শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এই উৎসবকে আরও বেশি উৎসব মুখর ও প্রাণবন্ত করতে নারী, পুরুষ,শিশুদের জন্য সেইলর নিয়ে এসেছে রঙিন সব পোশাক। এবারের কালেকশনে থাকছে সালওয়ার সুট, পাঞ্জাবি, শার্ট, কুর্তি, টু পিস, টপসসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
দিনভর আরামে ফ্যাশনেবল থাকার জন্য পুরুষদের পোশাকে - সুনিপুণ গিযা কটন, সফট কটন, হাই কাউন্ট সুতার তৈরি ব্ল্যান্ডেড ফেব্রিকের মত নানান প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে নারীদের পোশাকে প্রিমিয়াম সিল্ক , রিঙ্কেল শিফন, প্রিন্টেড সফট সিল্ক সহ সবচেয়ে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য দিয়েছে সেইলর। মেরুন, হলুদ, লাল, গোলাপি, টিলসহ বাহারি রঙ নির্বাচন করার পাশাপাশি নিখুঁত ভাবে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, পার্ল প্রিন্ট, সিকুইন ওয়ার্ক ইত্যাদির মাধ্যমে ফ্লোরাল আর্টের প্রাধান্য পেলেও সমসাময়িক বিভিন্ন মোটিফের ডিজাইন পূজার কালেকশনকে করেছে আকর্ষণীয়। এছাড়া পূজায় পছন্দের জামার সাথে মিলিয়ে রয়েছে ফুটওয়্যার ও ব্যাগের কালেকশন। সাথে রয়েছে নানাবিধ উপহার সামগ্রীর সমাহার।
পরিবারের সবাই উৎসবের এ আনন্দে যেন একাত্ত হতে পারে সেই কথা চিন্তা করেই নতুন কালেকশনে রয়েছে কাপল ও ফ্যামিলি কম্বো।
এই বছর পূজায় আপনার ওয়্যারড্রোবকে দিন নতুনত্বের ছোঁয়া সেইলরের পূজার নতুন কালেকশনের সঙ্গে। যাতে উৎসবের প্রতিটি দিন আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। কারণ উৎসব মানেই সেইলর। ব্র্যান্ডটির নতুন সকল সংগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সকল আউটলেট ও অনলাইনে।
ফ্যাশন এন্ড লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড স্পার্ক গিয়ারে রয়েছে আন্তর্জাতিক পোশাকের দারুণ সম্ভার। ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য তাদের প্রতিটি আউটলেটে রয়েছে ট্রেন্ডি সব আয়োজন। আগামী ৫ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ফ্যাশন ব্র্যান্ডটির যেকোনো আউটলেটে থাকছে ৩০% ছাড়।
স্পার্ক গিয়ারের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকল আউটলেটে চলবে এই বিশেষ ছাড়। বিশেষ ছাড়ে কেনা যাবে ছোট-বড় সবার জন্য মানসম্মত পোশাক।
স্পার্ক গিয়ারে প্রতিটি পোশাক আরামদায়ক কাপড়ে তৈরি। তাই সাচ্ছন্দে কিনতে পারবেন যেকোনো পোশাক। তাদের এই ছাড়ের তালিকায় থাকছে নিত্যদিনের সকল পোশাক। মূল্যছাড়ের এই আয়োজনে নারীদের জন্য রয়েছে নিট ফ্যাশন টপস, এথনিক ওয়ান পিস, ট্যাঙ্ক টপস, এথনিক, টপস লেগিংস,জেগিংসস, এথনিক টু পিস, বটম, ডেনিম,ট্রাউজার, কুর্তি,পালাজো ওশীতের উষ্ণতায় পছন্দনীয় তৈরি পোশাক।
ছেলেদের জন্য থাকছে ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম, চিনোস, ডেনিম প্যান্ট, পোলো টি শার্ট পায়জামা, টি-শার্ট এবং ফরমাল শার্ট-প্যান্ট, স্যুট, ব্লেজার, টাই ও নানাবিধ এক্সেসরিজ। মেয়ে শিশুদের জন্য থাকছে ফ্রক, পার্টি ফ্রক, প্যান্ট, গার্লস থ্রি পিস, গার্লস সেট, লেগিংস টপস ও বটম। ছেলে শিশুদের জন্য থাকছে বয়েজ সেট, ডেনিম প্যান্ট, পোলো শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট,টি-শার্ট ওশীতের বৈচিত্র্যময় তৈরি পোশাক।
এছাড়াও মিলবে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রসাধনী। যার মধ্যে থাকছে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পারফিউম। এছাড়া মেয়েদের প্রসাধনী সামগ্রী যেমন, ময়েশ্চারাইজার, টোনার, লিপস্টিক, নেলপলিশ, সেরাম, আইশ্যাডো, ব্লাশঅন, লিপবাম, হেয়ার অয়েল, ফেসওয়াশ, নানা ধরনের ক্রিম, লোশন ও শ্যাম্পুসহ অনেক আইটেম। গোল্ডেনরোজ ও প্যাস্টেল এর মত সহযোগী প্রতিষ্ঠান এর বিপুল কসমেটিক্স এর সমারোহ।
স্পার্ক গিয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের রয়েছে ফরমাল ক্যাজুয়াল ও বিজনেস ক্যাজুয়াল পোশাকের সম্ভার। রঙ, প্যাটার্ন এবং আরামদায়ক কাপড়ে প্রাধান্য পেয়েছে মৌসুমভিত্তিক নিরীক্ষাধর্মী ডিজাইন ও প্যাটার্ন। এছাড়া মিলবে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নানা প্রসাধনী। যদিও এবারের ছাড়ে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র আরএমজি পণ্যর উপর মূল্যহ্রাস। তাদের সবগুলো শোরুমেই মিলবে এই ছাড়।
পোশাক আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দৈনন্দিন নিজেকে ফ্যাশনেবল রাখতে স্টাইলিশ পোশাকের বিকল্প নেই। পোশাক আমাদের স্বভাব, আচরণ, লুকিং নির্ধারণ করে। পোশাক ক্রয়ে বাজেটের কথাও ভাবতে হয়, তাই মানসম্মত কিন্তু সাশ্রয়ী কোন অফার ফ্যাশন সচেতন ক্রেতার জন্যে অনেক আকর্ষণীয়। । বছর প্রায় শেষের পথে, এসময়ে বাজেট সাশ্রয়ী ধামাকা অফার নিয়ে এসেছে দশটি দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম দেশীদশ। শুরু হয়েছে Year End Sale; ৭০% পর্যন্ত মূল্যছাড়।
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দশটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড নিপুণ, কে ক্রাফট, অঞ্জন’স, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা, দেশাল, নগরদোলা ও সৃষ্টি এর সমন্বয়ে গঠিত দেশীদশ। অনন্য ভাবনায় গঠিত দেশীদশ জন্মলগ্ন থেকে গত ১৫ বছরে দেশীয় ফ্যাশন শিল্প বিকাশে নিরন্তর কাজ করে চলছে। তাই দেশীদশের এই মূল্যছাড় ক্রেতাদের মধ্যে বিপুল আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।
দেশীদশ Year End SALE পোশাক প্রদর্শনী হবে দেশীদশ এর ঢাকার বসুন্ধরা সিটি লেভেল চার, সিলেটের কুমারপাড়া ও চট্টগ্রাম প্রবর্তক মোড়ের আফমি প্লাজায় অবস্থিত আউটলেটে। এই উৎসবের আয়োজনে থাকবে শার্ট, টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, টপস, কামিজ এর পাশাপাশি শাড়ি, পাঞ্জাবী, স্ট্রিচ ড্রেস (থ্রি-পিস), আনস্ট্রিচ ড্রেস, হোমডেকর ইত্যাদি।
গত ১ নভেম্বর থেকে দেশীদশে শুরু হওয়া এই ছাড় চলবে ২৩ নভেম্বর অবধি একই সাথে ঢাকা, চট্রগ্রাম ও সিলেটের আউটলেটে। আউটলেটের পাশাপাশি অনলাইনেও প্রদর্শিত হবে Year End Sale; ৭০% পর্যন্ত ছাড় আয়োজন। দেশীদশ এর ফেসবুক পেজ www.facebook.com/deshidosh2009 এও দেখা যাবে এই আয়োজনের বর্ণিল সব পোশাক।
হেমন্তের সময় প্রকৃতিতে ধূসর ভাব থাকে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক থাকার ফলে সাজ ভালো দেখায় না। এ জন্য মেকআপের আগে কিছু বিষয় খেয়াল করা জরুরি, যাতে আপনার মেকআপ হয়ে উঠতে পারে আরও নিখুঁত ও সুন্দর।
ত্বক পরিষ্কার করা মেকআপ শুরু করার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। মুখে ধুলোবালি, তেল ও ময়লা থাকলে মেকআপ সহজে বসে না। প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এ ছাড়া যাদের ত্বক শুষ্ক তারা মেকআপ করার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে দিয়ে মুখ মুছে পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বক তৈলাক্ত বা মিশ্র হলে ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ কিংবা ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
বরফ ঘষুন মুখ ধোওয়ার পর বরফ ব্যবহার করুন। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে বরফ মুড়ে সারা মুখে আলতো করে বুলিয়ে নিন। মুখে বরফ ঘষার বেশ কিছু বাড়তি উপকারিতাও রয়েছে। বরফ মুখে রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তুলে একটা বাড়তি আভা এনে দেয়, পাশাপাশি চোখের ক্লান্তভাবও কাটিয়ে তোলে।
এক্সফোলিয়েট করা ত্বকে মৃত কোষ, ব্ল্যাক বা হোয়াইট হেডসের মতো সমস্যা থাকলে মেকআপ করলেও দেখতে ভালো লাগবে না। তাই ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। এতে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা ও তেল পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে। স্ক্রাবার দিয়ে সার্কুলার মোশনে আস্তে আস্তে ঘষে ত্বকের মৃতকোষগুলো পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাবার ব্যবহার করার পর টোনার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে ক্লান্তির ছাপ থাকলে দূর হবে এবং কোনোরকম ময়লা অবশিষ্ট থাকলে তাও পুরোপুরি দূর হয়ে ত্বক অনেক বেশি সতেজ হয়ে উঠবে। ঘরে বসে এই সময় স্বাভাবিক ত্বকের জন্য দুধ ও মধুর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বক স্ক্রাব করতে টক দইয়ের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার করা ত্বক পরিষ্কার করার পর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যেকোনো ঋতুতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য বেজ মেকআপ প্রোডাক্ট ত্বকের ওপর সুন্দরভাবে বসার জন্য ময়েশ্চারাইজিং করা প্রয়োজন। শুষ্ক হলে লাইট-ওয়েট ক্রিম ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকে জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের রুক্ষতা দূর হবে। ত্বক ভেতর থেকে নরম হয়ে উঠবে। মেকআপ শুরু করার আগে কিছুক্ষণ ময়েশ্চারাইজার মেখে অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
প্রাইমার ব্যবহার করুন মেকআপের আগে অনেকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু, এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকলেও মেকআপ ভালোভাবে বসে না। এক্ষেত্রে মেকআপের আগে প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। ফাউন্ডেশন, ব্লাশন, ব্রোঞ্জার ও অন্যান্য ফেস প্রোডাক্টের স্থায়িত্ব বাড়াবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে মেকআপ অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবে আর মেকআপের মসৃণতা বজায় থাকবে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও দামের প্রাইমার পাওয়া যায়। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। মেকআপ করার পর যাদের ত্বক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তৈলাক্ত হয়ে যায়, তাদের জন্য ম্যাটিফাইং প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বক যাদের, তারা হাইড্রেটিং প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার সব ঋতুতে মেকআপের আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক সুরক্ষিত থাকে। সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর ১৫ মিনিট পর মেকআপ শুরু করতে হবে। বাজারে এখন নানা ব্র্যান্ডের, নানা ধরনের, নানা ফর্মুলার সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
কনসিলার ও লুজ পাউডার ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন বা দাগ ছোপ থাকলেই কনসিলার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের যে অংশে দাগ আছে, ওই জায়গা ছাড়া অন্য কোথাও কনসিলার লাগানোর প্রয়োজন নেই। বেজ মেকআপের শেষে ফাউন্ডেশন ও কনসিলার সেট করতে লুজ পাউডার ব্যবহার করুন।
লিপ বাম এ সময় ঠোঁট আর্দ্র রাখার জন্য লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই লিপ বাম ব্যবহার করুন। লিপ বাম লাগানোর পর সঙ্গে সঙ্গে লিপস্টিক লাগাবেন না, কয়েক মিনিট সময় দিন। এতে লিপ বাম সেট করে গিয়ে ঠোঁট কোমল থাকবে, লিপস্টিকের রং ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
ইন্টারনেট ছাড়া এখন জীবন কল্পনাই করা যায় না। তবে এর ভুল ব্যবহারে তৈরি হতে পারে নানান ধরনের অনিরাপত্তা। ফলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন হয় অনেকে। সাইবার বুলিংয়ে ভিকটিম সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্ল্যাকমেইলিং ও কিডন্যাপের মতো ঘটনাও ঘটে। শুরুতে বন্ধুসুলভ আচরণ করে এবং পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভয়ভীতি দেখিয়ে মানসিক অত্যাচার করা হয়। অনলাইনে হয়রানি বা সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। অনেকে হতাশা সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নেন। তাই ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে ও বুঝতে হবে কোথায় থামতে হবে।
বাংলাদেশ হাইকোর্টের আইনজীবী সেলিনা আক্তার জানান, সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে যদি কাউকে কোনো অশ্লীল, মানহানিকর বা হুমকিমূলক বার্তা কিংবা ই-মেইল পাঠানো হয় অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাহলে থানায় জিডি করতে হবে। প্রমাণস্বরূপ থানায় অভিযোগের সঙ্গে সেগুলোর প্রিন্ট জমা দিতে হবে। আপত্তিজনক সাইটের ঠিকানা সংরক্ষণ করে সেটা তদন্ত কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে সিআইডির সাইবার পুলিশ বা ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটেও যেতে পারেন। জরুরি পুলিশ সেবার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯-এ ফোন করতে পারবেন।
সাইবার বুলিংয়ের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১৭ জুন সাইবার বুলিং ডে উদযাপন করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় শুক্রবার দিবসটি উদযাপন করা হয়।
কীভাবে সাইবার বুলিং এড়াতে যা করবেন • অনলাইনে নিজের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি কিংবা পাসওয়ার্ড শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। লোকেশন সেটিং বন্ধ রাখার মাধ্যমে নিজের অবস্থান না জানানোই ভালো।
• যাকে আপনি চেনেন না তাকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখবেন না। অচেনা মানুষ কখনো কখনো ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অপরিচিত কারও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার আগে যাচাই-বাছাই করে নিন।
• সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপরিচিত মেইল বা মেসেজ এড়িয়ে চলতে হবে। অন্য কারও পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করার অপশন বন্ধ করে রাখুন। স্ক্রিনশট, ই-মেইল এবং মেসেজগুলো সেভ করুন, যাতে করে সাইবার বুলিংয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন।
• যেকোনো তথ্য শেয়ার করার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যে সোর্স থেকে তথ্যটি এসেছে তা বিশ্বাসযোগ্য কি না যাচাই করে দেখুন। সংবাদটি নির্ভরযোগ্য সাইটে প্রকাশিত হলে, ওয়েব অ্যাড্রেসটি যাচাই করার পর ইনফরমেশনটি ভুল মনে হলে তবে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। ভুল পেজ সামনে এলে রিপোর্ট করে দিতে পারেন।
• প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপায়ে আপনার শেয়ার করা ব্যক্তিগত তথ্যের ভুল ব্যবহার হতে পারে। তাই অনলাইন সেফটি সম্পর্কে জানতে হবে এবং ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
• প্রাথমিকভাবে যে বা যার দ্বারা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। আপনি না পারলে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়কে আলোচনা করতে অনুরোধ করতে পারেন।
• সামাজিক যোগাযোমাধ্যমের সব অ্যাকাউন্টেই ব্লক করার সুবিধা থাকে। প্রাথমিক বুলিং হলে বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসংলগ্ন কথা বললে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন।
• সাইবার বুলিংয়ের শিকার বুঝতে পারলে কখনোই সাড়া দেবেন না। নিজেও পাল্টা আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবেন। আবার বেশি বুলিং হলেও চুপ করে থাকবেন না। এর বিরুদ্ধে আপনার আওয়াজ তুলুন এবং যার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটছে, তাকেও সাহায্য করুন।
• সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। মানসিক অস্থিরতা, ট্রমা কাটিয়ে উঠে সহজে ব্যবস্থা নেওয়া খুবই কঠিন। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন ভিক্টিমের কাছের লোক যারা এই ব্যাপারটা জানেন।
• আক্রমণের শিকার ব্যক্তিকে মানসিক ভরসা দিন। সে যেন উপলব্ধি করতে পারে আমাদের চারপাশে আক্রমণকারী মানুষের চেয়ে উদ্ধারকারী মানুষের সংখ্যাই বেশি, বিদ্বেষধর্মী মানুষের চেয়ে সহমর্মী মানুষের সংখ্যাই বেশি।
গরুর মাংস আমাদের সবার খুব প্রিয়। বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে নানাভাবে গরুর মাংস রান্না হয়। সেসব রান্নার জনপ্রিয় তিন রেসিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের কুকিংয়ের ট্রেইনার এবং অ্যাসেসর শেফ আলভী রহমান শোভন।
সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস (সিলেট)
উপকরণ গরুর মাংস ১ কেজি (টুকরো করে কাটা), সাতকরা ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, তেজপাতা লবঙ্গ দারুচিনি কয়েক টুকরো, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল আধা কাপ।
প্রণালি প্রথমে সাতকরা ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। গরুর মাংস ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর হাঁড়ি গরম করে তেল দিন। গরম তেলে দিন তেজপাতা, লবঙ্গ এবং দারুচিনি কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ লাল করে ভাজা হলে একে একে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, জিরা বাটা দিয়ে অল্প পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। এবার মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করে কষিয়ে নিন আরও ২০ মিনিট। এরপর সাতকরার টুকরো কষানো মাংসে দিন। ১ কাপ গরম পানি দিয়ে কম আঁচে রান্না করুন আরও ৪০ মিনিট। তেল উপরে উঠে আসলে চুলা বন্ধ করুন।
প্রণালি প্রথমে মাংসগুলো ভালো করে ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা, গরম মসলার গুঁড়া, পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচা পেঁয়াজ কুচি, সরিষার তেল, তেজপাতা, দারুচিনি, গোল মরিচ, এলাচ, লবঙ্গ মাংসের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এক ঘণ্টা ঢেকে রেখে মেরিনেট করে নিন। যে পাত্রে রান্না করবেন; ওই পাত্রেই মাংস মেরিনেট করবেন। এরপর পাত্রটি চুলায় হাই হিটে ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
যখন দেখবেন মাংস থেকে পানি ছাড়ছে, ওই সময় চুলার আঁচ মিডিয়াম আঁচ করে দিন। মাংস ভালো করে নেড়েচেড়ে দিতে হবে এ পর্যায়ে। আবারও ঢেকে ১৫-২০ মিনিট মাঝারি আঁচে সেদ্ধ করতে হবে মাংস। এতে মাংস থেকে সব পানি বেরিয়ে আসবে। এরপর ঢাকনা উঠিয়ে আবারও মাংস নেড়ে দিন। কালাভুনা রান্নার ক্ষেত্রে আলাদা কোনো পানি ব্যবহার করা যাবে না। মাংস থেকে বের হওয়া পানি দিয়েই রান্না করতে হবে কালা ভুনা। এক থেকে দেড় ঘণ্টা একেবারেই অল্প আঁচে ঢেকে মাংস রান্না করতে হবে এবার। মাঝে মাঝে ঢাকনা উঠিয়ে নাড়তে হবে। নিচে যেন লেগে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এভাবে কষাতে কষাতে দেখবেন একসময় মাংসের রং কালচে হয়ে এসেছে। যখন দেখবেন পানি একেবারেই শুকিয়ে এসেছে, ওই সময় অল্প অল্প করে গরম পানি মিশিয়ে কষাতে হবে। মাংসের রং কালো হতে অন্তত দেড় ঘণ্টা সময় নেবে। ততক্ষণ রান্না করতেই হবে। যখন এবার পেঁয়াজ-আদা-রসুন কুচি, শুকনো মরিচ পরিমাণমতো তেলে ভেজে নিতে হবে। তারপর তেলসহ মসলা মাংসের পাত্রে ঢেলে দিতে হবে। এবার মাংস পুনরায় ভালো করে নেড়েচেড়ে নিন। সামান্য গরম মসলা ছিটিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে আস্ত কাঁচা মরিচ ৩-৪টি দিয়ে দিন মাংসে। এভাবে আরও ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। তারপর গরম গরম পরিবেশ করুন সুস্বাদু কালা ভুনা।
গরুর মাংসের কালিয়া (পুরান ঢাকা)
উপকরণ গরুর মাংস ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ২ চা চামচ, টকদই আধা কাপ, শাহি জিরা বাটা ১ চা চামচ, কালো গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, আলুবোখারা ৭-৮টি, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ পরিমাণমতো, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি গরুর মাংস একটি বাটিতে নিয়ে এতে একে একে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, টক দই, শাহি জিরা বাটা, কালো গোলমরিচ গুঁড়া, লবণ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া দিয়ে ভালোমতো মাখিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ একটি কড়াইয়ে ঢেলে তেলসহ গরম করুন। মসলা মাখানো মাংস দিয়ে মাঝারি আঁচে দুই-তিনবার কষিয়ে ৬ কাপ গরম পানি দিয়ে রান্না করুন। তেল উপরে উঠে আসলে বেরেস্তা, আলু বোখারা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়ুন। এরপর কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামিয়ে ফেলুন।