বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথ সব জায়গাতেই আন্দোলন ঘিরে দেশে হত্যা, সহিংসতা, গ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ এবং আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে সরব ছিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
রাজপথে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বাঁধনের একটি বক্তব্য সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ ও স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাঁধন।
এই অভিনেত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা যায়, ভারতীয় কিছু ব্যক্তি বাঁধনের বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও থেকে স্থিরচিত্র পোস্ট করে তাতে সাম্প্রদায়িক ইস্যু উল্লেখ করেছেন। বাঁধন নাকি হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়ার কথা বলছেন।
যা কেবলই অপপ্রচার। আর এ নিয়েই কথা বলেছেন তিনি।
গতকাল সকালে বাঁধন তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যম ও উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীর নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে বাধ্য হলাম। একজন গর্বিত বাংলাদেশি হিসেবে আমার দেশের সাম্প্রতিক ইস্যুতে প্রতিবাদ করেছি, যার ভিডিও শেয়ার করেছি। আমি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং অত্যাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। বক্তব্যে বলেছি যে, এটি আমার দেশ, আমরা এটি সংস্কার করতে সহায়তা করব। কিন্তু কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম ও প্রপাগান্ডা যন্ত্রগুলো সেই বক্তব্যকে অন্যদিকে মোড় দিচ্ছে, মিথ্যা ছড়াচ্ছে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে। এমনকি তারা আমার ভিডিওকে কারসাজির মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, যাতে সহজেই ভুল তথ্য ছড়ানো যায়।’
বাঁধন আরও লিখেছেন, ‘আমি ভারত সরকার ও দেশটির জনগণকে এ ধরনের অনলাইন সন্ত্রাসবাদ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান করছি। আমরা আমাদের বর্ণনা তাদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে দেব না এবং কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি করতে দেব না।’
জাহ্নবী