
হলিউডের জনপ্রিয় তারকা জুটি জাস্টিন বিবার-হেইলি। এই জুটি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার শেষ নেই। পান থেকে চুন খসলেই গণমাধ্যম থেকে শুরু করে স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। প্রাক্তন প্রেমিকা সেলেনা গোমেজের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরই জাস্টিন বিবার ও হেইলির সম্পর্ক জনসম্মুখে আসে। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৫ সালে হেইলিকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবার। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে গোপনে হেইলির সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধেন এই পপস্টার।
বিয়ের পর দীর্ঘদিন সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, তবে হঠাৎ করেই জোরগুঞ্জন দানা বেঁধেছে, এই দম্পতির ছয় বছরের সংসার নাকি ভাঙনের পথে। যদিও এই তারকা জুটির রয়েছে পাঁচ মাসের ছেলে সন্তান জ্যাক। সন্তানের মায়াও আটকাতে পারছে না বিচ্ছেদের পথ। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে চারদিকে এখন শুধুই জাস্টিন বিবার ও হেইলির বিচ্ছেদের মুখরোচক খবর। আর এই বিচ্ছেদের দাম নাকি ৩শ মিলিয়ন ডলার।
জানা গেছে, জাস্টিন বিবারের স্ত্রী হেইলি বিবারই স্বামীর থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে জাস্টিনের অতিরিক্ত মাদকসেবন এবং অসংলগ্ন আচরণই নাকি দায়ী। এমনকি তাদের পাঁচ মাসের সন্তান জ্যাককেও নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেইলি। তিনি চান না, জাস্টিনের আচরণের বিরূপ প্রভাব তার সন্তানের উপর পড়ুক।
ইতোমধ্যে হেইলি নাকি বিচ্ছেদের জন্য আইনজীবীর শরণাপন্নও হয়েছেন। গণমাধ্যমে এসব নিয়ে অনেক চর্চা শুরু হলেও এই দম্পতি এখনও এসব নিয়ে মুখ খোলেননি। শোনা যাচ্ছে, বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ এবং পাঁচ মাস বয়সী ছেলের দেখভালের জন্য জাস্টিন বিবারের কাছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবী করতে পারেন হেইলি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিবারের প্রাক্তন মেন্টর সিয়ান ডিডি কম্বোস। তদন্তের প্রয়োজনে এই গায়ককেও ডাকা হতে পারে বলে ভয়ে আছেন এই পপ তারকা। কেননা এমন কোন ঘটনার সম্মুখীন হলে সেটা তার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই মানসিক ভয় থেকে মুক্ত থাকতেই মাদক সেবন আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন জাস্টিন বিবার। যার প্রভাব পড়েছে পপ তারকার সাংসারিক জীবনেও। এখন দেখা যাক সত্যি সত্যিই বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন কিনা এই তারকা জুটি।