
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা জুটি সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে প্রেম, এরপর বিয়ে করেছিলেন তারা। তবে তাদের ভালোবাসার সংসার টেকেনি। আলোচিত এই তারকা জুটি কি এক অজানা কারণে বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এমন সিদ্ধান্তে সামান্থা ও নাগার ভক্তরা হতাশ হয়েছিলেন। অবশেষে জানা গেল তাদের বিচ্ছেদের খবর।
আর এই খবর জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী তথা তেলঙ্গানার পরিবেশমন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা। রাজনীতিবিদের মুখে এমন মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতে।
গত বুধবার সুরেখা দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছিল। আর এই কারণে নাগা চৈতন্যের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরও নিজের মন্তব্য অনড় রয়েছেন সুরেখা। সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদ ঠিক কী কারণে হয়েছিল, কেউ জানেন না। ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে খবর যাচাই করেই তিনি প্রাক্তন তারকা দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেছেন বলে দাবি সুরেখার।
এমন মন্তব্যের জন্য চলচ্চিত্র দুনিয়ায় নিন্দার শিকারও হয়েছেন এই কংগ্রেস নেত্রী। গত বৃহস্পতিবার তিনি আবারও বলেন, ‘আমি যা যা বলেছি, সেগুলো ভুল হতে পারে। কিন্তু কেউ জানে না, কেন সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে ওরা কি কখনো স্পষ্ট কথা বলেছেন? চলচ্চিত্র জগতের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে বিষয়টা জেনেই আমি এই মন্তব্য করেছি।’
তেলঙ্গানা বিধানসভার মন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেতা কেটিআর-এর (কেটি রামা রাও) ইন্ধনেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে নাগা চৈতন্য ও সামান্থার। নাগার্জুনই নাকি সামান্থাকে কেটিআর-এর কাছে যেতে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন রাজনৈতিক স্বার্থে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামান্থা নাকি রাজি হননি। এই জন্যই সামান্থা বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সুরেখা আবারও বলেন, ‘আমি হয়তো রাগের মাথায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। কিন্তু যা যা বলেছি, সব সত্যি। কিছু লুকোইনি। আমি কেটিআর-কে ছেড়ে কথা বলব না।’
সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের উদ্দেশে ইতোমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন সুরেখা। কিন্তু কেটিআরের বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে যাননি।
এর সূত্রপাত এন কনভেনশন সেন্টার থেকে। এটির মালিকানা ছিল নাগার্জুনের। হায়দরাবাদ বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকার এই বহুতল ভবনের একাংশ ভেঙে ফেলে। কেটিআর নাকি বলেছিলেন, এই কনভেনশন সেন্টার ভাঙা হবে না একটাই শর্তে। সামান্থাকে তার কাছে পাঠাতে হবে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত সায় দেননি সামান্থা। তার ফলস্বরূপ বিবাহবিচ্ছেদ। আর সুরেখার এ মন্তব্যেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
/আবরার জাহিন