ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুস্বাদু চিংড়ি

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
সুস্বাদু চিংড়ি

চিংড়ি ছোট-বড় সবার পছন্দ। চিংড়ি দিয়ে নানা রকম খাবার ভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। চিংড়ির কয়েকটি মজাদার রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আনিসা আক্তার নূপুর

 

ডাব চিংড়ি

উপকরণ
গলদা চিংড়ি ৫০০ গ্ৰাম, ডাবের শাঁস বাটা ২ টেবিল চামচ (নরম অংশ), পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিলচামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা হাফ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, চিনি সামান্য, তেল ২ টেবিল চামচ নারিকেল দুধ হাফ কাপ।

প্রণালি
চিংড়ি মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে, তার পর কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়ে চেড়ে বাটা মসলাগুলো একে একে দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে, তার পর হাফ কাপ পানি ও নারিকেল দুধ দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে। মাখা মাখা হলে চিনি দিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


চিংড়ি মাছের রসা ভাজা

উপকরণ
বড় চিংড়ি মাছ ১ কেজি, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, সরিষা বাটা এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, জিরা বাটা হাফ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, চিনি সামান্য, ধনেপাতা কুচি প্রয়োজনমতো, সরিষা তেল হাফ কাপ, পানি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি
বড় চিংড়ি মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাছের খোসাসহ নিতে হবে তাহলে ভেতরটা জুসি থাকে, তার পর হলুদ লবণ মেখে কড়াইয়ে তেলে গরম করে ভেজে নিতে হবে, মাছ ভাজা হলে তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও পেঁয়াজ বাটা একে একে সব মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। তারপর সরিষা বাটা এক কাপ পানির মধ্যে গুলিয়ে নিয়ে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কড়াইয়ের মধ্যে দিতে হবে। কিছুক্ষণ জাল দিয়ে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে, মাখা মাখা হলে চিনি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

বাগদা চিংড়ি আর মোচার দোপেঁয়াজা 

উপকরণ
বাগদা চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, কলার মোচা একটি কুচি করে নেওয়া, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, নারিকেল বাটা এক টেবিল চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন কুচি এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, কাঁচা মরিচ চার-পাঁচটি, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য, তেল ৩ টেবিল চামচ, পানি প্রয়োজনমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
প্রথমে চিংড়ি মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে, তার পর কলার মোচা কুচি করে কড়াইয়ে পানি দিয়ে কিছুটা হলুদ দিয়ে কলার মোচা সেদ্ধ করে নিতে হবে। পানি ছেকে নিয়ে অন্য কড়াইয়ে তেল গরম করে সব মসলা একে একে দিয়ে তার পর চিংড়ি মাছ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। তার পর কলার মোচা দিয়ে নেড়ে চেড়ে মিক্স করে একটু পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে ১০ মিনিট। ধনেপাতা কুচি দিয়ে চিনি দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

কলি

নজরকাড়া শাড়িতে তারকারা

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
নজরকাড়া শাড়িতে তারকারা

দীর্ঘকাল ধরেই উপমহাদেশের নারীদের কাছে শাড়ির আলাদা কদর আছে। বিভিন্ন দেশের অভিনেত্রীদের কাছেও আছে শাড়ির আলাদা আবেদন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তারকাদের পশ্চিমা পোশাকের পাশাপাশি শাড়ির লুকে দেখা যাচ্ছে। যেকোনো উৎসব, অনুষ্ঠান আর বিশেষ দিনে চোখ ধাঁধানো শাড়ির সাজে হাজির হচ্ছেন তারা। 

কারিনা কাপুর খান 
বলিউড ডিভা কারিনা কাপুর খানের যেকোনো পার্টিতে লুক থাকে দেখার মতো। তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়িতে দেখা যায়। সানশাইন হলুদ রঙ, গোলাপি শাড়ির সঙ্গে কারিনা ফুল স্লিভ বা বড় হাতার করসেট স্টাইলের ব্লাউজ পরে প্রশংসা পেয়েছেন। মাঝে মাঝে গতানুগতিক স্টাইলে শাড়ি না পরে কোমরের পাশে ঝুলিয়ে আঁচল রাখেন। তার ওয়ারড্রোবের একটি অংশ শাড়ির দখলে।

আলিয়া ভাট 
অভিনেত্রী আলিয়া ভাট তো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নেওয়ার সময় বিয়ের শাড়ি পরে ছিলেন। শাড়ির যেকোনো লুকে সব সময় মঞ্চে জাদু ছড়ান আলিয়া। শাড়িতে তাকে বেশ সুন্দর ও মার্জিত দেখায়।

কৃতি শ্যানন
কৃতি শ্যাননের শাড়িপ্রীতির কথা সবারই জানা। কৃতি শ্যানন নিজের শাড়ি লুক নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে। নিজের সাজ-পোশাক নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন। শাড়িতে এই অভিনেত্রীকে সব সময় চমৎকার লাগে। কৃতির শাড়ি পরা ছবিগুলো ভক্তদের মুগ্ধ করে।

দীপিকা পাড়ুকোন
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা শাড়িতে বেশি মোহনীয় হয়ে ওঠেন। শাড়িতে দীপিকার ভাবটাই যেন বারবার ফুটে ওঠে। সুযোগ পেলে শাড়ি পরতে ভুল করেন না তিনি।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া 
বলিউডের দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া শাড়িতে যেন আরও দেশি হয়ে যান। শাড়ি পরার বেলায় তিনি আধুনিক স্টাইল ধারণ করেন প্রায় সময়। শাড়িতে অপ্রতিরোধ্য প্রিয়াঙ্কার সংগ্রামী রূপটাই যেন ফুটে ওঠে। তার শাড়িতে বারবার ভক্তদের মুগ্ধ করেন।

ক্যাটরিনা কাইফ 
শাড়ি ক্যাটরিনা কাইফের পছন্দের পোশাক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের শ্রেষ্ঠ লুক তৈরি করতে পিছপা হন না। পারিবারিক কিংবা সিনেমার যেকোনো অনুষ্ঠানে এই অভিনেত্রীকে নিয়মিত শাড়ি পরতে দেখা যায়। তিনি নিজের জন্য় এমন শাড়ি বেছে নেন সেটাই হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়। ফ্লোরাল প্রিন্ট, নেটের শাড়ি, জর্জেটের শাড়ি সব শাড়িতে সহজে চোখ ফেরানো যায় না তার থেকে।

অনন্যা পাণ্ডে
বর্তমানে অনন্যা পাণ্ডেকে প্রায়ই শাড়িতে দেখা যায়। শাড়িতে ভক্তদের মন জয় করেছেন এই বলি তারকা। অনন্যার শাড়ির সংগ্রহও বেশ চমৎকার। ফুলস্লিভ ম্যাচিং ব্লাউজের সঙ্গে জমকালো কাজের লাল শাড়ির দারুণ মানায় অনন্যাকে। ক্ল্যাসিক হলুদ শিফন শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং স্লিভলেস ব্লাউজে অনন্যা পাণ্ডে হয়ে ওঠেন অসাধারণ।  

তৃপ্তি দিমরি
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বলিউড অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। আবেদনময় শারীরিক সৌন্দর্য আর স্নিগ্ধ মুখশ্রীর জন্যই শাড়িতে হয়ে ওঠেন দুর্দান্ত। প্রতিটি শাড়ির লুকে নিজের লাবণ্য ও সৌন্দর্য মেলে ধরেন তিনি। সাদা শাড়ির সঙ্গে নজরকাড়া স্ট্র্যাপের স্লিভলেস, ব্যাকলেস ব্লাউজ কিংবা জর্জেট শাড়ির সঙ্গে আকর্ষণীয় ব্লাউজ পরা তৃপ্তি ভক্তদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেন বহুগুণ।

সারা আলি খান 
সারা আলি খান শাড়িতে নজর কেড়েছেন সবার। এই ডিভার শাড়ির প্রতি রয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা। শাড়ির পাশাপাশি তিনি চুলের স্টাইল এবং মেকআপ খুব সাধারণ রাখেন। শাড়িতে পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

জুলিয়া রবার্টস
হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসকে মাঝে মাঝেই দেখা গিয়েছে শাড়িতে। জুলিয়া পোশাক হিসেবে শাড়ি পরতে ভালোবাসেন। বিভিন্ন কারণে বারবার শাড়িতেই দেখা যায় তাকে।

প্যারিস হিলটন
মার্কিন এই তারকা ভারতে গিয়েছেন শাড়ি পরে। শিল্পী তরুণ তাহিলিয়ানির তৈরি গোলাপি শাড়িতে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন।  

ইউমনা জাইদি 
পাকিস্তানি অভিনেত্রী ইউমনা জাইদি 'তেরে বিন' সিরিয়াল দিয়ে দর্শক হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন। ইউমনাকে প্রায়ই শাড়িতে দেখা যায়। বেজ এমব্রয়ডারি, শিফন, সুতি শাড়ি  তাকে অসাধারণ করে তোলে। নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে পোশাক হিসেবে তার প্রথম পছন্দ হলো শাড়ি।

আয়েজা খান 
পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েজা খানের শাড়ির মার্জিত লুক সবাইকে মুগ্ধ করেছে। শাড়ি শুধু ফ্যাশনে তুলে ধরেননি, নিজের ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরেছেন তিনি। শাড়ি তার সৌন্দর্যে যোগ করেছে আলাদা মাত্রা।

হানিয়া আমির
পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির শাড়ি পরে নজর কেড়েছেন সবার। লাল, সবুজ সাদা শাড়িতে তিনি তার ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন।

কলি 

 

অল্পতে ত্বক চর্চা

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
অল্পতে ত্বক চর্চা
মডেল: শবনম, ছবি: শরিফ মাহমুদ

সুস্থ, সুন্দর ও দাগহীন ত্বক কার না পছন্দ! প্রাণবন্ত ত্বকের চাহিদা সবারই। কিন্তু ঘরে-বাইরে কাজের ব্যস্ততায় নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। যত্ন নেওয়ার ইচ্ছে হলেও সময় ও সুযোগের অভাবে তা হয় না। কিন্তু নিষ্প্রাণ ত্বক সৃষ্টি করে আত্মবিশ্বাসের অভাব। অনেকেই ভাবেন ত্বকের যত্ন মানেই বাড়তি ঝামেলা। মনে করা হয় দীর্ঘ সময় ধরে নানা ধরনের উপাদান ব্যবহার ও নিয়মিত যত্নের ফলই হলো সুন্দর ত্বক। এমন ধারণা হওয়ার পেছনে কোনো ভুল নেই অবশ্য, আমাদের আশপাশে অনেকদিন ধরে এরকম যত্নেরই প্রচলন রয়েছে। চাইলেই খুব অল্প চর্চায় সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব। কীভাবে অল্প চর্চায় ত্বক প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হতে পারে।  

ত্বকের যত্ন নেওয়ার রুটিন যত সহজ ও অল্প হবে ত্বক তত সুস্থ থাকবে। অনেক প্রসাধনীসামগ্রীও ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, বেশি প্রসাধনী ব্যবহারে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বক সুস্থ রাখতে ভালোমানের ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন লোশনের বিকল্প নেই এবং সঙ্গে দরকার স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।

রোদে পোড়াভাব এবং কালচে দাগ হতে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন লোশন সাহায্য করে। বাইরে বের হওয়ার সময় মুখ পরিষ্কার করে পরিমাণমতো সানস্ক্রিন মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে বের হতে হবে। ২-৩ ঘণ্টা সময় পর্যন্ত এই সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ২-৩ ঘণ্টা পর সানস্ক্রিন ঠিক একইভাবে রি-অ্যাপ্লাই করতে হবে।

ত্বক চর্চার জন্য সেরা সময় রাত। রাতে ত্বকে রক্ত চলাচল বেশি হয়, অক্সিজেনের জোগান সবচেয়ে বেশি থাকে। আর তা ছাড়া স্বভাবতই রাতে আপনার ত্বকে ময়লা, সূর্যের আলো বা অন্য কিছু পড়ে না। তাই প্রতি রাতে নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন। সে জন্য সবার আগে ভালো মানের কোনো মাইসেলার ওয়াটার অথবা ক্লিঞ্জিং অয়েল কটন প্যাডে নিয়ে ভালো করে ত্বক মুছে নিন, এর পরের ধাপে আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ফেসওয়াশ দিয়ে কিছুক্ষণ মুখে ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিন। শেষ ধাপে আপনার ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ।এতে ত্বক হাইড্রেট থাকবে সারা রাত।

ছুটির দিনে বাড়তি যত্ন হিসেবে ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন-
বহু গুণসম্পন্ন অ্যালোভেরার জেল ত্বক চর্চায় বহুল প্রচলিত। একটি অ্যালোভেরার স্টিক নিয়ে ওপরের সবুজ অংশ কেটে ভেতরের জেলি বের করতে হবে। এই জেলি মুখ ও গলায় মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা ব্যবহারে দাগ দূর হয় এবং ত্বক হয় টানটান।
চালের গুঁড়া স্ক্র্যাবার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে এবং ত্বকের গভীর থেকে ময়লা দূর করতে কাজে দেবে এই স্ক্র্যাব। এ ছাড়া ব্রণ ও মেছতার দাগ দূর করতে টক দইয়ের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, সামান্য লেবুর রস ও সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

ভাত রান্নার আগে চাল ধোয়া পানিটুকু ফেলে দেওয়া হয়। এ পানিতেই রয়েছে ত্বকের উপকারের নানা গুণ। চাল ধোয়া পানিতে ভিটামিন-বি থাকে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। প্রচুর ক্ষারজাতীয় পদার্থ থাকায় ত্বক পরিষ্কারেও কাজে দেয়। এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি ও এক চা চামচ মেথি পাউডার পরিমাণমতো চাল ধোয়া পানিতে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

সবার ঘরে আলু থাকে, ত্বকের দাগ দূর করতে আলু সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বা দাগ থাকলে আলু ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ রস করে নিতে হবে। এর সঙ্গে পাতি লেবুর রস ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বক চর্চার পাশাপাশি কিছু ছোট ছোট অভ্যাস মেনে চলতে হবে, যেমন- প্রচুর পানি পান করতে হবে। ত্বককে হাইড্রেট রাখতে পানির বিকল্প নেই। 
পর্যাপ্ত ঘুমও ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমানোর সময়টুকুতে আপনার ত্বক নিজেই তার সারা দিনের ক্ষতি সারিয়ে তোলে।

কলি

জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়

ঋতু পরিবর্তন, কোভিড, ডেঙ্গু ও টাইফয়েডের কারণে জ্বর চলে আসা এই সময়ে অস্বাভাবিক নয়। হঠাৎ করেই জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে ঘরের শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা। অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া লাগলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘরে বসেই জ্বর কমানো যায় কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে। ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানো নিয়ে লিখেছেন তানজিলা মীম 

মধু ও তুলসী পাতার ব্যবহার

সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরের মতো সমস্যায় মধু বেশ উপকারী। অসুখে মধুর ব্যবহার বেশ পুরোনো। এ ছাড়া তুলসী পাতায় আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। যা জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়ার মতো অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করে। মধু আর তুলসী পাতা এক সঙ্গে খেলে গলার কফ পরিষ্কার হবে। সর্দি-কাশি দূর করার জন্য প্রতিদিন সকালে মধু আর তুলসী পাতা এক সঙ্গে খেতে পারেন। ৮-১০টি তুলসী পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে, গরম পানিতে তুলসী পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এই পানি প্রতিদিন সকালে এক কাপ খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। 

ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন বাইরের রোগজীবাণু সহজেই শরীরকে আক্রমণ করতে পারে। তাই ফ্লু থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন খাওয়া জরুরি। কিছু খাবারে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ বি সি। জ্বরের সময় ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস পান করলে জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, ফ্লু এবং অন্যান্য রোগ কমাতে সহায়তা করে। তাই খাবারের একটি ঠিকঠাক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন, যাতে শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে।

মধু ও লেবুর মিশ্রণ

মধু ও লেবু জ্বর কমাতে বেশ উপকারী। এক গ্লাস সামান্য গরম পানিতে এক চামচ মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দেবে।

রসুন
রসুনের থেকে ভালো ওষুধ আর হয় না। রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমাতে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। এর সঙ্গে চাইলে আপনি মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভালো ফল পাবেন ।

আদা 
জ্বর কমাতে আদা খুবই উপকারী ঘরোয়া উপাদান। আদা সহজে রেহাই দিতে পারে জ্বর কিংবা সর্দি-কাশির অস্বস্তি থেকে। শুধু গলার কফ দূর করতেই নয়, বুকের কফ পরিষ্কার করতেও আদার তুলনা হয় না। এক কাপ আদার সেদ্ধ রসে মধু মিশিয়ে খান। এ ছাড়া  আদা  চা করে খেলেও সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। দুর্বলতা কেটে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে।

উষ্ণ পানিতে গোসল
হালকা উষ্ণ পানিতে গোসল শরীরের তাপমাত্রা কমানোর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেশি শিথিল হয় এবং শরীর প্রশমিত হয়। ২৭ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। জ্বর যখন কমে ১০০ ডিগ্রিতে আসবে, তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা ঠিক না। এতে ত্বকের নিচে রক্তজালিকা সংকুচিত হয়ে যায়। কাঁপুনি শুরু হয়ে যেতে পারে। গোসলের বিকল্প হতে পারে ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দেওয়া। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি। 

তরল খাবার খাওয়া
জ্বরের সময় শরীর ডি-হাইড্রেটেড হয়ে যায়। তাই ওই সময় প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। সম্ভব হলে ফলের রস ও হারবাল চা খেতে পারেন। অনেকটা উপকার পাবেন। জ্বর শরীরকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম করে তোলে। শরীরকে ঠান্ডা করার চেষ্টায় ঘামতে বাধ্য করে। এতে করে শরীর থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই জ্বর হলেই পানি পানের পাশাপাশি ফলের রস, লেবুর রস, ডাবের পানি, স্যুপ ইত্যাদি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদেরও পান করাতে হবে। তবে বেশি খাবার এক সঙ্গে খাওয়ানো উচিত নয়। কেননা, এটি শরীরের তাপ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে। বদহজম হতে পারে।

পোশাক

এ সময় সুতি কাপড়ের জামা পরা দরকার, যাতে ভেতর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়। দরজা-জানালা খুলে দেবেন, পাখা ছেড়ে দেবেন, যাতে বাতাস চলাচল করে।

মনে রাখুন

জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে, বেশি মাত্রায় জ্বর হলে কিংবা তীব্র মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অস্বাভাবিক আচরণ, শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত বমি ও তীব্র পেটব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: হেলথলাইন, মেডিকেল নিউজ টুডে, মেডিসিননেট

 কলি 

শিশুর সামাজিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
শিশুর সামাজিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা
মডেল নিরুপমা, ছোঁয়া। ছবি: শরিফ মাহমুদ

আজকের শিশু আগামী দিনের সমাজের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। শিশু জন্ম নিয়েই সব কিছু শেখে এবং জেনে ফেলে না। শিশুর ক্ষুধা-তৃষ্ণা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরও একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হয়, তা হলো সামাজিকীকরণ। সামাজিকীকরণ হলো এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিশুরা সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয় শেখে। শিশুরা জন্মের প্রথম কয়েক মাস বাবা-মা ছাড়া বাইরের মানুষের সঙ্গে খুব একটা মেশে না। সব কিছু তার জন্য সহজ হয়ে যাবে, যদি তার সামাজিক বিকাশ ঠিকমতো হয়। শিশু সবচেয়ে বেশি থাকে মায়ের কাছে। তাই শিশুর যেকোনো ধরনের বিকাশে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সামাজিকভাবে পরিপূর্ণ বিকাশ লাভের ক্ষেত্রেও শিশু মায়ের ওপরই নির্ভরশীল।

দৈহিক নিরাপত্তা দান
শিশু জন্মের পর একদম অসহায় থাকে। তখন তাদের প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন মা। একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিকর জিনিস থেকে যেমন রক্ষা করে, তেমনি কার সঙ্গে কীভাবে মিশতে হবে, মারামারি করা যাবে না বা গুড টাচ, ব্যাড টাচ এসব বিষয়ও মা-ই সন্তানকে শেখান। তাছাড়া কারও সঙ্গে শক্তির পরীক্ষা করতে গেলে নিজের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে, বড় ধরনের ব্যথা পেয়ে যেতে পারে- এটাও মা শেখান।

ব্যক্তিত্বের বিকাশ
ব্যক্তিত্ব বিকাশে শিশু অনেকের দ্বারা প্রভাবিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় পরিবারের সদস্যদের দ্বারা। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে কাছে যাকে পায়, সে হলো মা। শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে মাকে রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে হবে। শিশু বুঝতে শেখার আগেই তার সামনে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে হবে। যেকোনো কাজের জন্য অন্যদের ধন্যবাদ দেওয়া, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা। এমনকি শিশুর সঙ্গেও। নিজের সংসারের বা অফিসের চাপের কারণে শিশুকে ধমক না দেওয়া এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও যেন এমন করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা মায়ের কাজ। আর শিশু উৎসাহিত হয়ে ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করা, সম্ভব হলে কিছু উপহার দেওয়া।

অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার বর্জন
শিশুরা কল্পনাপ্রবণ। তাদের কল্পনার জগতে জিন-ভূত, পরী, দৈত্য কোনো কিছুর কমতি নেই।  শিশুর রাগ কমাতে বা কান্না থামাতে আমরা ভূত, পরী, দৈত্য-দানোর গল্প বলি। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বোঝাতে হবে বাস্তবে এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই।   এ ছাড়া আমাদের সমাজে নানা ধরনের অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত আছে, যা ব্যবহার করে একটা বিশেষ গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে।  শিশুদের ভেতর থেকে এসব অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করতে হবে। শিশুরা যেহেতু সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে তাদের মাকে, সুতরাং এ ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে হবে মাকে। শৈশব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে এবং শিশুর মন থেকে অন্ধকার দূর করতে হবে। এভাবেই সে সামাজিকভাবে আরও ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।

অভিযোজনে সহায়তা
সমাজের মানুষের মতো ভাষা, এমনকি সংস্কৃতি ও খাদ্যাভাসেও বহু বৈচিত্র্য থাকবে। এসব বৈচিত্র্যকে মেনে নিয়ে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার শিক্ষা শিশুরা মায়ের কাছে থেকেই পায়। যেমন- দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঝাল বেশি খায় আবার ঢাকার মানুষ খেতে পারে না  এটা নিয়ে পরস্পর পরস্পরকে খোঁটা না দেওয়া অন্যের পছন্দ ও মতামতকে সম্মান করা। সব ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলা। নিজের আবেগ ও মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা- এগুলো ছোট বয়স থেকে মা শিশুকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এতে শিশু দীর্ঘ জীবনে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে সহজে কাজ করতে পারে।

আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। শিশুর জন্মর পর তার চারপাশের পরিবেশই তার পৃথিবী। কিন্তু যেহেতু পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে, তাই শিশুকে আধুনিক পৃথিবী এবং তার কৃষ্টিকালচার সম্পর্কে জানতে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। শিশু বয়সের জন্য কোনটি উপযোগী, কৈশোরে কোনটি- এগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের শেখানো। এতে তারা বৈশ্বিক জ্ঞান লাভ করবে আবার নেতিবাচক কিছু শিখবে না। 

কলি 

 

নাশতার বাহারি আয়োজন

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
নাশতার বাহারি আয়োজন

অবসর আর আনন্দদায়ক মুহূর্তকে আরও রঙিন করে তুলে বাড়িতে বানানো নাশতার কোনো জুড়ি নেই। মাংস মাছ দিয়ে বানাতে পারেন মুখরোচক নাশতা। ঝটপট সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন এমন কিছু নাশতার রেসিপি, যা দিয়েছেন কলকাতার রন্ধনশিল্পী সুতপা দে 

মাছের পিঁয়াজু 

উপকরণ 
পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম, চিংড়ি ২৫০ গ্রাম, ৩টি কাঁচামরিচ (কুচি), আদা রসুন কুচি ১ চা-চামচ, লবণ  স্বাদমতো, বেসন ৪ টেবিল চামচ, কালো জিরা ১/৪ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ, সাদা তেল পরিমাণমতো (ভাজার জন্য )

প্রণালি  
প্রথমে পেঁয়াজ, লবণ, আদা, রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। (লবণ দেওয়ার পর যে পানি বের হবে, সেই পানিই মাখিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজন হলে সামান্য পানি দেওয়া যেতে পারে)। এরপর ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর চিংড়ি, কালো জিরা, হলুদ গুঁড়ো, বেসন দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম হলে পিঁয়াজু আকারে বানিয়ে লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপর সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মাছের পিঁয়াজু। 

চিকেন মোমো  

উপকরণ
চিকেন কিমা ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, আদা বাটা ১/৪ চা-চামচ, রসুন বাটা ১/৪ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ, সয়াসস ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা চা-চামচ, পানি ১/৪ কাপ, তেল  ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।   

প্রণালি
প্রথমে ময়দা তেল আর লবণ দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে। ময়ান যত ভালো হবে মোমো তত নরম হবে। এবার প্যানে তেল দিয়ে একটু গরম করে তাতে কিমা আর বাকি সবকিছু একে একে দিয়ে একটু নেড়ে নামাতে হবে। একটি বাটিতে কিমা ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। এবার ময়দা মাখাটা দিয়ে লুচির মতো ছোট ছোট লেচি কেটে বেলতে হবে। আর তার ভেতর একটু করে কিমার পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করতে হবে। এরপর চুলায় স্টিমারে পানি দিয়ে ফুটতে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তাতে মোমোগুলো সাজিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০/১২ মিনিট ভাপ দিতে হবে। ভাপ হয়ে গেলে প্লেটে সাজিয়ে গরম গরম সস বা চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন চিকেন মোমো।

মাংসের পিঁয়াজু 

উপকরণ
পেঁয়াজ ৪টা (বড়ো সাইজের স্লাইস করে কাটা), কাঁচামরিচ ৪টি (মিহি করে কুচানো), মাংস ২৫০ গ্রাম (কুচি করে কাটা), রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ (মিহি করে কাটা), মসুর ডালের গুঁড়ো ১ কাপ, ধনেপাতা সামান্য পরিমাণ, লবণ পরিমাণমতো, তেল পরিমাণমতো (ভাজার জন্য ) 

প্রণালি
প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ লবণ দিয়ে মেখে নিতে হবে। মাংস, মসুর ডালের গুঁড়ো ও ধনেপাতাসহ সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে (পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, পেঁয়াজের সঙ্গে লবণ মাখার সময় যে পানি বের হবে, সেই দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে)। তারপর একটা কড়াইয়ে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে মিশ্রণটি পেঁয়াজুর মতো বানিয়ে লাল করে ভেজে নিলেই হয়ে গেল মাংসের পিঁয়াজু। সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।