শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রবাসীদের সংগঠন ‘ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ’। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের কাছে হ্যামার্সজোল্ট পার্কে এই সমাবেশ করেন তারা।
হিন্দু নিপীড়ন বন্ধে সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন আয়োজকরা। একই আহ্বানে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপরিকল্পিতভাবে সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়াসহ ভাঙা হয়েছে মন্দির। মোটা অঙ্কের চাঁদা না দেওয়ায় অনেক হিন্দুকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।’
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণকারী সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি আমরা হিন্দুরা কী অপরাধ করলাম? বারবার সরকার পরিবর্তন হয়, নির্বাচন আসে আর হিন্দুদের ওপর হামলা হয়। পূজা-পার্বণের সময়েও হিন্দুরা আক্রান্ত হন। এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। বাংলাদেশে ৫-১০টি জেলা নিয়ে সুরক্ষিত একটি আলাদা জায়গা চাই হিন্দুদের জন্য।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রভাত সরকার, মানবাধিকার সংগঠক ও লেখক শিতাংশু গুহ, দীলিপ নাথ, অধ্যাপক দ্বীজেন ভট্টাচার্য, সুশীল সাহা ও সুশীল সিনহা। তারা অবিলম্বে হিন্দু নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান। সূত্র: দ্যা ইকোনমিক টাইমস।