মাছরাঙা টেলিভিশনে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘এমন যদি হতো’। প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এই নাটকটি প্রচার হচ্ছে। গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর নাটকটির ৫০তম পর্ব হয়েছে। রাজিবুল ইসলাম রাজিবের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে আবু হায়াত মাহমুদ ও সাইদুর রহমান রাসেল।
থাইল্যান্ডের পাতায়াতে ধারণকৃত ভিন্নধর্মী গল্পের এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন জোভান, তৌসিফ, মিশু সাব্বির, কেয়া পায়েল, সামিরা খান মাহি, টয়া, রোদসী, চাষী আলম, সাজু খাদেম, শতাব্দী ওয়াদুদ, তানিয়া আহমেদ, মাহা, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, মুকিত জাকারিয়া, আজাদ আবুল কালাম প্রমুখ।
গল্পে দেখা যাবে, পাতায়ার রাস্তা দিয়ে দৌড়ে আসছে প্রাগৈতিহাসিক উপন্যাসের চরিত্র ভিখু। ধুতি আর বাবা গেঞ্জি পরা এক হাত অবশ, সেই হাত ধরে ছুটছে। এদিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার দরবার খুঁজে পাচ্ছেন না। সে দরবার খুঁজছে। গোপাল ভাঁড়ের হয়েছে আরেক জ্বালা। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র জরুরি খবর পাঠিয়েছেন, পাতায়ার রাস্তা ধরে হাঁটছেন তো হাঁটছেন কিন্তু গোপালের হাঁটা শেষ হচ্ছে না।
ওদিকে দেবদাস বেশ খুশি, চারদিকে এত বার; শুরা পানের আর সমস্যা নাই। কুবের আর কপিলা সমুদ্রের পাড়ে বসে কথা বলছে। কপিলা মাঝি আমারে তুমি কই নিয়া আইলা? কুবের বলে, আমিওতো বুঝতাছি না কপিলা। মনে হয় আমরা পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাস থেইকা আরেক গল্পে ঢুইকা গেছি। কপিলা- এখন আমাগো কি হইব মাঝি? কুবের, কি আর হইব, আনন্দ করমু ফুর্তি করমু, আয় কাছে আয়।
রিসোর্টে গাছের ওপর লালসালু বিছিয়ে মাজার করে ফেলেছেন মজিদ। হলুদ পাঞ্জাবি পরে এই গরমে খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে হিমু হাজির হয় রূপার সামনে। উপন্যাস থেকে উঠে এসেছে শেষের কবিতার লাবণ্য, মাসুদ রানার সোহানী, নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাইজি লুতফা। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
কলি