ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

নানা স্বাদের পাতুরি

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
নানা স্বাদের পাতুরি
পাতুরির নানা স্বাদ

পাতুরির কথা শুনলে বাঙালির জিভে জল আসবেই। মাছ কিংবা সবজি- যেকোনো কিছু দিয়েই তৈরি করা যায় পাতুরি। অনেক সাধারণ খাবার ও পাতুরি করলে খেতে লাগে অসাধারণ। মজাদার কয়েকটি পাতুরির রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ফারজানা রহমান তানিয়া। 

কাজলি মাছের পাতুরি 

উপকরণ 
কাজলি মাছ ২৫০ গ্রাম, লাউপাতা ৪টি পেঁয়াজ আধা কাপ, টমেটো কুচি ২টি, কাঁচা মরিচ ফালি ৫/৬, ধনেপাতা কুঁচি ৪ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, সরিষার তেল ১/৪ কাপ লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি
প্রথমে মাছ, লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর পাতা ছাড়া সব উপকরণ মেখে পাতার মাঝখানে রেখে মুড়িয়ে কড়াইতে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে দুপাশে ভালো করে ভেজে নিন, নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন কাজলি মাছের পাতুরি।

মাছের ডিমের পাতুরি

উপকরণ
মাছের ডিম ২৫০ গ্রাম, মাঝারি মাপের আলু ৩টি, মাঝারি মাপের পেঁয়াজ ৩টি, কাঁচা মরিচ কুচি ৭-৮টি, রসুন বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ১/২ চা চামচ, কালো সরষে বাটা ২ চা চামচ, শুকনো লাল মরিচ বাটা ২ চা চামচ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি সামান্য/স্বাদ মতো

প্রণালি
প্রথমে মাছের ডিম ভালোভাবে ধুয়ে একটা পাত্রে নিয়ে নিন ও আলুগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ঝিরি ঝিরি করে কেটে নিন। এবার মাছের ডিমের পাত্রে ঝিরি ঝিরি করে কাটা আলু দিয়ে একেক করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি, কালো সরিষা বাটা, শুকনো লাল মরিচ বাটা, সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া, স্বাদমতো লবণ ও সামান্য চিনি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এবার কলাপাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নির্দিষ্ট আকারে কেটে নিয়ে একেকটি কলাপাতায় পরিমাণমতো মাছের ডিমের মিশ্রণ দিয়ে ভালোভাবে বেঁধে নিন। এরপর একটা ফ্রাই প্যানে সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল গরম করে একেক করে তাতে পুর ভরা কলাপাতাগুলো দিয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে ২০-৩০ মিনিটের জন্য অল্প আঁচে রান্না করুন ও মাঝে একবার ঢাকনা খুলে পাতুরিগুলো একেক করে উল্টে দিন। ৩০ মিনিট পর ফ্রাই প্যান থেকে নামিয়ে সরিষার তেল ও কাঁচা মরিচ দিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মাছের ডিমের পাতুরি।

বাঁধাকপির পাতুরি

উপকরণ
মাঝারি বাঁধাকপি ১টি, সাদা সরিষা ২ চা চামচ, কালো সরিষা ১ চা চামচ, পোস্তদানা ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৩-৪টি, আতপ চাল (ভিজিয়ে রাখা) ১ চা চামচ, নারিকেল বাটা ১/২ কাপ, প্রয়োজন অনুযায়ী সরিষার তেল, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, মটরশুঁটি ১/২ কাপ, কলাপাতা কেটে রাখা ৪টি। 

প্রণালি 
প্রথমে কড়াইয়ে পানি লবণ দিয়ে গরম করে ঝিরি ঝিরি করে কাটা বাঁধাকপি দিয়ে ৫-৭ মিনিট ভাপিয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। সাদা সরিষা, কালো সরিষা, পোস্তদানা ও কাঁচা মরিচ একসঙ্গে ভালো করে বেটে নিন। ভিজিয়ে রাখা আতপ চাল ও ভালো করে বেটে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে ভাপিয়ে রাখা বাঁধাকপি, লবণ, হলুদ গুঁড়া, সরিষা ও পোস্তদানা বাটা, নারিকেল বাটা, মটরশুঁটি, আতপ চাল বাটা ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। চুলায় কলাপাতাগুলো হালকা সেঁকে তার মধ্যে মেখে রাখা বাঁধাকপির মিশ্রণ দিয়ে ভাজ করে সুতা দিয়ে বেঁধে নিন। ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে কম আঁচে ১০-১২ মিনিট উল্টে পাল্টে পাতুরিগুলো ভেজে নিন। ১০-১২ মিনিট পর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন বাঁধাকপির পাতুরি।

 কলি

ডাল রান্নার সঠিক উপায়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
ডাল রান্নার সঠিক উপায়
ছবি: খবরের কাগজ

বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের ভেতর ডাল অন্যতম। অনেকে বাসায় আবার প্রতিদিন ডাল রান্না হয়ে থাকে। ঠিক মতো রান্না না করলে ডালের পুষ্টিমান নষ্ট হয় বা কমে যায়। ফলে খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই। কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক হলেই পুষ্টিমানের অপচয় অনেকটা রোধ করা যায়। ডাল রান্নার কিছু কৌশল দেওয়া হলো 

•    ডাল রান্নার আগে ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, না হলে রান্না সময় ডালের রঙ কালো হয়ে যাবে। 

•    ডাল রান্না করার আগে ৪০ মিনিট পর্যাপ্ত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ভালো করে সেদ্ধ না করলে ডালের স্বাদ ভালো লাগবে না। মসুর ডাল খেয়ে যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপর রান্না করুন। 

•    মুগ ডাল ৩০ মিনিট রাখলে ভালো। আবার রাজমা, ছোলা, মটরের মতো শুকনো ডাল হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা মতো ভিজিয়ে রাখুন। সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন।

•    ডাল সেদ্ধ করার সময় লবণ, হলুদ ও ২ চামচ তেল মিশিয়ে দিন। এতে ডালের রঙ ও স্বাদ হবে চমৎকার। এছাড়া কাঁচা মরিচ চিড়ে দিতে পারেন।

•    ডালের স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে ফোঁড়নের উপর। প্রতিটি ডালের ভিন্ন ভিন্ন ফোঁড়ন হয়। মুগ ও মসুর ডালে জিরা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিন। ছোলার ডালে জিরা, শুকনা মরিচ, তেজপাতার ফোঁড়ন দিন। টক ডালে সরিষা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিলে স্বাদ ভালো হবে।

•    ফোঁড়ন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাল ঢেকে দেবেন এবং খুব বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না।

•    ডালে সব সময় কুসুম গরম পানি মেশাবেন। ঠান্ডা পানি মেশালে ডালের স্বাদ ভালো হয় না।

•    স্বাদ বাড়ানোর জন্য কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

•    স্বাদে ভিন্নতা আনতে ডালে পেঁপে, লাউ, কুমড়ার মতো সবজি দিতে পারেন।

•    ভাজা মুগ ডাল ও ছোলার ডাল রান্নার ক্ষেত্রে ডাল নামানোর একটু আগে অল্প পরিমাণে কাঁচা আদা বাটা দিয়ে ফুটিয়ে নামান। স্বাদে পরির্তন আনবে। 

•    ডাল চুলা থেকে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। চুলা  নিভিয়ে একটু ঢেকে রাখলে সুন্দর গন্ধ আসবে। 

কলি

 

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের সকল কর্মচারীর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গত ৭ই ডিসেম্বর বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের সাথে ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে এই ইভেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছিল। 

এই ইভেন্টে বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ, রক্তে শর্করার পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশনের একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. শাহজাহান বিশ্বাস। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ পরিচালনায় প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের গুরুত্বের উপর জোর দেন ডঃ বিশ্বাস। 

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এস এম আকমল আলী গোলাপ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের উপদেষ্টা ডাঃ আমানুল্লাহ যারা দেশে ডায়াবেটিসের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ এবং নিয়মিত ডায়াবেটিসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব ফয়জুর রহমান নুরী এবং ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের গ্রুপ অপারেশনের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ.কে.এম. মাহমুদুল হাসান শুভ। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ তাসিবুল আলম তাসিব। অনুষ্ঠানে তিনি কোম্পানির কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। 

এই ধরনের প্রোগ্রামের প্রচারের মাধ্যমে ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপ স্বাস্থ্যকর কর্মশক্তি এবং বর্ধিত উত্পাদনশীলতার মধ্যে যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে কর্পোরেট দায়িত্বের একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করে চলেছে। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের কৌশলের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি তার কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিবেদিত।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। 

এরইমধ্যে ‘স্নোটেক্স’ আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। গ্রীন ফ্যাক্টরি এওয়ার্ড, বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ড সহ প্রতিষ্ঠানটি সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা-২০২২, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরষ্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরী এ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি এ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্রাকটিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৮, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’ এ বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।

কলি

আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম
ছবি: সংগৃহীত

আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকল্প ‘সাগরিকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম। এই ইকো উন্নয়ন প্রকল্পটি কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গামতিতে অবস্থিত। আরডিএল সমুদ্র থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে ১৪৪ একর জমিতে এই অভুতপূর্ব প্রকল্পটি তৈরি।

 এই ৪০০ মিটার জায়গায় রয়েছে কুয়াকাটার ঘন ম্যানগ্রোভ বন। এই নির্দিষ্ট ভূমিটি প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময় কারন এটি বিশ্বের কেবল দ্বিতীয় স্থান যেখানে আপনি একই স্থান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উভয়ই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

রাজধানীর গ্রেগরিয়ান অ্যালামনাই ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আমিনুল্লাহ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শমিত এম শাহাবুদ্দিন, সিনিয়র আর্কিটেক্ট সিহাম শহীদ ও সাবরীন সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরডিএল প্রকল্পের চারপাশে বন্যজীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানবজাতির অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন সেখানে জীবন্ত ইকোচক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই পর্যটন গ্রামটি সহ-অবস্থিত বন্য জীবনের সাথে হাত মিলিয়ে গড়ে উঠবে। আরডিএল এর পরিকল্পনা হলো প্রকৃতি এবং প্রকল্পের মধ্যে থেকেই শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং উপযোগ সংগ্রহ করা। সমস্ত পরিকল্পনা প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের স্তরকে বিরক্তনা করে বিদেশী এবং দেশীয় সার্কিট থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য করা হবে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম উপযুক্ত ইকোগ্রাম প্রকল্প হতে পারে।

 কলি

 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে
ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম থাকলেও, ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের নাম শীর্ষে উঠে আসে। আর নগর হিসেবে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকার দ্বিতীয় অবস্থান । বায়ুদূষণের এই সমস্যা এখন পুরো বাংলাদেশে। যেসব এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানার উপস্থিতি রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলমান, মেট্রোরেলের কাজ চলমান, ফ্লাইওভারের কাজ চলছে এবং কয়েকটি রাস্তার সংযোগ যেখানে ঘটেছে সেসব জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত হারে বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় হুমকিস্বরূপ। এ দূষিত বায়ুর কারণে সর্দি-কাশি, এলার্জি, ফুসফুসের সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, মানসিক অবসাদ, হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে-

মাস্ক সবসময়
বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে মাস্ক ব্যবহার করা। তবে কেমন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন, সেটা দেখাও জরুরি। সার্জিক্যাল মাস্ক, এন ৯৫ মাস্ক খুব কাজ করে। বাহারি, ফ্যাশনেবল মাস্ক সেই কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি সার্জিক্যাল মাস্ক একদিন ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বাসা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বের হলেও মুখে মাস্ক থাকা চাই।

এয়ার ফিল্টার কিনুন
ইন্ডোর এয়ার ফিল্টার বায়ুদূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি। এই পিউরিফায়ারগুলো কেবল ক্ষতিকারক দূষিত বায়ু এবং অ্যালার্জেনগুলো আটকায় না বরং সামগ্রিক বায়ুর গুণমানকে উন্নত করে। কিছু এয়ার ফিল্টার সুন্দর সুগন্ধযুক্ত হয়, যা আপনাকে ফ্রেশ বাতাস নিতে সাহায্য করে। এইচইপিএ ফিল্টারযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ারগুলো সবচেয়ে কার্যকর বলে পরিচিত।

ঘরে-বাইরে, অফিসে গাছ লাগান
ঘর ও অফিসের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অনেকেই ছোট ছোট গাছ রোপণ করেন। সেখানে প্রাধান্য পেতে পারে বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা, আইভি, স্পাইডার প্লান্ট জাতীয় গাছ বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ হিসেবে জনপ্রিয়। এতে ঘরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেল, তেমনই ঘরে সুস্থ পরিবেশও বজায় থাকল।

শরীরের টক্সিন দূর করার জন্য যেসব পানীয় পান করবেন
শরীরের টক্সিন করতে বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করতে পারেন। পানির সঙ্গে আখের গুড় ও তেঁতুলের ক্বাথ মিশিয়ে পান করতে পারেন। আখের গুড়ে দূষণ প্রতিরোধী ক্ষমতা থাকে। এই দুইয়ের মিশ্রণে যে পানীয় তৈরি হয় তা শরীরে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। পানির মধ্যে কয়েকটা তুলসীপাতা, আদা, চামচ আখের গুড় প্রাকৃতিকভাবেই জীবাণুনাশক। এই মিশ্রণ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে দু’বেলা খালি পেটে গরম গরম খেতে পারেন। এ ছাড়া শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে দারুণ কাজ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু ত্বকের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, টক্সিন দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে।

ভিটামিন-সি গ্রহণ করুন
বায়ুদূষণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে সহায়তা করে ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সি উৎকৃষ্ট অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী ভাইরাসকেও কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে পারে। লেবু, আমলকি, পেয়ারা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া, আম, আঙুর, কাঁচা মরিচ, জলপাই, বরই, কামরাঙা, টমেটো, বাঁধাকপি, কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন-সির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন-সি আমাদের দেহে লৌহ বা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। মাছ বা মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাবার খাওয়ার সময় সঙ্গে লেবু খেলে দেহের লৌহ শোষণ ক্ষমতা বাড়ে।

জানালা বন্ধ রাখুন
বাসায় যেহেতু জানালা দিয়েই মূলত ধুলা এবং দূষিত বাতাস ঘরে আসে, তাই জানালা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এই দূষিত বাতাস আপনার নাকে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট এবং ক্রমাগত হাঁচির সমস্যা হতে পারে। আপনার বাথরুমের একটি জানলা খোলা রাখুন যাতে ঘরে ভালোভাবে বাতাস যাতায়াত করে। আর্দ্রতা রুখতে বাথরুমের ভেন্টিলেশন খোলা রাখুন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ধুলার অ্যালার্জি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। বাড়ি ফেরার পর সর্বদা মেডিকেটেড সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। এ ছাড়া ময়লা এবং দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি হট শাওয়ার নিন।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন 
ধূমপান বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। যতদূর সম্ভব ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এতে যেমন ধূমপায়ী নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমানভাবে।

 কলি

শীতের আমেজে, আমরি ঢাকার বিশেষ বাংলা নাশতা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
শীতের আমেজে, আমরি ঢাকার বিশেষ বাংলা নাশতা
ছবি: আমারি ঢাকা

দেশের ভোজন রসিকদের বৈচিত্র্যময় বাংলার খাবারের স্বাদ দিতে 'আমারি' ঢাকায় শুরু হয়েছে শীতের সকালের নাশতার আয়োজন। বাংলার সেরা স্বাদে ভরপুর এই নাশতা  উপভোগ করতে পারবেন আমায় ফুড গ্যালারিতে। 

মাত্র ২,৯৯৯/- টাকায় ২ জনের জন্য। এই অফারটি পাবেন আচারি খিচুড়ি, সুস্বাদু হাসের মাংস ,পিঠা, ছিট্ রুটি, কষা মাংস ,খাসির পায়া, কলিজা ভুনাসহ আরও অনেক কিছু। রয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফার। প্রিয়জনের সঙ্গে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারেন আমরী ঢাকার এই বিশেষ আয়োজনটি। 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন 

 কলি 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });