ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

পর্দা নামলো আর্কা ফ্যাশন উইকের

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
পর্দা নামলো আর্কা ফ্যাশন উইকের
আর্কা ফ্যাশন উইকের সমাপনী দিনে ফ্যাশন শো’তে গ্রীষ্মের ডিজাইনকৃত পোশাকে র‌্যাম্পে মডেলরা। ছবি আদিব আহমেদ

রাজধানীর আলোকি কনভেনশনের প্রাঙ্গণ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ছিল মিলেনিয়াল, জেন জি ও জেন আলফা—ফ্যাশনপ্রেমী নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত। সমাপনী দিনেও জমজমাট ছিল আয়োজনের মার্কেটপ্লেস, ডিজাইন ল্যাব ও ফুড জোন।

দর্শনার্থীদের মধ্যে থেকে আগ্রহীদের নিয়ে প্রথম দিন থেকেই মার্কেটপ্লেসের বাইরের আলো ঝলমলে ওয়াকওয়েতে করা হচ্ছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। মাঘের হিমেল সন্ধ্যায় গতকালের ফ্ল্যাশ রানওয়ে ছিল বেশ উপেভাগ্য। চারটি থিমে ভাগ করা চার দিনের আর্কা ফ্যাশন উইকের চতুর্থ দিনের থিম ‘সাসটেইনেবিলিটি’। থিমের সঙ্গে মিল রেখে গতকালও দর্শনার্থীদের পোশাকে দেখা গেছে ভিন্নতা।

আর্কা ফ্যাশন উইকের সমাপনী দিনের রানওয়েতে ঢং, তাসা, উড়ুক্কু বাংলাদেশ, ফ্রেন্ডশিপ-কালার অব চরস, গ্রীষ্ম বাই সৌহার্দ্য, ব্লিস ক্লদিং, তান, অরণ্য ও কুহু- ওয়্যারেবল আর্ট তাদের সাসটেইনেবল কালেকশন প্রদর্শনী করে। ৪টি স্লটে মোট ৯টি শো হয়।

আর্কা ফ্যাশন উইকের সমাপনী দিনে ফ্যাশন শো’তে ব্লিস ক্লদিংয়ের ডিজাইনকৃত পোশাকে র‌্যাম্পে হাঁটছেন মডেলরা। ছবি আদিব আহমেদ

প্রথম স্লটে অংশগ্রহণ করে ঢং। এথনিক আমেজের নবাবিয়ানা দেখা গিয়েছে তাদের কালেকশনে। পপিং কালার প্যালেটের শর্ট প্যান্ট ও প্রিন্স কোটের ফিউশন স্টাইল স্যুট, লং কোট, প্রিন্স কোট, সুফি আমেজের আর ওমর খৈয়াম স্টাইল লং কোট ছিল এই কালেকশনে।

পরের শোতে তাসা প্রদর্শন করে তাদের সিগনেচার বোহো কালেকশন। শাড়ি, কাফতান, টপ্স, হাফপ্যান্ট, প্যান্ট, স্কার্ট, সি থ্রু শার্ট, চটের হুডেড গাউন, শার্ট ও প্যান্ট ছিল। সুতি, বেনারসি, ডেনিমের উপর কড়ি, ফ্রিল ও পমপম নজর কেড়েছে পোশাকগুলোতে।

রিসাইকেল ও আপসাইকেল কালেকশন নিয়ে দ্বিতীয় স্লটের প্রথম শো করে উড়ুক্কু বাংলাদেশ। কাফতান, শ্রাগ, হারেম প্যান্ট, স্লিটেড স্কার্ট, স্ট্রেপলেস টপ, জাম্পস্যুট, জ্যাকেট, ওয়াইড লেগ প্যান্টও প্লাস সাইজ ড্রেস ছিল এই কালেকশনে। ‘শ্রমিকের সম্মান দেশের সম্মান’, ‘আমাদের ভূমিকা নিয়ে ভাবি’, ‘যাপন হোক পরিবেশবান্ধব’- শোতে এই বার্তাগুলো উপস্থাপন করেছে উড়ুক্কু। প্যাচ ও কাঁথাসেলাই দিয়ে নকশা করা ছিল তাদের পোশাক।

দ্বিতীয় শোতে ছিলো ফ্রেন্ডশিপ, যারা প্রাকৃতিক রঙ নিয়ে কাজ করে। শাড়ি, থ্রিপিস, কো-অর্ড সেট, কাফতান, শ্রাগ, মিনিড্রেস, শার্ট, ফতুয়া ও টপ ছিল এই কালেকশনে। সুতি, মসলিন, সিল্ক ও খাদি ফেব্রিকে তৈরি করা হয়েছে এই পোশাকগুলো।

তৃতীয় স্লটে ফিউশন ও নিরীক্ষাধর্মী ওয়েস্টার্ন কালেকশন নিয়ে অংশগ্রহণ করে গ্রীষ্ম বাই সৌহার্দ্য। কাট ও প্যাটার্নে ছিল বৈচিত্র্য। ধুতি, মিনি ড্রেস, শার্ট, প্লিটেড বটম, টপ, মিনি স্কার্টে সাজানো এই সংগ্রহ। সাদা, কালো ও বেগুনি রঙ প্রাধান্য পেয়েছে তাদের কালেকশনে। ফারদিন বায়েজিদের ব্লিস ছিল সাসটেইনেবল কালেকশন নিয়ে পরের শোতে।

চতুর্থ স্লটের শো শুরু হয় তানের পরিবেশনা দিয়ে৷ শুরুতেই সকলকে চমকে দিয়ে শোস্টপার হিসেবে র‍্যাম্প মাতান জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। স্কার্ট, কাট আউট স্ট্রেপলেস টপ, ওয়াইড লেগ প্যান্ট, স্যুট ছিল এই কালেকশনে। অ্যাপলিকে ও ডিজিটাল প্রিন্টে নকশা করা হয়েছে পোশাকগুলো।   

অরণ্য শো করে ক্যাজুয়াল ও ফিউশনওয়্যারের কালেকশন নিয়ে। বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ও প্যাটার্নের স্কার্ট, শ্রাগ, স্ট্রেপলেস টপ, বোম্বার্ড, কার্গো প্যান্ট, লং কোট, হারেম প্যান্ট, অ্যাসেমিট্রিক টপ দেখা যায় এই সংগ্রহে। সবগুলো পোশাকই মিনিমাল কিন্তু ট্রেন্ডি। পোশাকগুলোর সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে লেইস ও কাঁথাসেলাই। নওশিন খায়ের-এর এই পুরো সংগ্রহটিতে ইন্ডিগোর ব্যবহার হয়েছে সবচেয়ে বেশি।  

আর্কা ফ্যাশন উইকের পর্দা নামে কুহুর রানওয়ের মাধ্যমে। ইউনি সেক্স পোশাকে সাজানো এই কালেকশন। ডিজাইনার কুহুর অনুপ্রেরণা মোগল আর্ট। ফেলে দেওয়া কাপড়ের টুকরোও কাজে লাগায় তারা৷ শাড়ি,পাঞ্জাবি, বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ও শ্রাগ, কামিজ, শর্ট টপ,  কাউল নেকের ফিউশনধর্মী কাফতানে সাজানো এই কালেকশন। কাটের বৈচিত্র্য নজরকেড়েছে সবার।

ফ্যাশন উইকের সমাপনী দিনেও যথারীতি ছিল মাস্টারক্লাস। আর গতকালের সঙ্গীতায়োজনে অংশ নেয় ইন্ডেলো ও দ্য ড্রেসট্রয়ার। তাদের গানগুলোর পরিবেশনায় দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন।

হাসান

সানাম তেরি কাসাম মুভির অভিনেত্রী মাবরার বিয়ের লুক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
সানাম তেরি কাসাম মুভির অভিনেত্রী মাবরার বিয়ের লুক
মাবরা হোসেন ও তার বর আমির জিলানি। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাবরা হোসেন। বর আরেক পাকিস্তানি মডেল-অভিনেতা আমির জিলানি। ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরের এক দুর্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ২০১৬ সালে বলিউডের সিনেমা ‘সানাম তেরি কাসাম’–এ অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। তার বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডে রয়েছে। নিকাহ থেকে ওয়ালিমা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে মাবরাকে বিভিন্ন লুকে দেখা গেছে। লিখেছেন শাহিনুর আলম কলি 

 

নিকাহতে মাওরার পরেছিলেন প্যাস্টেল নীল রঙের ভারী এমব্রয়ডারি, জারদৌসি ও চুমকির কাজের লেহেঙ্গা। রানো'স হেয়ারলুমস থেকে লেহেঙ্গাটি বেছে নিয়েছিলেন। লেহেঙ্গাটি নিচে বেগুনি এবং গাঢ় গোলাপী রঙের পাটি দেওয়াতে পোশাকে সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলেছিল। এছাড়া জরি এবং গোটার কাজগুলো গোলাপি ফুলের সূচিকর্ম দিয়ে হাইলাইট করা হয়েছিল। মাবরা লেহেঙ্গার সঙ্গে সূক্ষ্ম গোটার কাজের হালকা সবুজ দোপাট্টা বেছে নিয়ে ছিলেন। দোপাট্টা ছিল তার শাশুড়ির, অর্থাৎ আমিরের মায়ের। গয়না হিসেবে একটি বিশাল মাথাপাটি, আংটি ,স্টেটমেন্ট চোকার, সিতাহার এবং ম্যাচিং কানের দুল বেছে নিয়েছিলেন। তার গয়নাগুলো ছিল অর্ধ শতাব্দীরও বেশি পুরনো যা তার বর আমিরের দাদীর ছিল। মেকআপটি সহজ রেখেছিলেন এবং হালকা বেস দিয়ে ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো, গোলাপী লিপস্টিক, মাস্কারায় সেজেছিলেন।

যাতেই তাকে রূপকথার উপন্যাসের রাজকন্যার মতো দেখাচ্ছিল। বরের পরনে ছিলেন গাঢ় সবুজ রঙের কুর্তা, পায়জামা ও ওড়না। সামা টিভির প্রতিবেদন অনুসারে, এই পোশাকটির দাম ছিল ১.৯৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, অর্থাৎ ১৯.৫ লক্ষ টাকা।

 

বিয়ের অনুষ্ঠানের মাবরা হোসেন হালকা লাল রঙের সোনালি সূচিকর্মে সজ্জিত লেহেঙ্গা বেছে নিয়েছিলেন। লম্বা ব্লাউজ এবং ম্যাচিং দোপাট্টা যা তার বিবাহের উদযাপনে রাজকীয় সৌন্দর্যের ছোঁয়া যোগ করেছিল। পোশাককে ঐতিহ্যবাহী সোনার গয়না এবং মেকআপ দিয়ে সাজিয়েছিলেন যাতে সামগ্রিক পোশাকটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। 

ওয়ালিমার জন্য জাহা কৌচারের একটি জমকালো ডাস্ট ব্লু–রঙা লেহেঙ্গা পরেছিলেন। জাহা কাউচারের তৈরি এই লেহেঙ্গায় তাকে অসাধারণ লেগেছে। লেহেঙ্গাটি তে ফুলের নকশার জটিল কাজ করা হয়েছিল এবং রূপালী-ক্রোম অ্যাকসেন্ট দিয়ে সজ্জিত ছিল। লেহেঙ্গাটির সঙ্গে মিলিয়ে জরি নেটের দোপাট্টার পরেছিলেন। দোপাট্টার চারপাশে মুক্তা খচিত নকশা থাকায় আরো ভালো লেগেছিল। এইদিন তিনি মেকআপের উজ্জ্বল ছোঁয়া বেছে নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ছিল নরম গোলাপী আইশ্যাডো, লাল গাল এবং নরম লিপস্টিক। বাঁধা চুলের স্টাইল, হীরা খচিত টিকলি এবং নীল পাথরের ডাবল-লেয়ারড মসৃণ হীরার নেকপিসর সাথে তাকে অপরূপ দেখাচ্ছিল।বর তার সঙ্গে ম্যাচিং করে শেরওয়ানি পরেছিলেন।

কলি  

 

ভ্যালেন্টাইন উদযাপন করুন দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায়

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
ভ্যালেন্টাইন উদযাপন করুন দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায়
ছবি: দ্য ওয়েস্টিন

ভালোবাসায় সঙ্গে থাকতে এবং অন্যরকম ভাবে দিনটিকে রাঙিয়ে তুলতে পাঁচ তারকা হোটেলে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা সেজেছে ভালোবাসার সাজে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে সকল প্রেমিক যুগলদের জন্য প্রেমময় সাজসজ্জা এবং ভোজনবিলাসের এক মুগ্ধকর বুফে লাঞ্চ ও ডিনারের আয়োজন করছে। শহরের সেরা রেস্টুরেন্টগুলোর থিমযুক্ত মেনুর মাধ্যমে অতিথিদের ভালোবাসা উদযাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা আপনার ভালোবাসা, বিলাসিতা ও একত্রতার নিখুঁত স্থান হিসেবে আপনিও বেছে নিতে পারেন।


 

ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় যেসব আয়োজন থাকবে-

ভালোবাসার স্বাদ বুফে স্পেশাল
আগামী ১৩, ১৪ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই বুফেতে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নানা পদ থাকবে, যার মধ্যে ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল কার্ভিং স্টেশন, লাইভ কাউন্টার, সুসি সিলেকশন, গ্রিল স্টেশন এবং হৃদয় আকৃতির ডেজার্ট রয়েছে। এছাড়াও আনন্দ আরও বাড়াতে নির্বাচিত ব্যাংক পার্টনারদের সাথে একটা কিনলে একটা ফ্রি ও একটা কিনলে দুইটা ফ্রি অফার। লাঞ্চে প্রতিজনের খরচ পরবে ৬,৯৯০ টাকা  এবং ডিনারের জন্য প্রতিজনের জন্য  ১০,৯৯০ টাকা। 

ডেইলি ট্রিটস – মিষ্টি স্বাদ
মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য ডেইলি ট্রিটস (লোয়ার লবিতে অবস্থিত) ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল বেকারি ও পেস্ট্রি আইটেম নিয়ে হাজির। অতিথিরা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০% ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স – পুলসাইড বারবিকিউ ডিনার
খোলা আকাশের নিচে উপভোগ করতে চাইলে লেভেল ৫ এ স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স-এ থাকছে পুলসাইড বারবিকিউ বুফে ডিনার। প্রতিজনের জন্য খরচ পরবে ৬,০০০ টাকা। রোমান্টিক পরিবেশে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

প্রেগো –একটি রোমান্টিক সন্ধ্যা
ব্যক্তিগত এবং রোমান্টিক অভিজ্ঞতার জন্য লেভেল ২৩ এ অবস্থিত প্রেগো রেস্টুরেন্ট উপস্থাপন করছে ৭-কোর্স সেট ডিনার। প্রতি   কাপলেদের ১৫,৯৯০ টাকা। প্রেগো-এর বিশেষ ইতালিয়ান খাবার ও শহরের অপরূপ দৃশ্য ভ্যালেন্টাইন সন্ধ্যাকে স্মরণীয় করে তুলবে।

 কলি

শিশুর দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩১ পিএম
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
শিশুর দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস দূর করতে যা করবেন
মডেল: আনজিক, ছবি: আদিব আহমেদ

শিশুদের একটি বদভ্যাস হলো দাঁত দিয়ে নখ কাটা। সাধারণত শিশুরা শৈশবে ক্ষুধার্ত হলে আঙুল মুখে দেয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অভ্যাস রয়ে যায়। এভাবে শিশুর যেকোনো স্ট্রেস বা অস্বস্তি হলেই শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটে। আবার নখ বড় থাকলে স্কুলে বা বন্ধু মহলে গিয়ে বিতর্কের ভয়ে নখ দাঁত দিয়ে কেটে থাকে। 

নখ কামড়ানোর পেছনে কারণ 
নখ কামড়ানোর অভ্যাস কিছু অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অস্থায়ী নখ কামড়ানো খুব একটি সমস্যার সৃষ্টি করে না কিন্তু এটা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায় তবে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। অবিরত দাঁত দিয়ে নখ কাটা নখের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এতে নখের পার্শ্ববর্তী চামড়াগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়। এ ছাড়া ইমোশনাল বা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিরক্তি, ক্ষুধা, নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কামড়িয়ে থাকে। 

নখ কামড়ানোর পেছনে মূল কারণ খুঁজে বের করুন
শিশু কখন দাঁত দিয়ে নখ কামড়ায়? যখন বোরিং ফিল করে? যখন বিরক্ত থাকে? নাকি যখন অন্যমনস্ক হয়ে কিছু ভাবে? অথবা যখন উদ্বিগ্ন থাকেন তখন? উপরোক্ত কারণগুলোর যেকোনো একটি বা দুটির প্রভাবে নখ কামড়ানো শুরু করে। তাই এই বদভ্যাসটি দূর করার জন্য আপনি আসলে নখ কামড়ানোর পেছনে আসল ট্রিগারটি খুঁজে বের করে তার প্রতিকার করুন তাহলে এই বাজে অভ্যাসটি দূর করতে তেমন কোনো কষ্ট হবে না।

নখ কেটে ছোট রাখুন 
শিশুর নখ সুন্দর শেপে কেটে রাখুন। নখ বড় না থাকলে শিশু হয়তো দাঁত দিয়ে নখ কাটবে না। অনেক সময় লম্বা নখ শিশুদের নিজস্ব কাজকর্ম করতে অস্বস্তিতে ফেলে তাই শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটে। নখ কেটে ছোট করে রাখলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন: শিশুদের গুড টাচ, ব্যাড টাচ শেখাবেন যেভাবে

ম্যানিকিউর করানো
শিশুর হাত ও নখের যত্ন হিসেবে ম্যানিকিউর করে দিতে পারেন। এতে দীর্ঘ সময় শিশু মুখে হাত দেওয়ার সুযোগ পাবে না। আবার নখ ও হাত সুন্দর দেখা গেলে দাঁত দিয়ে নখ কেটে নখ নষ্ট করতে ইচ্ছা হবে না।

খেলার ছলে বদভ্যাস দূর হবে
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস ছাড়ানো খুব মুশকিলের। সন্তানকে বারবার বারণ করলেও সে হয়তো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই মুখে হাত দিয়েই ফেলে। তবে বাবা-মা হিসেবে আপনার একটি কোড ঠিক করুন। অর্থাৎ সে যেই না মুখে হাত দিতে যাবে তখনই তাকে স্ট্যাচু করে দিন। তারপর হাত দিয়ে কাঁধ ছোঁয়া বা অন্য কিছু ছোঁয়ার টাস্ক দিয়ে দিন। এভাবে মজার ছলেই কিন্তু এই বদভ্যাস ছাড়ানো যাবে। অন্ততপক্ষে সন্তান যতক্ষণ আপনার চোখের সামনে থাকবে ততক্ষণ তো এই ফর্মুলা কাজে লাগাতেই পারেন। 

বিকল্প তুলে দিন হাতে
স্ট্রেস, উদ্বেগ থেকেও তো শিশুরা দাঁত দিয়ে নখ কাটে। তবে এই উদ্বেগ কমানোর অন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প তুলে দিন সন্তানের হাতে। রাবার বা স্পঞ্জের বল এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এসব জিনিস দিয়ে স্ট্রেস কমানোর উপায় অভ্যাস করান সন্তানকে। দেখবেন এভাবেই ধীরে ধীরে দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদভ্যাস দূর হয়ে গেছে। 

পুরস্কার দিতে হবে
শিশুরা পুরস্কার, উপহার পেতে ভালোবাসে। তাহলে এই কৌশল দিয়েই বাজিমাত করতে পারেন। এবার থেকে দাঁত দিয়ে নখ না কাটার জন্য পুরস্কৃত করুন। পুরস্কারের লোভে সে ওই বদভ্যাস দ্রুত ছাড়তে পারবে। 

হাতে গ্লাভস বা নখে স্টিকার ব্যবহার করুন
এটা শুনতে একটু অদ্ভুত শোনালেও পদ্ধতিটা কিন্তু বেশ কার্যকরী। শীতের সময় গ্লাভস পড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এতে শিশু দাঁত দিয়ে নখ কাটতে পারবে না এবং শীতের তিন মাসে বদভ্যাস অনেক কমে আসে। গরমকালের জন্য হাতে স্টিকার লাগালে স্টিকার নষ্ট হওয়ার ভয়ে শিশু দাঁতে নখ কাটবে না। এভাবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা কম হয়ে আসবে। 

ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন
চাইলেই শিশুর রাতারাতি নখ কামড়ানোর অভ্যাস পাল্টাতে পারবেন না। এর জন্য দরকার হবে প্রচুর ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি। শিশুকে চোখে চোখে রাখুন। শিশুকে বোঝান যে, আজ আর বুড়ো আঙুলের নখ কামড়াবে না। তারপর যখন এটা অভ্যাস হয়ে যাবে তখন তর্জনী, তারপর মধ্যমা, এভাবে চেষ্টা করলে আশা করা যায় শিশুর এই অভ্যাস দূর হবে।

 / কলি

নানা স্বাদে হালুয়া

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
নানা স্বাদে হালুয়া
ছবি: আনিসা আক্তার নূপুর

শবে বরাতে রুটির সঙ্গে হালুয়ার আয়োজন থাকে অনেক বাড়িতেই। একই হালুয়ার স্বাদ বদলে যায় রান্নার গুণে। নতুন স্বাদ আর গন্ধে ভরা নানারকম হালুয়ার রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আনিসা আক্তার নূপুর

আলুর হালুয়া  

উপকরণ 
আলু ২৫০ গ্রাম, লিকুইড দুধ আধা কেজি, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ঘি আধা কাপ, মাওয়া ১০০ গ্রাম, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, জাফরান সামান্য পরিমাণ, ফুড কালার ৩ ফোঁটা, কিশমিশ কাঠবাদাম কাজুবাদাম প্রয়োজনমতো ৷ 

প্রণালি
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে ম্যাশ করে নিতে হবে ৷ কড়াইয়ে ঘি গরম করে নিয়ে ম্যাশ করে রাখা আলুর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে কড়াইতে ঢেলে দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে৷ তার পর চিনি, গুঁড়া দুধ দিয়ে মিক্স করে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। শুকিয়ে এলে নামিয়ে বড় থালার মধ্যে হালুয়া ঢেলে নিতে হবে। ঘির মধ্যে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে হালুয়ার উপরে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

পিনাট বরফি 

উপকরণ
চীনাবাদাম ২০০ গ্রাম, লিকুইড দুধ আধা কেজি, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ঘি ৩ টেবিল-চামচ, চিনি ১০০ গ্রাম (চিনিটা প্রয়োজনে বাড়ানো যাবে), এলাচ গুঁড়া আধা চা-চামচ৷

প্রণালি
প্রথমে বাদাম হালকা টেলে নিয়ে বাদামের খোসাটা পরিষ্কার করে গরম দুধের মধ্যে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে ৷ তার পর ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে ৷ কড়াইয়ে ঘি গরম করে বাদামের মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে এবং কম আঁচে রেখে নাড়তে হবে। তার পর চিনি-দুধ মিশিয়ে এলাচ গুঁড়া দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে৷ হালুয়া থেকে ঘি বের হয়ে এলে নামিয়ে বড় থালায় দিয়ে চেপে বরফির মতো কেটে পরিবেশন করতে হবে।

ছোলার ডালের হালুয়া/বুটের হালুয়া

উপকরণ 
ছোলার ডাল আধা কেজি, লিকুইড দুধ ১ কেজি, চিনি ৭০০ গ্রাম, দারুচিনি এলাচ ৪ থেকে ৫ টুকরা, ঘি আধা কাপ, জাফরান সামান্য পরিমাণ, পেস্তা বাদাম কিশমিশ প্রয়োজনমতো ৷

প্রণালি 
ছোলার ডাল ধুয়ে পরিষ্কার করে দুধের মধ্যে সিদ্ধ করে নিতে হবে ৷ ভালো করে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা হলে মিহি করে বেটে নিতে হবে ৷ চুলায় কড়াই গরম করে বেটে রাখা ডাল, চিনি, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে নাড়াতে হবে৷ চুলার আঁচ মিডিয়াম রেখে ভালো করে মেশাতে হবে। তার পর জাফরান দিয়ে নেড়েচেড়ে প্রয়োজনে একটু ঘি দেওয়া যেতে পারে। হালুয়া কষাতে কষাতে শুকিয়ে আসার পর কড়াই থেকে তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এর পর বড় একটি প্লেটে ঢেলে নিয়ে হাত দিয়ে চেপে চেপে সমান করে বাদাম ও কিশমিশ ছড়িয়ে বরফি করে কেটে পরিবেশন করতে হবে।

 কলি

 

সাজবে রঙিন চুড়িতে

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
সাজবে রঙিন চুড়িতে
মডেল: লিসা, মেকআপ ‍: ব্রাশ আপ উইথ স্নিগ্ধা, ছবি: আদিব আহমেদ।

পোশাকে বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে চুড়ির বিকল্প নেই। চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ জানান দেয় আনন্দ-উৎসবের বার্তা। দুই হাত ভরে চুড়ি পরলে সাদামাটা সাজ হয়ে ওঠে অসাধারণ। ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নানান ঢঙে বিভিন্ন নকশার চুড়ি পরছেন। চুড়ি সাজে নিয়ে আসে দেশীয় আমেজ। সারা বছরই রাজধানীর শপিংমল কিংবা ফুটপাতে চুড়ির পসরা দেখা যায়। ফাল্গুনে চুড়ি ছাড়া সাজে পরিপূর্ণ হয় না। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যে চুড়ির এক বিশেষ স্থান রয়েছে। 

নানা রঙের চুড়ি
সাধারণত পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ির রং বেছে নেওয়া হয়। পোশাকের রঙের বিপরীত রঙের চুড়িও পারেন কেউ কেউ। লাল, সবুজ, টিয়া, নীল, হলুদ, কমলা, খয়েরি, কালোসহ বিভিন্ন রঙের চুড়ি সঙ্গে শেডের চুড়িও পরেন অনেকে। হলুদ-লাল-কমলা-সবুজ-টিয়া রঙের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ফাল্গুনের চিরন্তন রূপ। এর বাইরেও এখন ফাল্গুনের রঙিন সাজে রয়েছে নানা রং। দুটি লাল চুড়ির পর তিনটি হলুদ চুড়ি, এরপর একটি টিয়া রঙের চুড়ি পরে রংধনু রঙে রাঙিয়ে নিতে পারেন আপনার হাত। এ ছাড়া পরতে পারেন একরঙের রেশমি চুড়ি।

ভিন্ন ধরনের চুড়ি
কাচের চুড়ির পাশাপাশি সমানভাবে জায়গা করে নিয়েছে চৌকো, ত্রিকোণ, ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিক ও মেটাল চুড়ি। মাটি, সুতা, চামড়া, ব্যাকেলাইট, রবার, কাঠ, মাটি, বিডস, পুঁতি, সিটি গোল্ডসহ নানা ধরনের চুড়ির ব্যবহার বাড়ছে। এগুলো চুড়ির বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিয়েছে। চাইলে এমন চুড়ি কিনতে পারেন। কিছু চুড়িতে এখন মখমলের কাপড়ও  ব্যবহার হয়। ফাল্গুনের সাজের সঙ্গে সুতা জড়ানো চুড়ি বেশ যায়। ধাতব উপকরণে তৈরি রংবেরঙের চিকন চুড়িও পছন্দ করেন অনেকে। ধাতব চুড়ির ওপর সুতা প্যাঁচিয়ে, চুমকি আর পুঁতি বসানো চুড়ি পরে সাজে আনতে পারেন ভিন্নতা। ভেলভেট জাতীয় কাপড় বসানো নকশা করা কাচের চুড়িগুলোও দেখতে সুন্দর। অনেকে পলা বা কাচবালা বেছে নেন। এ ছাড়া পুরোনো নকশার একরঙা সাদামাটা কাচের চুড়ির পাশাপাশি খাঁজকাটা, চুমকি ও পাথর বসানো, রাজস্থানি, কাশ্মীরিসহ নানা নকশার কাচের চুড়ি পরলে সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়।

আধুনিক ফ্যাশনে চুড়ির ব্যবহার নতুন মাত্রা পেয়েছে

কাচ, কড়ি, কাঠ, পুঁতি
প্লাস্টিকের ওপর রাজশাহী সিল্ক, ডেনিম, একরঙা সুতি ভয়েল কাপড়, গামছার কাপড় নানা বৈচিত্র্যময় কাপড়ের ব্যবহার করে চুড়ি তৈরি হচ্ছে। সেই চুড়ির ওপর কড়ি, কাঠের পুঁতি বা সিড বিডসের মতো নানা উপকরণও ব্যবহার করে নানা নকশা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কাঠের চুড়ির ওপর ফুলের নকশা আঁকা চুড়ি পরা যায়।

আধুনিক ফ্যাশনে চুড়ির ব্যবহার
চুড়ি পরার কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। আধুনিক ফ্যাশনে চুড়ির ব্যবহার নতুন মাত্রা পেয়েছে। কাচের চুড়ি প্রচলিত থাকলেও এখন ব্রাস, মেটাল এবং পলিশ চুড়িরও বেশ কদর রয়েছে। বড় সাইজের চুড়ি বা স্ট্যাকিং ব্যাঙ্গলস ট্রেন্ডে রয়েছে। দেশীয় পোশাকের সঙ্গে এক হাত ভরে চুড়ি পরলে অন্য হাতে একটি মোটা বালা পরা চলে অথবা দুই হাতে চুড়ি পরলে কিছুটা ফাঁকা রেখে পরলে ভালো লাগে। চুড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কাঠের বা অক্সিডাইজড ধাতুর মোটা বালাও পরছেন অনেকে। আবার কাচের চুড়ির মধ্যে একটু মোটা ধরনের চুড়ি অল্প কয়েকটা এক হাতে ব্রেসলেটের মতো করে পরলেও ভালো লাগে। চুমকি বসানো বা জমকালো নকশার চুড়িগুলোর সঙ্গে মাঝে পাথর বসানো মোটা চুড়ি দেখতে ভালো লাগে। এছাড়া ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সঙ্গে মোটা কাঠের চুড়ি কিংবা মেটাল ব্রেসলেট বেশ মানানসই। ফিউশন ফ্যাশনে হাতে বড় দু-একটি চুড়ি সহজে মানিয়ে যায়।

কোথায় পাবেন
ঢাকার চকবাজার, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচকে চুড়ির বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এমন কোনো চুড়ি নেই, যা এখানে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ঢাকার মৌচাক, আনারকলি, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটিসহ অন্য মার্কেটগুলো থেকেও চুড়ি কিনতে পারেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এবং ঢাকার বেইলি রোডের ফুটপাতেও সাধারণত চুড়ি বিক্রেতারা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেন। চাইলে এসব স্থান থেকে নিজের পছন্দসই চুড়ি কিনতে পারেন।

 কলি