ধুলোবালি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না করলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা করতে পারে। শারীরিক বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও হয়ে থাকে ধুলোবালির কারণে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা সহজেই ফুসফুসে ঢুকে পড়ে ও মারাত্মক ক্ষতি করে। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
কীভাবে ক্ষতি করে?
ধুলার ধরন, আকার-আয়তন, ঘনত্বের মাত্রা ও কত দিন ধুলায় বসবাসের ওপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা। সামান্য পরিমাণ ধুলাও চোখ জ্বালাপোড়া, কাশি, হাঁচি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাদের অল্প ধুলোবালিতে জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। ধুলোবালি আমাদের ত্বকের লোমকূপে খুব সহজে তাদের জায়গা করে নেয় বলে, ত্বকে ব্রন, এলার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত ধুলার মধ্যে দীর্ঘদিন থাকলে নিউমোনিয়াও হতে পারে। সব বয়সের মানুষেরই এ সমস্যাগুলো হতে পারে, তাই সবাইকে অতিরিক্ত ধুলোবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। যাদের ধুলায় এলার্জির সমস্যা আছে তাদের নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে করণীয়
• বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। তাহলে সহজেই বাইরের ধুলোবালির সমস্যা থেকে মুক্তি মেলবে।
• ত্বকের সুরক্ষার জন্য দিনে কয়েকবার মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। এতে চোখ, নাক ও মুখের ধুলোবালি পরিষ্কার হবে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।
• চোখ ধুলা পড়লে অসহ্য লাগে। চোখ জ্বালাপোড়াও করতে পারে। এমনকি চোখের জটিল সমস্যাও হতে পারে। তাই চোখকে সুরক্ষিত রাখতে নন-পাওয়ার চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
• ঘরে যাতে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
• ঘর সাজানোর জন্য যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোয় ধুলা জমতে পারে। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
• রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলোবালি তৈরি না হয়। এ সময় মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। এতে সহজেই ধুলোবালির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
• কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
কলি