ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

মেহজাবীনের হ্যাটট্রিক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
মেহজাবীনের হ্যাটট্রিক

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। নাটক, টেলিফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ সব মাধ্যমেই আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তার অভিনয় দক্ষতায় দর্শকদের কাছে ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন এই লাক্স তারকা। ছোট পর্দায় তার ক্যারিয়ারের বয়স ১৪ বছর। দীর্ঘ ১৪ বছর ছোট পর্দায় কাজ করে অবশেষে সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম ‘সাবা’। এটি নির্মাণ করেছেন মাকসুদ হোসেন। নারীপ্রধান গল্পে নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে বর্তমানে মেহজাবীন কানাডার টরন্টোতে রয়েছেন। কানাডায় ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি বিভাগে লড়াই করেছে এই ছবিটি। গতকাল উৎসবে শেষবারের মতো ছবিটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছে ছবিটির। এ ছাড়া ৮ সেপ্টেম্বরও ছবিটির আরও একটি প্রদর্শনী হয়েছে। সেখানে দর্শকের দারুণ সমাগমও হয়েছে। সবমিলিয়ে টরন্টো উৎসবে প্রথম ছবিতেই প্রদর্শনীর হ্যাটট্রিক করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই সফরে মেহজাবীনের সঙ্গে রয়েছেন ছবির নির্মাতা মাকসুদ হোসেন এবং সহশিল্পী মোস্তফা মন্‌ওয়ার। উৎসবের পর্দা নামবে আজ। 

এতে আরও অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী। এ বছরই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ‘সাবা’ এমনটি জানা গেছে।

বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)-এর এবারের আসরে একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমার প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেহজাবীন। প্রতিটি শোয়ের পর মুহুর্মুহু করতালিতে সিক্ত হচ্ছে ‘সাবা’ টিম। সেই সঙ্গে নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন মেহজাবীন।

তবে টরন্টোয় উৎসবস্থলে গিয়ে মেহজাবীন রীতিমতো অবাক হয়েছেন। কারণ মেহজাবীন দেখা পেয়েছেন তার প্রিয় হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নওমি ওয়াটসের। ব্রিটিশ এই অভিনেত্রীর পুরোনো ভক্ত মেহজাবীন। তাই প্রিয় অভিনেত্রীর দেখা পেয়ে ভীষণ আনন্দিত হয়েছেন তিনি।

কয়েকটি ছবি তুলে মেহজাবীন প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলেও। ক্যাপশন লিখেছেন, ‘নওমি ওয়াটসের সঙ্গে টিআইএফএফ-এ ফ্যানগার্ল মোমেন্ট।’

অভিনয়ের পাশাপাশি ‘সাবা’ প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহসংগীতে আম্মান আব্বাসি। ছবির গল্প, চরিত্র, নির্মাণ, সহশিল্পী ও নেপথ্যের কলাকুশলীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগসহ সব মিলিয়ে ‘সাবা’ মেহজাবীনের জীবনে সব সময়ই বিশেষ একটি নাম হয়ে থাকবে বলেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

জাহ্নবী

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ‘পরামর্শক কমিটি’ গঠন

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ‘পরামর্শক কমিটি’ গঠন
চলচ্চিত্র ‘পরামর্শক কমিটি’র সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। গত ২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে ২৩ জন সদস্যের পরামর্শক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন তথ্য উপদেষ্টা এবং সদস্যসচিব হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) তথ্য মন্ত্রণালয়।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান, এফবিসিআই, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, প্রদর্শক সমিতির একজন করে সদস্য ছাড়াও সদস্য হিসেবে আরও থাকছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ. আল মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক আরিফুর রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক তানিম নূর, বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি, চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী, সমালোচক ও নির্মাতা আহমেদ সালেকীন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন, নীতি, বিধির প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান। পরামর্শক কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। আর তাদের কাজ হবে: চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালার কোনো বিষয়ে সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান। কমিটি বছরে ন্যূনপক্ষে দুটি সভায় মিলিত হবে বলে জানা গেছে।

জাহ্নবী

 

জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির অভিনয়ের ১০ বছর

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ পিএম
জান্নাতুল সুমাইয়া হিমির অভিনয়ের ১০ বছর
জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। ছবি: সংগৃহীত

টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে মিডিয়াতে যাত্রা শুরু হয় তার। এরপর গুণী নাট্যনির্মাতাদের নাটকে অভিনয় করে করে দীর্ঘ এক দশকের অভিনয়জীবনের পথচলায় হিমি এখন এ প্রজন্মের নাট্যাভিনেত্রীদের মধ্যে শীর্ষ একজন অভিনেত্রী। গেল দুই বছরেরও বেশি সময়ে দর্শকের তার অভিনীত নাটকের প্রতি যেমন আগ্রহ বেড়েছে, ঠিক তেমনি প্রযোজক-পরিচালকদেরও তাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ বেড়েছে অনেক। যে কারণে হিমি এখন পুরোদস্তুর একজন ব্যস্ত নাট্য-অভিনেত্রী।

প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী তার দশ বছরের অভিনয়জীবনে একটি সিনেমাতেই অভিনয় করেছিলেন। নাম ‘হঠাৎ দেখা’। এটি নির্মাণ করেছিলেন রেশমী মিত্র। হিমির বিপরীতে বেশিরভাগ নাটকেই অভিনয় করেন এই প্রজন্মের আলোচিত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। সর্বশেষ তাদের দুজনের সুপার হিট নাটক হলো মহিন খানের ‘কিস্তির স্যার’। গোল্লাছুটে প্রকাশিত এই নাটকটির ভিউ নয় দিনে নয় মিলিয়ন। এরই মধ্যে গতকাল প্রকাশিত হয়েছে মাহমুদ হাসান রানা পরিচালিত নিলয় হিমি অভিনীত ‘আমার একজন মানুষ আছে’ নাটকটি। চ্যানেল আই প্রাইমে প্রকাশিত এই নাটকটিও দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে।

হিমি জানান, এরই মধ্যে তিনি মহিন খান, আদিবাসী মিজান, শহীদ উন নবী, এসআর মজুমদার, মাহমুদ হাসান রানাসহ আরও বেশ কয়েকজন পরিচালকের নাটকে কাজ করেছেন। সব নাটকেই তার বিপরীতে আছেন নিলয় আলমগীর। এদিকে আজ হিমির জন্মদিন। দুই কিংবা তিন সেই বয়সে হিমির জীবনে প্রথম আয়োজন করে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এরপর বড়বেলায় এসে অভিনয়জীবনের সফলতার এক দশকে তিনি প্রথমবার তার জন্মদিন আয়োজন করে উদযাপন করতে যাচ্ছেন।

হিমি বলেন, ‘আমি সব সময়ই আমার আব্বু-আম্মুকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করি, এটাই আমার বেশি ভালো লাগে। কিন্তু এবার আসলে বেশ কয়েকজন পরিচালকের পরামর্শে জন্মদিনটি একটু বিশেষভাবে উদযাপন করতে যাচ্ছি। আমার স্কুল-কলেজ জীবনের বেস্ট ফ্রেন্ড থাকবে কয়েকজন। আর বাকি সব মিডিয়া রিলেটেড নানান সেক্টরের অতিথি উপস্থিত থাকবেন। আরেকটা কথা না বললেই নয়, আমার হয়তো তারকাখ্যাতি এসেছে জীবনে। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আমার দায়িত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আগে একজন পরিচালক নায়কের সঙ্গে কথা বলে আমার সঙ্গে শুধু ডেট নিয়ে কথা বলতেন। এখন পরিচালকরা আমার সঙ্গেও গল্প নিয়ে কথা বলেন, আলোচনায় বসেন। স্টোরি টেলিংটা আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেটা বলার এখন সুযোগ থাকে। এই আমার সঙ্গেও আলোচনা করার যে বিষয়টা, এটা আমি এখন বেশ উপভোগ করি। প্রোডাকশনের কাজ যেন সর্বোচ্চ ভালো হয় আমি সেই দিকনির্দেশনা বা আলোচনাটা করি। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং আমার সব প্রযোজক পরিচালকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। কারণ সবার দোয়া, সহযোগিতায় আমি ক্যারিয়ারের এক দশক চমৎকারভাবে পার করতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিপ্লব সাহার উদ্যোগে ‘রং আরটিভি টুয়েন্টি টুয়েন্টি কালারস মডেল সার্চ’ প্রতিযোগিতায় হিমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘মোহর আলী’ (ধারাবাহিক)। এটি নির্মাণ করেছিলেন শঙ্কর চন্দ্র। নিলয়ের সঙ্গে প্রথম নাটক ছিল ওয়ালিদ হাসান পরিচালিত ‘জলে ভেজা রং’। 

জাহ্নবী

বিপিএলে শাকিব খানের টিম

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
বিপিএলে শাকিব খানের টিম
শাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট মাঠে নিজের দল নিয়ে এবার হাজির হচ্ছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। আসন্ন বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) দল কিনেছেন তিনি। শাকিবের দলের নাম ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’। তবে শাকিবকে সামনে রেখে এই দলের পেছনে আছে রিমার্ক-হারল্যান। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এ নায়ক।

গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় গুলশানে রিমার্ক-হারল্যানের হেড অফিসে ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’ টিমের মালিক হিসেবে লোগো উন্মোচন করেন শাকিব খান। 
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মামনুন হাসান ইমন, ঢাকা ক্যাপিটালসের সিইও আতিক ফাহাদসহ আরও অনেকে।

এ সময় শাকিব খান বলেন, ‘আসন্ন বিপিএলে আমাদের টিমের নাম সাজেস্ট করতে দেশ-বিদেশ থেকে ভালোবাসার অনেক মানুষ এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা সাড়া দিয়েছেন, যা দেখে সত্যি উচ্ছ্বসিত হয়েছি। তাই সবার মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের টিমের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। আপনাদের সবার সর্বোচ্চ সমর্থন ও ভালোবাসায় ঢাকা ক্যাপিটালস খেলার মাঠে অর্জন করবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতা, জুহি চাওলা, শিল্পা শেঠির মতো তারকারাও বিভিন্ন দল নিয়ে মাঠে হাজির হন। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ১১তম বিপিএলে ক্রিকেট টিম কিনলেন শাকিব খান। বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের শাকিবই প্রথম বিপিএলের কোনো দল কিনেছেন।

জাহ্নবী

ইউনিসেফের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করলেন রানা মাসুদ

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
ইউনিসেফের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করলেন রানা মাসুদ
রানা মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতা রানা মাসুদ। এই নির্মাতা তার ক্যারিয়ারে প্রায় ৫শ বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেছেন। যার মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রই হয়েছে আলোচিত। বলতে গেলে দেশে যে কয়েকজন আলোচিত বিজ্ঞাপন নির্মাতা আছেন, তাদের মধ্যে তিনিও অন্যতম।

আবারও রানা মাসুদ ইউনিসেফ প্রযোজিত বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করলেন। এর আগেও আয়োডিনযুক্ত লবণের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এবার নির্মাণ করলেন ডেঙ্গুর ওপর সামাজিক সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। সম্প্রতি এর শুটিং শেষ হয়েছে। গল্পভিত্তিক এই বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন মডেল, অভিনেতা পাভেল ইসলাম, ইন্দ্রাণী ঘটক এবং একজন শিশুশিল্পী। ক্যামেরায় ছিলেন টিডব্লিউ সৈনিক।

দেশের বিভিন্ন স্থানে এর শুটিং সম্পন্ন হয়। শিগগিরই বিজ্ঞাপনচিত্রটি বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হবে।

এ সম্পর্কে রানা মাসুদ বলেন, ‘আসলে অনেক দিন পর আমি ইউনিসেফের জন্য জনসচেতনতামূলক একটি কাজ করতে পেরে আনন্দিত। কারণ একজন নির্মাতা হিসেবে আমার সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ এত বেশি যে, এ ধরনের কাজ মানুষকে সচেতন করবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এর আগেও আমি ইউনিসেফের কাজ করেছিলাম। তবে এবার একটু ব্যতিক্রম এবং বড় পরিসরে কাজটি করতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত।’ বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণের পাশাপাশি রানা মাসুদ দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং একটি ডকুফিল্ম নির্মাণ করেছেন। এগুলো হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নিবাস’ (দ্য রেসিডেন্স), ‘আতর’ এবং ডকুফিল্ম ‘দ্য ব্যাটেলস অব বিলোনিয়া’। সবগুলোই পরিচালনার পাশাপাশি গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন রানা মাসুদ। দুটি চলচ্চিত্রই দেশ এবং দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি উৎসবে পুরস্কৃত এবং প্রদর্শিত হয়েছে।

জাহ্নবী

কঙ্গনা রনৌতের বিস্ফোরক মন্তব্য

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
কঙ্গনা রনৌতের বিস্ফোরক মন্তব্য
কঙ্গনা রনৌত। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড তারকা অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। অভিনয়ের চেয়ে নানামুখী কর্মকাণ্ডের জন্য বেশি আলোচিত-সমালোচিত তিনি। এখন তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, কঙ্গনা বিজেপি থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন। রাষ্ট্রসহ নানা ইস্যুতে সব সময় সরব থাকেন এই অভিনেত্রী।

এবার কঙ্গনা রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। আর এই কারণে তাকে নিয়ে একটু বেশিই সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। গত ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীর দিনে ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশের কোনো পিতা হয় না, লাল (সন্তান) হয়, ধন্য এই ভারতমাতার সন্তানরা।’ এই পোস্টে কঙ্গনা অবশ্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছেন। আরও একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করে মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছতার উত্তরাধিকার বহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। আর এ কারণেই ক্ষেপেছেন অনেকে। কঙ্গনার এই পোস্টে রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনা চরমে। কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাকে অশ্লীল কটাক্ষ করেছেন। গডসে উপাসকরা বাপু এবং শাস্ত্রীজির মধ্যে পার্থক্য টানেন। নরেন্দ্র মোদি কি তার দলের নতুন গডসে ভক্তকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করবেন? জাতির পিতা আছেন, পুত্র আছেন, শহিদ আছেন। সবারই সম্মান প্রাপ্য।’

এখন দেখা যাক কঙ্গনাকে নিয়ে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক কতদিন চলে। এদিকে কঙ্গনা অভিনীত নতুন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ অবশেষে জটিলতা কাটিয়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

জাহ্নবী