ঢাকা ২০ আশ্বিন ১৪৩১, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

শিশুর সামাজিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
শিশুর সামাজিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা
মডেল নিরুপমা, ছোঁয়া। ছবি: শরিফ মাহমুদ

আজকের শিশু আগামী দিনের সমাজের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। শিশু জন্ম নিয়েই সব কিছু শেখে এবং জেনে ফেলে না। শিশুর ক্ষুধা-তৃষ্ণা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে তাকে আরও একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হয়, তা হলো সামাজিকীকরণ। সামাজিকীকরণ হলো এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিশুরা সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয় শেখে। শিশুরা জন্মের প্রথম কয়েক মাস বাবা-মা ছাড়া বাইরের মানুষের সঙ্গে খুব একটা মেশে না। সব কিছু তার জন্য সহজ হয়ে যাবে, যদি তার সামাজিক বিকাশ ঠিকমতো হয়। শিশু সবচেয়ে বেশি থাকে মায়ের কাছে। তাই শিশুর যেকোনো ধরনের বিকাশে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সামাজিকভাবে পরিপূর্ণ বিকাশ লাভের ক্ষেত্রেও শিশু মায়ের ওপরই নির্ভরশীল।

দৈহিক নিরাপত্তা দান
শিশু জন্মের পর একদম অসহায় থাকে। তখন তাদের প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন মা। একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতিকর জিনিস থেকে যেমন রক্ষা করে, তেমনি কার সঙ্গে কীভাবে মিশতে হবে, মারামারি করা যাবে না বা গুড টাচ, ব্যাড টাচ এসব বিষয়ও মা-ই সন্তানকে শেখান। তাছাড়া কারও সঙ্গে শক্তির পরীক্ষা করতে গেলে নিজের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে, বড় ধরনের ব্যথা পেয়ে যেতে পারে- এটাও মা শেখান।

ব্যক্তিত্বের বিকাশ
ব্যক্তিত্ব বিকাশে শিশু অনেকের দ্বারা প্রভাবিত হলেও সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় পরিবারের সদস্যদের দ্বারা। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে কাছে যাকে পায়, সে হলো মা। শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে মাকে রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে হবে। শিশু বুঝতে শেখার আগেই তার সামনে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে হবে। যেকোনো কাজের জন্য অন্যদের ধন্যবাদ দেওয়া, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা। এমনকি শিশুর সঙ্গেও। নিজের সংসারের বা অফিসের চাপের কারণে শিশুকে ধমক না দেওয়া এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও যেন এমন করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা মায়ের কাজ। আর শিশু উৎসাহিত হয়ে ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করা, সম্ভব হলে কিছু উপহার দেওয়া।

অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার বর্জন
শিশুরা কল্পনাপ্রবণ। তাদের কল্পনার জগতে জিন-ভূত, পরী, দৈত্য কোনো কিছুর কমতি নেই।  শিশুর রাগ কমাতে বা কান্না থামাতে আমরা ভূত, পরী, দৈত্য-দানোর গল্প বলি। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বোঝাতে হবে বাস্তবে এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই।   এ ছাড়া আমাদের সমাজে নানা ধরনের অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত আছে, যা ব্যবহার করে একটা বিশেষ গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে।  শিশুদের ভেতর থেকে এসব অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করতে হবে। শিশুরা যেহেতু সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে তাদের মাকে, সুতরাং এ ক্ষেত্রে ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে হবে মাকে। শৈশব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে এবং শিশুর মন থেকে অন্ধকার দূর করতে হবে। এভাবেই সে সামাজিকভাবে আরও ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।

অভিযোজনে সহায়তা
সমাজের মানুষের মতো ভাষা, এমনকি সংস্কৃতি ও খাদ্যাভাসেও বহু বৈচিত্র্য থাকবে। এসব বৈচিত্র্যকে মেনে নিয়ে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার শিক্ষা শিশুরা মায়ের কাছে থেকেই পায়। যেমন- দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঝাল বেশি খায় আবার ঢাকার মানুষ খেতে পারে না  এটা নিয়ে পরস্পর পরস্পরকে খোঁটা না দেওয়া অন্যের পছন্দ ও মতামতকে সম্মান করা। সব ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলা। নিজের আবেগ ও মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা- এগুলো ছোট বয়স থেকে মা শিশুকে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এতে শিশু দীর্ঘ জীবনে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে সহজে কাজ করতে পারে।

আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। শিশুর জন্মর পর তার চারপাশের পরিবেশই তার পৃথিবী। কিন্তু যেহেতু পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজ হয়ে গেছে, তাই শিশুকে আধুনিক পৃথিবী এবং তার কৃষ্টিকালচার সম্পর্কে জানতে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। শিশু বয়সের জন্য কোনটি উপযোগী, কৈশোরে কোনটি- এগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের শেখানো। এতে তারা বৈশ্বিক জ্ঞান লাভ করবে আবার নেতিবাচক কিছু শিখবে না। 

কলি 

 

পূজায় সেইলরের নতুন কালকশন

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ পিএম
পূজায় সেইলরের নতুন কালকশন
সেইলরের পোশাক ছবি : সংগৃহীত

শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এই উৎসবকে আরও বেশি উৎসব মুখর ও প্রাণবন্ত করতে নারী, পুরুষ,শিশুদের  জন্য সেইলর নিয়ে এসেছে রঙিন সব পোশাক।  এবারের কালেকশনে থাকছে সালওয়ার সুট, পাঞ্জাবি, শার্ট, কুর্তি, টু পিস, টপসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।  

দিনভর আরামে ফ্যাশনেবল থাকার জন্য পুরুষদের পোশাকে  - সুনিপুণ গিযা কটন, সফট কটন, হাই কাউন্ট সুতার তৈরি ব্ল্যান্ডেড ফেব্রিকের মত নানান প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে।  অন্যদিকে নারীদের পোশাকে  প্রিমিয়াম সিল্ক , রিঙ্কেল শিফন, প্রিন্টেড সফট সিল্ক সহ সবচেয়ে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য দিয়েছে সেইলর। মেরুন, হলুদ, লাল, গোলাপি, টিলসহ বাহারি রঙ নির্বাচন করার পাশাপাশি নিখুঁত ভাবে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, পার্ল প্রিন্ট, সিকুইন ওয়ার্ক ইত্যাদির মাধ্যমে ফ্লোরাল আর্টের প্রাধান্য পেলেও সমসাময়িক বিভিন্ন মোটিফের ডিজাইন পূজার কালেকশনকে করেছে আকর্ষণীয়।  এছাড়া পূজায় পছন্দের  জামার সাথে মিলিয়ে রয়েছে ফুটওয়্যার ও ব্যাগের কালেকশন। সাথে রয়েছে নানাবিধ উপহার সামগ্রীর সমাহার।

ছবি: সংগৃহীত

পরিবারের সবাই উৎসবের এ আনন্দে যেন একাত্ত হতে পারে সেই কথা চিন্তা করেই নতুন কালেকশনে রয়েছে কাপল ও ফ্যামিলি কম্বো।
 
এই বছর পূজায় আপনার ওয়্যারড্রোবকে দিন নতুনত্বের ছোঁয়া সেইলরের পূজার নতুন কালেকশনের সঙ্গে। যাতে উৎসবের প্রতিটি দিন আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। কারণ উৎসব মানেই সেইলর। ব্র্যান্ডটির নতুন সকল সংগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সকল আউটলেট ও অনলাইনে।

কলি

জুম্বা আন্তর্জার্তিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সুমাইয়া চৌধুরী

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
জুম্বা আন্তর্জার্তিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সুমাইয়া চৌধুরী
সুমাইয়া চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের প্রায় সব কটি দেশ নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হলো ' জুম্বা কনভেনশন ২০২৪ (ZINCON 2024, Florida, USA) । অগাস্ট মাসের ৮ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত  যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্টিত এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ৬ হাজারের বেশি জুম্বা ইন্সট্রাক্টর অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ এবছরই প্রথম বারের মতো এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে আর এতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন সুমাইয়া চৌধুরী কৃতিকা। যিনি বাংলাদেশে একজন দক্ষ ফিটনেস কোচ হিসেবে বহুল পরিচিত এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত জুম্বা ইন্সট্রাক্টর। এ প্রসঙ্গে সুমাইয়া চৌধুরী বলেন, এটা আমার জীবনের সব চেয়ে বড় একটা প্রাপ্তি।  আমি কখনোই ভাবিনি যে এতো গুলো দেশের সাথে আমি আমার পতাকা নিয়ে দাঁড়াতে পারবো।  এই সম্মেলনে জুম্বা ফিটনেস এর প্রতিষ্টাতা 'বেটো পেরেজ' সহ সব নাম করা ইন্সট্রাক্টর রা উপস্থিত ছিলেন। ৪ দিন ব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গ্রান্ড হায়াৎ রিজেন্সি হোটেলে।  

এছাড়াও দুই মাস ব্যাপী এই সফরে সুমাইয়া সংযুক্ত হয়ে কিছুদিন কাজ করেছিলেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গোল্ড’স জিম (GOLD’S GYM) এবং ফিটনেস ৪ জিম (FITNESS4 GYM) এবং রকবক্স ফিটনেস (ROCKBOX FITNESS) এর সাথে। সুমাইয়া আরও জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ এমং যুক্তরাষ্ট্র এই দুই দেশের ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে সেটা নিয়ে তিনি দেশে কাজ করবেন এবং ফিটনেস এ নতুন মাত্রা যোগ করার ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োগ করবেন।

জাহ্নবী

লাইফস্টাইল ব্যান্ড ভাইব্রেন্ট এখন টাঙ্গাইলে

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
লাইফস্টাইল ব্যান্ড ভাইব্রেন্ট এখন টাঙ্গাইলে
টাঙ্গাইলে ভাইব্রেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ব্যান্ড ভাইব্রেন্ট এখন টাঙ্গাইলে। গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের আকুর টাকুর পারায় নতুন এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা, আউটলেটের যৌথ উদ্যোক্তা সৈয়দ জুবায়ের আবদুল্লাহ এবং তার মা সাদিয়া খান।

উদ্বোধনী উপলক্ষে টাঙ্গাইলবাসীর জন্য ভাইব্রেন্ট দিচ্ছে সাতদিন ব্যাপি ২৫% ডিসকাউন্ট। টাঙ্গাইলের মেগা এই স্টোরটিতে রয়েছে সকল বয়সী মানুষের জন্য ট্যান্ডি সু, পোশাক ও এক্সেসরিজ। পূজা উপলক্ষে ভাইব্রেন্টে থাকছে নতুন স্টাইলের নজরকাড়া কালেকশন। 

জাহ্নবী

বিশ্বরঙের আয়োজনে জমজমাট উদ্যোক্তা মেলা ‘শরৎ হাওয়া’

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
বিশ্বরঙের আয়োজনে জমজমাট উদ্যোক্তা মেলা ‘শরৎ হাওয়া’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিসহ উদ্যেক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দুইদিনব্যাপী ‘শরৎ হাওয়া’। বিশ্বরঙের বনশ্রী আউটলেটে গত ২৯ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ব্র্যান্ডটির নিজস্ব পণ্যের পাশাপাশি শোরুমের বড় একটা অংশজুড়ে বাছাইকৃত পণ্যের পসরা সাজিয়ে উপস্থিত নবীন উদ্যোক্তারা। ‘শরৎ হাওয়া’ শিরোনামের এই পণ্য প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন ১৬ উদ্যোক্তা।

প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে বৈচিত্র্যময় ও ট্রেন্ডি ডিজাইনের পোশাকের সম্ভার—শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, ওড়না ইত্যাদি। বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালে ন্যাচারাল ডাই, ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট ও হাতের কাজ নজর কাড়ে। সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়িও আছে। গয়না, ব্যাগ ও ঘর সাজানোর পণ্য আছে কয়েকজন উদ্যোক্তার। বাদ যায়নি হাতে বানানো উপহারসামগ্রী। আধুনিক গ্যাজেটস নিয়েও উপস্থিত আছেন তরুণ এক উদ্যোক্তা।

 প্রদর্শনীতে জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী রোজি সিদ্দিকী শাড়ি দেখছেন। ছবি: খবরের কাগজ

২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, অভিনয়শিল্পী রোজী সিদ্দিকী, চলচ্চিত্র ও নাটক পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, কেশ–বিশেষজ্ঞ কাজী কামরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ ফ্যাশন সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান। এ ছাড়া এই আয়োজন যাঁর উদ্যোগে, বিশ্বরঙের কর্ণধার ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহার উপস্থিত ছিলেন পুরো আয়োজনের মধ্যমণি হয়ে। বিকেলে বনশ্রী আউটেলেটে অভিনয়শিল্পী ফখরুল বাশার মাসুম ও মিলি বাশারও । ৩০ সেপ্টেম্বর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনয় ও নৃত্যশিল্পী অপি করিম।

প্রদর্শনীতে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অপি করিম হ্যান্ড পেইন্টের শাড়ি দেখছেন। ছবি: খবরের কাগজ

দুই দিনের এই আয়োজনে দৃষ্টিনন্দন পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে রোদসী, পরিণীতা ফ্যাশন, ফ্লেয়ার, সাজো বাই সানজানা, তাস হ্যাঙ্গার, আমি আমরা, নান্দনিক কালেকশন, আকৃতা’স ক্রিয়েশন, মম ফানুস, যোহরা’স ভ্যানিটি, দ্য সলি, ক্রাফট ওয়ার্কস, এনএন বুটিক, ডোনাস হিউ, মিতার গল্প ও আরু—এই ১৬টি অনলাইনভিত্তিক লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন উদ্যোগ।

মেলা ও অন্যান্য প্রদর্শনীর চেয়ে আলাদা ‘শরৎ হাওয়া’। বিশ্বরঙের উদ্যোক্তা ভূমি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ অন্যান্য জেলা থেকে বাছাই করেছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তাকে। তাঁদের পণ্য যাচাই-বাছাই করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা। পণ্যের গুণগত মান, কোথা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা যায়—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করেছেন তিনি। পণ্যনকশা থেকে ব্র্যান্ডিং সব ব্যাপারে তাদের প্রস্তুত করেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন।

প্রদর্শনীতে অপি করিম জুয়েলারি দেখছেন। ছবি: খবরের কাগজ

 

বিপ্লব সাহা বলেন, ‘বিশ্বরঙ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। উদ্যোক্তা ভূমি তৈরি করেছি সৃজনশীল শিল্পীদের নিয়ে। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি—কোনটা ভালো আর কোনটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ডিজাইন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, বিপণন—সব দক্ষতা তারা রপ্ত করুক, এটাই আমি চাই। “শরৎ হাওয়া” প্রদর্শনীতে নিজস্ব ডিজাইন প্রদর্শন করছেন উদ্যোক্তারা। পরে এগুলোই ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলেই আমার প্রত্যাশা। আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে আমি তাঁদের পাশে থাকতে চেয়েছি'।

‘নতুন উদ্যোক্তাদের কাজ এত ভালো হবে, বুঝতে পারিনি প্রথমে। এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছি। বিপ্লব সাহার সহায়তায় পরিপক্বভাবে কাজগুলো করেছেন উদ্যোক্তারা। তারা আরও এগিয়ে যাবে বলেই আমার প্রত্যাশা,’ বলেছেন সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।

অভিনয়শিল্পী রোজী সিদ্দিকি বলেন, ‘সমসাময়িক অস্থিতিশীলতার কথা আমাদের সবার জানা। এই কঠিন সময়ে বিপ্লব সাহা উদ্যোক্তাদের সুযোগ করে দিয়েছে, কাজে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। মেলা ঘুরে মনে হয়েছে, এখানে অনেকের কাজ বেশ ভালো। আবার অনেকেই আছেন নতুন, তাঁদের যতটুকু অনভিজ্ঞতা আছে, বিপ্লবের সঙ্গে এভাবে কাজ করলে তা দ্রুতই কেটে যাবে আশা করছি।’

'আউটলেটের বৃহদাংশ নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারটি অভিনব ও অত্যন্ত প্রশংসনীয় এক উদ্যোগ', বলেন ফ্যাশন সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান।

জাহ্নবী

খাবারে শারদীয় আমেজ

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
খাবারে শারদীয় আমেজ
খাবারে উৎসবের আমেজ

খাবার ছাড়া শারদীয় উৎসব ঠিক জমে না। মন্দিরের রং-বাহারি সাজসজ্জায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয় বটে, তবে পূজার আভিজাত্য প্রকাশিত হয় খাবারে। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত পূজার প্রসাদের পাশাপাশি যোগ হয় বৈচিত্র্যময় খাবার-দাবারের আয়োজন। পূজা উপলক্ষে রেসিপি দিয়েছেন কলকাতার রন্ধনশিল্পী মিঠু পাত্র

মখমলি মাখনি মাটন

উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, আদা, রসুন আধ বাটা ১/২ কাপ, মাঝারি মাপের ২টি পেঁয়াজ স্লাইস করে কাটা, মাঝারি মাপের ২টি পেঁয়াজ ডুমো করে কাটা, কসুরি মেথি শুকনো খোলায় টেলে গুঁড়া করে রাখা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, হলুদ পরিমাণমতো, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, গোটা গরম মসলা (ছোট এলাচ ৪-৬টি, বড় এলাচ ২টি, দারুচিনি টুকরো ২" এর ২টি, লবঙ্গ ৮টি, জায়ফল ১/২টি, তেজপাতা ১টি, মৌরি ১ চা চামচ), সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ চা চামচ, বাটার ২.৫ টেবিল চামচ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১/২ কাপ, ক্রিম ১/২ কাপ, কাজু বাদাম ১০-১২টি, কাঠ বাদাম ৮টি, কাঁচা মরিচ ৮টি, টমেটো ৫টি।

প্রণালি
মাংস ২ টেবিল চামচ আদা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ লবণ দিয়ে ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। কড়াইতে ম্যারিনেটড মাংস, স্লাইস করে পেঁয়াজ, ১ টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে মেখে আঁচ কম করে ঢাকা দিয়ে কষিয়ে রান্না করতে হবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। সেদ্ধ করা মাংস সরিয়ে রেখে কড়াইয়ে ১.৫ টেবিল চামচ বাটার ও সামান্য সাদা তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা দিয়ে পেঁয়াজ ও টমেটো, ৪-৫টি রসুনের কোয়া, আদা টুকরো করে কাটা, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম ও লবণ দিয়ে কষিয়ে পানি ঢেলে দিয়ে রান্না করতে হবে। ৫-৭ মিনিট পর ঠাণ্ডা করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিতে হবে। প্যানে সাদা তেল ও বাকি বাটার গরম করে ১ টেবিল চামচ কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, বাকি আদা, রসুন বাটা, হলুদ দিয়ে কষতে কষতে যখন সোনালি রং আসবে তখন বেটে রাখা বাদামের গ্রেভি ঢেলে দিতে হবে এবং সেদ্ধ করে রাখা মাংসও দিতে হবে। ধনেপাতা কুচি, ফেটিয়ে রাখা ক্রিম, ৪-৫টি কাঁচা মরিচ, কসুরি মেথি দিয়ে ৩ মিনিট হাই ফ্লেমে রান্না করতে হবে। একটি দারুচিনির টুকরো ইতোমধ্যে আগুনে পুড়িয়ে নিতে হবে, সরিষার তেল গ্রেভির মধ্যে ওপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটি ছোট্ট বাটিতে পোড়ানো দারুচিনি টুকরো ও ঘি দিয়ে গ্রেভির ওপর বসিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে যাতে স্মোকি ফ্লেভারটা ভালো করে মিশে যায়। ভাত/ নান রুটি/ পোলাও/ বিরিয়ানির সঙ্গে মখমলি মাখনি মাটন পরিবেশন করুন।

শ্রিম্প ট্যাপিওকা বাটার ফ্রাই

উপকরণ 
মাঝারি সাইজের চিংড়ি ৫০০ গ্রাম, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, সাগু দানার আটা ৬৫ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ৩০ গ্রাম, ময়দা ১৫ গ্রাম, বেকিং পাউডার ১ চামচ, ডিমের সাদা অংশ ৩টি, তেল ১০০ মিলি লিটার, বাটার ২ টেবিল চামচ, বরফ ৩০ মিলি লিটার।

প্রণালি
চিংড়ি মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে, মাথার দিকটা ফেলে দিয়ে লেজসহ ধুয়ে নিয়ে লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। ব্যাটার বানানোর জন্য প্রথমে শুকনো উপকরণগুলো সাগু দানার আটা, কর্ন ফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার, ময়দা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। তারপর তাতে ডিমের সাদা অংশ, সাদা তেল ও বাটার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে স্বাদমতো লবণ বরফ পানি দিয়ে আবার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর প্যানে তেল নিয়ে গরম করে নিয়ে মিডিয়াম আঁচে রাখতে হবে। একটা একটা করে চিংড়ি মাছ ব্যাটারে ডুবিয়ে গরম তেলে দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিতে হবে। গরম গরম পরিবেশ করুন শ্রিম্প ট্যপিওকা বাটার ফ্রাই।

খাসির মাংসের দুধ বিরিয়ানি

উপকরণ
চর্বিসহ খাসির মাংস ১ কেজি, আদা ৫০ গ্রাম, রসুন ১০০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ ১৩-১৪টি, ঘি ২ কাপ, পেঁয়াজ ফালি করে কাটা ২৫০ গ্রাম, তারা মৌরি ২টি, তেজপাতা ২টি, বড় এলাচ ৫টি, দারুচিনি ২টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চামচ, দুধ ১/২ লিটার, ফ্যাটানো টক দই ২০০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, ফ্রেশ ক্রিম ১ কাপ, বাসমতি চাল ৮৫০ গ্রাম, বেরেস্তা ১ কাপ।

বিরিয়ানি মসলার উপকরণ
ছোট এলাচ ২৫টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ১০টি, জয়ত্রী ৩টি, জায়ফল অর্ধেকটি, কাবাব চিনি আধা চামচ, শাহি জিরা ১ চামচ, মৌরি ১ চামচ। (মসলাগুলোকে শুকনো খোলায় নেড়ে গুঁড়া করে নিলে তৈরি হয়ে যাবে বিরিয়ানি মসলা)

প্রণালি
বাসমতি চাল ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১ ঘণ্টা মতো। আদা, রসুন ও ৮টি কাঁচা মরিচ একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। একটি বড় ও ছড়ানো প্যান যেটা গ্যাসে ব্যবহার করা যেতে পারে, তার মধ্যে মাংস, আদা, রসুন, কাঁচা মরিচ বাটা, ১ কাপ ঘি, ফালি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ, তারা মৌরি, তেজপাতা, বড় এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ঢাকা দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর ঢাকা খুলে ভালো করে মিশিয়ে তাতে স্বাদমতো লবণ দিয়ে আবারও ঢেকে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকা খুলে আবার ভালো করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ৩০ মিনিট পর ঢাকা খুলে সাদা মরিচ গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে, তারপর দুধ দিয়ে দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে আবার ঢাকনা বন্ধ করে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে তাতে ফ্যাটানো টক দই, কুচি করে কাটা ধনেপাতা ও পুদিনা পাতা দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ না ফুটে আসে। একবার ফুটে গেলে মাংস কষিয়ে শুকনো হওয়া ও মাংস সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।

তারপর ঢাকনা খুলে তৈরি করে রাখা বিরিয়ানি মসলা পরিমাণমতো দিয়ে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য পাশে একটি জায়গায় পানি ফুটতে দিতে হবে। ফুটে এলে ৫টি কাঁচা মরিচ ফালি দিতে হবে, ২ চামচ ঘি, ক্রিম ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর ফুটে এলে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে একবার নেড়ে নিতে হবে। ৩০-৪০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে ভালো করে ছেঁকে যে পাত্রে মাংস ছিল তার ওপর প্রলেপ করে দিতে হবে। ওপর থেকে বানিয়ে রাখা বিরিয়ানি মসলা, ১ কাপ ঘি, কুচি করে কেটে রাখা ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও বেরেস্তা দিয়ে আগে থেকে গরম করে রাখা তাওয়ার ওপর বসিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিয়ে, চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। ৩০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন খাসির মাংসের দুধ বিরিয়ানি।

 কলি