
ভালোবাসা দিবসে ঘর সুন্দর করে সাজাতে পারেন। দেয়ালের রং থেকে শুরু করে আসবাবপত্র, সবকিছুতেই থাকবে ভালোবাসার ছোঁয়া। সুন্দর করে ঘর সাজালে আপনার মনে উৎসবের ছোঁয়া এনে দেবে। লাল এবং গোলাপি রঙের মোমবাতি, ফুলদানি, লাল কুশন কাভার, বেলুন এবং ফুল দিয়ে ঘরের লুক বদলে দিতে পারেন।
পরিষ্কার করে নিতে হবে
ঘর সাজানোর আগে নিজের অগোছালো ঘরটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। টেবিলে এলোমেলো কাগজ, ল্যাপটপের ওপর ধুলার স্তর, ড্রেসিং টেবিল উল্টেপাল্টে থাকা কসমেটিক্স সবই পরিষ্কার করে নিতে হবে।
বিছানা চাদর-বালিশ
ঘরের সৌন্দর্য বাড়বে সাধারণত বিছানার চাদরে। ঘর কেমন দেখতে লাগছে তার অনেকটাই নির্ভর করে বিছানার চাদরের রঙের ওপরেও। পুরোনো চাদর বদলে লাল-সাদা রঙের চাদর বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে রঙ মিলিয়ে বালিশের কাভার অথবা একরঙা লাল বালিশের কাভারও ব্যবহার করতে পারেন। চাদর-বালিশের কাভার কেনার বাজেট না থাকলে ছোট দুটি কুশন কিনে আনতে পারবেন। চাদর হিসেবে বাটিক, টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্টের চাদর বা নকশিকাঁথা ব্যবহার করতে পারেন। ভালোবাসা দিবসে লাভ আকৃতির কিংবা ছোট ছোট গোলাপ ফুলের হ্যান্ডপেইন্ট করা চাদর বিছানায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া সাদা, হালকা গোলাপি বা হলুদ রঙ বেছে নিতে পারেন।
নিজ হাতের তৈরি করতে পারেন
নিজের হাতে কাগজ বা কাপড় দিয়ে সুন্দর ফুল তৈরি করতে পারেন অথবা এঁকে নিতে পারেন নজরকাড়া সুন্দর ছবি। এ ছাড়া ক্যানভাসে এঁকে ফেলুন প্রিয় মানুষটির মুখাবয়ব। ভালোবাসা দিবসে এই শিল্পকে কাজে লাগান।
মোম বা ক্যান্ডেল লাইট
লাইটিংয়ের জন্য বেশি কিছু না করতে চাইলে মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন সুপার মার্কেট বা অনলাইন শপগুলোতে মন মাতানো সুবাসের বাহারি রঙের মোম কিনতে পাওয়া যায়। সাইড টেবিল, টি-টেবিল, উইন্ডো-ফোল্ড এসব জায়গায় মোম জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
আলোকসজ্জা
লাইটিং এমন একটি জিনিস যা আপনার মুডকে খুব সহজেই ভালো করতে পারে। তাই এই বিশেষ দিনে বাড়িতে আলোকসজ্জার ব্যবহার করতে পারেন। রুমের জানালা ও বিছানা ঘেঁষে ছোট ছোট ফেয়ারি লাইট জ্বালিয়ে দিতে পারেন। দেয়ালের রঙ, পর্দা এবং বিছানার রঙ মাথায় রেখে ঘর সাজিয়ে ফেলতে পারেন নানা ফেইরি লাইটে। রঙবেরঙের এবং বিভিন্ন আকারের ফেয়ারি লাইট যেকোনো ইলেকট্রিক সরঞ্জামের দোকানে পাওয়া যাবে।
বাথরুম সাজানো
বাথরুমের তোয়ালে বেছে নিতে পারেন লাল রঙের। গোলাপের সুগন্ধযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ এবং এয়ার ফ্রেশনার রাখতে পারেন। দরজার সামনের পাপোশটিও বদলে দিতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে। এ ছাড়া সুগন্ধি ক্লিনার দিয়ে বাথরুমের ফ্লোর এবং বিভিন্ন টাইলসও মুছে দিতে পারেন।
খাবার ঘর সাজানো
এই দিনে যদি বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সুন্দর করে ডাইনিং টেবিল সাজিয়ে ফেলুন। টেবিল ম্যাট বদলে দিতে পারেন। প্লেট, ডিশ এবং সাজানোর স্টাইলে থাকতে পারে ভালোবাসা দিবসের ছোঁয়া। খাবারের তালিকায় দুজনের পছন্দের খাবার রাখতে পারেন। ডাইনিং রুমের কাছে ছোট সাউন্ড সিস্টেম বসিয়ে মৃদু ছন্দের গান বাজাতে পারেন। গুনগুন সুরে নিজেদের পছন্দের গানের সঙ্গে হারিয়ে যেতে পারেন পুরোনো কোনো দিনে।
ফুল দিয়ে সাজানো
অনেকে নিয়মিতভাবে ঘরে ফুল না রাখলেও বিশেষ দিনগুলোতে রাখতে পছন্দ করেন। ফুল দিয়ে ঘর সাজালে ঘরের সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায়। ফুলের স্নিগ্ধ সুগন্ধ মনকে ভালো রাখে। ভালোবাসা দিবসে বিছানার পাশের ড্রেসিং টেবিলের পাশের ফুলদানিতে ফুল রাখতে পারেন। এই দিনে লাল গোলাপ বেছে নিতে পারেন। গোলাপের পাশাপাশি ঘরের সাজে ব্যবহার করতে পারেন অন্য ফুল। ঘরের কোণায় পাশের টেবিলে লম্বা ফুলদানিতে অর্কিডের মতো হালকা বেগুনি ফুল রাখতে পারেন।
বাকি আসবাব সাজাবেন যেভাবে
ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রের সাজে ভিন্নতা আনতে পারেন। চেয়ারের ওপর লাল তোয়ালে বা টেবিলে ভারী লাল টেবিল ক্লথ বিছিয়ে দিতে পারেন। ঘরের দেয়াল ও মেঝেতে নানা ধরনের সামগ্রী এবং শতরঞ্জি ব্যবহার করে চাইলে সহজেই উষ্ণভাব আনতে পারেন। বেডরুমের এক পাশের দেয়াল ভিন্নধর্মী গাঢ় রঙ দিয়ে রঙ করে সেখানে নিজেদের বিশেষ স্মৃতির ছবি লাগাতে পারেন। চাইলে তাক বা ফ্রেম ব্যবহার করে হাইলাইট করতে পারেন। এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্র অনুযায়ী ওপরে কাভার বদলানো বা ছোট শোপিস সাজিয়ে রেখেও সেখানে দিতে পারেন ভালোবাসার ছোঁয়া।
কাপড় দিয়ে সাজানো
বড় এবং ছোট বেলুন দিয়ে ঘর সাজানোর পাশাপাশি দেয়াল এবং জানালায় গোলাপি বা লাল রঙের কাপড় ঝুলিয়েও ঘরের লুকে একটা বদল আনতে পারেন। এক্ষেত্রে নিজের পুরোনো ওড়নাও ব্যবহার করতে পারেন।
কলি