ঢাকা ২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

ডাল রান্নার সঠিক উপায়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
ডাল রান্নার সঠিক উপায়
ছবি: খবরের কাগজ

বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের ভেতর ডাল অন্যতম। অনেকে বাসায় আবার প্রতিদিন ডাল রান্না হয়ে থাকে। ঠিক মতো রান্না না করলে ডালের পুষ্টিমান নষ্ট হয় বা কমে যায়। ফলে খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই। কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক হলেই পুষ্টিমানের অপচয় অনেকটা রোধ করা যায়। ডাল রান্নার কিছু কৌশল দেওয়া হলো 

•    ডাল রান্নার আগে ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, না হলে রান্না সময় ডালের রঙ কালো হয়ে যাবে। 

•    ডাল রান্না করার আগে ৪০ মিনিট পর্যাপ্ত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ভালো করে সেদ্ধ না করলে ডালের স্বাদ ভালো লাগবে না। মসুর ডাল খেয়ে যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপর রান্না করুন। 

•    মুগ ডাল ৩০ মিনিট রাখলে ভালো। আবার রাজমা, ছোলা, মটরের মতো শুকনো ডাল হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা মতো ভিজিয়ে রাখুন। সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন।

•    ডাল সেদ্ধ করার সময় লবণ, হলুদ ও ২ চামচ তেল মিশিয়ে দিন। এতে ডালের রঙ ও স্বাদ হবে চমৎকার। এছাড়া কাঁচা মরিচ চিড়ে দিতে পারেন।

•    ডালের স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে ফোঁড়নের উপর। প্রতিটি ডালের ভিন্ন ভিন্ন ফোঁড়ন হয়। মুগ ও মসুর ডালে জিরা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিন। ছোলার ডালে জিরা, শুকনা মরিচ, তেজপাতার ফোঁড়ন দিন। টক ডালে সরিষা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিলে স্বাদ ভালো হবে।

•    ফোঁড়ন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাল ঢেকে দেবেন এবং খুব বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না।

•    ডালে সব সময় কুসুম গরম পানি মেশাবেন। ঠান্ডা পানি মেশালে ডালের স্বাদ ভালো হয় না।

•    স্বাদ বাড়ানোর জন্য কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

•    স্বাদে ভিন্নতা আনতে ডালে পেঁপে, লাউ, কুমড়ার মতো সবজি দিতে পারেন।

•    ভাজা মুগ ডাল ও ছোলার ডাল রান্নার ক্ষেত্রে ডাল নামানোর একটু আগে অল্প পরিমাণে কাঁচা আদা বাটা দিয়ে ফুটিয়ে নামান। স্বাদে পরির্তন আনবে। 

•    ডাল চুলা থেকে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। চুলা  নিভিয়ে একটু ঢেকে রাখলে সুন্দর গন্ধ আসবে। 

কলি

 

খুশির বিলাসবহুল ব্যাগ

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
খুশির বিলাসবহুল ব্যাগ
ছবি: সংগৃহীত

‘দ্যা আর্চিস’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী এবং প্রযোজক বনি কাপুরের ছোট মেয়ে খুশি কাপুর। জন্ম থেকেই তারকার তকমা লেগে গেছে খুশির গায়ে। জেনজির তারকা মাত্র একটি সিনেমাতেই অভিনয় করেছেন।

এছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে ‘লাভিয়াপ্পা’। এরপর ইব্রাহিম আলি খানের বিপরীতে ‘নাদানিয়া’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে । তাঁর অভিনয় দক্ষতা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা না গেলেও খুশির ফ্যাশন সেন্স একেবারে আলোচনার তুঙ্গে। 

সম্প্রতি ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে এক ইভেন্টে ফরাসি বিলাসবহুল রেডি-টু-ওয়্যার ব্র্যান্ড স্যান্ড্রো প্যারিসের একটি চেকার্ড কো-অর্ড সেটে পরে ইভেন্ট মাতিয়েছেন। টেক্সচার্ড ক্রিম-আকৃতির ক্রপড টপটির যার মধ্যে ক্রু-নেক এবং স্লিভে ডিজাইন করা ছিল। চেকার্ড প্যাটার্নটির  এই টপে পাথর-খচিত বোতাম যা তার  লুকে গ্ল্যামারের ছোঁয়া যোগ করেছে নতুন চমক। একই প্যালেট এবং প্যাটার্নের সাথে ম্যাচিং ট্রাউজার্সটি নজর কেড়েছে। উঁচু কোমর, চওড়া পায়ের ফিট তাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে  পোশাকের চেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল অ্যাকোয়াজুরা থেকে নেওয়া বেজ-জুয়েলেড স্টিলেটো স্বচ্ছ জুতাটি, যার দাম ৯৮,৬৫০ রুপি যা বাংলাদেশি টাকায় ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা। হিলগুলোতে সোনালি বেসটি তার পোশাকের সাথে পুরোপুরি পরিপূরক।

 এছাড়া জিমি চু বন বন পার্সের সাথে বিলাসবহুলতার ছোঁয়া যোগ করেছেন, যার দাম ৭৭,৯০০ রুপি যা ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ।খুশি তার ঢেউ খেলানো চুল আর ভারী পাথরের স্টাড কানের দুল, কয়েকটি ব্রেসলেট এবং  আংটি পরে তার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। 

প্রচারণার সময় খুশির অসাধারণ লুক ভক্তদের মুগ্ধ করে চলেছেন।তার পোশাক স্টাইলের  যা  ফ্যাশন জগতে অবশ্যই দেখার মতো। 

কলি 

 

বসন্ত-ভালোবাসার মেলবন্ধনে ‘সারা’র রঙ্গিন আয়োজন

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
বসন্ত-ভালোবাসার মেলবন্ধনে ‘সারা’র রঙ্গিন আয়োজন
ছবি: সারা লাইফস্টাইল

ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। বাতাসে বাসন্তি নতুন ফুলের ঘ্রাণ। বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের এই মেলবন্ধন আরও বর্ণিল করে তোলে বৈচিত্র্যময় পোশাক। আর তাই বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে স্বাগত জানাতে বর্ণিল পোশাকের সংগ্রহ নিয়ে এসেছে ‘সারা লাইফস্টাইল’।

‘সারা’র এবারের ফাল্গুনের আয়োজনে সব ধরনের পোশাকেই রয়েছে বসন্তের ছোঁয়া। রঙ্গিন ফ্লোরাল মোটিফে বাসন্তি, হলুদ, বাদামী হলুদ, ম্যাজেন্ডা, বেবি পিঙ্ক রঙের সব কালেকশনে ট্রেন্ডি প্যাটার্ণ আর সময় ও পরিবেশ উপযোগী কাপড়ের ধরন এবার সারা’র বসন্ত-ভালোবাসার উৎসবের আয়োজন রাঙ্গাবে।

ভালোবাসা দিবসকে ঘিরেও আছে ‘সারা’র বিশেষ আয়োজন। এই আয়োজনে ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল কাপল টি-শার্টের পাশাপাশি ছেলে ও মেয়েদের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কালেকশন। ভালবাসা দিবসের কালেকশনে ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, টি-শার্ট। আর মেয়েদের জন্য ভ্যালেন্টাইনস কালেকশনে থাকছে থ্রি পিস, কুর্তি, ফ্যাশন টপস ও ক্যাজুয়াল শার্ট ইত্যাদি।

‘সারা’ লাইফস্টাইলের বসন্ত আয়োজনে মেয়েদের কালেকশনে থাকছে কুর্তি, থ্রি পিস, ফ্যাশন টপস, শাড়ি। আর ছেলেদের কালেকশনে রয়েছে পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল শার্ট, পোলো ও টি-শার্টসহ বিভিন্ন আয়োজন। এছাড়া ‘সারা’র কিডস কালেকশনে মেয়েদের জন্য থাকছে ফ্রক, টপস, কুর্তি, থ্রি পিস। আর কিডস কালেকশনে ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট। ‘সারা’ লাইফস্টাইলের এবারের ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইনস কালেকশনের এসব পোশাকের ডিজাইনে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে রঙ্গিন কাপড়ের সঙ্গে ফ্লোরাল প্রিন্টের। এছাড়াও আরামদায়ক কাপড়ের পাশাপাশি পোশাকের গুণগত মানের দিকে বরাবরের মতই প্রাধান্য দিয়েছে ‘সারা লাইফস্টাইল’।

আউটলেটের পাশাপাশি সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট ও  ফেসবুক পেজ  থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পাবেন।

 কলি 

বসন্ত- ভালোবাসায় রুমকি’স ক্লোজেট

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
বসন্ত- ভালোবাসায় রুমকি’স ক্লোজেট
ছবি: রুমকি’স ক্লোজেট

বসন্ত ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে অনলাইন শপ রুমকি’স ক্লোজেট এনেছে বাহারি সব শাড়ি, সালোয়ার- কামিজ ও কুর্তির কালেকশন।

পোশাকে উৎসবের লুক আনতে মসলিন শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, কটন, ও হাফসিল্ক শাড়ি করা হয়েছে। রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল ও মেজেন্টা। নকশার মোটিফেও রয়েছে উৎসবের ছোঁয়া। সালোয়ার কামিজেও আনা হয়েছে উৎসবের রঙ- রূপ। 

এক্সক্লুসিভে মসলিনে এমব্রয়ডারি, কারচুপি, কাঠাদানা, সিকুয়েন্স, অ্যাপলিক ও পার্লের কাজ করা হয়েছে। সিল্কে টাইডাই, কারচুপি, এমব্রয়ডারি এবং কটন থ্রিপিসগুলোর মধ্যে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লক ও এমব্রয়ডারি করা হয়েছে। 

এখন ভালোবাসা দিবস ও বসন্তে রঙ পছন্দে মানুষের চিন্তা-ভাবনার অনেক পরিবর্তন এসেছে, আগে মানুষ বসন্ত বলতে হলুদ, লাল, কমলায় আটকে থাকলেও  এখন সাদা, গোলাপি, বারগেন্ডি রেড সবই পছন্দ করে। এটা মাথায় রেখেই পোশাকের রঙে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। পোশাকগুলো পাওয়া যাবে ২ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।

 কলি 

কেয়ার অব ঢাকার স্প্রিং কার্নিভাল কাল শুরু

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
কেয়ার অব ঢাকার স্প্রিং কার্নিভাল কাল শুরু
ছবি: সংগৃহীত

সুপরিচিত উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম ও পপ-আপ শপ কেয়ার অব ঢাকার বসন্ত উৎসব বা স্প্রিং কার্নিভাল শুরু হচ্ছে আগামীকাল। ২ দিনব্যাপী এই কার্নিভাল চলবে ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঢাকার ধানমন্ডি ২৭-এর মাইডাস সেন্টারে শুক্রবার সকাল ১০টায় উদ্বোধন হবে দুদিনের এই উৎসবের। এবারের থিম রাখা হয়েছে কালার্স অব বাংলাদেশ। 

এই আয়োজন নিয়ে কেয়ার অব ঢাকার অন্যতম সমন্বয়কারী মানসুরা স্পৃহা বলেন, ‘এটি আমাদের তৃতীয় প্রদর্শনী। এখানে আমরা ৩০টি সৃজনশীল উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। এই আয়োজনের প্রতিটি উদ্যোগ নিজস্ব ডিজাইনে দেশিয় পণ্য তৈরি করে।’ 

কেয়ার অব ঢাকার আরো দুই সমন্বয়কারী ফাতেমা তুজ জোহরা নুভিয়া ও মুসাররাত নওশাবা বলেন, ‘গতবার অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ার পর এবারেও প্রত্যেক উদ্যোক্তা একটি বিশেষ থিমে দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কেয়ার অব ঢাকার জন্য বিশেষ পণ্য তৈরি করা হয়েছে এই প্রদর্শনীকে সামনে রেখে।’’  

এ প্রদর্শনীতে পোশাক, গয়না, প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার, খাবার, ব্যাগ, আর্টস ও ক্র্যাফট, হোম ডেকোর—এই ৭ ক্যাটাগরিতে ৩০টি দেশীয় উদ্যোক্তা ব্র্যান্ড তাদের সেরা পণ্যগুলো নিয়ে হাজির হবে। ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে থাকছে আর্টেমিস, বেক দ্য কেক বাই রুমানা, বেগম বাহার, বেনে ফুটওয়্যার, বেণী বুনন, চন্দ্রভান, চিত্রাঙ্গদা, কটন রুটস, দীঘল, দিশা’স রোড ব্লক - রঙের মানুষ, গুটিপা, হল্লা, খাদি বাই নুভিয়া, লিলিথ, মল্লিকা, এন'স কিচেন, অবনি, অহং, ঋতি, সরলা, শিল্পালোক, সিগনেট, সুতলি, সুরঞ্জনা, সুতন্তু, ট্যান, তানিস বাংলাদেশ, তাসা, দ্য হকার্স ও ইয়ামিন'স। 

নান্দনিক সজ্জায় সাজানো সেরা স্টলের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার। এই প্রসঙ্গে মানসুরা স্পৃহা জানালেন, প্রদর্শনীতে কেনাকাটার সুযোগ ছাড়া আরও অনেক কিছু থাকছে। যেকোনো স্টল থেকে কেনাকাটা করলেই পাবেন একটি করে কুপন। কুপনের দুটি অংশের একটিতে নাম ও ফোন নম্বর লিখে এক্সিবিশনের গেটে রাখা বক্সে ফেলে যাবেন, আরেকটি অংশ রাখবেন নিজের কাছে। এক্সিবিশন শেষে লটারির মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীদের। 

প্রদর্শনীর ফ্লাইং পার্টনার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সৌজন্যে থাকছে তিনটি বিশেষ পুরষ্কার। প্রতিটিই কাপলদের জন্য প্লেনের টিকিট। প্রথম পুরস্কার ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ঢাকা–চট্টগ্রাম–ঢাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ঢাকা–সিলেট–ঢাকা প্লেনের কাপল টিকিট। এছাড়া ট্র‍্যাভেল পার্টনার গো গার্লস-এর পক্ষ থেকে ট্যুরে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্টসহ (শুধু নারীদের জন্য) থাকছে আরো অনেক পুরস্কার।

এই প্রদর্শনীতে পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে কিডস কার্নিভাল। তাদের ভাবনার জগৎকে ফুটিয়ে তুলতে ছবি আঁকা, ক্র্যাফটিং, সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট, খেলার সেশন ইত্যাদিতে অংশ নিতে পারবে ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা। এই আয়োজনে কেয়ার অব ঢাকার সঙ্গে থাকছে ‘শৈশব’। স্প্রিং কার্নিভাল বাই কেয়ার অব ঢাকা সিজন ২-এর টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আছে বেশিদেশি। 

 কলি

ভালোবাসায় সাজানো ঘর

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
ভালোবাসায় সাজানো ঘর
ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসা দিবসে ঘর সুন্দর করে সাজাতে পারেন। দেয়ালের রং থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, সবকিছুতেই থাকবে ভালোবাসার ছোঁয়া। সুন্দর করে ঘর সাজালে আপনার মনে উৎসবের ছোঁয়া এনে দেবে। লাল এবং গোলাপি রঙের মোমবাতি, ফুলদানি, লাল কুশন কাভার, বেলুন এবং ফুল দিয়ে ঘরের লুক বদলে দিতে পারেন। 

পরিষ্কার করে নিতে হবে
ঘর সাজানোর আগে নিজের অগোছালো ঘরটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। টেবিলে এলোমেলো কাগজ, ল্যাপটপের ওপর ধুলার স্তর, ড্রেসিং টেবিল উল্টেপাল্টে থাকা কসমেটিক্স সবই পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

বিছানা চাদর-বালিশ
ঘরের সৌন্দর্য বাড়বে সাধারণত বিছানার চাদরে। ঘর কেমন দেখতে লাগছে তার অনেকটাই নির্ভর করে বিছানার চাদরের রঙের ওপরেও। পুরোনো চাদর বদলে লাল-সাদা রঙের চাদর বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে রঙ মিলিয়ে বালিশের কাভার অথবা একরঙা লাল বালিশের কাভারও ব্যবহার করতে পারেন। চাদর-বালিশের কাভার কেনার বাজেট না থাকলে ছোট দুটি কুশন কিনে আনতে পারবেন। চাদর হিসেবে বাটিক, টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্টের চাদর বা নকশিকাঁথা ব্যবহার করতে পারেন। ভালোবাসা দিবসে লাভ আকৃতির কিংবা ছোট ছোট গোলাপ ফুলের হ্যান্ডপেইন্ট করা চাদর বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া সাদা, হালকা গোলাপি বা হলুদ রঙ বেছে নিতে পারেন। 

নিজ হাতের তৈরি করতে পারেন
নিজের হাতে কাগজ বা কাপড় দিয়ে সুন্দর ফুল তৈরি করতে পারেন অথবা এঁকে নিতে পারেন নজরকাড়া সুন্দর ছবি। এ ছাড়া ক্যানভাসে এঁকে ফেলুন প্রিয় মানুষটির মুখাবয়ব। ভালোবাসা দিবসে এই শিল্পকে কাজে লাগান।

মোম বা ক্যান্ডেল লাইট
লাইটিংয়ের জন্য বেশি কিছু না করতে চাইলে মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন সুপার মার্কেট বা অনলাইন শপগুলোতে মন মাতানো সুবাসের বাহারি রঙের মোম কিনতে  পাওয়া যায়। সাইড টেবিল, টি-টেবিল, উইন্ডো-ফোল্ড এসব জায়গায় মোম জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। 


 
আলোকসজ্জা
লাইটিং এমন একটি জিনিস যা আপনার মুডকে খুব সহজেই ভালো করতে পারে। তাই এই বিশেষ দিনে বাড়িতে আলোকসজ্জার ব্যবহার করতে পারেন। রুমের জানালা ও বিছানা ঘেঁষে ছোট ছোট ফেয়ারি লাইট জ্বালিয়ে দিতে পারেন। দেয়ালের রঙ, পর্দা এবং বিছানার রঙ মাথায় রেখে ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন নানা ফেইরি লাইটে। রঙবেরঙের এবং বিভিন্ন আকারের ফেয়ারি লাইট যেকোনো ইলেকট্রিক সরঞ্জামের দোকানে পাওয়া যাবে।

বাথরুম সাজানো 
বাথরুমের তোয়ালে বেছে নিতে পারেন লাল রঙের। গোলাপের সুগন্ধযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ এবং এয়ার ফ্রেশনার রাখতে পারেন। দরজার সামনের পাপোশটিও বদলে দিতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে। এ ছাড়া সুগন্ধি ক্লিনার দিয়ে বাথরুমের ফ্লোর এবং বিভিন্ন টাইলসও মুছে দিতে পারেন।

খাবার ঘর সাজানো 
এই দিনে যদি বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সুন্দর করে ডাইনিং টেবিল সাজিয়ে ফেলুন। টেবিল ম্যাট বদলে দিতে পারেন। প্লেট, ডিশ এবং সাজানোর স্টাইলে থাকতে পারে ভালোবাসা দিবসের ছোঁয়া। খাবারের তালিকায় দুজনের পছন্দের খাবার রাখতে পারেন। ডাইনিং রুমের কাছে ছোট সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে মৃদু ছন্দের গান বাজাতে পারেন। গুনগুন সুরে নিজেদের পছন্দের গানের সঙ্গে হারিয়ে যেতে পারেন পুরোনো কোনো দিনে। 

ফুল দিয়ে সাজানো 
অনেকে নিয়মিতভাবে ঘরে ফুল না রাখলেও বিশেষ দিনগুলোতে রাখতে পছন্দ করেন। ফুল দিয়ে ঘর সাজালে ঘরের সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়। ফুলের স্নিগ্ধ সুগন্ধ মনকে ভালো রাখে। ভালোবাসা দিবসে বিছানার পাশের ড্রেসিং টেবিলের পাশের ফুলদানিতে ফুল রাখতে পারেন। এই দিনে লাল গোলাপ বেছে নিতে পারেন। গোলাপের পাশাপাশি ঘরের সাজে ব্যবহার করতে পারেন অন্য ফুল। ঘরের কোণায় পাশের টেবিলে লম্বা ফুলদানিতে অর্কিডের মতো হালকা বেগুনি ফুল রাখতে পারেন। 

বাকি আসবাব সাজাবেন যেভাবে
ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রের সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন। চেয়ারের ওপর লাল তোয়ালে বা টেবিলে ভারী লাল টেবিল ক্লথ বিছিয়ে দিতে পারেন। ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে নানা ধরনের সামগ্রী এবং শতরঞ্জি ব্যবহার করে চাইলে সহজেই উষ্ণভাব আনতে পারেন। বেডরুমের এক পাশের দেয়াল ভিন্নধর্মী গাঢ় রঙ দিয়ে রঙ করে সেখানে নিজেদের বিশেষ স্মৃতির  ছবি লাগাতে পারেন। চাইলে তাক বা ফ্রেম ব্যবহার করে হাইলাইট করতে পারেন। এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্র অনুযায়ী ওপরে কাভার বদলানো বা ছোট শোপিস সাজিয়ে রেখেও সেখানে দিতে পারেন ভালোবাসার ছোঁয়া।

কাপড় দিয়ে সাজানো
বড় এবং ছোট বেলুন দিয়ে ঘর সাজানোর পাশাপাশি দেয়াল এবং জানালায় গোলাপি বা লাল রঙের কাপড় ঝুলিয়েও ঘরের লুকে একটা বদল আনতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজের পুরোনো ওড়নাও ব্যবহার করতে পারেন।

 কলি