বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে সংস্কার। গত ১২ আগস্ট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন লিয়াকত আলী লাকী। এবার তাকে অব্যাহতি দিয়েছে দেশের ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংগঠন। তিনি বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাকীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় তাকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গঠনতন্ত্রের ১৪.১.৪ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে উর্মিলা শ্রাবন্তী কর ও সাজু খাদেমকে ‘শোকজ’ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দুজনই অভিনয় শিল্পী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এর মধ্যে সাজু খাদেম সাংগঠনিক সম্পাদক ও উর্মিলা শ্রাবন্তী কর আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এই দুজনকে শোকজ করার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ৭ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠানো হয়। গঠনতন্ত্রের ৭.৫ ধারা মোতাবেক তাদের শোকজ করা হয়েছে।’ তবে এখনো এই দুই অভিনয়শিল্পী চিঠির উত্তর দেননি।
জানা গেছে, ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, সোহানা সাবা, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, শামীমা তুষ্টি, জায়েদ খানসহ অনেকের অবস্থান ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে।
হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে তারা আন্দোলন থামাতে হবে মতামত দেন। আন্দোলনরত ছাত্রদের বিপক্ষে গ্রুপটিতে কথা বলেন অভিনয় শিল্পী সংঘের শোকজ পাওয়া এই দুই তারকা। ওই গ্রুপে আরও যুক্ত ছিলেন সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান প্রমুখ।
এদিকে অভিনয় শিল্পী সংঘের নানা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সংস্কার দাবি করেছে সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পীদের একটি দল। তারা বেশ কিছু সভা-সমাবেশও করেছেন।
জাহ্নবী