ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

সম্পর্ক তিক্ত হলে

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
সম্পর্ক তিক্ত হলে
মডেল: পরমা ও সোহান। ছবি: আদিব আহমেদ


কখনো কখনো ভেঙে যাওয়া থেকেই নতুন করে শুরু হতে পারে। এই বিশ্বাসটুকু নিজের ভেতরে রাখতে হবে। অতীত মানে সব সময় সুখকর নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই থাকে তিক্ত অনেক অভিজ্ঞতা। সেসব নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। সম্পর্কে তিক্ততা দূর করা এবং নতুনভাবে শুরু করা একটি চ্যালেঞ্জিং কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য, আত্ম-সচেতনতা, এবং পারস্পরিক সম্মান প্রয়োজন। 

খোলামেলা আলোচনা করুন
সম্পর্কের মধ্যে জমে থাকা সমস্যা বা অভিমান নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি শোনার জন্য সময় দিন এবং সেগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। একতরফাভাবে কারও ওপর দোষ চাপানো থেকে দূরে থাকতে হবে। দুজনের মধ্যে যেকোনো ধরনের সমস্যাতেই তৃতীয়পক্ষকে না জানিয়ে নিজে বসে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। যা আপনার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে।

ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষমা করতে শিখুন
যদি আপনি ভুল করে থাকেন, তবে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। অপরজনের ভুলগুলো মেনে নিয়ে তাকে ক্ষমা করতে শিখুন। ভুল বোঝাবুঝি হলে কিংবা ভুল হলে ক্ষমা চাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 

অতীতের ভালো মুহূর্তগুলো মনে  করতে হবে। 

অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি থেকে বিরত থাকুন
যে বিষয়গুলো তিক্ততার কারণ ছিল, সেগুলো এড়িয়ে চলুন এবং নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। আগে যে ভুলগুলো হয়েছিল সেগুলো মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। অভিমান চেপে রাখতে যাবেন না, এতে ফল বিপরীত হয়ে যাবে। মন খুলে কথা বলুন। এতদিন যেগুলো সমস্যা বলে মনে হয়েছে, মনে পুষে না রেখে সেগুলো তাকেও বুঝতে দিন।

ইগো বাদ দিন
সম্পর্ক মেরামতের পথে অহংকার বা আত্মসম্মান অতিরিক্ত হয়ে উঠলে তা বাদ দিতে হবে। ‘আমি ঠিক, তুমি ভুল’ মানসিকতা এড়িয়ে, সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন। ইগো থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই ইগো বাদ দিতে হবে।

ভালো স্মৃতিগুলোকে গুরুত্ব দিন
অতীতের ভালো মুহূর্তগুলো মনে করুন এবং নতুন ইতিবাচক স্মৃতি তৈরির চেষ্টা করুন। যেসব মুহূর্ত খারাপ গেছে সেগুলো মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে নতুন কোনো স্থানে ঘুরতে যান। একান্ত সময় কাটান। 

আপনার প্রত্যাশাগুলো পরিষ্কার করুন
একজন মানুষ কখনো আরেকজন মানুষের মন পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তবু আমরা বেশির ভাগই প্রত্যাশা করে থাকি যে আমরা না বললেও আমাদের ভালোবাসার মানুষটি মনের কথা বুঝে নেবে। এরকমটা প্রত্যাশা না করাই ভালো। তাই যদি কিছু বলতে হয়, তাকে সরাসরি বলুন। নয়তো অবাস্তব প্রত্যাশা আপনাকে হতাশ করতে পারে। সেখান থেকে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তাই প্রত্যাশাগুলোতে সততা বজায় রাখতে হবে, যেন ভবিষ্যতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়।

সময় দিন এবং ধৈর্য ধরুন
সম্পর্ক পুনরায় গড়ে তুলতে সময় লাগে। প্রতিটি ছোট পদক্ষেপে ধৈর্য এবং ইতিবাচকতা বজায় রাখুন। পছন্দের মানুষকে সময় দিন। তার কথা শুনুন। ক্ষমা করুন। ভুল ধরা থেকে বিরত থাকুন। 

আন্তরিক প্রচেষ্টা
একে অপরের ভালো দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দিন এবং সেগুলোর  প্রশংসা করুন। সম্পর্ক সুস্থ, সুখী এবং নিরাপদ রাখার জন্য দুজনেরই সমান সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। নিজেকে গভীরভাবে জেনে, একে অপরকে বুঝে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে জীবন সুখের হয়ে ওঠে। তাই প্রতিটি সম্পর্কেই দুজনকে সমান যত্নশীল হতে হবে। সমান সমান না হোক, সম্পর্কের প্রতি দুজনের আন্তরিকতা অন্তত সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। তাহলেই সম্পর্কে নতুনত্ব থাকবে।

বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করুন
বিশ্বাস আবার গড়ে তুলতে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন এবং প্রতিশ্রুতি পূরণে আন্তরিক হন। বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের জন্য সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন। এক দিনে সবকিছু সঠিক হবে না, তবে স্থির ও শক্ত মনোবল নিয়ে আগানো উচিত। ছোট ছোট বিষয়েও আস্থার অনুভূতি তৈরি করা জরুরি। প্রতিশ্রুতি পালন এবং ইতিবাচক আচরণ সম্পর্কের মধ্যে আস্থার ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সম্পর্কের পুনঃস্থাপন একটি যৌথ প্রক্রিয়া, তাই দুজনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা ও মনোযোগ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সহায়তা নেওয়া (প্রয়োজনে)
গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে কাউন্সেলর বা বিশ্বস্ত তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। তৃতীয় ব্যক্তি অনেক সময় যেকোনো সম্পর্কের সমস্যাগুলোকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সাহায্য করে। তাদের পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া শিক্ষায় সম্পর্কের দ্বন্দ্বের মধ্যে আসতে পারে সৃজনশীল সমাধান, যা সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারে। অনেক সময় তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ কিংবা সমর্থন যেকোনো সম্পর্কের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারে টনিকের মতো। কেননা এসব পরিস্থিতি তৃতীয় ব্যক্তি নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করতে পারে এবং একটা যৌথ সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে। তাই প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিতে পারেন।

 কলি 

প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। একটু উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার আদান-প্রদান ঘটে। আলিঙ্গনে শরীর আর মন দুই ভালো থাকে। জীবনের পথে এগিয়ে চলার পাথেয়ও হয়ে উঠতে পারে প্রিয়জনের একটি আলিঙ্গন। শুধু ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রেই নয়; পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গেই আলিঙ্গন করা উচিত। কারণ আলিঙ্গেনের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারও রয়েছে। 

মানসিক চাপ কমায়
বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যকে যদি আপনি বেদনাদায়ক বা অস্বস্তিকর কোনো পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে দেখেন, তাহলে বুকে জড়িয়ে নিন। উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ করুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করলে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটা তার জন্য বড় ধরনের ‘সাপোর্ট’ হতে পারে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাউকে আলিঙ্গন করা হলে তখন ব্রেস্টবোনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা মনকে আবেগপূর্ণ করে তোলে। এটি প্লেক্সাস চক্রকেও সক্রিয় করে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে। এই গ্রন্থি শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
আলিঙ্গন হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার দারুণ একটি উপায়। ভালোবাসার মানুষকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরলে শরীর থেকে অক্সিটোসিন নির্গত হয়। অক্সিটোসিনকে ভালোবাসার হরমোন বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই হরমোন শরীরকে রিল্যাক্স করায় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত আলিঙ্গন করা জরুরি।

ভালো ঘুমে সহায়তা করে
আপনার যদি রাতে ভালো ঘুম না হয়ে তবে আলিঙ্গন ভালো সমাধান হতে পারে। অক্সিটোসিন নিঃসরণ শুধুমাত্র স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে না বরং শিথিলতাও বাড়ায়। এই প্রশান্তির অনুভূতি শান্তিপূর্ণ এবং আরামদায়ক রাতের ঘুমে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, ভালো ঘুমের জন্য আপনার ঘুমের রুটিনে একটি আলিঙ্গন যুক্ত করার কথা ভেবে দেখুন!

মেজাজ ভালো থাকে 
আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে উত্তেজনা কমে যায়। এর ফলে শরীর থেকে সেরোটোনিন হরমোন ভালোভাবে নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেজাজকে উন্নত হয়।

একাকিত্ব দূর করে
কাছের মানুষদের থেকে যত দূরে সরে যাবেন, নিজেকে তত বেশি একা ও নিঃসঙ্গ লাগবে। আলিঙ্গন মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিরাপদ, অন্যের কাছে প্রিয় এবং একা নই। তাই একাকিত্ব দূর করতে আলিঙ্গনের বেশ ভালো কাজ করে।

ভয় দূর করতে সাহায্য করে
আলিঙ্গন মৃত্যুর উদ্বেগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলিঙ্গন মানুষের মন থেকে অস্তিত্বের ভয় দূর করতেও সহায়তা করে। তাই একাকিত্বের সময় একটি টেডি বিয়ারকে আলিঙ্গন করেলেও নিরাপত্তার অনুভূতি হয়।

ব্যথা দূর করে
শুধু মনের ব্যথা নয়, শরীরের ব্যথাও দূর করে আলিঙ্গন। এটি আপনার শরীরের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। যে কারণ শরীরের উত্তেজনা হ্রাস হয়, যা উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলোকে শিথিল করে। 

 

কলি

ফাগুন দিনের সাজ

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ফাগুন দিনের সাজ
মডেল: রাজ, আঁখি, লিয়ানা ও অনামিকা।পোশাক: অঞ্জন’স, ছবি: সাগর হিমু

বছর ঘুরে  এল আরেক ফাল্গুন। বাঙালির একান্ত এ উৎসবে সাজটাও হওয়া চাই মনমতো। বসন্তকে বরণ করতে প্রকৃতিতে যেমন লাগছে রঙের ছোঁয়া ঠিক তেমনি বসন্ত বরণে কী পরবেন, কেমন সাজবেন এমন পরিকল্পনাও ঘুরছে অনেকের মনে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে পহেলা ফাল্গুনের সাজসজ্জা। 

ফাল্গুনে মেকআপ
বসন্তের শুরুর দিনটাতে মেকআপটা খুব ভারী করা ঠিক নয়। যেহেতু গাঢ় পোশাক পরা হয় তাই মেকআপ করার সময় হালকা মেকআপ করাই শ্রেয়। মেকআপ নেওয়ার আগে অবশ্যই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। এরপর সানস্ক্রিন লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এরপর মুখে লাগাবেন ম্যাট ফাউন্ডেশন। হালকাভাবে লাগাতে পারেন খানিকটা ফেস পাউডার। আর সব সময় মনে রাখবেন পোশাকের রং অনুযায়ী হবে মেকআপের রং। চোখের সাজের ক্ষেত্রে চোখে গাঢ় করে কাজলের রেখা টেনে দিয়ে ঠোঁট রাঙাতে পারেন লাল লিপস্টিকে। কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, গ্লিটার- যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, সব যেন হয় একই রঙের। এরপর কপালে টিপ আর হাতে পরুন কাচের চুড়ি। আর বসন্তের সাজে ফুলের কোনো না কোনো অনুষঙ্গ তো রাখতেই হবে। হোক তা চুলে, হাতে কিংবা ভিন্ন কোনো গহনা হিসেবে।

 বসন্তে যেহেতু গাঢ় পোশাক পরা হয় তাই মেকআপ করার সময় হালকা মেকআপ করাই শ্রেয়।

চুলের সাজ
ফাগুন দিনে চুলের সাজে নানা রঙের তাজা ফুলের ব্যবহার নারীকে করে তোলে অনন্যা। আগে নারীরা ফাল্গুনে যেমন খোঁপার এক পাশে দু-একটি ফুল গুঁজে দিত, এখন সেই স্টাইল অনেকটাই চলে গেছে। ফুলের গহনা ও ফুল লাগানোর ধরনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। খুব ছিমছাম গহনা পরে মাথায় একটি বড় ফুলের রিং পরার প্রচলনটাই বেশি এখন। কয়েক বছর ধরেই এই প্রচলনটা বেশি দেখা যাচ্ছে। তরুণীরা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ কিংবা ফতুয়ার সঙ্গে মাথায় এই ফুলের রিংগুলো পরতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। সব ধরনের সাজের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই ফুলের রিংগুলো। এই ফুলের রিংগুলো সাজে আনে ভিন্নতা ও আভিজাত্য।

কেউ চাইলে খোঁপা বা বেণি করে চুলে যেকোনো ফুলের মালা পেঁচিয়ে নিতে পারেন। আবার কেউ যদি চুল ছেড়ে রাখতে চান তাহলে একপাশে গুঁজে নিতে পারেন গোলাপ বা পছন্দের অন্য প্রকারের ফুল। যখন বড় ফুল পরবেন, তখন গলা ও কানের গহনা খানিকটা হালকা বেছে নেবেন। মেরুন, হলুদ, সাদা, নীল রঙের চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেনডুলা ফুলগুলোও বেছে নিতে পারেন গাঁদা, গোলাপের বিকল্প হিসেবে।

ফাগুনে পোশাকের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ফুলকে বেছে নিতে পারেন

ফাগুনের গহনা
পহেলা ফাগুনে নানা ধরনের ফুলের গহনায় সাজতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফাগুনে পোশাকের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ফুলকে বেছে নিতে পারেন। তবে যারা ফুল পছন্দ করেন না, তারা চাইলে ফাগুনের ফুলের গহনা বাদে অলংকারের তালিকায় বেছে নিতে পারেন মাটির, কাঠের বা মোমের জুয়েলারি কিংবা মেটালের সেট। এ ছাড়া আদিবাসী গহনা, আফগানি জুয়েলারিও রাখতে পারেন সাজের তালিকায়। 

ফাগুনে চুড়ি
বাঙালিদের কাছে কাচের চুড়ির একটা বিশেষ আবেদন আছে। বিশেষত পহেলা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠানে এর কদর যেন আরও বেড়ে যায়। তাই বসন্তে বিশেষ করে যারা শাড়ি পরবেন তারা চাইলে হাত ভর্তি কাচের চুরি পরতে পারেন। বাজারে এখন অনেক ধরনের চুরি পাওয়া যায়। যেমন- সুতার চুরি, কাচের চুরি, মেটাল কিংবা মাটির চুরি ইত্যাদি। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে কিনতে পারেন আপনার পছন্দসই চুরির সেট। তবে কাচের চুরি পরলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে ভেঙে গিয়ে আপনার শরীরে কোনো ক্ষতি না হয়। 

ম্যাচিং পোশাক পরতে পারেন। 

ফাল্গুনে জুতা
ফাল্গুনের সাজসজ্জার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আরও একটি জরুরি বিষয়ে। আর তা হলো সারা দিনের হাঁটাহাঁটির কথা মাথায় রেখে হিল না পরে ফ্ল্যাট জুতা পরাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া যাদের জুতা পরতে সমস্যা হয় তারা স্লিপার পরতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের স্লিপার পাওয়া যায়। তাই মনমতো বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের জোড়া।

 কলি

সানাম তেরি কাসাম মুভির অভিনেত্রী মাবরার বিয়ের লুক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
সানাম তেরি কাসাম মুভির অভিনেত্রী মাবরার বিয়ের লুক
মাবরা হোসেন ও তার বর আমির জিলানি। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাবরা হোসেন। বর আরেক পাকিস্তানি মডেল-অভিনেতা আমির জিলানি। ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরের এক দুর্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ২০১৬ সালে বলিউডের সিনেমা ‘সানাম তেরি কাসাম’–এ অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। তার বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডে রয়েছে। নিকাহ থেকে ওয়ালিমা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে মাবরাকে বিভিন্ন লুকে দেখা গেছে। লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি 

 

নিকাহতে মাওরার পরেছিলেন প্যাস্টেল নীল রঙের ভারী এমব্রয়ডারি, জারদৌসি ও চুমকির কাজের লেহেঙ্গা। রানো'স হেয়ারলুমস থেকে লেহেঙ্গাটি বেছে নিয়েছিলেন। লেহেঙ্গাটি নিচে বেগুনি এবং গাঢ় গোলাপী রঙের পাটি দেওয়াতে পোশাকে সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছিল। এছাড়া জরি এবং গোটার কাজগুলো গোলাপি ফুলের সূচিকর্ম দিয়ে হাইলাইট করা হয়েছিল। মাবরা লেহেঙ্গার সঙ্গে সূক্ষ্ম গোটার কাজের হালকা সবুজ দোপাট্টা বেছে নিয়ে ছিলেন। দোপাট্টা ছিল তার শাশুড়ির, অর্থাৎ আমিরের মায়ের। গয়না হিসেবে একটি বিশাল মাথাপাটি, আংটি ,স্টেটমেন্ট চোকার, সিতাহার এবং ম্যাচিং কানের দুল বেছে নিয়েছিলেন। তার গয়নাগুলো ছিল অর্ধ শতাব্দীরও বেশি পুরনো যা তার বর আমিরের দাদীর ছিল। মেকআপটি সহজ রেখেছিলেন এবং হালকা বেস দিয়ে ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো, গোলাপী লিপস্টিক, মাস্কারায় সেজেছিলেন।

যাতেই তাকে রূপকথার উপন্যাসের রাজকন্যার মতো দেখাচ্ছিল। বরের পরনে ছিলেন গাঢ় সবুজ রঙের কুর্তা, পায়জামা ও ওড়না। সামা টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, এই পোশাকটির দাম ছিল ১.৯৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, অর্থাৎ ১৯.৫ লক্ষ টাকা।

 

বিয়ের অনুষ্ঠানের মাবরা হোসেন হালকা লাল রঙের সোনালি সূচিকর্মে সজ্জিত লেহেঙ্গা বেছে নিয়েছিলেন। লম্বা ব্লাউজ এবং ম্যাচিং দোপাট্টা যা তার বিবাহের উদযাপনে রাজকীয় সৌন্দর্যের ছোঁয়া যোগ করেছিল। পোশাককে ঐতিহ্যবাহী সোনার গয়না এবং মেকআপ দিয়ে সাজিয়েছিলেন যাতে সামগ্রিক পোশাকটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। 

ওয়ালিমার জন্য জাহা কৌচারের একটি জমকালো ডাস্ট ব্লু–রঙা লেহেঙ্গা পরেছিলেন। জাহা কাউচারের তৈরি এই লেহেঙ্গায় তাকে অসাধারণ লেগেছে। লেহেঙ্গাটি তে ফুলের নকশার জটিল কাজ করা হয়েছিল এবং রূপালী-ক্রোম অ্যাকসেন্ট দিয়ে সজ্জিত ছিল। লেহেঙ্গাটির সঙ্গে মিলিয়ে জরি নেটের দোপাট্টার পরেছিলেন। দোপাট্টার চারপাশে মুক্তা খচিত নকশা থাকায় আরো ভালো লেগেছিল। এইদিন তিনি মেকআপের উজ্জ্বল ছোঁয়া বেছে নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল নরম গোলাপী আইশ্যাডো, লাল গাল এবং নরম লিপস্টিক। বাঁধা চুলের স্টাইল, হীরা খচিত টিকলি এবং নীল পাথরের ডাবল-লেয়ারড মসৃণ হীরার নেকপিসর সাথে তাকে অপরূপ দেখাচ্ছিল।বর তার সঙ্গে ম্যাচিং করে শেরওয়ানি পরেছিলেন।

কলি  

 

ভ্যালেন্টাইন উদযাপন করুন দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায়

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
ভ্যালেন্টাইন উদযাপন করুন দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায়
ছবি: দ্য ওয়েস্টিন

ভালোবাসায় সঙ্গে থাকতে এবং অন্যরকম ভাবে দিনটিকে রাঙিয়ে তুলতে পাঁচ তারকা হোটেলে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা সেজেছে ভালোবাসার সাজে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে সকল প্রেমিক যুগলদের জন্য প্রেমময় সাজসজ্জা এবং ভোজনবিলাসের এক মুগ্ধকর বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের আয়োজন করছে। শহরের সেরা রেস্টুরেন্টগুলোর থিমযুক্ত মেনুর মাধ্যমে অতিথিদের ভালোবাসা উদযাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আপনার ভালোবাসা, বিলাসিতা ও একত্রতার নিখুঁত স্থান হিসেবে আপনিও বেছে নিতে পারেন।


 

ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় যেসব আয়োজন থাকবে-

ভালোবাসার স্বাদ বুফে স্পেশাল
আগামী ১৩, ১৪ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই বুফেতে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নানা পদ থাকবে, যার মধ্যে ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল কার্ভিং স্টেশন, লাইভ কাউন্টার, সুসি সিলেকশন, গ্রিল স্টেশন এবং হৃদয় আকৃতির ডেজার্ট রয়েছে। এছাড়াও আনন্দ আরও বাড়াতে নির্বাচিত ব্যাংক পার্টনারদের সাথে একটা কিনলে একটা ফ্রি ও একটা কিনলে দুইটা ফ্রি অফার। লাঞ্চে প্রতিজনের খরচ পরবে ৬,৯৯০ টাকা  এবং ডিনারের জন্য প্রতিজনের জন্য  ১০,৯৯০ টাকা। 

ডেইলি ট্রিটস – মিষ্টি স্বাদ
মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য ডেইলি ট্রিটস (লোয়ার লবিতে অবস্থিত) ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল বেকারি ও পেস্ট্রি আইটেম নিয়ে হাজির। অতিথিরা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০% ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স – পুলসাইড বারবিকিউ ডিনার
খোলা আকাশের নিচে উপভোগ করতে চাইলে লেভেল ৫ এ স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স-এ থাকছে পুলসাইড বারবিকিউ বুফে ডিনার। প্রতিজনের জন্য খরচ পরবে ৬,০০০ টাকা। রোমান্টিক পরিবেশে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

প্রেগো –একটি রোমান্টিক সন্ধ্যা
ব্যক্তিগত এবং রোমান্টিক অভিজ্ঞতার জন্য লেভেল ২৩ এ অবস্থিত প্রেগো রেস্টুরেন্ট উপস্থাপন করছে ৭-কোর্স সেট ডিনার। প্রতি   কাপলেদের ১৫,৯৯০ টাকা। প্রেগো-এর বিশেষ ইতালিয়ান খাবার ও শহরের অপরূপ দৃশ্য ভ্যালেন্টাইন সন্ধ্যাকে স্মরণীয় করে তুলবে।

 কলি

শিশুর দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
শিশুর দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন
মডেল: আনজিক, ছবি: আদিব আহমেদ

শিশুদের একটি বদভ্যাস হলো দাঁত দিয়ে নখ কাটা। সাধারণত শিশুরা শৈশবে ক্ষুধার্ত হলে আঙুল মুখে দেয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অভ্যাস রয়ে যায়। এভাবে শিশুর যেকোনো স্ট্রেস বা অস্বস্তি হলেই শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটে। আবার নখ বড় থাকলে স্কুলে বা বন্ধু মহলে গিয়ে বিতর্কের ভয়ে নখ দাঁত দিয়ে কেটে থাকে। 

নখ কামড়ানোর পেছনে কারণ 
নখ কামড়ানোর অভ্যাস কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অস্থায়ী নখ কামড়ানো খুব একটি সমস্যার সৃষ্টি করে না কিন্তু এটা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায় তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। অবিরত দাঁত দিয়ে নখ কাটা নখের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এতে নখের পার্শ্ববর্তী চামড়াগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়। এ ছাড়া ইমোশনাল বা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিরক্তি, ক্ষুধা, নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কামড়িয়ে থাকে। 

নখ কামড়ানোর পেছনে মূল কারণ খুঁজে বের করুন
শিশু কখন দাঁত দিয়ে নখ কামড়ায়? যখন বোরিং ফিল করে? যখন বিরক্ত থাকে? নাকি যখন অন্যমনস্ক হয়ে কিছু ভাবে? অথবা যখন উদ্বিগ্ন থাকেন তখন? উপরোক্ত কারণগুলোর যেকোনো একটি বা দুটির প্রভাবে নখ কামড়ানো শুরু করে। তাই এই বদভ্যাসটি দূর করার জন্য আপনি আসলে নখ কামড়ানোর পেছনে আসল ট্রিগারটি খুঁজে বের করে তার প্রতিকার করুন তাহলে এই বাজে অভ্যাসটি দূর করতে তেমন কোনো কষ্ট হবে না।

নখ কেটে ছোট রাখুন 
শিশুর নখ সুন্দর শেপে কেটে রাখুন। নখ বড় না থাকলে শিশু হয়তো দাঁত দিয়ে নখ কাটবে না। অনেক সময় লম্বা নখ শিশুদের নিজস্ব কাজকর্ম করতে অস্বস্তিতে ফেলে তাই শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটে। নখ কেটে ছোট করে রাখলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন: শিশুদের গুড টাচ, ব্যাড টাচ শেখাবেন যেভাবে

ম্যানিকিউর করানো
শিশুর হাত ও নখের যত্ন হিসেবে ম্যানিকিউর করে দিতে পারেন। এতে দীর্ঘ সময় শিশু মুখে হাত দেওয়ার সুযোগ পাবে না। আবার নখ ও হাত সুন্দর দেখা গেলে দাঁত দিয়ে নখ কেটে নখ নষ্ট করতে ইচ্ছা হবে না।

খেলার ছলে বদভ্যাস দূর হবে
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস ছাড়ানো খুব মুশকিলের। সন্তানকে বারবার বারণ করলেও সে হয়তো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই মুখে হাত দিয়েই ফেলে। তবে বাবা-মা হিসেবে আপনার একটি কোড ঠিক করুন। অর্থাৎ সে যেই না মুখে হাত দিতে যাবে তখনই তাকে স্ট্যাচু করে দিন। তারপর হাত দিয়ে কাঁধ ছোঁয়া বা অন্য কিছু ছোঁয়ার টাস্ক দিয়ে দিন। এভাবে মজার ছলেই কিন্তু এই বদভ্যাস ছাড়ানো যাবে। অন্ততপক্ষে সন্তান যতক্ষণ আপনার চোখের সামনে থাকবে ততক্ষণ তো এই ফর্মুলা কাজে লাগাতেই পারেন। 

বিকল্প তুলে দিন হাতে
স্ট্রেস, উদ্বেগ থেকেও তো শিশুরা দাঁত দিয়ে নখ কাটে। তবে এই উদ্বেগ কমানোর অন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প তুলে দিন সন্তানের হাতে। রাবার বা স্পঞ্জের বল এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এসব জিনিস দিয়ে স্ট্রেস কমানোর উপায় অভ্যাস করান সন্তানকে। দেখবেন এভাবেই ধীরে ধীরে দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদভ্যাস দূর হয়ে গেছে। 

পুরস্কার দিতে হবে
শিশুরা পুরস্কার, উপহার পেতে ভালোবাসে। তাহলে এই কৌশল দিয়েই বাজিমাত করতে পারেন। এবার থেকে দাঁত দিয়ে নখ না কাটার জন্য পুরস্কৃত করুন। পুরস্কারের লোভে সে ওই বদভ্যাস দ্রুত ছাড়তে পারবে। 

হাতে গ্লাভস বা নখে স্টিকার ব্যবহার করুন
এটা শুনতে একটু অদ্ভুত শোনালেও পদ্ধতিটা কিন্তু বেশ কার্যকরী। শীতের সময় গ্লাভস পড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এতে শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটতে পারবে না এবং শীতের তিন মাসে বদভ্যাস অনেক কমে আসে। গরমকালের জন্য হাতে স্টিকার লাগালে স্টিকার নষ্ট হওয়ার ভয়ে শিশু দাঁতে নখ কাটবে না। এভাবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা কম হয়ে আসবে। 

ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন
চাইলেই শিশুর রাতারাতি নখ কামড়ানোর অভ্যাস পাল্টাতে পারবেন না। এর জন্য দরকার হবে প্রচুর ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি। শিশুকে চোখে চোখে রাখুন। শিশুকে বোঝান যে, আজ আর বুড়ো আঙুলের নখ কামড়াবে না। তারপর যখন এটা অভ্যাস হয়ে যাবে তখন তর্জনী, তারপর মধ্যমা, এভাবে চেষ্টা করলে আশা করা যায় শিশুর এই অভ্যাস দূর হবে।

 / কলি