
আসছে ভালোবাসা দিবস। এই দিবসে নিজেকে পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে সবকিছুতেই একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা থাকে। বেশির ভাগ তরুণী নিজেকে সাজাতে চায় নানা ডিজাইনের পোশাকে। অনেকে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, টপস, শার্ট-প্যান্ট অথবা ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে থাকেন। আমাদের দেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ভালোবাসা দিবসে নানা ডিজাইনের পোশাক নিয়ে আসে।
যা পরবেন
ভালোবাসা দিবসে সারা দিন ঘোরাঘুরির জন্য জিন্সের সঙ্গে লাল টপস কিংবা কামিজ পরতে পারেন। এ ছাড়া আরামদায়ক কুর্তা, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট পরতে পারেন। সাদা বা হালকা রঙের কোনো টপসের ওপর লাল স্কার্ফ জড়িয়ে নিতে পারেন দেখতে ভালো লাগবে। পাতলা নকশার হাতাওয়ালা কিংবা হাতাবিহীন সোয়েটারও নিতে পারেন। সেটা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন। ছেলেরা জিন্স-ফতুয়া বা টি-শার্ট পরতে পারেন। সন্ধ্যায় রোমান্টিক ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে গেলে শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে বাহারি ব্লাউজ পরে সাজে আনতে পারেন বৈচিত্র্য। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হিল বা ফ্ল্যাট জুতা বাছাই করতে পারেন। অবশ্যই যেটা পরলে এবং যেভাবে সাজলে সুন্দর ও কমফোর্ট লাগবে সেটাই বেছে নিন।

পোশাকের রং
ভালোবাসা দিবসের পোশাকে লাল রঙের প্রাধান্য থাকে। লালকে কেন্দ্র করে থাকে বাকি রংগুলোর আনাগোনা। নীল, পেস্ট, সোনালি, নেভি ব্লু ও আকাশি রংকে গুরুত্ব দিয়েও পোশাক তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাসন্তি, গোলাপি, সাদা, ম্যাজেন্টা, কমলার মতো ভাইব্রেন্ট রং-পোশাক ও ডিজাইন করা হয়েছে। ভালোবাসা দিনটিকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য গাঢ় জলপাই, মেরুন, কালো জমকালো রঙের পোশাক ডিজাইনের পোশাক পরতে পারেন।
নকশা ও মোটিফ
পোশাকের মোটিফ ও নকশায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য। সুতি কাপড়ে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, সিকোয়েন্সের মিশেলে ফ্লোরাল ও ঐতিহ্যবাহী আল্পনার মোটিফে তৈরি হয়েছে। প্রতিটি পোশাকে উজ্জ্বল রং প্রাধান্য পেয়েছে। মেয়েদের শাড়ি, কুর্তি, টপস, সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি ছেলেদের টি-শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবিতে ব্লক, স্প্রে-ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, বাটিকসহ কারচুপি, হ্যান্ডিক্র্যাফট, টাই ডাই, অ্যাপ্লিক ও মেশিন এম্ব্রয়ডারির কাজ করে ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিটের প্লেসমেন্ট প্রিন্ট ও ইউনিক ফুলেল মোটিফ প্রাধান্য পেয়েছে।
কাটছাঁটে নতুনত্ব
সালোয়ার-কামিজের পাশাপাশি কুর্তি, টপে করা হয়েছে নিরীক্ষাধর্মী কাজ। উঁচু-নিচু কাটের পাশাপাশি পোশাকে দেখা যাবে ফোলানো ভাব। নিচের অংশে বর্ডার লাইনে চিকন নকশায় থাকছে নানা সুতার কাজ। কুর্তিতে রয়েছে ভিন্নধর্মী কাটছাঁট, যা মিলিয়ে পরতে পারবেন লেগিংস, প্যান্ট কিংবা পালাজ্জো দিয়ে। হাতায় ফ্রিল নকশা, কোনো কোনোটি আবার সোজা কাট। প্রিন্টে রয়েছে ফুলেল নকশা। সালোয়ার-কামিজ আর কুর্তার প্যাটার্নে থাকছে লং এবং গাউন স্টাইল, কিছু কাটিংয়ে রয়েছে ঘের এবং বডি ফিটিংস। পোশাকে বিভিন্ন প্যাটার্ন ও জ্যামিতিক নকশা চোখে পড়ে। নকশাবিহীন একরঙা পাঞ্জাবি বা ফতুয়াও পছন্দ করেন।
কাপড়ের বৈচিত্র্যতা
পরতে আরাম এমন পোশাকই আজকের তরুণ-তরুণীর প্রথম পছন্দ। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ আরামদায়ক সুতি, খাদি, লিনেন ও হাফসিল্ক কাপড়ে পোশাকের নকশা ফুটিয়ে তুলেছে বাহারি ডিজাইনের মাধ্যমে।
পশ্চিমা ধাঁচে
দেশীয় নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাশ্চাত্য কাটিংয়ের মিশ্রণেও তৈরি হয়েছে পশ্চিমা ধাঁচে ভিন্নধর্মী পোশাক। ফিউশনে সাজাতে চান এখন। তাই সব ফ্যাশন হাউজ ফিউশনধর্মী পোশাক ডিজাইন করেন। শার্টগুলো এমনভাবে নকশা করা হয়, যা দুজনই পরতে পারেন। শার্টগুলোর রং নকশা এক হলেও, প্যাটার্নে থাকছে কিছুটা ভিন্নতা।
যুগল পোশাক
সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি সবকিছুতেই রয়েছে ফেব্রিকস, ডিজাইন বা মোটিফের যুগল উপস্থাপনা। ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে যুগল পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। অধিকাংশ পোশাকই নকশায় বিভিন্ন কাটিংয়ের আধিপত্য। বর্তমানে যুগলদের কথা ভেবেই ডিজাইনাররা পোশাক তৈরি করছেন। কাপলদের জন্য যে পোশাক করা হয়েছে, সেগুলো কিন্তু হুবহু এক নয়। নকশায় কিংবা রঙের মিল রাখা হয়।
কোথায় পাবেন
দেশীয় ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স, সারা লাইফস্টাইল, বিশ্বরঙ, সৃষ্টি, নিপুণ, নিত্য-উপহার, পাবেন ভালোবাসা দিবসের নানা ধরনের পোশাক। নন-ব্র্যান্ডের পোশাক পাবেন অভিজাত সুপার মলের পোশাকের দোকানগুলোতে। এ ছাড়াও আজিজ সুপার মার্কেটে বেশকিছু দোকানেও পাবেন এই স্পেশাল দিনের নানা রঙের পোশাক। অনলাইন শপগুলো থেকেও ভালোবাসা দিবসের পোশাক কিনতে পারবেন।
কলি