ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন জিন্টুর অভিনন্দন

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৯ এএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন জিন্টুর অভিনন্দন

অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু। 

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি অভিনন্দন জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসকমুক্ত হয়েছে।’

মহিউদ্দিন জিন্টু আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছাত্র-জনতার অনেক প্রত্যাশা। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন। আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের সব উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।  যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সব অপরাধীর বিচার করতে হবে।’

এসব প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে আমাদের প্রত্যাশা- বাংলাদেশের মর্যাদাকে গৌরবের শিখরে নিয়ে যাওয়া, দায়িত্ব পালন করে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করা।’

ইসরাত চৈতী/সালমান/

কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কাতারের সেহলিয়া এলাকায় অবস্থিত সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : খবরের কাগজ

কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধান মেজর ওমর খলিফা আলরুমাইহির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। 

গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাতারের সেহলিয়া এলাকায় অবস্থিত সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কাতারের সফরজেল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। মেজর আলরুমাইহি দূতাবাসের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশিদের সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের এবং জেলখানায় অবস্থানকালে তাদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর আলরুমাইহি বলেন, ‘কাতারের আইনবহির্ভূত কার্যক্রম ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি না নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করায় বিভিন্ন সময়ে কোনো কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম সুসম্পর্ক বিবেচনায় আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।’

রাষ্ট্রদূত জানান, অনেক সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো কোনো বাংলাদেশিকে কাতারের মাঠপর্যায়ে কর্মরত নিম্নপদস্থ পুলিশ দ্বারা গ্রেপ্তার করানো হয়।

এ বিষয়ে মেজর আলরুমাইহি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সময় পেয়ে থাকেন। এ পর্যায়ে তারা সফরজেল কর্তৃপক্ষ বা যেকোনো পেশাদার আইনি সহযোগিতা নিতে পারেন। রাষ্ট্রদূত কোনো মিথ্যা অভিযোগে বাংলাদেশিদের অযথা হয়রানির বিষয়ে কাতারের পুলিশের বিশেষ মনোযোগ কামনা করেন।

বৈঠকে ডিপোর্টেশন সেকশন প্রধান ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল হাজিরিসহ সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং দূতাবাস ও মিশন উপপ্রধানসহ শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

 

এবিডিসি জরিপে গবেষক হিসেবে সৌদিতে প্রথম মাবরুক বিল্লাহ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
এবিডিসি জরিপে গবেষক হিসেবে সৌদিতে প্রথম মাবরুক বিল্লাহ
ড. সাইয়্যেদ মাবরুক বিল্লাহ

অস্ট্রেলিয়ান বিজনেস ডিনস কাউন্সিলের (এবিডিসি) জরিপে গবেষক হিসেবে সৌদি আরবে প্রথম ও গালফ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন ড. সাইয়্যেদ মাবরুক বিল্লাহ।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাবরুক বিল্লাহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও চরমোনাই পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীমের নাতি ও চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর বড় ছেলে।

মাবরুক বিল্লাহর সাফল্যে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

মাবরুক বিল্লাহ নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সালমান/

নিউইয়র্কে ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সংবর্ধনা দেবে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারসংলগ্ন ম্যারিয়ট মারক্যুইস হোটেলের বলরুমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। 

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর  নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন।

ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা নিয়ে ইতোমধ্যে নিউইয়র্কের বিভিন্ন মহলের টানাহেঁচড়া শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই চলছে পাল্টাপাল্টি সভা ও সংবাদ সম্মেলন। 

বিভিন্ন সংগঠন প্রধান উপদেষ্টাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও কাউকে দেওয়া হচ্ছে না কোনো অনুমতি। শুধু সরকারিভাবেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। তারপরও প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠন থেমে নেই। 

বিএনপিপন্থি নাগরিক সমাজ, জামায়াত, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পরিচালিত বাংলাদেশ সোসাইটিসহ বিভিন্ন মহল ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

তবে সংবর্ধনার আয়োজন করার মধ্যেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ইস্তানা সেরি কিনাবালুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সাবাহর গভর্নর ড. হাজি জুহার বিন দাতুক হাজি মহিরুদ্দিন

মালয়েশিয়ার সাবাহর গভর্নর ড. হাজি জুহার বিন দাতুক হাজি মহিরুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, ইস্তানা সেরি কিনাবালুতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান গভর্নর।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গভর্নরের কার্যালয় এবং হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বৈঠকে। এ সময় তারা দুজন স্মারক বিনিময়ও করেন।

বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন শ্রমবিষয়ক কাউন্সিলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, রাজনৈতিক কাউন্সিলর ফারহানা আহমেদ চৌধুরী ও প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ।

সাবাহ প্রদেশের অর্থমন্ত্রী দাতুক সেরি পাংলিমা মাসিদি মানজুনের সঙ্গেও বৈঠক করেন হাইকমিশনার। সাবাহর অর্থ উপমন্ত্রীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিষয় বিশেষ করে সাবাহপ্রবাসী বাংলাদেশিদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।

হাইকমিশনার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এবং অর্থমন্ত্রীর কার্যালয় ও হাইকমিশনের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগে সহায়তা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। ইউএনবি

এক লটারিতে ৩৬ জন কোটিপতি

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০১ এএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
এক লটারিতে ৩৬ জন কোটিপতি
আরব আমিরাতের আল আইন শহরে জড়ো হন লটারি বিজয়ী চট্টগ্রামের একদল যুবক। ছবি: খবরের কাগজ

এক লটারিতেই ৩৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কোটিপতি বনে গেছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়। বাকি দুজন রাউজানের। ‘বিগ টিকিট আবুধাবি’ নামে ওই লটারি জয়ী হয়ে তারা ১৫ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিগ টিকিট লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। 

দেশটির আল আইন শহরে বসবাসকারী প্রবাসী সোহেল মনি খবরের কাগজকে মোবাইলে জানান, তারা গত ৪ বছর ধরে বিগ টিকিট লটারি খেলে আসছেন। প্রতি মাসের ৩ তারিখ লটারির ড্র হয়। এই লটারির একটি টিকিটের দাম ৫০০ দিরহাম। এক দিরহামের বর্তমান দর ৩২ টাকা ৪৯ পয়সা। তবে ১ হাজার দিরহাম দিয়ে ৫টি টিকিট পাওয়া যায়। তারা ৩৬ জন বন্ধু মিলে এবার ১ হাজার দিরহাম দিয়ে ৫টি টিকিট কিনেন। এর মধ্যে ১০০ দিরহাম দিয়েছেন একজন। ৫০ দিরহাম করে দিয়েছেন ৪ জন। ২৫ দিরহাম করে দিয়েছেন ৩০ জন এবং ২০ দিরহাম দিয়েছেন একজন। তারা লটারিতে যে টাকা জিতেছেন তা তারা বিনিয়োগের সমানুপাতিক হারে ভাগ করে নেবেন। যিনি ২০ দিরহাম বিনিয়োগ করেছেন তিনিও প্রায় কোটি টাকা পাবেন। যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তিনি বেশি টাকা পাবেন।

সোহেল জানান, লটারি কিনতে হয় একজনের নামে। তারা নুর মিয়ার নামে এটি কিনেছেন। নুর মিয়ার বাড়ি ফটিকছড়ি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

বিগ টিকিট জেতার পরই তারা আবুধাবির আল আইন বাজারে একসঙ্গে জড়ো হন। সবাই যে যার মতো আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। কেউ কেউ রাতে পার্টি দিয়ে ভালো খাবারেরও আয়োজন করেন। 

লটারি বিজয়ী নুর মিয়া ওরফে ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, তার কাছে অনেক খুশি লাগছে। একেক মাসে একেকজন বন্ধুর নামে টিকিট কেনা হয়। এ মাসে তার নামে কেনা হয়েছে। নিজের নামে লটারি জিতলেও লটারিতে তার আর্থিক অংশগ্রহণ ছিল অন্যদের তুলনায় কম। তবুও তিনি খুশি। 

একাধিক প্রবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, লটারি বিজয়ীদের মধ্যে কারও কারও আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলেও অনেকের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ঋণ করে প্রবাসে এসে দিনরাত পরিশ্রম করে সেই ঋণ পরিশোধ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। নিজের দৈনন্দিন খরচ থেকে বাঁচিয়ে পরিবারের কাছে প্রতি মাসে কিছু খরচ পাঠাতেন। এখন এক টিকিটেই তাদের কপাল বদলে গেছে।

লটারি বিজয়ীরা হলেন- ফটিকছড়ি পৌরসভার সোহেল মনি, নুর মিয়া, মহসিন, মোহছেন, সাকিল, সাদ্দাম, এমরান, সাইফু, হাসান (১), হাসান (২), সোলাইমান, রমজান, রিফাত, ইমাম, মনজু, জাহাঙ্গীর, জুয়েল, সালাউদ্দীন, নেজাম, নাছির, হাবিব, নিজাম, সাকিব, একরাম, রিপন, আমান, নাজিরহাট পৌরসভার সাইফুদ্দীন, আবদুল, নেজাম, লেলাং ইউনিয়নের জামাল, রাজ্জাক, কাঞ্চননগর ইউনিয়নের বেলাল, ভুজপুরের এমরান, রাউজনের খলিল ও অশোক।