সত্যকেও তেমনি মিথ্যার পাশাপাশি রেখেই নির্ণয় করতে হয়। সাঁতার শিখতে হলে যেমন পানিতে নামতে হয়, তেমনি সত্যকে পেতে হলে জীবনের পথে নামতে হয়। আর এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে জীবনের চলার পথে মানুষ ভুল করতেই পারে। আর এই ভুল করতে করতে এক সময় মানুষ সত্যের অন্দরমহলে প্রবেশ করার সিংহদ্বারটির সন্ধান পায়। সব ঝিনুকেই মুক্তা থাকে না, কিন্তু মুক্তা সন্ধানীকে সব ঝিনুকের মধ্যেই মুক্তার সন্ধান করতে হয়। আমাদেরও মিথ্যার ফুলঝুরির মধ্য থেকেই বিবেচনা শক্তির কষ্টির পাথরে প্রকৃত সত্যকে খুঁজে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, খনিতে কখনোই নিখাঁদ সোনা পাওয়া যায় না, নানান খনিজ দ্রব্যকে পরিশ্রুত করেই সোনা লাভ করতে হয়। একেকটি ভুল মানুষকে একেকটি সত্যের সন্ধান দেয়। শিশু যেমন আছাড় খেতে খেতে হাঁটতে শেখে, মানুষও তেমনি ভুলভ্রান্তির মধ্য দিয়ে সত্যকে চিনে নেয়। জগতে বরেণ্য যারা, তারা জীবন চলার পথে ভুলভ্রান্তিকে অতিক্রম করেই সত্য জ্ঞান লাভ করেছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর নামে ‘ফারুক’ শব্দটি সংযুক্ত হওয়ার কারণ তিনি তার জীবনে সত্য-মিথ্যার প্রভেদকারী হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।
মানুষের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি সত্যকে পাওয়ার পথে প্রতিবন্ধক বা অন্তরায় নয়; বরং ভুলভ্রান্তি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে সার্থক জীবন লাভ করা যায়। তাই আমাদের উচিত ভুলের জন্য অনুতাপ করে বসে না থেকে ভুল শুধরে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে  এগিয়ে যাওয়া।

লেখক: সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

পদ্মা সেতু বিষয়ক ১২টি সাধারণ জ্ঞান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
পদ্মা সেতু বিষয়ক ১২টি সাধারণ জ্ঞান
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি। ছবি- সংগৃহীত

সাধারণ জ্ঞান

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার?
উত্তর: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা কত?
উত্তর: পদ্মা সেতুর মোট পিলার সংখ্যা ৪২টি।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কত কিলোমিটার?
উত্তর: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ভায়াডাক্ট ৩.১৮ কিমি।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইন কয়টি?
উত্তর: পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ লাইন ১টি (মিটারগেজ: ব্রডগেজ)।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর লেন সংখ্যা কত?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে লেন সংখ্যা ৪।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুতে নদী শাসন কত কিলোমিটার হয়েছে?
উত্তর: পদ্মা সেতুতে নদী শাসন ১২ কিমি।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতু কয়টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে?
উত্তর: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাকে যোগ করেছে।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর?
উত্তর: পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ১০০ বছর।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কত তারিখে?
উত্তর: পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০১ সালের ৪ জুলাই।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয় কত তারিখে?
উত্তর: পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয় ২৫ জুন, ২০২২ সালে।

প্রশ্ন: বিশ্বে বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় পদ্মা সেতুর স্থান কততম?
উত্তর: বিশ্বে বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় পদ্মা সেতুর স্থান ২৫তম।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতুর নদী শাসন করে কোন প্রতিষ্ঠান?
উত্তর: পদ্মা সেতুর নদী শাসন করে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড।

কবীর