ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মায়ের জন্মদিনে জাহ্নবীর বার্তা

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
মায়ের জন্মদিনে জাহ্নবীর বার্তা

বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শ্রীদেবী। প্রায় পাঁচ দশক ভারতীয় চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন তিনি। শুধু বলিউডে নয়, শ্রীদেবী অভিনয় করেছেন তামিল, তেলুগু ও মালয়ালম সিনেমাতেও। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এ সময়ের তরুণ তারকাদের মধ্যে জাহ্নবী বেশ আলোচিত। গতকাল ছিল প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর জন্মদিন। আর তাই মায়ের জন্মদিনে জাহ্নবী দিয়েছেন নতুন বার্তা। গতকাল সকাল সকাল তিনি গিয়েছিলেন তিরুপতি মন্দিরে। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে তিনটি ছবি শেয়ার করে জাহ্নবী লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন মা। তোমাকে ভালোবাসি।’

প্রথম ছবিটিতে দেখা যায় তিরুপতি মন্দিরের সিঁড়ি। বোঝা যায়, এই সিঁড়ি দিয়েই মন্দিরে যাবেন অভিনেত্রী। এরপর নিজের ছোটবেলার একটি ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে মায়ের কোলে বসে বছর সাত-আটের জাহ্নবী। মেয়ের গালে গাল ঠেকিয়ে হাসছেন শ্রীদেবী। তৃতীয় ছবিটি বর্তমান সময়ের জাহ্নবীর।

উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীদেবী। ১৯৬৭ সালে মাত্র চার বছর বয়সে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তামিল ছবির মাধ্যমে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে তার জীবনাবসান ঘটে।

বনি কাপুর ও শ্রীদেবীর বড় মেয়ে জাহ্নবী। বর্তমানে তার পরবর্তী ছবি ‘দেবারা’র মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ২০০ কোটি টাকার এই ছবিটি মূলত তেলুগু হলেও একাধিক ভাষায় মুক্তি পাবে পুরো ভারতে। এতে জাহ্নবীর বিপরীতে রয়েছেন জুনিয়র এনটি রামা রাও। ছবিতে রয়েছেন সাইফ আলি খান, ববি দেওলসহ আরও অনেকেই।

জাহ্নবী

 

ফোবানা সম্মেলনের পর্দা নামলো কাজী মুস্তার নাচে

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ফোবানা সম্মেলনের পর্দা নামলো কাজী মুস্তার নাচে

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা পারফর্ম করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনে। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে নাচ করে আসছেন বাংলাদেশের তরুণ এই নৃত্যশিল্পী কাজী মুস্তা।

বাংলাদেশের প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান এই ফোবানা সম্মেলন। উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সর্ববৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা’ আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের পাশাপাশি ভারতের বিখ্যাত তারকারাও অংশগ্রহণ করেন।

এবারের ৩৮তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। গত ৩০ আগস্ট প্রখ্যাত মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, রণবীর সাহা ও কাজী মুস্তার নাচের মাধ্যমে এই আয়োজনের উদ্বোধন হয়েছে। নাচটি কোরিওগ্রাফি করেন রোজমেরি মিত রেবেরিও। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্নিল সজীব।

গত ১ সেপ্টেম্বর ফোবানার সমাপনী পরিবেশনাও ছিলো কাজী মুস্তার। আধ ঘণ্টার বেশি সময়ের সেই পরিবেশনায় বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। বাউল নাচ, রবীন্দ্র-নজরুল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাচ, ধান কাটা, নৌকা বাইচ - কিছুই বাদ পড়েনি এই পরিবেশনায়। রণবীর সাহার কোরিওগ্রাফিতে মুস্তার সহশিল্পী ছিলেন অপর্ণা মিত্র ও রণবীর। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন তাসকিম বিনতে সিদ্দিক।

কাজী মুস্তা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশের স্বনামধণ্য নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কবিরুল ইসলাম রতনের কাছে নাচ শিখেছি। উচ্চতর পড়াশুনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম, পরবর্তীতে পেশাগত কারণে নিউইয়র্কেই বসবাস করছি। তবে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নাচকে ভুলে যাইনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ডাক পেয়ে ছুটে যাই প্রতিনিয়ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফোবানার মতো বড় আয়োজনে উদ্বোধনী ও সমাপনী নৃত্য পরিবেশন করা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। দর্শক দারুণ উপভোগ করেছেন আমাদের নাচ। সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের মতো তারকার সঙ্গে আগেও নাচ করেছি যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তার সঙ্গে কাজ করে প্রতিবারই নতুন কিছু শিখতে পারি। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) আমার জন্মদিন, সবার কাছে জন্য দোয়া চাই যেন ভবিষ্যতে আরও বড় মঞ্চে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারি সম্মানের সাথে।’

উল্লেখ্য, সাদিয়া ইসলাম মৌ, কাজী মুস্তা ছাড়াও এবার ফোবানা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন আঁখি আলমগীর, মুজা, জেফারসহ বাংলাদেশের বেশকিছু জনপ্রিয় তারকা শিল্পী।

সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গিয়েছিলেন। সালমানের মৃত্যুবার্ষিকী এলেই যেন বিশেষ শহরের দাঁড়িয়াপাড়ার নানার বাসায় সালমানভক্তদের আসা-যাওয়াটা যেন একটু একটু করে বাড়তেই থাকে। কারণ এই বাসাতেই অর্থাৎ এই ‘সালমান শাহ হাউস’-এ কেটেছে সালমানের ছোটবেলা। দূরন্ত সময়টা তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন। জানালেন তার মামা কুমকুম। 

দেশের সিনেমার ইতিহাস সৃষ্টিকারী নায়ক সালমান শাহ। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে। মৃত্যুর ২৮ বছর পরও তিনি এখনো আকাশচুম্বী জনপ্রিয়। এখনো টিভি পর্দায় তার সিনেমা প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন। মৃত্যুর এত বছর পরও সালমান শুধু তার দুর্দান্ত অভিনয় এবং ফ্যাশনে ভিন্নমাত্রা দিয়েই আজও দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে আছেন।

সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের দাদার বাড়ি সিলেট শহরের শেখঘাটে আর নানার বাড়ি দাঁড়িয়াপাড়ায়। যে বাড়ির নাম এখন ‘সালমান শাহ হাউস’। তার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানও তাই সেই নানার কারণেই আসা। স্কুলে পড়ার সময় সালমান শাহ বন্ধুমহলে সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লীগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে আসার আগেই ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী ছিলেন সামিরা হক। যদিওবা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করেই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান সালমান শাহ। কিন্তু তার আগেই তিনি নাটকে অভিনয় করেন। মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহর অভিনয়জীবন শুরু হয়। ওই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে তৌকীর আহমেদ অভিনয় করলেও সালমান শাহর চরিত্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সালমান। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও তার উপস্থিতি দর্শকের মধ্যে ভীষণ সাড়া ফেলেছিল। যদিওবা মৌসুমীর সঙ্গে সিনেমায় সালমানের অভিষেক হয়। পরে মৌসুমীর সঙ্গে আরও দুটি সিনেমা ‘স্নেহ’, ‘অন্তরে অন্তরে’তে অভিনয় করলেও আর কোনো সিনেমায় তাদের দেখা যায়নি। শাবনূরের সঙ্গেই বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সালমান শাহ। যে জুটিকে এখনো সিনেমার অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। সালমান শাহর সঙ্গে জুটি হয়ে আরও অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি।

সালমানের মৃত্যুর এত বছর পরও পরবর্তী সময়ে বাংলা সিনেমায় অনেক নায়কের আবির্ভাব হলেও অভিনয় আর ফ্যাশন দিয়ে আর কোনো নায়ক আজ পর্যন্ত সালমান শাহর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি, অনেক চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালকের ভাষ্যমতে, সালমান শাহ ছিলেন ধুমকেতুর মতো, এলেন দেখলেন জয় করলেন আবার চলেও গেলেন। কোনো নায়কের মৃত্যুর এত বছর পরও ভক্তদের হৃদয়ে এতটা ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোনো দেশের কোনো নায়কের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

জাহ্নবী

নতুন বাংলাদেশে নতুন ‘ইত্যাদি’

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
নতুন বাংলাদেশে নতুন ‘ইত্যাদি’
জনপ্রিয় 'ইত্যাদি' অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হানিফ সংকেত

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। এবার ‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব নির্মিত হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রত্নসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থান, আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রাখা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন মধুটিলা ইকোপার্কে বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। এই সবুজ পার্কের সবুজের সমারোহের সঙ্গে সংগতি রেখে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিয়ে মোড়ানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের নতুন ‘ইত্যাদি’।

জুলাই মাসের শুরুর দিকে অনুষ্ঠানটির পর্ব ধারণ করা হয়। নালিতাবাড়ীতে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। অনুষ্ঠানটির প্রচার তারিখ গত ২৬ জুলাই থাকলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরাজমান পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানটির প্রচার করা হয়নি। অবশেষে নতুন বাংলাদেশে ইত্যাদির নতুন পর্ব প্রচার হচ্ছে। আজ ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ইত্যাদি প্রচারিত হবে। বরাবরের মতোই ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত। এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

এবারের নির্মিত ইত্যাদিতে শেরপুরের পালাগানের শিল্পী তারা বয়াতি এবং পান্থ কানাই একটি ভিন্ন রকম লোকসংগীত পরিবেশন করেছেন। এ ছাড়া শেরপুরকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন শেরপুরেরই স্থানীয় শতাধিক বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন কমল কান্তি পাল, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজীব ও তানজিনা রুমা। দুটি গানেরই সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী।

দর্শক পর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান শেরপুরকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনিমেষ রায়।

এ ছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। বিভিন্ন সামাজিক অসংগতি ও সমাজ সংস্কারের ওপর সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ নাট্যাংশ দেখা যাবে নতুন পর্বে।

জাহ্নবী

জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রীর নেতৃত্বে শিবলী

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রীর নেতৃত্বে শিবলী
লতিফুল ইসলাম শিবলী

খ্যাতিমান গীতিকবি ও ঔপন্যাসিক লতিফুল ইসলাম শিবলী। যেকোনো অনিয়মে সোচ্চার হন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব এই নন্দিত গীতিকবি। 

বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার সঙ্গে হাতে হাত রেখে রাজপথে স্লোগানে স্লোগানে মেতেছিলেন শিবলী। এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণা ধারণ করে গঠন করা হলো নতুন সংগঠন ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রী’। দেশাত্মবোধ, সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং ফ্যাসিবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নবজাগরণের বোধ ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে সংগঠনটি।

প্রখ্যাত চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহারকে আহ্বায়ক করে সংগঠনটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী।

এই সংগঠনের পক্ষ থেকে লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, অচিরেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে।

আহ্বায়ক কমিটিতে দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে অবদান রাখা ফ্যাসিবাদবিরোধী ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন কাজী জেসিন, আমিরুল মোমেনীন মানিক, সাম্য শাহ্, জুননু রাইন, সামসুদ্দিন হিরা, বিমল চন্দ্র দাশ, মামুন সারওয়ার, সাইয়েদ জামিল, জব্বার আল নাঈম, রাসেল রায়হান, প্রাচ্য মোহাম্মদ, সৈয়দ আহসান কবীর, রুদ্রাক্ষ রায়হান, পলিয়ার ওয়াহিদ, এহসান মাহমুদ, ইমরান মাহফুজ, সরোজ মেহেদী, শিমুল পারভীন, মঈন মুনতাসীর, দিদার মোহাম্মদ, ফরিদুল ইসলাম নির্জন, ফারুক হোসেন খান, ফারহানা নিমগ্ন দুপুর, সাইনা ইসলাম ও আবিদ আজম।

এর বাইরে সংগঠনটির উপদেষ্টা ও পরামর্শক পর্ষদে আরও কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সংগঠনটি রাজধানীসহ সারা দেশে সাংগঠনিক রূপ নেবে বলে জানান শিবলী।

জাহ্নবী

শহিদদের স্মরণে কৃষ্ণকলি

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
শহিদদের স্মরণে কৃষ্ণকলি

শ্রোতাপ্রিয় গায়িকা কৃষ্ণকলি ও তার দল এবার সব কালের স্বপ্নদর্শী সব শহিদের স্মরণ করলেন গানে গানে। গানের শিরোনাম ‘ভালোবাসি ভালোবাসি বলে’। সম্প্রতি গান ও ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া গানটি শোনা যাচ্ছে স্পটিফাইয়ে। এই গানে উঠে এসেছে শ্রেণি, লিঙ্গ, জাতি, বর্ণ-ধর্মবৈষম্য এবং ভালোবাসার বিভিন্ন কথা। 

গানের কথা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন কৃষ্ণকলি। লিড গিটারে আছেন আহনাফ খান অনিক, রিদম গিটারে অর্ক সুমন, ড্রামসে সুদীপ্ত বর্ধন শুভ। ভিডিও এডিট করেছেন পার্থ সারথি মোদক।

ইউটিউবে গানটি প্রকাশের ট্যাগলাইনে লেখা আছে- ‘২০২৪-এর এই অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। অনেক বছরের দমবন্ধ গুমোট হাওয়া বদলের আশায় এত প্রাণ বিসর্জন। সম্মানের, ভালোবাসাময় এক দেশ, এক পৃথিবী দেখার আশা আমাদের সাধারণ জনমনে। এই গান সেই স্বপ্ন ধারণ করেন যারা তাদের প্রতি, সব কালের স্বপ্নদর্শী সব শহিদের প্রতি।’

জানা গেছে, ২০১৭ সালে গানটি লিখেছিলেন কৃষ্ণকলি। এরপর বিভিন্ন কনসার্টে নিয়মিত গেয়েছেন তিনি। মাঝখানে গানটা রেকর্ড করলেও প্রকাশ করা হয়নি।

জাহ্নবী