ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শাকিবের করা মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
শাকিবের করা মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি

ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগে প্রযোজকের বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খানের করা মামলার সতত্য পায়নি পুলিশ। ওই মামলার তদন্তে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর কোনো আলামতও পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান একটি মামলা করেন। মামলায় যে দুটি ইউআরএল থেকে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে কোনো মিথ্যাচার ও কুৎসা রটানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর (৬৩) বিরুদ্ধে শাকিব খানের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৪/২৫/২৯ ধারার অপরাধের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে শাকিব খান সন্তুষ্ট নন বলে আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। ওই প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে আদালতে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিব খানের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৪ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এ দিন মামলার প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় শাকিব খানের আইনজীবী খাইরুল হাসান প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৩ আগস্ট নারাজি দাখিলের দিন ধার্য করেন।

এদিকে নারাজির আবেদনে শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান উল্লেখ করেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনের ওপর বাদী (শাকিব খান) সন্তুষ্ট নয়। শাকিব খান আদালতে উপস্থিত না থাকায় নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের প্রার্থনা করছি।’

মামলার বাদী শাকিব খান রানা (৪৩) আদালতে অভিযোগ করেন যে, তিনি একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্যবার পুরস্কৃত হয়েছেন। অপর পক্ষে মামলার বিবাদী মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ একজন সাইবার অপরাধী, অর্থলোভী, অন্যায় কুৎসা রটনাকারী, অন্যের মানসম্মান ক্ষুণ্নকারী এবং আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। শাকিব খান ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলা ছায়াছবি ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এ অভিনয়ের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়ার স্বত্বাধিকারী মো. জানে আলমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ওই ছবির শুটিং করার জন্য শাকিব খান একই বছরের ৩০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে জানতে পারেন যে, ছবির মনোনীত নায়িকা মিস শিবা আলী ভিসা জটিলতার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেননি। তার স্থলে এ্যানি রেনেসা সাবরিন নামে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক এক মহিলাকে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করার জন্য মামলার বিবাদী রহমত উল্লাহ অনুরোধ করলে, শাকিব খান সবিনয়ে তা নাকচ করে নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। যার প্রেক্ষিতে বাদীকে ফাঁদে ফেলার জন্য বিবাদী, বাদীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে তাকে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিতে থাকেন। শাকিব খান সরল বিশ্বাসে একদিন শুটিং শেষ করে রহমত উল্লাহর সঙ্গে ক্লাবে গিয়ে সেখানে এ্যানি রেনেসা সাবরিনসহ আরও অপরিচিত ২-৩ জনকে দেখতে পান এবং তাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াসহ পানীয় পান করলে শাকিব খান অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মামলার অভিযোগে শাকিব খান আরও উল্লেখ করেন, বাদী তার হোটেলে ফেরত আসার সময় মামলার বিবাদীসহ অপরিচিত অপর কাউকে না পেয়ে এ্যানি রেনেসা সাবরিনের কাছ থেকে বিদায় নিতে চাইলে এ্যানি রেনেসা সাবরিনের কথায় বাদী তার হোটেলরুমে আসার পথে অজ্ঞান হয়ে যায়। পর দিন সকাল বেলা বিবাদী ফোন করে বাদীকে ওই মহিলার সঙ্গে রাতে যা যা করেছে তার ভিডিও ক্লিপ আছে বলে জানান। শাকিব খান যদি এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার চাঁদা বিবাদীকে না দেন তাহলে এ্যানি রেনেসা সাবরিনকে নিয়ে পুলিশের কাছে নালিশ করবে মর্মে শাকিব খানকে নানা হুমকি প্রদান করেন। শাকিব খান যেহেতু অজ্ঞান ছিলেন, সেহেতু তার সঙ্গে এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি ভয় পেয়ে রহমত উল্লাহকে এত টাকা কোথা থেকে দিব বললে, রহমত উল্লাহ নানা রকম ভয়ভীতি দেখান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তখন শাকিব খান নানাবিধ বিষয় চিন্তা করে ৫ হাজার ৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার রহমত উল্লাহকে দেন। এর ধারাবাহিকতায় শাকিব খান বিভিন্ন সময়ে রহমত উল্লাহকে সর্বমোট বাংলাদেশি টাকায় ৪০ লাখ টাকা দেন। রহমত উল্লাহ আরও টাকা চেয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে তাকে জানায়। পরবর্তী সময় শাকিব খান ২০১৮ সালে ওই ছবির শুটিং করতে অস্ট্রেলিয়ায় গেলে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ তদন্ত করে তার কোনো অপরাধের প্রমাণ পাননি। তখন শাকিব খান বুঝতে পারেন যে, রহমত উল্লাহ মিথ্যা ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। শাকিব খান, রহমত উল্লাহকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করলে ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে রহমত উল্লাহ প্রকাশ করেন যে, শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, শিডিউল না দেওয়ার বিষয় এবং একই তারিখ বিকেলে একটি বেসরকারি টিভিতে রহমত উল্লাহ বিবাদী নিজেকে প্রযোজক হিসাবে উপস্থাপন করে শাকিব খানের অশ্লীল যৌনাচারের কথা বাংলাদেশের সবাই জানে বলে প্রতারণার উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও বাদীর মানহানিকর তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচার করে বিবাদী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৪/২৫/২৯ ধারার অপরাধ করেছেন।

অপরদিকে, তদন্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলায় তদন্তে চারজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলার ঘটনার বিষয়ে আরও সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করার চেষ্টা করি। যেহেতু বাদীর আনীত অভিযোগে উল্লিখিত ইউআরএলসমূহে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, সেহেতু বিশারদ দ্বারা পরীক্ষা করে কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না মর্মে তা করার প্রয়োজন বোধ করিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলার বাদী শাকিব খানের আনা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলাসংক্রান্তে বাদী কর্তৃক পাঠানো পেনড্রাইভ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। দালিলিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে মামলার অভিযুক্ত মোহাম্মদ রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়নি।’

প্রযোজক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘শাকিব খান মিথ্যা অভিযোগে আমার নামে যে মামলা করেছেন, পিবিআই তার কোনো সত্যতা পায়নি। সেই মোতাবেক পিআইবি আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যদিও শাকিব খানের আইনজীবী পিআইবির এই রিপোর্টের জন্য নারাজির আবেদন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খান আমাকে অসম্মান ও হেয় করার জন্য আমার নামে যে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন তার আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

জাহ্নবী

পাঁচ গানে দিঠি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ এএম
পাঁচ গানে দিঠি
দিঠি আনোয়ার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি আনোয়ার। বেশ কিছু দিন দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন দিঠি। দেশে ফিরেই গানে সরব হচ্ছেন তিনি। আজ থেকেই গানের কাজ শুরু করবেন এই গায়িকা।

আজ বেলা ৩টায় মাই টিভির স্টুডিওতে পাঁচটি গানে কণ্ঠ দেবেন দিঠি। পাঁচটি গানের কথা লিখেছেন তার বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পাঁচটির মধ্যে চারটি গানের সুর করেছেন সংগীতশিল্পী অপু আমান এবং একটি গানের সুর মোমিন বিশ্বাস।

দিঠি বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই গানগুলোতে কণ্ঠ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে আজ পাঁচটি গানে কণ্ঠ দেব। সব গানই আমার আব্বুর লেখা। অপু আমানকে আমার আব্বু আদর করতেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে আব্বু অপুকে কিছু কাজ দিয়েছিলেন। অপু সেই কাজগুলোই পরম শ্রদ্ধা ও যত্ন করে করেছেন। আশা করছি আজকের গানগুলো অনেক ভালো হবে। ধন্যবাদ অপুকে গানগুলোর যত্ন নেওয়ার জন্য। আব্বুকে খুব মিস করছি, আব্বু বেঁচে থাকলে খুশি হতেন। আব্বুর জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিভিতে পাঁচটি দেশের গানের শুটিং-এ অংশ নিবেন এই গায়িকা।

এ ছাড়া আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর জন্মদিনে ‘গ্লোবাল’ টিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করবেন দিঠি। পরের দিন অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর দেশ টিভির ‘প্রিয়জনের গান’ অনুষ্ঠানে গাইবেন দিঠি ও অপু আমান। দেশে ফিরেই গানের ব্যস্ততা নিয়ে দিঠি বলেন, ‘কাজের মাঝে থাকতে আমার ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয়, এই সময়টা এখন কাজের। তাই দেশে থাকি বা বিদেশে আমি কাজের মাঝেই থাকতে ভালোবাসি।’

জাহ্নবী

মেহজাবীনের হ্যাটট্রিক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
মেহজাবীনের হ্যাটট্রিক

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। নাটক, টেলিফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ সব মাধ্যমেই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তার অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের কাছে ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন এই লাক্স তারকা। ছোট পর্দায় তার ক্যারিয়ারের বয়স ১৪ বছর। দীর্ঘ ১৪ বছর ছোট পর্দায় কাজ করে অবশেষে সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম ‘সাবা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন। নারীপ্রধান গল্পে নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে বর্তমানে মেহজাবীন কানাডার টরন্টোতে রয়েছেন। কানাডায় ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি বিভাগে লড়াই করেছে এই ছবিটি। গতকাল উৎসবে শেষবারের মতো ছবিটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ছবিটির। এ ছাড়া ৮ সেপ্টেম্বরও ছবিটির আরও একটি প্রদর্শনী হয়েছে। সেখানে দর্শকের দারুণ সমাগমও হয়েছে। সবমিলিয়ে টরন্টো উৎসবে প্রথম ছবিতেই প্রদর্শনীর হ্যাটট্রিক করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই সফরে মেহজাবীনের সঙ্গে রয়েছেন ছবির নির্মাতা মাকসুদ হোসেন এবং সহশিল্পী মোস্তফা মন্‌ওয়ার। উৎসবের পর্দা নামবে আজ। 

এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী। এ বছরই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ‘সাবা’ এমনটি জানা গেছে।

বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)-এর এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেহজাবীন। প্রতিটি শোয়ের পর মুহুর্মুহু করতালিতে সিক্ত হচ্ছে ‘সাবা’ টিম। সেই সঙ্গে নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন মেহজাবীন।

তবে টরন্টোয় উৎসবস্থলে গিয়ে মেহজাবীন রীতিমতো অবাক হয়েছেন। কারণ মেহজাবীন দেখা পেয়েছেন তার প্রিয় হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরোনো ভক্ত মেহজাবীন। তাই প্রিয় অভিনেত্রীর দেখা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়েছেন তিনি।

কয়েকটি ছবি তুলে মেহজাবীন প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও। ক্যাপশন লিখেছেন, ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফ-এ ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’

অভিনয়ের পাশাপাশি ‘সাবা’ প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহসংগীতে আম্মান আব্বাসি। ছবির গল্প, চরিত্র, নির্মাণ, সহশিল্পী ও নেপথ্যের কলাকুশলীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ মেহজাবীনের জীবনে সব সময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে বলেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

জাহ্নবী

তাপসীর ঘোষণা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ এএম
তাপসীর ঘোষণা

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা তাপসী পান্নু। বর্তমানে বলিউডেও শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাপসী পান্নুকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘ডানকি’ সিনেমায়। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত বলিউড কিং শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর। তাপসী অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘ও লাড়কি হ্যায় কাহাঁ’, ‘খেল খেল মে’ ছবিগুলো।

এবার নতুন সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন এই তারকা অভিনেত্রী।

নেটফ্লিক্সের ‘হাসিন দিলরুবা’ ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে আলোচনায় আসেন লেখক-শিল্পী জুটি কণিকা ঢিলোঁ ও তাপসী পান্নু। গত মাসে মুক্তি পেয়েছে ‘হাসিন দিলরুবা ২’। এবার নেটফ্লিক্সের জন্যই নতুন ছবির ঘোষণা দিলেন তাপসী ও কণিকা। এমন খবর প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।

তবে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন সিনেমার নাম ‘গান্ধারী’। মা-সন্তানের ভালোবাসার গল্প নিয়ে নির্মিত হবে এই ছবিটি। নতুন সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন কণিকা, ছবিটি প্রযোজনাও করবেন তিনি। ছবিটি পরিচালনা করবেন ‘জোরাম’ পরিচালক দেবাশীষ মাখিজা।

এই ছবির ঘোষণা আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা শুরু হয়েছে তাপসী ভক্তদের। এই ছবিটি হবে অ্যাকশন ও থ্রিলারধর্মী নির্মাণ।

জাহ্নবী

কেপপ তারকার মামলার তদন্ত শুরু

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ এএম
কেপপ তারকার মামলার তদন্ত শুরু

কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ তারকা মুন তাই-ইলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। অভিযোগের জের ধরে ব্যান্ড এনসিটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত মাসের শেষ দিকে এসএম এন্টারটেইনমেন্টের আওতাভুক্ত ছেলেদের গানের দল ছাড়েন ৩০ বছর বয়সী এ গায়ক।

গত শুক্রবার মুন তাই-ইলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি মামলার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তাই-ইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর এক বিবৃতিতে এসএম এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছিল, তাই-ইল ব্যান্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এই তারকা।

ব্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, ‘তাই-ইলের বিরুদ্ধে অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ব্যান্ড। অভিযোগ প্রমাণ বা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডের কোনো কার্যক্রমে তিনি আর অংশ নেবেন না।’

২০১৬ সালে প্রথম গান প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড এনসিটি। সেই থেকে একের পর এক জনপ্রিয় গান দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে দলটি। এমনকি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে দলটি। বাংলাদেশেও দলটির অনেক অনুরাগী রয়েছে।

জাহ্নবী

‘জোড়া শালিক’

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ এএম
‘জোড়া শালিক’

বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘জোড়া শালিক’। মনির জামানের রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন আফরোজা সুলতানা। আজ রাত ৯টা ৫ মিনিটে শুরু হয়ে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম ও মঙ্গলবার নাটকটি প্রচার হবে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, নাজনীন চুমকী, তাহমিনা মৌ, সুষমা সরকার, সাব্বির আহমেদ, অলংকার চৌধুরী, শাহেদ শাহরিয়ার, আমিন আজাদ, আহসান কবির, বিনয় ভদ্র ও আমিরা মণি। 

নাটকের গল্পে দেখা যাবে- ঢাকা শহরের দুই বোহেমিয়ান তরুণ-তরুণী, দুজনই শিক্ষিত তবে বেকার। আড্ডাতেই দিন কেটে যায়। ছেলেটার থাকার জায়গা নেই। মেয়েটি থাকে ভাইয়ের বাসায়। ভাই-ভাবি ও ভাইয়ের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে তাদের পরিবার। ভাবি ননদকে সহ্য করতে না পারলেও ভাইয়ের ছোট্ট মেয়ে ফুপির ভীষণ ভক্ত। এক দিন রাত করে বাড়ি ফিরলে ভাবি ননদকে আর বাসায় ঢুকতে দেয় না। মেয়েটি রাগ করে বের হয়ে যায়। রাস্তায় বেরিয়ে দেখে ছেলেটি এখনো চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে। মেয়েটি সেখানে হাজির হয়ে ছেলেটির সঙ্গে গল্প শুরু করে। একপর্যায়ে জানায়, সে আজ রাতে আর বাড়ি ফিরবে না। দুজনে মিলে রাতের ঢাকা ঘুরে দেখবে। রাস্তায় তারা ছিনতাইকারির কবলে পড়ে মোবাইল-মানিব্যাগ হারায়। একপর্যায়ে মেয়েটাকে ছেড়ে যেতে চাইলেও দায়িত্ববোধের কারণে ছেলেটা তা পারে না। শুরু হয় জোড়া শালিকের মতো তাদের পথযাত্রা। এভাবেই এগিয়ে চলে গল্প।

জাহ্নবী