ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

মধু ভালো রাখার উপায়

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
মধু ভালো রাখার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

ঠান্ডা ও সর্দি থেকে রক্ষায় মধু বেশ উপকারী। নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। মধু সাধারণত অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তাই এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয়, তাহলে মধু দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের মধু থাকলেও তার সংরক্ষণের উপায় একই এবং মধু সংরক্ষণ করাও খুবই সহজ। 

মধু রাখার জন্য কাঁচের পাত্র বেছে নিতে হবে। কারণ কাঁচের বয়ামে মধু রাখলে এর রঙ এবং স্বাদ উভয়ই দীর্ঘদিন ভালো থাকে। প্লাস্টিকের পাত্রে মধু রাখলে খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই প্লাস্টিকের বয়ামে মধু না রাখাই ভালো।

মধুর বয়াম শীতল স্থানে রাখুন। মধু এমন কোথাও না রাখাই ভালো যেখানে সরাসরি রোদ এসে পড়ে।এছাড়া মধু রাখার পাত্র চুলার আশেপাশে কিংবা গরম কোথাও রাখা যাবে না। ভালোভাবে মধু সংরক্ষণের জন্য ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন।

মধু ফ্রিজে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। মধু ফ্রিজের তাপমাত্রায় মধুর অনেক এমাইনো এসিড ও ভিটামিন নষ্ট হয়ে উপকারী গুণাগুণ কমে যায়। এছাড়া এর স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়। 

মধুর পাত্রে কখনো নোংরা বা ভেজা চামচ ডুবিয়ে রাখা যাবে না। এতে মধু দ্রুত নষ্ট করতে পারে। মধু দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য প্রতিবার শুকনো চামচ ব্যবহার করুন। সঠিক ব্যবহারের ফলে মধু ছয় মাস পর্যন্ত ভালো ও টাটকা থাকবে।

অনেক সময় মধু ঘোলাটে হয়ে যায়। এক বাটি গরম পানির মধ্যে মধুর বয়াম রেখে দিন। মধু আগের মতো স্বচ্ছ হয়ে যাবে। 


মধুর পাত্রের মুখ ভালো ভাবে বন্ধ করে রাখতে হবে। পাত্র সঠিকভাবে বন্ধ না করা হলে পোকা পড়তে পারে অথবা ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে। এতে মধু নষ্ট হয়ে যাবে। গুণ, গন্ধ বা স্বাদের মান কমে যেতে পারে।

মধুর ভেতরে ঠিক আছে কিনা সেটা দেখার জন্য সপ্তাহে দুইবার বোতলের মুখ খুলে দেখতে হবে।

কলি 

আর্কা ফ্যাশন উইক আয়োজকদের মিডিয়াবান্ধব হতে হবে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইক আয়োজকদের মিডিয়াবান্ধব হতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো আর্কা ফ্যাশন উইকের বর্ণিল আসর। তৈরি পোশাকশিল্পের পণ্য বিপণন থেকে রপ্তানি, সেখান থেকে ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপস্থাপন, ক্রেতাদের আকর্ষণ করা ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করাই ছিল ‘আর্কা ফ্যাশন উইকের’ মূল লক্ষ্য। এবারের আয়োজনে ছিল ফ্ল্যাশ রানওয়ে শো, মাস্টারক্লাস, শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো। গত ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই আসর।

তৃতীয় এই আসরে প্রতিদিন ছিল একেকটি থিম। প্রথম দিন ডেনিম, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ফিউশন এবং আর সমাপনী দিনে ছিল ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। এই বিষয়গুলো কেবল আয়োজনের বৈচিত্র্যময়তাকে তুলে ধরে না। এর মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, অভিনবত্ব, পরিবেশের প্রতি অনুরাগও প্রকাশ করেছে। যার জন্য আয়োজকরা প্রশংসার দাবিদার।

অন্যান্য আসরের মতো এবারও গ্লাসহাউসে ছিল ডিজাইন ল্যাব। যেখানে নিজের পছন্দমতো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, স্কার্ফ ও হ্যাট কিনে নিজের পছন্দমতো ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, প্যাচওয়ার্ক করানো গেছে বিনামূল্যে। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য ফেসপেইন্টিং, হেয়ার ব্রেইডিং ও পোর্ট্রেট আঁকার ব্যবস্থাও ছিল। এসব কাজে ডিজাইন ল্যাবে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)-এর ১১ জন এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির চারজন শিক্ষার্থী।

মার্কেট প্লেসে ছোট-বড় মিলে মোট আউটলেট ছিল ৫০টি। স্পেসের ওপর ভিত্তি করে আউটলেটগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ফ্যাশন উইকের চার দিনে বিভিন্ন আউটলেটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউই সেরকম ব্যবসা করতে পারেননি। যে ভাড়ায় তারা আউটলেট নিয়েছেন সেই টাকাই তাদের ওঠেনি। তবে তৃতীয় ও সমাপনী দিনে দু-একটি আউটলেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কেউ কেনাকাটাও করেছেন। একই অবস্থা ছিল ডিজাইন ল্যাবেও। সেখানে ১৩টি আউটলেট দেখা গেছে। প্রতিটি আউটলেটের ভাড়া ছিল ১০ হাজার টাকা। সেখানেও বিক্রেতা তেমন সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন।

আয়োজকদের মতে, আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের বিশেষ আকর্ষণ মাস্টার ক্লাসের ব্যবস্থা। ফ্যাশন শিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই মাস্টারক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। ফ্যাশনবিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। তবে এখানেও হতাশ হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। ফি অনুযায়ী ক্লাসের শিক্ষার মান ভালো ছিল না। আবার ক্লাসে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ছিল কম। এমনকি একটা প্রশিক্ষণের পর যে অংশগ্রহণকারীকে সম্মানপূর্বক সার্টিফিকেট দেওয়া প্রয়োজন, সেটাও আয়োজকদের ভাবনায় ছিল না।

এবারের আয়োজনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দৃষ্টিকটু লেগেছে, তা হলো-আয়োজকরা মিডিয়াবান্ধব নয়। ফ্যাশন উইক উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাশন উইকটি মিডিয়াবান্ধব করার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছিলেন। তবে তারা সেই অনুরোধটি সেভাবে আমলে নেননি। যদিও এবার সাংবাদিকদের অনুরোধে নামমাত্র মিডিয়া সেন্টার রেখেছিলেন। সেন্টারে ছোট একটি টেবিল ও দুটি চেয়ার পাওয়া গেছে। তবে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে আয়োজকদের সেখানে কাউকেই দেখা যায়নি। আবার ফ্যাশন উইকজুড়ে সাংবাদিকদের খোঁজ নেওয়ার জন্য কেউ ছিলেন না। এমনকি চা-কফি তো দূরের কথা, সাংবাদিকদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থাও করা হয়নি।

আবার অনেক পত্রিকার সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিকরা আয়োজকদের ফোন করেও মিডিয়া কার্ড বা পাস পাননি। আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের সংবাদও পরিবেশন করেননি দেশের বেশির ভাগ পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল। হাতেগোনা দু-একটি পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। এমনকি এই আসরে যারা মিডিয়া পার্টনার তাদেরও নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। এতেই বোঝা যায়, আয়োজকদের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্কটা কতটা মধুর! আসলে আয়োজকরা ফ্যাশন উইকের জন্য মিডিয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনেই করেন না।

 তারা নিজেদের কিছুটা উচ্চ অবস্থানে চিন্তা করেন হয়তো! তাদের ভাবটা এমন-আমরা ফ্যাশন উইকের আয়োজন করব, সাংবাদিকরা আসলে আসবেন না আসলে আসবেন না। কিন্তু এখানে বলতেই হয় যে, এত বড় আয়োজনের সংবাদ যদি দেশের মানুষ না জানেন বা না পড়েন, তাহলে তাদের সেই বৃহৎ আয়োজনের মূল্য কোথায়?

লেখক ফিচার সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

কলি

বৈচিত্র্যময় মিলান ফ্যাশন উইক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
বৈচিত্র্যময় মিলান ফ্যাশন উইক
ছবি: সংগৃহীত

মিলান ফ্যাশন উইক মেনজ ২০২৫শেষ হলো ২১ জানুয়ারি। বিশ্বের বিখ্যাত সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডের এই ফ্যাশন সপ্তাহ উপলক্ষে সেজেছিল উৎসবের রঙে। তবে গুচ্চি, ফ্রেন্ডির মতো ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবারের ফ্যাশন উইকে অজানা কারণে অংশগ্রহণ করেনি। বাকি সব ব্র্যান্ড তাদের ইউনিক পোশাকের কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজনে  বিখ্যাত সব মডেল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকে র‌্যাম্প মাতিয়েছেন। 

প্রাডার শোতে বিখ্যাত মডেলদের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ান অভিনেতা কিম সু-হিউন  অংশগ্রহন করেন। 

প্রাডা
ইতালিয়ান ব্র্যান্ড প্রাডা শরৎ-শীতকালীন পুরুষদের সংগ্রহে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে হাজির হন। ডিজাইনার মিউকিয়া প্রাডা এবং রাফ সিমন্স তাদের ডিজাইন করা পোশাকের মাধ্যমে দর্শকদের বিমোহিত করেছেন। প্রাডার এবারের থিম মানুষের আচরণ এবং মানুষের সহজাত আকাঙ্ক্ষার সন্ধান করা। এই থিমটি ফ্যাশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। তাদের সংগ্রহে টেক্সচার এবং রঙের ভিন্নতা দেখা গেছে। কালো, বাদামি রংকে প্রাধান্য দিয়ে আরামদায়ক কাপড়ের ওপর কাজ করেছেন তারা। এ ছাড়া প্যাচওয়ার্ক লেদার, ঝুলন্ত অ্যাঙ্কর চেইন, বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্চ প্রাধান্য পেয়েছে। ক্রপড-হেম ট্রাউজার্স, স্ট্রাইপ, শেল্টারিং কোট, ওভারসাইজ ক্যাজুয়াল-ফরমাল পোশাকের ট্রেন্ডগুলো আগামী শরৎ ও শীতে বেশি চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিখ্যাত মডেলদের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ান অভিনেতা কিম সু-হিউন এবং অভিনেত্রী কিম তাই-রি মিলানে ফ্যাশন উইকে ১৯ জানুয়ারির শোতে অংশ নিয়েছিলেন।

জর্জিও আরমানি তাদের নতুন ডিজাইননের পোশাক উপস্থাপন করেছেন

জর্জিও আরমানি
ইতালীয় ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জিও আরমানির ডিজাইন করা ২০২৫-২৬ শরৎ-শীতকালীন পুরুষদের পোশাক উপস্থাপন করেছেন। মখমলের নরম সিলুয়েট এবং কর্ডরয়ের ঢিলেঢালা পোশাকগুলো বেশ নজর কেড়েছে। বেল্টযুক্ত ব্যাগি ট্রাউজার্স, জ্যাকেট, নিট এবং স্কার্ফও ছিল আকর্ষণীয়। উল এবং সিল্কের কাপড়ের ওপরে ধূসর, বাদামি রঙের প্যালেট ছাড়া রুবি লাল, সবুজ, নীল রঙের ওপর তাদের পোশাকগুলো নকশা করা হয়েছে। আমেরিকান অভিনেতা অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, জো অ্যালউইন, রোকো রিচি এবং ড্যারেন স্টারের মতো তারকারা অংশগ্রহণ করেছিলেন জর্জিও আরমানির শোতে। 

ডলচে অ্যান্ড গাবানার পোশাকে দক্ষিন কোরিয়ান অভিনেতা জুং হে-ইন

ডলচে অ্যান্ড গাবানা 
কিংবদন্তি ডিজাইনার জুটি ডলচে ও গাবানা এবারের মিলান ফ্যাশন উইকে পুরুষদের সহজ ড্রেসিংয়ের ডলস ভিটা মানে বিলাসিতা একটি জীবন এই থিমের ওপর পোশাক নকশা করেছেন। এবারের সংগ্রহ ক্যাজুয়াল টেইলারিং পোশাকের পাশাপাশি শার্প ওভারকোট, রিলাক্স ব্লেজার, রিফাইন ট্রেঞ্চ কোট, লেদার আর টেইলারিং ট্রাউজার বেশ নজর কেড়েছে। এ ছাড়া তাদের চেক, হাফ মুন প্যাটার্ন, লেপার্ড প্রিন্টের ডিজাইনের পোশাকের সঙ্গে ক্রস বডি ব্যাগ ছিল আকর্ষণীয়। ডলচে অ্যান্ড গাবানার ১৮ জানুয়ারির শোতে কোরিয়ান অভিনেতা জুং হে-ইন অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

কাসিমির সংগ্রহে বিভিন্ন রঙের পোশাক দেখা গেছে  

কাসিমি 
আরব ব্র্যান্ড কাসিমি মিলান ফ্যাশন উইকে বেশ চমক দেখিয়েছে। মাওরি শিল্পী এমিলি কারাকার আর্টে উৎসাহিত হয়ে কাসিমি তাদের পোশাক ডিজাইন করেছে। এমিলি মূলত পূর্বপুরুষের ইতিহাস, ভাষা, রাজনৈতিক নিপীড়নের মোকাবিলা করে নিয়ে কাজ করেন। কাসিমি তাদের পোশাকে কমলা, লাল, নীল রংকে প্রাধান্য দিয়ে সূক্ষ্ম তন্তুর ওপর খোলামেলা পোশাক ডিজাইন করেছে।

জেগনার ওভারসাইজ পোশাকগুলো বেশ প্রশংসা পেয়েছে

জেগনা
ইতালিয়ান ব্র্যান্ড জেগনা পোশাকে নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যতা। তাদের ওভারসাইজ কোট, ডেভিন বাওয়ি স্টাইলড মেটালিক প্যান্ট, কিউট পিটার প্যান কলারড পোশাকগুলো বেশ প্রশংসা পেয়েছে। তাদের এই কালেকশনে ক্ল্যাসিক আউটফিটে ও মডার্ন দুটাই ছিল। শেপ শিফটিং অ্যাটায়ার, ফার, লেদারের কোট ও জ্যাকেট ছাড়াও নজর কেড়েছে হাইব্রিড প্যান্ট। প্রতিটি পোশাকে রানওয়ে মাতিয়েছে মডেলরা।

সাউল ন্যাশ তাদের স্মার্ট ক্যাজুয়াল আউটফিটের দৃষ্টিনন্দন কালেকশন দিয়ে  অবাক করেছে সবাইকে

সাউল ন্যাশ 
লন্ডনের ব্র্যান্ড খেলাধুলার পোশাকের বাইরেও পুরুষদের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে মিলান ফ্যাশন সপ্তাহে আত্মপ্রকাশ করেছে। ধূসর, চকলেট, ব্লু, লাইট পার্পল, সাদা আর কালো রঙের স্মার্ট ক্যাজুয়াল আউটফিটের দৃষ্টিনন্দন কালেকশন অবাক করেছে সবাইকে। ওভারসাইজড শার্ট, বোতাম না থাকলে সিলুয়েট পরিবর্তন করতে কলারের চারপাশে বেঁধে রাখা যায় এমন শার্ট রয়েছে তাদের পোশাক ডিজাইনে। এ ছাড়া নাইলন টুইল পুলওভার জ্যাকেটগুলো ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে। তাদের চামড়ার কোটগুলোতে বায়ু চলাচলের জন্য ছিদ্র রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে যেকোনো অনুষ্ঠানে স্লিভলেস করে পরা যাবে। একের ভেতর দুই হিসেবে উলের ব্লেজারগুলোকে হাতার লুকানো জিপারের মাধ্যমে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেটা হুডিতে পরিণত করে পরা যাবে। 

 কলি

পোশাকে রঙিন

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
পোশাকে রঙিন
মডেল: মাশিয়াত, পোশাক: ফ্রিল্যান্ড লাইফস্টাইল, ছবি: আবির হোসেন

নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে রঙিন পোশাকের জুড়ি নেই। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, লং কামিজ, শর্ট কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, পছন্দের সব পোশাক রঙিন হলে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায়। বিচিত্র রঙের ব্যবহারই ফ্যাশনে নতুনত্ব আনে। পরিবর্তনের এ ফ্যাশনজগতে রঙের বিষয়টি এখন সবার কাছেই সমানতালে প্রাধান্য পাচ্ছে। প্রতিটি উৎসবে পোশাকে দেখা যায় নানা রঙের খেলা।

রঙের প্রাধান্য
তারুণ্যের চাহিদা ও রুচির কথা মাথায় রেখে আমাদের দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস, বুটিক শপের ডিজাইনাররা নিত্যনতুন পোশাক ডিজাইন করছেন। ফ্যাশন ধারণাকে নিয়মের শৃঙ্খলে বেঁধে না রেখে পোশাকে নানা রং ব্যবহার করছেন। বাঙালি সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল রংকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই প্রতিটি উৎসবে উজ্জ্বল রঙের চাকচিক্য লক্ষ করা যায়। লাল, সাদা, মেরুন, পেস্ট, গ্রিন, অলিভ গ্রিন সময়োপযোগী বলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

প্রিন্ট বরাবরই ফ্যাশনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ।

 

নকশায় বিভিন্নতা
মেয়েদের পোশাকের নকশাতে এসেছে ভিন্ন ধারা। সালোয়ার-কামিজ, টপ, স্কার্ট কাটের এখন নেই ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম। ফ্যাশন হাউসগুলো পোশাকের নকশা এবার শুধু রঙের ওপর নয়, বিভিন্ন মোটিফ ধরেই করছে। সুতি, অ্যান্ডি কাপড়ের ওপর ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হাতের কাজ ও এমব্রয়ডারি করছেন। জামদানি মোটিফ, কাঁথা স্টিচ, প্যাচওয়ার্ক, ফুল, কারচুপি, ভরাট অ্যাপলিকসহ হরেক রকম হাতের কাজে রয়েছে ভিন্নতা।  এ ছাড়া জ্যামিতিক নকশার সঠিক ব্যবহার পোশাকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ।  

রঙিন প্রিন্ট 
প্রিন্ট বরাবরই ফ্যাশনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। বেশ কয়েক বছর ধরেই রং-বৈচিত্র্যের জন্য ডিজিটাল প্রিন্টের প্রতি মানুষের রয়েছে আলাদা আকর্ষণ। সুতি, ম্যানমেইড ফাইবারের কাপড়, তসর, সিল্ক, লিনেন, জর্জেট, ভিসকসসহ যেকোনো ধরনের কাপড়ে ডিজিটাল প্রিন্ট করতে দেখা যায়। এ ধরনের পোশাক  যেকোনো আবহাওয়ায় আরামদায়ক। প্রিন্টের সম্পূর্ণ ডিজাইন কম্পিউটারে করা হয়, যার দরুন ফিনিশিংও হয় নিখুঁত। একদম ছবির মতো ঝকঝকে। আগের গতানুগতিক ধারার দু-তিন ধরনের রঙের ব্যবহারের একঘেয়েমি কাটিয়ে ডিজিটাল প্রিন্টে ব্যবহার করা যায় যত খুশি তত রং।

নানান কাটের পোশাক 
ছিমছাম, পরিপাটি লুক আনতে পোশাকের কাটের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলো। প্যান্ট বা চাপা কাটের সালোয়ারের সঙ্গে কখনো লম্বা শার্ট, কখনোবা টপসের ছাঁটে বানানো হচ্ছে কুর্তি। শুধু কাপড়েই নয়, কাটছাঁটে আরামের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়ায় ফ্যাশনসচেতনদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ ধরনের পোশাক। এসব পোশাকে আছে অভিজাত লুক, কিন্তু পোশাকে কারুকাজ থাকে খুব কম। উজ্জ্বল রংগুলোই বেছে  ডিজাইন করা হচ্ছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে এসব পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে ভিসকস, পলিয়েস্টার আর রেয়ন কাপড়। এসব পোশাকে দেশীয় আমেজ আনতে টার্সেল, কড়ি কিংবা পমপমের মতো অনুষঙ্গ যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকে প্রাচ্যের সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির মিশেলে ফিউশন আনা হচ্ছে। পোশাকের নিচের দিকটায় একটু ঢিলেঢালা কাট রাখা হলে আরাম পাওয়া যায় বেশ আর বৈচিত্র্যময় কাটে দেখায়ও অনন্য। এ ছাড়া পোশাকে নতুনত্ব নিয়ে আসতে মুন শেইপ, ওভাল শেইপ আবার কখনোবা পেছনের অংশের ঝুল রেখে  ডিজাইন করা হয়েছে।

ফুলের মোটিফ, জ্যামিতিক মোটিফ কিংবা টাই-ডাইয়ের কো-অর্ড দেখতেও সুন্দর

কো অর্ড সেটের আধিপাত্য 
একই নকশার কাপড়, রং দিয়ে তৈরি পোশাকের পুরো সেটকে ফ্যাশনধারায় কো-অর্ডিনেট সেট বলা হয়। বর্তমানে এই সেটকে সংক্ষেপে কো-অর্ড বলা হয়। বেশির ভাগ কো-অর্ড সেট বানানো হচ্ছে বেশ ঢিলেঢালা কাটে। এই কাটের কারণেই নজর কেড়েছে বেশি। এই পোশাকে পকেট থাকার কারণে মোবাইল বা ছোট জিনিস রাখা যায়। এ জন্য  কো-অর্ড নানা নকশার  হয়ে থাকে। প্রিন্ট কিংবা একরঙা রঙিন কো-অর্ডগুলো  উৎসব-আয়োজনে পরা যায়। ফুলের মোটিফ, জ্যামিতিক মোটিফ কিংবা টাই-ডাইয়ের কো-অর্ড দেখতেও সুন্দর। পীতাভ সবুজ, হালকা বেগুনি, পাউডার পিংক, পাউডার ব্লু কিংবা ক্রিমরোজ ইয়েলো অনেকেরই পছন্দ। তবে নিউট্রাল রঙের বাইরেও সবুজ, নীল, নিয়ন, শর্ষে হলুদ, হট পিঙ্কের মতো উজ্জ্বল কিংবা গাঢ় রঙের কো-অর্ড।

পরতে পারেন যেমন পোশাক 
এই সময় চলছে রঙিন কুর্তি-কামিজ। লম্বা কাটের কুর্তি-কামিজের পাশাপাশি চলছে মাঝারি কাটিংয়ের কুর্তি-কামিজ। অফিস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য কুর্তি ও সালোয়ার-কামিজ এখন বেশ জনপ্রিয়। কুর্তির সঙ্গে পরতে পারেন প্যান্ট অথবা পালাজ্জো। জিনসও মানিয়ে যাচ্ছে বেশ। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অথবা পোশাকের বিপরীত রঙের স্কার্ফ অনায়াসে বেছে নিতে পারেন।

কলি

 

কারুশিল্পের উৎসব ঢাকা মেকার্স ৩ শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
কারুশিল্পের উৎসব ঢাকা মেকার্স ৩ শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি
ছবি: খবরের কাগজ


তৃতীয় বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে সৃজনশীলতা ও কারুশিল্পের বড় উৎসব ঢাকা মেকার্স ৩। রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

এবারের উৎসবে থাকছে নতুন আইডিয়া, উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতা এবং নির্মাতা ও দর্শদের মধ্যে সংযোগ তৈরির সুযোগ। এটি এমন একটি উৎসব যেখানে শিল্প, নকশা এবং কারুশিল্পকে কাছ থেকে দেখা এবং অনুভব করা যাবে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প নিয়ে কাজ করা শিল্পীদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা ঢাকা মেকার্স। এক ছাদের নিচে আর্ট, ক্র্যাফটের অনেক কিছুর সমন্বয়।

প্রতি বছর শিল্পীরা নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমী ভাবনার শিল্পকর্ম নিয়ে হাজির হবেন উৎসবে। এবারের উৎসবে যুক্ত হচ্ছেন প্রায় ৮০ জন নবীন ও প্রবীণ শিল্পী। তাদের হাতে গড়ে তুলা দশটির ও বেশি ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, তিনশ’র ও বেশি শিল্পকর্মের পসরা বসবে। এবারের শিল্পকর্মে এমব্রয়ডারি, সিরামিক, চামড়াজাত ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরির প্রাধান্য দেখা যাবে। সেইসঙ্গে প্রদর্শিত হবে বাঁশের পণ্য, নকশি কাঁথা জামদানি  পণ্য ও এসবের বুনন প্রক্রিয়া।

কারুশিল্প বাণিজ্যে আগ্রহী তরুণদের জন্য থাকবে মোট ১৯ টি ওয়ার্কশপ। যেখানে আগ্রহী প্রার্থীরা অভিজ্ঞ কারিগরদের কাছে শিখতে পারবেন টাইপোগ্রাফি ডিজাইন, পটচিত্র, নকশি কাঁথা ও জামদানি বুনন। এছাড়াও বৈচিত্র্যময় কর্মশালাগুলোর মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা সবার কাছে শেয়ার করতে পারবেন শিল্পী ও আর্টিজানরা।
চিত্রশিল্পের বাজারকে সহজলভ্য করতে উৎসবে থাকছে নবীন ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের হাতে আঁকা পেইন্টিং, পটচিত্র ও ফটোগ্রাফির বাজার।

প্রতি রাতেই বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে থাকবে সঙ্গীতায়োজন। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন মুইজ মাহফুজ, কৃষ্ণকলি, রেহমান ডুয়ো, সাবকনশাস, মেট্রোলাইফ, কফিল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া থাকবে খাবারের প্যাভিলিয়ন। জনসাধারনের জন্য প্রবেশ মূল্য হল ৩০০ টাকা।

পাঁচ দিনব্যাপী সঙ্গীত, শিল্পীকর্ম ও শিল্পানুরাগীদের সম্মিলিত এই উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। ওয়ার্কশপ ও এন্ট্রি টিকিট কিনতে ভিজিট করুন 

 কলি

ব্যাচেলরদের ঘর সাজানো

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
ব্যাচেলরদের ঘর সাজানো
ছবি: সংগৃহীত

 
ব্যাচেলরদের ঘর মানে অগোছাল একটি চিত্র ভেসে ওঠে। দু-একটি আসবাব অবিন্যস্ত। ব্যাচেলরদের বাসা আকারে ছোট হয়ে থাকে অথবা একটি রুমেই সীমাবদ্ধ থাকে। সেই সঙ্গে আর্থিক সীমাবদ্ধতা তো থাকেই। সবকিছু সামলিয়ে একা বাসা সাজানো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু, বাসা আপনার বিশ্রাম আর আরামে সময় কাটানোর স্থান। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর, শান্তির আবাস। সেটি যদি একটু গোছানো না হয়, তা মানসিক প্রশান্তি বাধাগ্রস্ত করে। 

যেমন হবে ঘরের রং 
ব্যাচেলর ঘরের নিউট্রাল প্যালেট ব্যবহার করতে পারেন। সাদা, ধূসর এবং সঙ্গে আপনার ব্যক্তিত্ব ও স্টাইলকে তুলে ধরবে এমন রং ব্যবহার করতে পারেন। সবুজ, হালকা নীল, বাদামি রং বাসায় প্রশান্তি আনবে এবং সহজেই বাসার ডিজাইন আর আসবাবপত্রের সঙ্গে মিলে যাবে তাই এই রংগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া হালকা রঙের সোফায় সঙ্গে গাঢ় রঙের বালিশ রাখতে পারেন। আসবাব এবং ঘর সাজানোর জিনিস দিয়ে মিক্স ম্যাচ করে ঘর সাজালে ঘর সুন্দর দেখায়। 

আলো 
পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকলে সবই ফিকে হয়ে যায়। আলোর সঠিক ব্যবহার সাধারণ একটি ঘরকে অসাধারণ করে তুলতে পারে। আপনার কাজের বা পড়ার টেবিলে আলো সরাসরি পড়ে তা খেয়াল রাখতে হবে। জানালার কাছে কোনো আসবাবপত্র না রাখাই ভালো। এলইডি লাইট ব্যবহার করলে খরচ কমবে। অন্য সময়ের জন্য ডিম লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া লাইটের আলো ঘরের কোথায় পড়বে সেখানেও আনতে পারেন পরিবর্তন। দেখতে হবে ঘরের আসবাবের কোনো কম্বিনেশনে ঘরটি আরও পরিপাটি লাগে। ঘরকে একটু নতুনভাবে সাজাতে চাইলে ল্যাম্পশেড, টেবিল ল্যাম্প, স্ট্রিং লাইট রাখতে পারেন।

আয়নার ব্যবহার 
ছোট সুন্দর এবং আলোকিত করতে আয়না একটি চমৎকার উপায়। দেয়ালে একটি বড় আয়না ঝুলিয়ে দিতে পারেন। বেত, বাঁশ বা প্লাস্টিকের তৈরি অর্গানাইজার আয়নার পাশে রাখতে পারেন। ছোট আয়না ব্যবহারের ফলে ড্রেসিং টেবিলের খরচ বাঁচবে, ঘরে নতুনত্ব আসবে। এ ছাড়া বাতিল জিনিসের ব্যবহার ফেলে না দিয়ে সেই জিনিসপত্রগুলো দিয়ে ঘরে ভিন্নতা আনতে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে অনলাইনে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে বাতিল জিনিসগুলো দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুন্দর সব শোপিস।

রান্নাঘর
ব্যাচেলর বাসায় আলাদা রান্নাঘর পাওয়া বেশ কঠিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শেয়ার করে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে নিজের ব্যবহৃত জিনিসগুলো আলাদা কোনো শেলফ, বেতের ঝুড়ি বা কিচেন অর্গানাইজারে রাখতে পারেন। যদি আপনার নিজস্ব রান্নাঘর থাকে, তাহলে রান্নাঘরের  একপাশে ছোট টেবিল আর চেয়ার দিয়ে ডাইনিং রুম বানিয়ে নিতে পারেন। আপনার খাবার আনা-নেওয়ার কাজও সহজ হবে। 

বেডরুম 
বাসার আকারের ওপর নির্ভর করে বেডরুমটি বিভিন্ন রকম হতে পারে। বেডরুমে একটি ছোটখাটো, আলমারি, টেবিল, আয়না রাখতে পারেন। খাটের ক্ষেত্রে চাইলে বক্স খাট ব্যবহার করতে পারেন, যা একই সঙ্গে স্টোরেজের কাজ করবে। চাইলে মাল্টিফাংশন ফার্নিচার যেমন সোফা কাম বেড ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার অর্থ আর জায়গা দুটোই বাঁচবে। 

ঘর সাজাতে যা করবেন 
• ঘরের কোণে ইয়োগা ম্যাট, জিমের সরঞ্জাম রাখতে পারেন। ঘরেই ব্যায়াম করলে, জিমের অর্থ বাঁচবে। খাটের পাশের সাইড টেবিলে পানি, ছোট ল্যাম্প, বই রাখতে পারেন। জানালার ধারে ছোট ছোট গাছ রাখতে পারেন, এতে ঘরের শোভা বাড়াবে। 

• দেয়ালে বিভিন্ন শিল্পীর পেইন্টিং যোগ করতে পারেন, ছোট মেমোরি ওয়াল তৈরি করতে পারেন। যেমন- প্রাকৃতিক দৃশ্যের আইকনিক ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং, প্রিয় খেলোয়াড় বা টিমের জার্সি, ব্যান্ড বা কনসার্টের পোস্টার অথবা ফ্রেম ইত্যাদি দিয়ে দেয়াল সাজাতে পারেন। 

• মেঝেতে ছোট কার্পেট বা পাটি রাখতে পারেন। তুলা, উল বা পশমের মতো প্রাকৃতিক উপকরণ বেছে নিতে পারেন, যা নরম এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। 

• ঘরে প্রকৃতির ছোঁয়া আনতে গাছের জুড়ি নেই। সেক্ষেত্রে কম রক্ষণাবেক্ষণের গাছগুলো বেছে নিন। যেমন স্নেক প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, স্পাইডার, মানি প্ল্যান্ট ইত্যাদি। এগুলোর জন্য খুব বেশি সূর্যালোক বা যত্নের প্রয়োজন হয় না।

• ঘরের একটা অংশ বা কর্নারে নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে কিছু রাখতে পারেন। একটি আরামদায়ক চেয়ার, কুশন আর চা রাখার ছোট টেবিল। যেখানে আপনি বসে বই পড়তে পারবেন, আকাশ দেখতে পারবেন।

 • বাসাকে সহজ এবং ছিমছাম রাখতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রই রাখুন। এতে ঘর পরিষ্কার করা সহজ হবে, বাসা বদলাতে কষ্ট কম হবে। এ ছাড়া খরচ কমবে ও ঘর সুন্দর দেখাবে।

 কলি