ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যা নিয়ে ডেরেন টেইলরের গান

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যা নিয়ে ডেরেন টেইলরের গান

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যা, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে নিয়ে গান গেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গায়ক ডেরেন টেইলর।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ভয়েস ফর বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশে শিক্ষার্থী হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে বর্হিবিশ্বের সবাইকে সোচ্চার হতেই এই গান।

ডেরেন টেইলারের গানে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অন্ধকারাছন্ন যুগে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখার বিষয়টি ওঠে আসে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতা এবং ভয়েস ফর বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়াস মাহমুদ জানান, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। আন্দোলনে শহিদদের মাগফেরাত কামনায় আমরা সবাই দোয়া করি। বাংলাদেশে এই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিচার যাতে ত্বরান্বিত করা হয় তাই বর্হিবিশ্বের সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর আবেদন, যারা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের সঠিক তালিকা দ্রুত প্রকাশ করতে হবে । নিহতদের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যাবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

অমিয়/

আবুধাবিতে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
আবুধাবিতে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত মহিন উদ্দিন লিটন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে মহিন উদ্দিন লিটন (৪২) নামে এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নে। 

গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় সে দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আল খাতাম নামক স্থানে কর্মস্থলের পাশে লিটনকে কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহত মহিন উদ্দিন লিটন সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শ্যামেরগাঁও গ্রামের মো. আবদুস ছালামের ছেলে। বাড়িতে তার স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই ছেলে ও মা-ভাইয়েরা রয়েছেন।

নিহতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম রিমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর আগে আমার বাবা পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে ভিজিট ভিসায় দুবাই যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তিনি শহরের বাইরে মাজরায় (কৃষি খামার) কাজ করতেন। শুক্রবার বিকেলে কে বা কারা আমার বাবাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে শনিবার তিনি মারা যান। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের স্ত্রী নাছিমা আক্তার বলেন, ‘শুক্রবারের পর থেকে আমার স্বামীর মোবাইল বন্ধ এবং কোনো খোঁজখবর না পেয়ে সেখানে অবস্থান করা আমার ভাই জাহিদুল ইসলাম টিটুকে খবর নিতে বলি। তিনি গিয়ে জানতে পারেন দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এখন আমি অবুঝ শিশুদের নিয়ে কোথায় যাব, কীভাবে বিচার পাব। আমার স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা চাই।’

বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহিন উদ্দিন লিটন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারি সহযোগিতায় তার লাশ দেশে আনার দাবি জানাই।’ 

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো কেউ আমাদের জানায়নি। তবে আমরা দেশে এবং বিদেশে খোঁজখবর নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির
ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। 

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে সমাবেশ থেকে এ দাবি জানায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি ও দলের চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির বিশেষ সহকারী বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফ্লোরিডা থেকে অভিনন্দন জানাতে আসেন ফ্লোরিডা স্টেট বিএনপির সভাপতি ও  মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমরানুল হক চাকলাদার, সেলিম রেজা এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহীন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণ দেন তখন সদর দফতরের বাইরে তার সমর্থনে সমাবেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা ড. ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দেশের তরুণ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশ বাঁচানোর জন্য ডক্টর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তারা। তাদের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন বলেন, আমরা আশা করি সমস্ত রাষ্ট্র প্রধানরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে সাড়া দেবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে নিশ্চয়ই এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক রাখবে। এ অন্তর্বর্তী সরকার একটি যৌক্তিক সময়ে সংস্কারগুলো করবেন এবং যৌক্তিক সময়ে বাংলাদেশের মানুষের যে দাবি গণতন্ত্র ভোটের অধিকার সেটি ফিরিয়ে দেবেন।

বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, প্রত্যেকটা দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সেখানে অবস্থান করছিলেন এর মধ্যদিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নন তিনি একজন বিশ্বনেতা। আমরা গর্বিত তার মত একজন সরকারপ্রধান পেয়ে।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন বলেন, ড. ইউনূসের সফর বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে আরও উঁচু স্তরে নিয়ে গেছেন। আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার উদ্দেশে লাল কার্ড দেখিয়েছি।

ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু বলেন, আমরা অন্তর্বতী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাতে এসেছিলাম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন যে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হবেই। অনেকে সেসময় হেসেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। কারণ তারেক রহমান মানুষের মনের ভাষা বোঝেন। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে গুম-খুনের সংস্কৃতি চালু করেছিলেন আমরা সেটির পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা চাই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যেখানে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। এই প্রত্যাশাই আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে করি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নিউইয়র্কে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো শুরু

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
নিউইয়র্কে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো শুরু
নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড চেম্বার এক্সপোর উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত

নিউইয়র্কের প্রাণকেন্দ্র টাইমস স্কয়ারের ম্যারিয়ট মারকিউজ হোটেলের হলরুমে দিনব্যাপী নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো-২০২৪ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই এক্সপো চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

এক্সপোতে নিউইয়র্কের ৮৩ এবং বাংলাদেশের ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ার বিবেচনায় এবারের আয়োজন সর্ববৃহৎ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আজ নিউইয়র্কে এই মেলার উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক নবদিগন্তের সূচনা হলো। আশা করি, এটি সামনের দিনগুলোতে আরও বিস্তৃত হবে।’ 

বাংলাদেশ-ইউএস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স, ইউএসএ-বাংলা বিজনেস লিংকের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই এক্সপোর মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা বিদেশে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

আয়োজনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শনী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেমিনার, প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ নানা আয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তা গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও সিইও মার্ক জেফি। মার্ক দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন স্টলে প্রদর্শিত তাদের পণ্য পরিদর্শন করেন।

সালমান/

সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা

রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট পরিষেবা চালু করেছে। দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিবুল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকার ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কারিগরি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দূতাবাস মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বিশিষ্টজনের পাশাপাশি পেশাজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট উদ্যোগের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর সুমিরিয়ার সাদেকিন বাংলাদেশে ও বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন।

প্রেজেন্টেশনের পর, কারিগরি দল প্রক্রিয়া ও সুবিধাসহ ধারণা পরিষ্কার করতে নতুন ই-পাসপোর্ট সিস্টেম সম্পর্কে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 

ই-পাসপোর্ট পরিষেবার প্রবর্তন সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভ্রমণে পাসপোর্ট লাভের সেবা উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ ও এর দক্ষতা বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কাতারের সেহলিয়া এলাকায় অবস্থিত সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : খবরের কাগজ

কাতার সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্ট প্রধান মেজর ওমর খলিফা আলরুমাইহির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। 

গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাতারের সেহলিয়া এলাকায় অবস্থিত সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত কাতারের সফরজেল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। মেজর আলরুমাইহি দূতাবাসের কার্যক্রম এবং বাংলাদেশিদের সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের এবং জেলখানায় অবস্থানকালে তাদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর আলরুমাইহি বলেন, ‘কাতারের আইনবহির্ভূত কার্যক্রম ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি না নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করায় বিভিন্ন সময়ে কোনো কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রতিম সুসম্পর্ক বিবেচনায় আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।’

রাষ্ট্রদূত জানান, অনেক সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো কোনো বাংলাদেশিকে কাতারের মাঠপর্যায়ে কর্মরত নিম্নপদস্থ পুলিশ দ্বারা গ্রেপ্তার করানো হয়।

এ বিষয়ে মেজর আলরুমাইহি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সময় পেয়ে থাকেন। এ পর্যায়ে তারা সফরজেল কর্তৃপক্ষ বা যেকোনো পেশাদার আইনি সহযোগিতা নিতে পারেন। রাষ্ট্রদূত কোনো মিথ্যা অভিযোগে বাংলাদেশিদের অযথা হয়রানির বিষয়ে কাতারের পুলিশের বিশেষ মনোযোগ কামনা করেন।

বৈঠকে ডিপোর্টেশন সেকশন প্রধান ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল হাজিরিসহ সার্চ অ্যান্ড ফলোআপ ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং দূতাবাস ও মিশন উপপ্রধানসহ শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।