ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন
মডেল: মোহনা, ছবি: আদিব আহমেদ

ধুলোবালি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না করলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা করতে পারে। শারীরিক বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও হয়ে থাকে ধুলোবালির কারণে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণা সহজেই ফুসফুসে ঢুকে পড়ে ও মারাত্মক ক্ষতি করে। এ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

কীভাবে ক্ষতি করে?
ধুলার ধরন, আকার-আয়তন, ঘনত্বের মাত্রা ও কত দিন ধুলায় বসবাসের ওপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা। সামান্য পরিমাণ ধুলাও চোখ জ্বালাপোড়া, কাশি, হাঁচি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাদের অল্প ধুলোবালিতে জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। ধুলোবালি আমাদের ত্বকের লোমকূপে খুব সহজে তাদের জায়গা করে নেয় বলে, ত্বকে ব্রন, এলার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত ধুলার মধ্যে দীর্ঘদিন থাকলে নিউমোনিয়াও হতে পারে। সব বয়সের মানুষেরই এ সমস্যাগুলো হতে পারে, তাই সবাইকে অতিরিক্ত ধুলোবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। যাদের ধুলায় এলার্জির সমস্যা আছে তাদের নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।

ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে করণীয়

• বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। তাহলে সহজেই বাইরের ধুলোবালির সমস্যা থেকে মুক্তি মেলবে।

• ত্বকের সুরক্ষার জন্য দিনে কয়েকবার মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। এতে চোখ, নাক ও মুখের ধুলোবালি পরিষ্কার হবে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে।

• চোখ ধুলা পড়লে অসহ্য লাগে। চোখ জ্বালাপোড়াও করতে পারে। এমনকি চোখের জটিল সমস্যাও হতে পারে। তাই চোখকে সুরক্ষিত রাখতে নন-পাওয়ার চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।

• ঘরে যাতে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

• ঘর সাজানোর জন্য যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোয় ধুলা জমতে পারে। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

• রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলোবালি তৈরি না হয়। এ সময় মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। এতে সহজেই ধুলোবালির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

• কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

 কলি

যুগপূর্তিতে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের বিশেষ মূল্য ছাড়

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
যুগপূর্তিতে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের বিশেষ মূল্য ছাড়
ছবি: টুয়েলভ ক্লদিং

পোশাক জগতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড টুয়েলভ ক্লদিং ১ যুগ পার করেছেন। এই যুগপূর্তিতে টুয়েলভের পক্ষ থেকে ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ১২ বছর পূর্তিতে সকল ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে টুয়েলভ। 

১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী টুয়েলভের আউটলেটে যেকোন ধরনের কেনাকাটায় ক্রেতারা পাচ্ছেন ২৪% মুল্যছাড়। ডিসেম্বরের ১২ অর্থাৎ ১২.১২ (বারো বারো) নামেই এই ৩ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমান কেনাকাটায় বছরব্যাপী ডিসকাউন্ট উপভোগের জন্য ক্রেতাদের সুবিধার্থে ফ্যামিলি কার্ড অর্জনের ব্যবস্থাও রেখেছে তারা। শীতের পোশাকসহ ফ্যাশনেবল কেনাকাটায় দারুণ সমারোহ সাজিয়েছে টুয়েলভ। দেশব্যাপী ৪০টি আউটলেটেই একযোগ এই ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা। 

 কলি 

শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে
মডেল:তৃণা, সায়না। ছবি: আদিব আহমেদ

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের কাজ শেখানো উচিত। শিশুর বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঘরের কাজ শেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাওয়া,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, এগুলো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের অপরিহার্য অংশ। অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের কারও ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। পিতা-মাতার দায়িত্ব নিজের সন্তানকে শারীরিক পরিশ্রম এবং কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া সংসারের কাজে হাত লাগানোর অভ্যাস শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করে। এ কারণে বাড়ির ছোটখাটো কাজে শিশুকে উৎসাহিত করুন। 

সূচনালগ্ন
দুই বা তিন বছর বয়স থেকে তাকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু করতে হবে। খেলার ছলেই শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। তার নিজের খাবার তার নিজের হাতে খেতে দেওয়া যেতে পারে। শক্ত খাবার বাটিতে নিয়ে এবং পানীয় জাতীয় খাবার মাম পটে ভর্তি করে পট শিশুর হাতে ধরিয়ে দেবেন। এতে সে নিজ হাতে খাওয়া শিখবে এবং চামচ, বাটি এসব কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তারও কিছু কিছু কৌশল শিখে যাবে। 

সচেতনভাবে শুরু
দুই বছরে শিশুরা কোনো কিছুই বুঝে করে না, তাই এগুলো যে কাজ তা সে বুঝতে পারে না। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখা, খেলার সময় নিজ হাতে খেলনা নেওয়া ইত্যাদি কাজ করা শেখাতে হবে। এ ছাড়া পানি নিজের হাতে ঢেলে পান করা, খাওয়ার পরে বাটি, চামচ বেসিনে রেখে আসা, কোনো কিছু এগিয়ে দেওয়া এ জাতীয় কাজগুলো করাতে হবে। নিজে দাঁত মাজা, নিজ হাতে খাওয়া এ সময়ই শিখবে। এই কাজগুলোর মাধ্যমে সে সচেতনভাবে জানতে পারবে এটা কাজ এবং এটা নিজের হাতে করতে হবে। 

অগ্রসর ধাপ
সাধারণত ৬-১০ বছর বয়স পর্যন্ত এ ধাপ চলমান থাকবে। এ সময় শিশুরা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, গোছগাছ এসব শিখবে। নিজের ব্যাগ নিজে গোছানো, মাথা আচড়ানো, নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা, পড়াশোনার জন্য বই খাতা বেছে নেওয়া ও পড়া শেষে বই গুছিয়ে সঠিক জায়গায় রাখা ইত্যাদি এই ধাপে করবে। শিশুরা কাজ শুরুর দিকে কিছু ভুল করবে তাতে পিতা-মাতার উচিত হবে বিচলিত না শিশুকে নিজের কাজটি করতে দেওয়া। 

চলমান ধাপ
১০ বছরের পর থেকে এই ধাপ চলতে থাকবে এবং এ সময় শিশু পরিবারের সামগ্রিক কিছু কাজে হাত লাগাবে। যেমন- ৬-১০ বছর পর্যন্ত শিশু তার ব্যক্তিগত পরিচর্যা আর নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে শেখে। ১০ বছরের পর শিশুকে পারিবারিক শ্রমবণ্টনের মধ্যে নিতে হবে তাকে দিয়ে ঘর পরিষ্কার করানো বয়স্কদের কাজে সহযোগিতা করা এবং পুরো পরিবারের সদস্যদের বিছানা পরিষ্কার করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া এবং মোছার মতো কাজগুলো করা। বাড়িতে যদিও সহায়ক গৃহকর্মী থাকেও তার ছুটির দিনগুলোয় শিশুকে এসব কাজ করতে দিতে হবে। এতে শিশুরা শ্রমের মর্যাদা ও বুঝতে পারবে আবার তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। 

শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে

পূর্ণাঙ্গ শিখন
১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে শিশুকে সব ধরনের কাজ করতে শেখাতে হবে। রান্না, মাঝে মধ্যে নিজের জন্য নুডলস বা নাশতা তৈরি করা এবং রোগীর পরিচর্যা করা। তবে রান্নার কাজ ও কাটা বাছার কাজ করার সময় অবশ্যই বড়দের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে যাতে শিশুরা কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়। আর টুকটাক দুর্ঘটনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সমাধান করতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে কাজ শেখালে শিশুরা কাজ করতে আগ্রহী হবে।

কাজের অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে তার কাছে কাজের সময় গুরুত্বটা বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। কাজটি সঠিকভাবে শেষ করলে প্রশংসা করুন যাতে তার নিজেকে এই কাজের জন্যে বিশেষ কিছু মনে করে। এভাবে আপনার সঙ্গেও শিশুর একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। 

দায়িত্ব দিন বয়স বুঝে
এক্ষেত্রে শিশুর বয়স বিবেচনা করে দায়িত্ব ভাগ করে দেবেন। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তাতে একঘেয়েমি আসবে না। 

নিজ পরিকল্পনায় শামিল করুন
ঘর গুছানোর কাজের পরিকল্পনায় শিশুদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাজারে গেলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। ফলে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভাববে এবং কাজ করতে আগ্রহ পাবে। 

ছোট ভাইবোনদের দায়িত্ব নিতে দিন
বাসায় একাধিক সন্তান থাকলে বয়সে বড়জনকে ছোট সন্তানের দায়িত্ব দিন। ওদের ভেতর যেন দ্বন্দ্ব না থাকে তা নিশ্চিত আপনাকেই করতে হবে। এভাবে আপনার সন্তান ঘরের কাজও দলবদ্ধভাবে করবে। সংসারে টুকিটাকি কাজে অন্তর্ভুক্তি শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করতে সাহায্য করে।

টিম ওয়ার্কের বিকল্প নেই
একসঙ্গে কাজ করতে গেলে যে আনন্দ তা শিশুকে বোঝাতে হবে। দলবেঁধে শিশুর সঙ্গে কাজ করলে আপনার সঙ্গে শিশুর কিছু চমৎকার মুহূর্ত তৈরি হবে।

 কলি 

পাটের বাহার

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
পাটের বাহার
নানা ধরণের জিনিসপত্র সহজেই পাওয়া যায়। ছবি: আদিব আহমেদ

নকশা, রূপে অন্য উপাদানের পণ্যের চেয়ে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই পাটের তৈরি পণ্য। ঘরের সাজে বৈচিত্র্য আনতে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে পাটজাত পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পাটের তৈরি পণ্যগুলো ঘরের সাজে দেশীয় একটা লুক নিয়ে আসে। ড্রয়িংরুম, বেডরুম এমনকি বারান্দাকে নান্দনিক করে তোলে। এ ছাড়া আমাদের দেশীয় ফ্যাশনেও দিনে দিনে পাটের তৈরি নানা পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটি আমাদের দেশে সহজলভ্য হলেও সস্তা নয়। তবে পরিবেশের বন্ধু।

ঢাকার মতিঝিলে পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্রে হরেক রকমের পাটজাত পণ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাটপণ্য নিয়ে কাজ করছে তারা। অন্যান্য উপাদানে তৈরি পণ্যের মতো পাটের তৈরি পণ্যগুলো ফ্যাশনেবল এবং যুগোপযোগী। যেকোনো ধরনের পাটপণ্যই সুন্দর নকশার আর রঙের হয়ে থাকে।

আমাদের দেশীয় ফ্যাশনেও দিনে দিনে পাটের তৈরি নানা পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে

অন্দরের নানা কিছু
কাঁচা পাট, পাটের সুতা ও কাপড়ের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে নান্দনিক নকশায় গৃহস্থালি ও নিত্যপণ্য, বাসাবাড়িতে বাগান করার সরঞ্জাম, ফ্লোর কভার, প্যাকেজিং বা মোড়কীকরণ পণ্য, সাজসজ্জার উপকরণ, অফিসে ব্যবহার্য কয়েক ধরনের পণ্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শোবার ঘরের বিছানার চাদর, পর্দা থেকে শুরু করে ম্যাট্রেস, চশমার বাক্স, হট প্লেস ম্যাট, পাপোশ, টেবিল ম্যাট, ছোট ও বড় ঝুড়ি, টিস্যু বক্স, ঢাকনা, টেবিল ল্যাম্প, রানার, গোলাকৃতির বাতি, কুশন কাভার, মোবাইল কাভার, ল্যাপটপ ব্যাগ, পার্স, শপিং ব্যাগ, বোতল ব্যাগ, নকশি বা ফেন্সি ব্যাগ, জায়নামাজ, ফ্লোর ম্যাট, দেয়ালের ম্যাট, পাটের কাগজ এবং কাগজের পণ্য, শুভেচ্ছা কার্ড, ফুলদানি, গহনা, আমন্ত্রণপত্র, শতরঞ্জি, চাবির রিং, মানিব্যাগ, পাটের তৈরি খেলনা, শোপিস, ল্যাম্পশেডসহ সবকিছুই মিলবে। ভিন্নতা আনতে পাটের টেবিল ক্লথেই রয়েছে এমব্রয়ডারির কাজ।

পুঁতি, লেস, বোতাম বসানো কুশন কাভার। কোনোটায় আবার লাল-সাদা কিংবা কালোর মধ্যে গাঢ় নীলের নকশা করা হয়েছে। এগুলো অন্যান্য পণ্য থেকে একটু বেশি দামি হলেও দেখতে আকর্ষণীয় আর পরিবেশবান্ধব। 

পাটের জুতা ব্যবহারে রয়েছে আরাম ও উষ্ণতা

পরার জন্য 
পাটের নিজস্ব সৌন্দর্য ও চলতি ধারার ফ্যাশনের মিশেলে তৈরি পাটের জুতার জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে শীতে পাটের জুতা ব্যবহারে রয়েছে আরাম ও উষ্ণতা। মেয়েদের জুতার মধ্যে রয়েছে হাই হিল, হাতে সেলাই ও ছাপা নকশার স্লিপার, পাম্প শু, ফিতা দেওয়া স্যান্ডেল ও নাগরা। এ ছাড়া ছেলেদের জন্য কনভার্স জুতা, ফরমাল শু, চপ্পল, স্যান্ডেল ও স্নিকার দেখা গেছে। রঙের মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে লাল, গোলাপি, কালো, সাদা, আকাশি ও পাটের প্রাকৃতিক রং। পোশাকের মধ্যে জ্যাকেট, ওভার কোট, ব্লেজার, টপ, প্যান্ট, কোট ইত্যাদি সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার কারণে সবার নজর কেড়েছে। পাটের আঁশ দিয়ে কাপড় তৈরি করে সেখানে চামড়া বা মেটালের ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও নতুনভাবে তুলে ধরতে কোলাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট বা কনট্রাস্ট রঙে নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া পাটের তৈরি শাড়ি বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাটের আঁশকে মেশিনে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে তুলার চেয়ে নরম করে নানা ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আরামদায়ক হওয়ায় সব বয়সী নারীর কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মূলত পাটের শাড়ির সঙ্গে ফ্যাশন সচেতনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা শাড়িগুলোকে বাজারজাত করা হচ্ছে। পাটের এসব জিনিসপত্রের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। ধীরে ধীরে পাটপণ্যের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসছে। দেশের মানুষ সচেতনভাবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে বিভিন্ন দোকানে পাটের অনেক রকম পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

নানা দামের পণ্য কিনতে পারবেন

দরদাম
বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। টিফিন ব্যাগ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, লেডিস ব্যাগ ২০০ থেকে ৫৫০, মোবাইল ব্যাগ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, ওয়ালম্যাট ২০০ থেকে ২২০, শোপিস ৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাবেন। চুড়ি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, দুই থেকে আড়াই ফুট লম্বা কার্পেট ২০০০ টাকা, জুতার দাম ৩৫০ থেকে ১০০০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন দামের গহনা রয়েছে। 

ঠিকানা 
পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র ৯৯, মতিঝিল (দ্বিতীয় তলা), করিম চেম্বার, ঢাকা (মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

সুস্বাদু ফুলকপি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
সুস্বাদু ফুলকপি

বাজারে ফুলকপিতে ভরে গেছে। থরে থরে সাজানো এ সবজির সৌন্দর্য এখন বেশ নজরকাড়া। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর ফুলকপিতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী গুণ। তাই ফুলকপি দিয়ে এ সময় বানাতে পারেন নানা স্বাদের মজার খাবার। ফুলকপি দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

 


ফুলকপির রোস্ট

উপকরণ
ফুলকপি ১টি, টক দই আধা কাপ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, কাজুবাদাম বাটা ১২-১৫টি, পোস্তদানা বাটা ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি, লং, শাহি জিরা গোলমরিচ, তেজপাতা ২-৩ পিস করে, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪-৫টি।

প্রণালি
গরম পানিতে ফুলকপি, লবণ, হলুদ গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি বাটিতে টক দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন। পরে কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, ধনে, জিরা লবণ, চিনি দিয়ে পেস্ট করে কাজুবাদাম, পোস্তদানা বাটা দিয়ে পেস্ট করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হয়ে ফুলকপি ৫ মিনিট এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে নিন। পেস্ট মসলায় ফুলকপি রেখে দিন। সেই কড়াইয়ে আবার সয়াবিন তেল ও ঘি গরম হলে, তেজপাতা, লং, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, শাহি জিরা দিয়ে ফোঁড়ন দিন। পরে পেস্টের মসলা আর ভাজা ফুলকপি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। পরে গরম মসলা, আদাও রসুন দিয়ে নেড়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। ঘন হলে কাঁচা মরিচ, সামান্য ঘি দিয়ে দমে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপির রোস্ট।


ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝাল

উপকরণ
ফুলকপি ১টি, আলু ২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা চামচ, রুই মাছ ৪ টুকরো, সয়াবিন তেল ৫ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
রুই মাছ রিং পিস করে কেটে ধুয়ে নিন। ফুলকপি ও আলু কেটে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি গরম হলে সামান্য পানি দিন। তারপর আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে রুই মাছ দিয়ে আবারও কষিয়ে অন্য বাটিতে উঠিয়ে রাখুন। এবার আলু দিয়ে ঢাকনাসহ ৫ মিনিট রান্না করে ফুলকপি দিয়ে রান্না করে ঝোলের জন্য পরিমাণমতো পানি দিন। ফুটে উঠলে কষানো মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জিরা গুঁড়া, চিনি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝাল।

ফুলকপি দিয়ে শোল মাছের রসা 

উপকরণ 
শোল মাছ ৬-৭ পিস, ফুলকপি ১টি, আলু ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ এবং ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ। 

প্রণালি
ফুলকপি কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং ধনিয়া গুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে মাছ দিয়ে রান্না করুন। পরে অন্য বাটিতে উঠিয়ে রাখুন। এবার আলু দিয়ে ঢাকনাসহ ৬-৭ মিনিট রান্না করুন। তারপর ফুলকপি দিয়ে নেড়ে পানি দিন। সেদ্ধ হলে কষানো মাছ দিয়ে কাঁচা মরিচ ফালি, ধনেপাতা কুচি, জিরা গুঁড়া, চিনি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন আরও ২-১ মিনিট। তারপর নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপি দিয়ে শোলমাছের রসা।

 কলি

মিরপুরে নতুন আঙ্গিকে টুয়েলভ ক্লদিং

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
মিরপুরে নতুন আঙ্গিকে টুয়েলভ ক্লদিং
মিরপুর অঞ্চলে নতুনভাবে আউটলেটটি খুলেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

নতুনভাবে সাজানো হয়েছে মিরপুরের সনি স্কয়ার শপিং সেন্টারে থাকা টুয়েলভ ক্লদিংয়ের আউটলেটটি। গত শনিবার মিরপুরের আউটলেটটি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় টুয়েলভের মিরপুর সনি স্কয়ার শপিং মলের আউটলেটে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।। ক্রেতাদের জন্য নানা অফারে শীতের পোশাক নিয়ে এসেছে তারা তাদের এই কালেকশনে।  এছাড়া ওয়েস্টার্ন এবং এথনিক এই দুই বিভাগে ফ্যাশনেবল, ট্রেন্ডি এবং যুগের সঙ্গে আধুনিক ও মানানসই পোশাক রয়েছে।  শিশুদের পোশাকও রয়েছে বিশেষ কালেকশন। ফ্যাশনেবল ক্রেতাদের  ক্রয় ক্ষমতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে মিরপুর অঞ্চলে নতুনভাবে আউটলেটটি খুলেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধন সময়ে টুয়েলভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব, সিওও মোঃ মতিউর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ প্রথম দিনেই ক্রেতাদের জন্য সিনেপ্লেক্সের কাপল টিকিট, সিক্রেট রেসিপির গিফট ভাউচারসহ নানা সুভিনিয়রের ব্যবস্থা করেছে।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });